❒ ওরা হিযবুল্লাহ নাকি হিযবুস শয়তান!?
-----------------------------------------------------------
.
সিরিয়া যুদ্ধের অন্যতম শরীক হিযবুল্লাহ। এই গ্রুপটি এখন বিদ্রোহীদের সাথে যুদ্ধ করার পাশাপাশি প্রায় ৬০০০ সিরীয় সৈন্যকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। সুতরাং তার সম্পর্কে না জানলেই নয়।
আরবী ভাষায় حزب الله অর্থ ‘আল্লাহর দল’। মূলতঃ হিযবুল্লাহ হচ্ছে লেবাননের শী‘আ অধ্যুষিত গেরিলা সংগঠন যার প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ। ১৯৮২ সনে প্রতিষ্ঠা হলেও রাজনৈতিক অঙ্গনে সংগঠনটির অনুপ্রবেশ ঘটে ১৯৮৫ সালে। ইরানের মদদপুষ্ট সংগঠন حركة أمل الشيعية اللبنانية (লেবাননী শী‘আদের স্বার্থ বাস্তবায়নকারী আন্দোলন) থেকে ‘হিযবুল্লাহ’র জন্ম।
প্রথমে মূল সংগঠনের নামানুসারে হিযবুল্লাহর নামকরণ করা হয় حركة أمل الشيعية (শী‘আদের স্বার্থ বাস্তবায়নকারী আন্দোলন)। অতঃপর বৃহৎ লক্ষ্যে এ নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় أمل الإسلامية (ইসলামী স্বার্থ বাস্তবায়নকারী আন্দোলন)।
কারণ حركة أمل الشيعية এর তৎপরতা লেবাননী শী‘আদের রাজনৈতিক অঙ্গনে সীমাবদ্ধ ছিল, তাকে ব্যাপক করে ‘আমালুল ইসলামিয়াহ’ নামকরণ করা হয়, যেন লেবানন ও অন্যান্য মুসলিম দেশে শী‘আ মতবাদ প্রচারে ‘আমালুল ইসলামিয়া’-কে মোক্ষম হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এজন্য তারা জিহাদী গ্রুপের আকৃতি ধারণ করে, যেন মানুষ বোঝে তাদের উদ্দেশ্য মুসলিম উম্মাহ থেকে ইহুদী আগ্রাসন প্রতিরোধ করা ও ইসলামের পবিত্র ভূমিসমূহ সংরক্ষণ করা। যদিও তাদর যাবতীয় অর্থের যোগানদাতা ইরান। এভাবে সম্পূর্ণ নতুন নামে অপর একটি সংগঠনের জন্ম দেওয়া হল, যা বর্তমান ‘হিযবুল্লাহ’ নামে প্রসিদ্ধ।
গৃহীত :
[ হিযবুল্লাহ সম্পর্কে কি জানেন?, আলী আস সাদিক; অনুবাদ : সানাউল্লাহ নাজির আহমাদ, ইসলাম প্রচার ব্যুরো, রাবওয়াহ সেন্টার, রিয়াদ, পৃ. ৭ ]
. ‘হারাকাতুল আমাল’ নামের যে সংগঠন থেকে হিযবুল্লাহর উত্থান তারা কিভাবে সুন্নী মুসলমানদের উপর নির্যাতনের ষ্টীম রোলার চালিয়েছে বিশেষ করে ফিলিস্তিনী অসহায় শরণার্থীদের সাথে তারা কিভাবে গাদ্দারী করেছে তার কিছু নমুনা তুলে ধরা হল :
২০/৫/১৯৮৫ইং সোমবার :
রামাযানের প্রথম রাতে ‘হারাকতে আমালে’র মিলিশিয়ারা ‘সাবরা’ ও ‘শাতিলা’ নামক দুটি ফিলিস্তীনী শিবিরে হামলা করে। অতঃপর গাজার হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তার, নার্স ও স্টাফদের ধরে ‘আমালে’র স্থানীয় অফিস ‘জালুল’-এ নিয়ে আসে। শীআ যোদ্ধারা কয়েকটি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান যেমন ‘রেড ক্রিসেন্ট’ ও ‘রেড ক্রস’ সংস্থার চিকিৎসার সরঞ্জামাদি বহনকারী এম্বুলেন্সকে শরণার্থী শিবিরে প্রবেশে বাঁধা দেয় এবং হাসপাতাল থেকে পানি ও বিদুু্যৎ সংযোগ কেটে দেয় [ হিযবুল্লাহ সম্পর্কে কি জানেন? পৃ ১৬ ]
. ২০/৫/১৯৮৫ইং সোমবার :
ভোর পাঁচটায় ‘সাবরা’ শরণার্থী শিবির কামান ও বন্দুকের গোলার শিকার হয়। একই দিন সকাল সাতটায় ‘বুরজুল বারাজেনাহ’ শরণার্থী শিবিরেও তার বিস্তার ঘটে। যখন ‘হরকতে আমালে’র নৃশংস হামলা নারী, পুরুষ ও শিশুদের নির্বিচারে শিকার করছিল, তখন ‘নবীহ বারিহ’ লেবাননের ষষ্ঠ ব্রিগেডকে নির্দেশ করল সুন্নীদের বিপক্ষে ‘আমালে’র যোদ্ধাদের সাহায্য কর। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ষষ্ঠ ব্রিগেড এসে চতুর্দিক থেকে ‘বুরজুল বারাজেনাহ’ শিবিরে গোলা বর্ষণ শুরু করল (ঐ)।
.
১৮/৬/১৯৮৫ইং :
এই দিন ‘হরকতে আমালে’র আগুনে বিধ্বস্ত শিবির থেকে ফিলিস্তীনীরা মুক্ত হয়। পুরো একমাস ভয়-ভীতি-আতঙ্ক ও ক্ষুধার্ত জীবনে তারা কুকুর ও বিড়াল পর্যন্ত খেতে বাধ্য হয়েছিল। এমনকি মুসলমানরা বলতে বাধ্য হয় যে, এর চাইতে তো ইহুদীরা ভাল। ৯০% বাড়ি-ঘর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। নানা তথ্য থেকে হতাহতের সংখ্যা ৩১০০ বলে জানা যায়। ১৫ হাযার শরণার্থী বাড়ি-ঘর ছেড়ে চলে যায়, যা ছিল মোট আশ্রয়প্রাপ্তদের প্রায় ৪০%।
. ৪/৬/১৯৮৫ইং :
এই দিন কুয়েতী সংবাদ সংস্থা ও তার আগের দিন ‘আল-ওয়াতান’ ম্যাগাজিন প্রচার করে যে, ‘আমালে’র যোদ্ধারা ‘সাবরা’ শরণার্থী শিবিরে পরিবারের সামনে থেকে ২৫ জন যুবতীকে অপহরণ করে তাদের শ্লীলতাহানির মত জঘন্য অপরাধ করেছে।
ইসরাইলি সৈন্যরা যখন লেবানন ঢুকে শী‘আদের মদদে ফিলিস্তীনী স্বাধীনতাকামীদের দমন করে, তখন শী‘আরা দক্ষিণ লেবাননে ইহুদী সৈন্যদের ফুল ও তোরণ দিয়ে অভ্যর্থনা জানায়! (হিযবুল্লাহ সম্পর্কে কি জানেন? পৃ ২১)। এ বিষয়টি হিযবুল্লাহর তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল হাসান নাসরুল্লাহও স্বীকার করেছেন (ঐ, পৃ.২১)। বর্তমান হিযবুল্লাহ প্রধান নেতা হাসান নাসরুল্লাহ। যিনি এক সময় এই ‘হারকাতে আমালে’র বেক্কা প্রদেশের প্রধান ও কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য ছিলেন।
আর হাসান নাসরুল্লাহ সম্পর্কে জানার জন্য বেশী তথ্যানুসন্ধান ও গবেষণার প্রয়োজন নেই। এতটুকু জানাই যথেষ্ট যে, সে জাফরী শী‘আ দ্বাদশ ইমামিয়ার অন্তর্ভুক্ত। যাদের নিকট আল্লাহর নৈকট্য হাসিলের উপায় হচ্ছে ছাহাবীদের গালমন্দ করা। সত্যিকার অর্থে যদি হাসান নাসরুল্লাহ ইসরাইলের জন্য হুমকি হত, তাহলে সে কিভাবে লেবাননের উত্তর-দক্ষিণ ও পূর্ব-পশ্চিম চষে বেড়ায়, ইসরাইলের বিষোদগার করে বেতার-যন্ত্র ও টিভির পর্দায় সাক্ষাৎকার দেয়। কিভাবে নিজস্ব টিভি চ্যানেল পরিচালনা করে। কিভাবে বিশাল জনসভায় ইসরাঈলকে হুমকি দেয়, যেসব সভার দিন-তারিখ ও স্থান পূর্ব থেকে নির্ধারিত থাকে, অথচ ইসরাইল তাকে কিছু বলে না? তার গাড়ি, বাড়ি বা জনসভাকে লক্ষ্য করে কোন মিসাইল ছুড়ে না? তাকে হত্যার জন্য কেন কোন পুরস্কার ঘোষণা করা হয়না? পক্ষান্তরে সুন্নী যোদ্ধাদের মাথার জন্য লাখ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। ড্রোন হামলা হয়তোবা শুধু সুন্নীদের জন্যই নির্ধারণ করা হয়েছে যাতে তারা লুকিয়েও বাঁচতে না পারে।
যাইহোক এই সুন্নী বিদ্বেষী মনোভাব নিয়ে হিযবুল্লাহর যাত্রা শুরু হয়। এরপর হিযবুল্লাহর জনসমর্থন বৃদ্ধির স্বার্থে ২০০৬ সালে এক নতুন নাটক মঞ্চস্থ করা হয়। এই নাটকে হিযবুল্লাহ ফিলিস্তীনের দখলকৃত যমীন মুক্ত করার নামে দু’জন ইসরাইলী সেনাকে অপহরণ করে। সাথে সাথে ইসরায়েলের সাথে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শুরু হয় এবং যুদ্ধ শেষে হিযবুল্লাহ বিজয় লাভ করেছে বলে প্রচারণা চালানো হয়। এই ‘বিজয়ে’র পর হিযবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহ রীতিমত হিরো বনে যান। যারা গতকালও সুন্নী মুসলিমদের উপর নিধনযজ্ঞ পরিচালনা করেছে। দক্ষিণ বৈরূতে ফিলিস্তীনী শরণার্থী শিবির ‘বারাজানাহ’ ক্যাম্পে নিরীহ নিরপরাধ নিরস্ত্র সুন্নী মুসলিমদেরকে ঠান্ডা মাথায় হত্যা করেছে। হলুদ মিডিয়ার কল্যাণে তারাই আজ বীর মুজাহিদ! সত্যিই মিরাকেল! বিচিত্র সেলুকাস এ পৃথিবী!
.
আসলে এটা যে একটি নিছক নাটকই ছিল তা যেকোন বিবেকবান মানুষ মাত্র বুঝতে পারবে। যেখানে সকল আরব রাষ্ট্র মিলে ইসরায়েলের সাথে যুদ্ধে জয়লাভ করতে পারেনা। সেখানে মুষ্টিমেয় জনবল আর অস্ত্রবল নিয়ে হিযবুল্লাহ একাই জয়লাভ করল! হঠাৎ কোন উস্কানী ছাড়াই কেন হিযবুল্লাহ ইসরায়েলের দু’জন সেনাকে অপহরণ করল? অথচ যখন হামাসের দু’জন নেতা আহমাদ ইয়াসীন ও আব্দুল আজিজ রানতিসিকে হত্যা করা হয়, তখন কেন হিযবুল্লাহ একটি মিসাইলও ইসরাইলের দিকে নিক্ষেপ করেনি? গাজায় যখন গণহত্যা চালানো হয় তখন কেন সে ইসরায়েলের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয়নি। অথচ তারা ইসরাইলের কলিজায় বসে আছে। তাদেরই বেশী প্রয়োজন ছিল সাহায্য, সমর্থন ও অস্ত্র সহযোগিতা করার! আর সত্যি বলতে কি, এই যুদ্ধে ফিলিস্তীনী জমি পুনরুদ্ধার তো অনেক দূরের কথা বরং হিযবুল্লাহর সাথে এই যুদ্ধ ইসরায়েলকে নিরাপত্তার নামে লেবানন সীমান্তে সৈন্য মোতায়েন থেকে শুরু করে অনেক কিছুই করার সুযোগ করে দিয়েছে। এই যুদ্ধের ব্যাপারে স্বয়ং হাসান নাসরুল্লাহ ২৭/০৭/২০০৬ইং লেবাননের New TV চ্যানেলের এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘যদি জানতাম দু’জন ইসরাইলি সৈন্য অপহরণ করার ফলে লেবাননের এ পরিমাণ ক্ষতি হবে, তাহলে কখনো এ নির্দেশ দিতাম না’। তিনি আরো বলেন, দু’জন সৈন্য অপহরণ করার ফলে যে ক্ষতি হয়েছে, হিযবুল্লাহ তার একভাগেরও আশঙ্কা করেনি। কারণ যুদ্ধের ইতিহাসে এ পরিমাণ ক্ষতি কখনো হয়নি। হাসান নাসরুল্লাহ আরো বলেন, হিযবুল্লাহ দ্বিতীয়বার কখনো ইসরাইলের সাথে যুদ্ধে জড়াবে না’
গৃহীত :
[ আশ-শারকুল আওসাত সংখ্যা : ১০১৩৫, তারিখ: ২৮/৮/২০০৬ইং- এর বরাতে, ঐ, পৃ. ১০৭ ]
. হাসান নাসরুল্লাহ’র এই কথাকে সামনে রেখে যদি আমরা একটু আগ বাড়িয়ে বলি তাহ’লে ভুল হবেনা যে, দু’জন ইসরাইলী সৈন্য অপহরণ করে সে লেবাননের উপর ইসরাইলকে ধ্বংসযজ্ঞ পরিচালনার পথ সুগম করে দিয়েছে। এরূপ কাজ হাসান নাসরুল্লাহর পূর্বে তার পূর্বসূরি আববাস মুসাভিও করেছিল। ১৯৮৬ইং সালে মধ্য ফেব্রুয়ারিতে দু’জন ইসরাইলী সৈন্য অপহরণ করে লেবাননে তাদেরকে হামলার সুযোগ করে দিয়েছিল, যার ফলে তারা লেবাননী সামরিক শক্তি ও তাদের অর্থ-সম্পদের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। কেননা আল-কুদস মুক্ত করা তার লক্ষ্য নয়। যেমন ২০০০ইং সালে ‘বিনতে জাবিল’ এলাকা হ’তে ইসরাইলীদের হটে যাওয়ার পর হাসান নাসরুল্লাহ হাযার হাযার দক্ষিণাঞ্চলীয় যোদ্ধার সামনে ঘোষণা দেন যে, হিযবুল্লাহ কখনো কুদসকে মুক্ত করার জন্য ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে না! (ঐ, পৃ. ১১২)।
শুধু এখানেই নয় হিযবুল্লাহর এক সময়ের সেক্রেটারি জেনারেল সুবহি তুফাইলি বলেন, ‘নিশ্চয়ই হিযবুল্লাহ ইসরাইলের বর্ডার পাহারাদার। এ কথার সত্যতা যে যাচাই করতে চায়, সে যেন অস্ত্র হাতে সীমান্তের দিকে অগ্রসর হয় এবং ইহুদী শত্রুদের বিপক্ষে দাঁড়ায়, তাহলে অবশ্যই দেখা যাবে যে, হিযবুল্লাহ কিভাবে সশস্ত্র যোদ্ধাদের প্রতিহত করে’! কারণ, যারা সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করেছে, তারা এখন জেলখানায় বন্দী। যাদেরকে হিযবুল্লাহ বন্দী করেছে’ [ ঐ, পৃ. ১১৪ ও ১১৬ ]
. উল্লেখ্য যে, সুবহি তুফাইলি হিযবুল্লাহর সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। যখন তিনি দেখলেন যে, হিযবুল্লাহ প্রতিরোধ ত্যাগ করে সিরিয়ান ও ইরানী স্বার্থের শুধু সেবক হয়নি, বরং ইসরাইলী উত্তর প্রান্তের সীমানার নিরাপত্তা প্রহরীও বনে গেছে, আর কোনো মুজাহিদ ইসরাইলে হামলা করার চেষ্টা করলে তাকে তারা বাঁধা দেয় ও গ্রেফতার করে। তখন তিনি হিযবুল্লাহ থেকে পৃথক হয়ে যান। ইহুদী এরিয়েল শ্যারন স্বীয় ডাইরিতে লিখেছে, ‘দীর্ঘ ইতিহাসে কখনো দেখিনি শী‘আদের সাথে ইসরাইলের শত্রুতা রয়েছে’।
[ শ্যারনের ডায়রি, পৃ.৫৮৩ -এর বরাতে ঐ, পৃ. ১৩৬ ]
এ ব্যাপারে ইউসুফ আল-কারযাভী বলেন, ‘এরা হিযবুল্লাহ নয় হিযবুশ শয়তান। তাইতো আমরা দেখতে পাচ্ছি তথাকথিত ইসলামের খাদেম সিরিয়াতে বাশার আল আসাদের যালিম সরকারের পক্ষ নিয়ে সুন্নীদের বিরুদ্ধে এক ভয়াবহ যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে! (salafibd.com)।
.
লেখক : আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাজ্জাক। [ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা লেখককে উত্তম প্রতিদান দিন। আমীন।
▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂
► আপনার যদি পোস্টটি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করুন ও পরবর্তী আপডেট পেতে পেজটি লাইক দিয়ে রাখুন। কেননা রাসূল (সাঃ) বলেছেন,“যে ব্যক্তি মানুষকে হিদায়াতের দিকে ডাকে তার জন্য ঠিক ঐ পরিমাণ সাওয়াব রয়েছে, যে পরিমাণ পাবে তাকে অনুসরণকারীরা।” [সহীহ মুসলিম/২৬৭৪,৬৮০৪]
► আমাদের পোস্টগুলি কপিরাইট মুক্ত! সুতরাং আপনি চাইলে পেজের কনটেন্টগুলো হুবহু কপি করে ফেসবুক বা যেকোন মাধ্যমে দাওয়াতের উদ্দেশ্যে প্রচার করতে পারেন বিনা অনুমতিতে।
জায্বাকুমুল্লাহ।
► ইছলাহ্'র সাথে, আগামীর পথে ...
-----------------------------------------------------------
.
সিরিয়া যুদ্ধের অন্যতম শরীক হিযবুল্লাহ। এই গ্রুপটি এখন বিদ্রোহীদের সাথে যুদ্ধ করার পাশাপাশি প্রায় ৬০০০ সিরীয় সৈন্যকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। সুতরাং তার সম্পর্কে না জানলেই নয়।
আরবী ভাষায় حزب الله অর্থ ‘আল্লাহর দল’। মূলতঃ হিযবুল্লাহ হচ্ছে লেবাননের শী‘আ অধ্যুষিত গেরিলা সংগঠন যার প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ। ১৯৮২ সনে প্রতিষ্ঠা হলেও রাজনৈতিক অঙ্গনে সংগঠনটির অনুপ্রবেশ ঘটে ১৯৮৫ সালে। ইরানের মদদপুষ্ট সংগঠন حركة أمل الشيعية اللبنانية (লেবাননী শী‘আদের স্বার্থ বাস্তবায়নকারী আন্দোলন) থেকে ‘হিযবুল্লাহ’র জন্ম।
প্রথমে মূল সংগঠনের নামানুসারে হিযবুল্লাহর নামকরণ করা হয় حركة أمل الشيعية (শী‘আদের স্বার্থ বাস্তবায়নকারী আন্দোলন)। অতঃপর বৃহৎ লক্ষ্যে এ নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় أمل الإسلامية (ইসলামী স্বার্থ বাস্তবায়নকারী আন্দোলন)।
কারণ حركة أمل الشيعية এর তৎপরতা লেবাননী শী‘আদের রাজনৈতিক অঙ্গনে সীমাবদ্ধ ছিল, তাকে ব্যাপক করে ‘আমালুল ইসলামিয়াহ’ নামকরণ করা হয়, যেন লেবানন ও অন্যান্য মুসলিম দেশে শী‘আ মতবাদ প্রচারে ‘আমালুল ইসলামিয়া’-কে মোক্ষম হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এজন্য তারা জিহাদী গ্রুপের আকৃতি ধারণ করে, যেন মানুষ বোঝে তাদের উদ্দেশ্য মুসলিম উম্মাহ থেকে ইহুদী আগ্রাসন প্রতিরোধ করা ও ইসলামের পবিত্র ভূমিসমূহ সংরক্ষণ করা। যদিও তাদর যাবতীয় অর্থের যোগানদাতা ইরান। এভাবে সম্পূর্ণ নতুন নামে অপর একটি সংগঠনের জন্ম দেওয়া হল, যা বর্তমান ‘হিযবুল্লাহ’ নামে প্রসিদ্ধ।
গৃহীত :
[ হিযবুল্লাহ সম্পর্কে কি জানেন?, আলী আস সাদিক; অনুবাদ : সানাউল্লাহ নাজির আহমাদ, ইসলাম প্রচার ব্যুরো, রাবওয়াহ সেন্টার, রিয়াদ, পৃ. ৭ ]
. ‘হারাকাতুল আমাল’ নামের যে সংগঠন থেকে হিযবুল্লাহর উত্থান তারা কিভাবে সুন্নী মুসলমানদের উপর নির্যাতনের ষ্টীম রোলার চালিয়েছে বিশেষ করে ফিলিস্তিনী অসহায় শরণার্থীদের সাথে তারা কিভাবে গাদ্দারী করেছে তার কিছু নমুনা তুলে ধরা হল :
২০/৫/১৯৮৫ইং সোমবার :
রামাযানের প্রথম রাতে ‘হারাকতে আমালে’র মিলিশিয়ারা ‘সাবরা’ ও ‘শাতিলা’ নামক দুটি ফিলিস্তীনী শিবিরে হামলা করে। অতঃপর গাজার হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তার, নার্স ও স্টাফদের ধরে ‘আমালে’র স্থানীয় অফিস ‘জালুল’-এ নিয়ে আসে। শীআ যোদ্ধারা কয়েকটি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান যেমন ‘রেড ক্রিসেন্ট’ ও ‘রেড ক্রস’ সংস্থার চিকিৎসার সরঞ্জামাদি বহনকারী এম্বুলেন্সকে শরণার্থী শিবিরে প্রবেশে বাঁধা দেয় এবং হাসপাতাল থেকে পানি ও বিদুু্যৎ সংযোগ কেটে দেয় [ হিযবুল্লাহ সম্পর্কে কি জানেন? পৃ ১৬ ]
. ২০/৫/১৯৮৫ইং সোমবার :
ভোর পাঁচটায় ‘সাবরা’ শরণার্থী শিবির কামান ও বন্দুকের গোলার শিকার হয়। একই দিন সকাল সাতটায় ‘বুরজুল বারাজেনাহ’ শরণার্থী শিবিরেও তার বিস্তার ঘটে। যখন ‘হরকতে আমালে’র নৃশংস হামলা নারী, পুরুষ ও শিশুদের নির্বিচারে শিকার করছিল, তখন ‘নবীহ বারিহ’ লেবাননের ষষ্ঠ ব্রিগেডকে নির্দেশ করল সুন্নীদের বিপক্ষে ‘আমালে’র যোদ্ধাদের সাহায্য কর। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ষষ্ঠ ব্রিগেড এসে চতুর্দিক থেকে ‘বুরজুল বারাজেনাহ’ শিবিরে গোলা বর্ষণ শুরু করল (ঐ)।
.
১৮/৬/১৯৮৫ইং :
এই দিন ‘হরকতে আমালে’র আগুনে বিধ্বস্ত শিবির থেকে ফিলিস্তীনীরা মুক্ত হয়। পুরো একমাস ভয়-ভীতি-আতঙ্ক ও ক্ষুধার্ত জীবনে তারা কুকুর ও বিড়াল পর্যন্ত খেতে বাধ্য হয়েছিল। এমনকি মুসলমানরা বলতে বাধ্য হয় যে, এর চাইতে তো ইহুদীরা ভাল। ৯০% বাড়ি-ঘর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। নানা তথ্য থেকে হতাহতের সংখ্যা ৩১০০ বলে জানা যায়। ১৫ হাযার শরণার্থী বাড়ি-ঘর ছেড়ে চলে যায়, যা ছিল মোট আশ্রয়প্রাপ্তদের প্রায় ৪০%।
. ৪/৬/১৯৮৫ইং :
এই দিন কুয়েতী সংবাদ সংস্থা ও তার আগের দিন ‘আল-ওয়াতান’ ম্যাগাজিন প্রচার করে যে, ‘আমালে’র যোদ্ধারা ‘সাবরা’ শরণার্থী শিবিরে পরিবারের সামনে থেকে ২৫ জন যুবতীকে অপহরণ করে তাদের শ্লীলতাহানির মত জঘন্য অপরাধ করেছে।
ইসরাইলি সৈন্যরা যখন লেবানন ঢুকে শী‘আদের মদদে ফিলিস্তীনী স্বাধীনতাকামীদের দমন করে, তখন শী‘আরা দক্ষিণ লেবাননে ইহুদী সৈন্যদের ফুল ও তোরণ দিয়ে অভ্যর্থনা জানায়! (হিযবুল্লাহ সম্পর্কে কি জানেন? পৃ ২১)। এ বিষয়টি হিযবুল্লাহর তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল হাসান নাসরুল্লাহও স্বীকার করেছেন (ঐ, পৃ.২১)। বর্তমান হিযবুল্লাহ প্রধান নেতা হাসান নাসরুল্লাহ। যিনি এক সময় এই ‘হারকাতে আমালে’র বেক্কা প্রদেশের প্রধান ও কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য ছিলেন।
আর হাসান নাসরুল্লাহ সম্পর্কে জানার জন্য বেশী তথ্যানুসন্ধান ও গবেষণার প্রয়োজন নেই। এতটুকু জানাই যথেষ্ট যে, সে জাফরী শী‘আ দ্বাদশ ইমামিয়ার অন্তর্ভুক্ত। যাদের নিকট আল্লাহর নৈকট্য হাসিলের উপায় হচ্ছে ছাহাবীদের গালমন্দ করা। সত্যিকার অর্থে যদি হাসান নাসরুল্লাহ ইসরাইলের জন্য হুমকি হত, তাহলে সে কিভাবে লেবাননের উত্তর-দক্ষিণ ও পূর্ব-পশ্চিম চষে বেড়ায়, ইসরাইলের বিষোদগার করে বেতার-যন্ত্র ও টিভির পর্দায় সাক্ষাৎকার দেয়। কিভাবে নিজস্ব টিভি চ্যানেল পরিচালনা করে। কিভাবে বিশাল জনসভায় ইসরাঈলকে হুমকি দেয়, যেসব সভার দিন-তারিখ ও স্থান পূর্ব থেকে নির্ধারিত থাকে, অথচ ইসরাইল তাকে কিছু বলে না? তার গাড়ি, বাড়ি বা জনসভাকে লক্ষ্য করে কোন মিসাইল ছুড়ে না? তাকে হত্যার জন্য কেন কোন পুরস্কার ঘোষণা করা হয়না? পক্ষান্তরে সুন্নী যোদ্ধাদের মাথার জন্য লাখ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। ড্রোন হামলা হয়তোবা শুধু সুন্নীদের জন্যই নির্ধারণ করা হয়েছে যাতে তারা লুকিয়েও বাঁচতে না পারে।
যাইহোক এই সুন্নী বিদ্বেষী মনোভাব নিয়ে হিযবুল্লাহর যাত্রা শুরু হয়। এরপর হিযবুল্লাহর জনসমর্থন বৃদ্ধির স্বার্থে ২০০৬ সালে এক নতুন নাটক মঞ্চস্থ করা হয়। এই নাটকে হিযবুল্লাহ ফিলিস্তীনের দখলকৃত যমীন মুক্ত করার নামে দু’জন ইসরাইলী সেনাকে অপহরণ করে। সাথে সাথে ইসরায়েলের সাথে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শুরু হয় এবং যুদ্ধ শেষে হিযবুল্লাহ বিজয় লাভ করেছে বলে প্রচারণা চালানো হয়। এই ‘বিজয়ে’র পর হিযবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহ রীতিমত হিরো বনে যান। যারা গতকালও সুন্নী মুসলিমদের উপর নিধনযজ্ঞ পরিচালনা করেছে। দক্ষিণ বৈরূতে ফিলিস্তীনী শরণার্থী শিবির ‘বারাজানাহ’ ক্যাম্পে নিরীহ নিরপরাধ নিরস্ত্র সুন্নী মুসলিমদেরকে ঠান্ডা মাথায় হত্যা করেছে। হলুদ মিডিয়ার কল্যাণে তারাই আজ বীর মুজাহিদ! সত্যিই মিরাকেল! বিচিত্র সেলুকাস এ পৃথিবী!
.
আসলে এটা যে একটি নিছক নাটকই ছিল তা যেকোন বিবেকবান মানুষ মাত্র বুঝতে পারবে। যেখানে সকল আরব রাষ্ট্র মিলে ইসরায়েলের সাথে যুদ্ধে জয়লাভ করতে পারেনা। সেখানে মুষ্টিমেয় জনবল আর অস্ত্রবল নিয়ে হিযবুল্লাহ একাই জয়লাভ করল! হঠাৎ কোন উস্কানী ছাড়াই কেন হিযবুল্লাহ ইসরায়েলের দু’জন সেনাকে অপহরণ করল? অথচ যখন হামাসের দু’জন নেতা আহমাদ ইয়াসীন ও আব্দুল আজিজ রানতিসিকে হত্যা করা হয়, তখন কেন হিযবুল্লাহ একটি মিসাইলও ইসরাইলের দিকে নিক্ষেপ করেনি? গাজায় যখন গণহত্যা চালানো হয় তখন কেন সে ইসরায়েলের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয়নি। অথচ তারা ইসরাইলের কলিজায় বসে আছে। তাদেরই বেশী প্রয়োজন ছিল সাহায্য, সমর্থন ও অস্ত্র সহযোগিতা করার! আর সত্যি বলতে কি, এই যুদ্ধে ফিলিস্তীনী জমি পুনরুদ্ধার তো অনেক দূরের কথা বরং হিযবুল্লাহর সাথে এই যুদ্ধ ইসরায়েলকে নিরাপত্তার নামে লেবানন সীমান্তে সৈন্য মোতায়েন থেকে শুরু করে অনেক কিছুই করার সুযোগ করে দিয়েছে। এই যুদ্ধের ব্যাপারে স্বয়ং হাসান নাসরুল্লাহ ২৭/০৭/২০০৬ইং লেবাননের New TV চ্যানেলের এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘যদি জানতাম দু’জন ইসরাইলি সৈন্য অপহরণ করার ফলে লেবাননের এ পরিমাণ ক্ষতি হবে, তাহলে কখনো এ নির্দেশ দিতাম না’। তিনি আরো বলেন, দু’জন সৈন্য অপহরণ করার ফলে যে ক্ষতি হয়েছে, হিযবুল্লাহ তার একভাগেরও আশঙ্কা করেনি। কারণ যুদ্ধের ইতিহাসে এ পরিমাণ ক্ষতি কখনো হয়নি। হাসান নাসরুল্লাহ আরো বলেন, হিযবুল্লাহ দ্বিতীয়বার কখনো ইসরাইলের সাথে যুদ্ধে জড়াবে না’
গৃহীত :
[ আশ-শারকুল আওসাত সংখ্যা : ১০১৩৫, তারিখ: ২৮/৮/২০০৬ইং- এর বরাতে, ঐ, পৃ. ১০৭ ]
. হাসান নাসরুল্লাহ’র এই কথাকে সামনে রেখে যদি আমরা একটু আগ বাড়িয়ে বলি তাহ’লে ভুল হবেনা যে, দু’জন ইসরাইলী সৈন্য অপহরণ করে সে লেবাননের উপর ইসরাইলকে ধ্বংসযজ্ঞ পরিচালনার পথ সুগম করে দিয়েছে। এরূপ কাজ হাসান নাসরুল্লাহর পূর্বে তার পূর্বসূরি আববাস মুসাভিও করেছিল। ১৯৮৬ইং সালে মধ্য ফেব্রুয়ারিতে দু’জন ইসরাইলী সৈন্য অপহরণ করে লেবাননে তাদেরকে হামলার সুযোগ করে দিয়েছিল, যার ফলে তারা লেবাননী সামরিক শক্তি ও তাদের অর্থ-সম্পদের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। কেননা আল-কুদস মুক্ত করা তার লক্ষ্য নয়। যেমন ২০০০ইং সালে ‘বিনতে জাবিল’ এলাকা হ’তে ইসরাইলীদের হটে যাওয়ার পর হাসান নাসরুল্লাহ হাযার হাযার দক্ষিণাঞ্চলীয় যোদ্ধার সামনে ঘোষণা দেন যে, হিযবুল্লাহ কখনো কুদসকে মুক্ত করার জন্য ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে না! (ঐ, পৃ. ১১২)।
শুধু এখানেই নয় হিযবুল্লাহর এক সময়ের সেক্রেটারি জেনারেল সুবহি তুফাইলি বলেন, ‘নিশ্চয়ই হিযবুল্লাহ ইসরাইলের বর্ডার পাহারাদার। এ কথার সত্যতা যে যাচাই করতে চায়, সে যেন অস্ত্র হাতে সীমান্তের দিকে অগ্রসর হয় এবং ইহুদী শত্রুদের বিপক্ষে দাঁড়ায়, তাহলে অবশ্যই দেখা যাবে যে, হিযবুল্লাহ কিভাবে সশস্ত্র যোদ্ধাদের প্রতিহত করে’! কারণ, যারা সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করেছে, তারা এখন জেলখানায় বন্দী। যাদেরকে হিযবুল্লাহ বন্দী করেছে’ [ ঐ, পৃ. ১১৪ ও ১১৬ ]
. উল্লেখ্য যে, সুবহি তুফাইলি হিযবুল্লাহর সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। যখন তিনি দেখলেন যে, হিযবুল্লাহ প্রতিরোধ ত্যাগ করে সিরিয়ান ও ইরানী স্বার্থের শুধু সেবক হয়নি, বরং ইসরাইলী উত্তর প্রান্তের সীমানার নিরাপত্তা প্রহরীও বনে গেছে, আর কোনো মুজাহিদ ইসরাইলে হামলা করার চেষ্টা করলে তাকে তারা বাঁধা দেয় ও গ্রেফতার করে। তখন তিনি হিযবুল্লাহ থেকে পৃথক হয়ে যান। ইহুদী এরিয়েল শ্যারন স্বীয় ডাইরিতে লিখেছে, ‘দীর্ঘ ইতিহাসে কখনো দেখিনি শী‘আদের সাথে ইসরাইলের শত্রুতা রয়েছে’।
[ শ্যারনের ডায়রি, পৃ.৫৮৩ -এর বরাতে ঐ, পৃ. ১৩৬ ]
এ ব্যাপারে ইউসুফ আল-কারযাভী বলেন, ‘এরা হিযবুল্লাহ নয় হিযবুশ শয়তান। তাইতো আমরা দেখতে পাচ্ছি তথাকথিত ইসলামের খাদেম সিরিয়াতে বাশার আল আসাদের যালিম সরকারের পক্ষ নিয়ে সুন্নীদের বিরুদ্ধে এক ভয়াবহ যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে! (salafibd.com)।
.
লেখক : আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাজ্জাক। [ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা লেখককে উত্তম প্রতিদান দিন। আমীন।
▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂
► আপনার যদি পোস্টটি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করুন ও পরবর্তী আপডেট পেতে পেজটি লাইক দিয়ে রাখুন। কেননা রাসূল (সাঃ) বলেছেন,“যে ব্যক্তি মানুষকে হিদায়াতের দিকে ডাকে তার জন্য ঠিক ঐ পরিমাণ সাওয়াব রয়েছে, যে পরিমাণ পাবে তাকে অনুসরণকারীরা।” [সহীহ মুসলিম/২৬৭৪,৬৮০৪]
► আমাদের পোস্টগুলি কপিরাইট মুক্ত! সুতরাং আপনি চাইলে পেজের কনটেন্টগুলো হুবহু কপি করে ফেসবুক বা যেকোন মাধ্যমে দাওয়াতের উদ্দেশ্যে প্রচার করতে পারেন বিনা অনুমতিতে।
জায্বাকুমুল্লাহ।
► ইছলাহ্'র সাথে, আগামীর পথে ...
0 Comments