Subscribe Us

হে পথিক ভবিষ্যৎ বলে কিছু নাই ,আসোল ভবিষ্যৎ হলো পরোকাল

প্রশ্ন: শুক্রবারে সূরা কাহাফ পাঠ এবং এর দশ আয়াত মুখস্থ করার ফযিলত কি?


প্রশ্ন: শুক্রবারে সূরা কাহাফ পাঠ এবং এর দশ আয়াত মুখস্থ করার ফযিলত কি?
▬▬▬▬▬▬
শুক্রবারে সূরা কাহাফ পাঠ করা অত্যন্ত ফযিলতপূর্ণ আমল। অনুরূপভাবে এর দশ আয়াত মুখস্থ করাও খুবই ফযিলতপূর্ণ। নিম্নে এ সম্পর্কে হাদিস সমূহ পেশ করা হল:

 জুমার দিন সুরা কাহাফ পাঠ করার ফযিলত:

🔰 আবু সাঈদ খুদরী রাযি. হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন :
مَن قرأَ سورةَ الكَهْفِ ليلةَ الجمعةِ، أضاءَ لَهُ منَ النُّورِ فيما بينَهُ وبينَ البَيتِ العَتيقِ 
“যে ব্যক্তি জুমার দিনে সুরা কাহাফ পড়বে তার এবং বায়তুল আতীক তথা ক্বাবা পর্যন্ত আলোকোজ্জ্বল হবে।“ (দারেমী, হা/৩৪০৭, শাইখ আলবানী হাদিসটিকে সহীহ বলেছেন, দ্রষ্টব্য: সহীহুল জামে হা/৬৪৭১)

🔰 আবু সাঈদ খুদরী (রা.) বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
مَن قَرَأَ سورةَ الكَهفِ يومَ الجُمُعةِ أضاءَ له من النورِ ما بَينَ الجُمُعتينِ
“যে ব্যক্তি জুমার দিন সূরা কাহাফ পড়বে তার জন্য এক জুমা থেকে আরেক জুমা পর্যন্ত আলোকোজ্জ্বল হবে।“
(মুসতাদারেক হাকিম: ২/৩৯৯, বায়হাকী: ৩/২৪৯, ফয়জুল ক্বাদীর: ৬/১৯৮, ইবনে হাজার আসকালানী তাখরীজুর আযকার গ্রন্থে বলেন, হাদিসটি হাসান এবং আরও বলেন, এ প্রসঙ্গে বর্ণিত সকল হাদিসের মধ্যে এ হাদিসটি সবচেয়ে শক্তিশালী, শাইখ আলাবনীও এটিকে সহীহ বলেছেন। দ্র: সহীহুল জামে হা/৬৪৭০)

🔰 ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
من قرأ سورة الكهف في يوم الجمعة سطع له نور من تحت قدمه إلى عنان السماء يضيء له يوم القيامة ، وغفر له ما بين الجمعتين
“যে ব্যক্তি শুক্রবার দিন সূরা কাহাফ পাঠ করবে তার পা থেকে আকাশের উচ্চতা পর্যন্ত নূর (আলো) হয়ে যাবে, যা কেয়ামতের দিন আলো দিবে এবং বিগত জুমা থেকে এ জুমা পর্যন্ত তার সব গুনাহ মাফ হয়ে যাবে।" (আত তারগীব ওয়া তারহীব: ১/২৯৮, ইমাম মুনযেরী বলেন, এর সনদে কোন সমস্যা নেই) 
উপরোক্ত হাদিসগুলোতে শুক্রবারে সূরা কাহাফ পড়ার ফযিলত বর্ণিত হয়েছে।

 সূরা কাহাফের দশ আয়াত পড়ার বা মুখস্থ করার ফযিলত:

আবু দারদা রা. হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছে:
مَنْ حَفِظَ عَشْرَ آيَاتٍ مِنْ أَوَّلِ سُورَةِ الْكَهْف عُصِمَ مِنَ الدَّجَّالِ 
‘‘যে ব্যক্তি সূরা কাহাফের প্রথম দিক থেকে দশটি আয়াত মুখস্থ করবে, সে দজ্জালের(ফিতনা) থেকে পরিত্রাণ পাবে।’’ (সহীহ মুসলিম)
অন্য বর্ণনায় ‘কাহফ সূরার শেষ দিক থেকে’ উল্লেখ হয়েছে। (সহীহ মুসলিম, হা/ ৮০৯)
এই দশ আয়াত পড়া বা মুখস্থ করা শুক্রবারের জন্য নির্দিষ্ট নয়। বরং তা মুখস্থ করে যে কোনো সময় পাঠ করলে উক্ত মর্যাদা লাভ করা যাবে ইনশাআল্লাহ। আল্লাহু আলাম।
▬▬▬▬▬▬
উত্তর প্রদানে: 
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল মাদানী
fb/AbdullaahilHadi
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সৌদি আরব
▬▬▬▬▬▬
শুক্রবারে সূরা কাহাফ পাঠ করা অত্যন্ত ফযিলতপূর্ণ আমল। অনুরূপভাবে এর দশ আয়াত মুখস্থ করাও খুবই ফযিলতপূর্ণ। নিম্নে এ সম্পর্কে হাদিস সমূহ পেশ করা হল:

 জুমার দিন সুরা কাহাফ পাঠ করার ফযিলত:

🔰 আবু সাঈদ খুদরী রাযি. হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন :
مَن قرأَ سورةَ الكَهْفِ ليلةَ الجمعةِ، أضاءَ لَهُ منَ النُّورِ فيما بينَهُ وبينَ البَيتِ العَتيقِ 
“যে ব্যক্তি জুমার দিনে সুরা কাহাফ পড়বে তার এবং বায়তুল আতীক তথা ক্বাবা পর্যন্ত আলোকোজ্জ্বল হবে।“ (দারেমী, হা/৩৪০৭, শাইখ আলবানী হাদিসটিকে সহীহ বলেছেন, দ্রষ্টব্য: সহীহুল জামে হা/৬৪৭১)

🔰 আবু সাঈদ খুদরী (রা.) বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
مَن قَرَأَ سورةَ الكَهفِ يومَ الجُمُعةِ أضاءَ له من النورِ ما بَينَ الجُمُعتينِ
“যে ব্যক্তি জুমার দিন সূরা কাহাফ পড়বে তার জন্য এক জুমা থেকে আরেক জুমা পর্যন্ত আলোকোজ্জ্বল হবে।“
(মুসতাদারেক হাকিম: ২/৩৯৯, বায়হাকী: ৩/২৪৯, ফয়জুল ক্বাদীর: ৬/১৯৮, ইবনে হাজার আসকালানী তাখরীজুর আযকার গ্রন্থে বলেন, হাদিসটি হাসান এবং আরও বলেন, এ প্রসঙ্গে বর্ণিত সকল হাদিসের মধ্যে এ হাদিসটি সবচেয়ে শক্তিশালী, শাইখ আলাবনীও এটিকে সহীহ বলেছেন। দ্র: সহীহুল জামে হা/৬৪৭০)

🔰 ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
من قرأ سورة الكهف في يوم الجمعة سطع له نور من تحت قدمه إلى عنان السماء يضيء له يوم القيامة ، وغفر له ما بين الجمعتين
“যে ব্যক্তি শুক্রবার দিন সূরা কাহাফ পাঠ করবে তার পা থেকে আকাশের উচ্চতা পর্যন্ত নূর (আলো) হয়ে যাবে, যা কেয়ামতের দিন আলো দিবে এবং বিগত জুমা থেকে এ জুমা পর্যন্ত তার সব গুনাহ মাফ হয়ে যাবে।" (আত তারগীব ওয়া তারহীব: ১/২৯৮, ইমাম মুনযেরী বলেন, এর সনদে কোন সমস্যা নেই) 
উপরোক্ত হাদিসগুলোতে শুক্রবারে সূরা কাহাফ পড়ার ফযিলত বর্ণিত হয়েছে।

 সূরা কাহাফের দশ আয়াত পড়ার বা মুখস্থ করার ফযিলত:

আবু দারদা রা. হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছে:
مَنْ حَفِظَ عَشْرَ آيَاتٍ مِنْ أَوَّلِ سُورَةِ الْكَهْف عُصِمَ مِنَ الدَّجَّالِ 
‘‘যে ব্যক্তি সূরা কাহাফের প্রথম দিক থেকে দশটি আয়াত মুখস্থ করবে, সে দজ্জালের(ফিতনা) থেকে পরিত্রাণ পাবে।’’ (সহীহ মুসলিম)
অন্য বর্ণনায় ‘কাহফ সূরার শেষ দিক থেকে’ উল্লেখ হয়েছে। (সহীহ মুসলিম, হা/ ৮০৯)
এই দশ আয়াত পড়া বা মুখস্থ করা শুক্রবারের জন্য নির্দিষ্ট নয়। বরং তা মুখস্থ করে যে কোনো সময় পাঠ করলে উক্ত মর্যাদা লাভ করা যাবে ইনশাআল্লাহ। আল্লাহু আলাম।
▬▬▬▬▬▬
উত্তর প্রদানে: 
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল মাদানী
fb/AbdullaahilHadi
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সৌদি আরব

Post a Comment

0 Comments