➖➖➖➖➖➖➖❌➖➖➖➖➖➖➖
অরিত্রী, রাজু, হুযায়ফা। এভাবে আত্মহত্যার সারি যেন লম্বা হচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে। গত কয়েকমাসে ঢাবিতে হুযায়ফাসহ আত্মহত্যা করেছে সাতজন শিক্ষার্থী। রাজু আত্মহত্যা করল চবিতে। এক অজানা রহস্যে তাদের আত্মহত্যার কারণ নিয়ে তেমন চর্চা নাহলেও অরিত্রী হয়েছে ভাইরাল। হয়তো অরিত্রী মেয়ে বলে অথবা সংখ্যালঘু বলে অথবা এলিট শ্রেণী বলে তার আত্মহত্যা নিয়ে এত আলোচনা-সমালোচনা, এত দাবী-দাওয়া। আমরা সেদিকে যাবনা।
কিন্তু মানুষের বিবেকে কি এতই পচণ ধরেছে যে, আত্মহত্যা না করলে কারো ঘুম ভাংগেনা? কেউ সচেতন হয়না?
এই আত্মহত্যাগুলো আমাদেরকে সমাজ ও রাষ্ট্রের পরাজয়কে চোখে আংগুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে। অধিকাংশ আত্মহত্যার পিছনে কমন কারণ জীবন নিয়ে হতাশা। এই হতাশা তৈরী হয়েছে স্বপ্ন অনুযায়ী সফল হতে না পারায়। আকাশ্চুম্বী আশা যখন সমাজ, রাষ্ট্রের বিভিন্ন বাস্তবতার গ্যাড়াকলে পদদলিত হয় তখনি মুক্তি খোজে আত্মহত্যায়। আত্মহত্যার এই লম্বা সিরিয়ালে ব্যাথিত হয়ে পোস্ট দিয়েছেন এক তরুণ
‘জীবনের লক্ষ্য কী?
আশেপাশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করা।
জীবনের সংজ্ঞা কী?
অনেক অনেক বড় হওয়া।
জীবনের পরিনতি কী?
হতাশ হয়ে বেঁচে থাকা।
জীবনের মুক্তি কোথায়?
মরে যাওয়া।
আমি বলব আত্মহত্যার মধ্যে এভাবে মুক্তি খোজা জ্ঞানের চরম দৈন্যতা। আমাদের শিক্ষা আমাদের এত টুকুও শিখাতে পারেনি যে আত্মহত্যা সমাধান নয়। মানুষের মাঝে যখন সবর থাকেনা, আল্লাহর প্রতি ভরসা থাকেনা, থাকেনা ভাগ্যে বিশ্বাস তখন আত্মহত্যাই হয় শেষ ঠিকানা। আত্মহত্যা প্রবণ এই তরুণ সমাজ এক অকেজো, অথর্ব, ভংগুর সমাজ। যারা সামান্য পরাজয়ে ভেংগে পড়ে, ব্যর্থতাকে বরণ করতে পারেনা তারা কোনদিন দেশ জাতির সম্পদ নয় বরং বোঝা।
আপনি ছোটবেলা থেকে লড়াই করে বড় হচ্ছেন। মায়ের পেটে শুক্রকীট থেকে রক্ত, গোশত, হাড্ডি হয়ে দুনিয়ায়ে এসেছেন। মায়ের অন্ধকার পেটে ৯ মাস খাবারের ব্যবস্থা করার মত আপনার কোন শক্তি ছিলনা। কে তখন আপনাকে বাচিয়ে রেখেছিল? জন্মের পর যখন দাত ছিলনা খাওয়ার মত। পায়ে শক্তি ছিলনা চলার মত। হাতে বল ছিলনা ধরার মত। তখন মায়ের বুকে দুধের ঝর্ণা ধারা প্রবাহিত করে কে আপনাকে বাচিয়ে রেখেছিলেন? সারা দুনিয়ার হাজার হাজার কীট-পতংগ, অবলা জানোয়ার, দুর্বল পখ-পাখালীকে কে খাবার দিয়ে জীবিত রেখেছেন? হে ছাত্রসমাজ! তোমরা যদি আল্লাহকে বুঝতে! যিনি তোমার সবচেয়ে আপন তাকে যদি জানতে! আজ আর আত্মহত্যা করতে হতনা।
আত্মহত্যা মহাপাপ! রাসূল ছাঃ বলেছেন, যে ব্যক্তি পাহাড় থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা করবে সে চিরদিন জাহান্নামে এভাবে পাহাড় থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করতে থাকবে। যে ছুরিকাঘাতে আত্মহত্যা করবে সে জাহান্নামে চিরদিন এভাবে ছুরিকাঘাতে নিজেকে হত্যা করতে থাকবে। (বুখারী,হা/ ৫৭৭৮)
মহান আল্লাহ প্রতিটি বস্তুর নির্দিষ্ট সময় দিয়ে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন। আপনি আত্মহত্যা করলেন মানে মহান আল্লাহর সিদ্ধান্তের সাথে বিদ্রোহ করলেন! তাই আত্মহত্যায় মুক্তি নয় বরং আত্মহত্যা বন্দিত্ব।
আত্মহত্যা মানে হেরে যাওয়া।
সংগ্রাম করতে থাকুন!
দাত কামড়ে সবর করুন!
বিপদে অবিচল পাহাড় হয়ে যান!
ভাগ্যে আস্থা ও আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন!
বিজয় আপনার পদচুম্বন করবে।
মানুষ সামান্য বিপদে যখন বিষণ্ণ হয়ে পড়ে তখন আল্লাহ হাসেন সেই বান্দার পরবর্তী সফলতা দেখে যা সে জানেনা।
মহান আল্লাহর এই হাসিকে পুজি করে লড়ে যান। যতক্ষন না নরমালি আপনার মৃত্যু হয়। এই লড়ে যাওয়াই আপনার সফলতা।
লেখকঃ- আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাজ্জাক।
প্রচারেঃ-সৌদি আরব-The Land Of Tawheed🇸🇦♥
শেয়ার করে সবাইকে জানিয়ে দিন।
‘জীবনের লক্ষ্য কী?
আশেপাশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করা।
জীবনের সংজ্ঞা কী?
অনেক অনেক বড় হওয়া।
জীবনের পরিনতি কী?
হতাশ হয়ে বেঁচে থাকা।
জীবনের মুক্তি কোথায়?
মরে যাওয়া।
আমি বলব আত্মহত্যার মধ্যে এভাবে মুক্তি খোজা জ্ঞানের চরম দৈন্যতা। আমাদের শিক্ষা আমাদের এত টুকুও শিখাতে পারেনি যে আত্মহত্যা সমাধান নয়। মানুষের মাঝে যখন সবর থাকেনা, আল্লাহর প্রতি ভরসা থাকেনা, থাকেনা ভাগ্যে বিশ্বাস তখন আত্মহত্যাই হয় শেষ ঠিকানা। আত্মহত্যা প্রবণ এই তরুণ সমাজ এক অকেজো, অথর্ব, ভংগুর সমাজ। যারা সামান্য পরাজয়ে ভেংগে পড়ে, ব্যর্থতাকে বরণ করতে পারেনা তারা কোনদিন দেশ জাতির সম্পদ নয় বরং বোঝা।
আপনি ছোটবেলা থেকে লড়াই করে বড় হচ্ছেন। মায়ের পেটে শুক্রকীট থেকে রক্ত, গোশত, হাড্ডি হয়ে দুনিয়ায়ে এসেছেন। মায়ের অন্ধকার পেটে ৯ মাস খাবারের ব্যবস্থা করার মত আপনার কোন শক্তি ছিলনা। কে তখন আপনাকে বাচিয়ে রেখেছিল? জন্মের পর যখন দাত ছিলনা খাওয়ার মত। পায়ে শক্তি ছিলনা চলার মত। হাতে বল ছিলনা ধরার মত। তখন মায়ের বুকে দুধের ঝর্ণা ধারা প্রবাহিত করে কে আপনাকে বাচিয়ে রেখেছিলেন? সারা দুনিয়ার হাজার হাজার কীট-পতংগ, অবলা জানোয়ার, দুর্বল পখ-পাখালীকে কে খাবার দিয়ে জীবিত রেখেছেন? হে ছাত্রসমাজ! তোমরা যদি আল্লাহকে বুঝতে! যিনি তোমার সবচেয়ে আপন তাকে যদি জানতে! আজ আর আত্মহত্যা করতে হতনা।
আত্মহত্যা মহাপাপ! রাসূল ছাঃ বলেছেন, যে ব্যক্তি পাহাড় থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা করবে সে চিরদিন জাহান্নামে এভাবে পাহাড় থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করতে থাকবে। যে ছুরিকাঘাতে আত্মহত্যা করবে সে জাহান্নামে চিরদিন এভাবে ছুরিকাঘাতে নিজেকে হত্যা করতে থাকবে। (বুখারী,হা/ ৫৭৭৮)
মহান আল্লাহ প্রতিটি বস্তুর নির্দিষ্ট সময় দিয়ে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন। আপনি আত্মহত্যা করলেন মানে মহান আল্লাহর সিদ্ধান্তের সাথে বিদ্রোহ করলেন! তাই আত্মহত্যায় মুক্তি নয় বরং আত্মহত্যা বন্দিত্ব।
আত্মহত্যা মানে হেরে যাওয়া।
সংগ্রাম করতে থাকুন!
দাত কামড়ে সবর করুন!
বিপদে অবিচল পাহাড় হয়ে যান!
ভাগ্যে আস্থা ও আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন!
বিজয় আপনার পদচুম্বন করবে।
মানুষ সামান্য বিপদে যখন বিষণ্ণ হয়ে পড়ে তখন আল্লাহ হাসেন সেই বান্দার পরবর্তী সফলতা দেখে যা সে জানেনা।
মহান আল্লাহর এই হাসিকে পুজি করে লড়ে যান। যতক্ষন না নরমালি আপনার মৃত্যু হয়। এই লড়ে যাওয়াই আপনার সফলতা।
লেখকঃ- আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাজ্জাক।
প্রচারেঃ-সৌদি আরব-The Land Of Tawheed🇸🇦♥
শেয়ার করে সবাইকে জানিয়ে দিন।
0 Comments