রোগীর অনুপস্থিতিতে দূর থেকে নিয়ত করে অথবা টেলিফোন বা মাইকের সাহায্যে রুকিয়া (ঝাড়ফুঁক) করা শরীয়ত সম্মত নয়
▬▬▬➰▬▬▬
রোগীর অনুপস্থিতিতে তাকে মনে মনে নিয়ত করে অথবা টেলিফোন, মোবাইল বা মাইকের সাহায্যে থেকে রুকিয়া বা ঝাড়ফুঁক করা শরীয়ত সম্মত নয়। রুকিয়া হতে হবে সামনা সামনি-রোগীর শরীরে ফুঁ দেয়ার মাধ্যমে। এটিই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সুন্নাহ থেকে প্রমাণিত। তবে রোগীর সুস্থতার তার অনুপুস্থিতিতেআল্লাহর নিকট দুআ এবং দান-সদকা করা যেতে পারে।
অনুরূপভাবে (অধিক নির্ভরযোগ্য অভিমত অনুসারে) রুকিয়া বা ঝাড়ফুঁকের সুরা ও দুআগুলো পড়ে পানিতে দম করে তা রোগীর ব্যবহারের উদ্দেশ্যে দেয়াও জায়েয আছে ইনশাআল্লাহ।
📞 ফোনের মাধ্যমে রুকিয়া (ঝাড়ফুঁক) সংক্রান্ত একটি প্রশ্নের উত্তরে সউদী স্থায়ী ফতোয়া বোর্ড বলেছে:
"রুকিয়া (ঝাড়ফুঁক )হতে হবে সরাসরি রোগীর শরীরে। মাইক বা ফোনের মাধ্যমে তা হবে না। কারণ এটি রুকিয়ার ক্ষেত্রে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাহাবায়ে কেরাম এবং তাবেঈনের নিয়মের পরিপন্থী। আর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:
مَنْ أَحْدَثَ فِيْ أَمْرِنَا هَذَا مَا لَيْسَ مِنْهُ فَهُوَ رَدٌّ
“যে ব্যক্তি আমার এ দ্বীনের ভিতরে কোন নতুন জিনিস উদ্ভাবন করবে, যার ভিত্তি এ দ্বীনে নেই, সেটা অবশ্যই পরিত্যাজ্য।” (বুখারী ও মুসলিম)।
আল্লাহু আলাম।
-▬▬▬➰▬▬▬
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল মাদানী
fb/AbdullaahilHadi
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সৌদি আরব
▬▬▬➰▬▬▬
রোগীর অনুপস্থিতিতে তাকে মনে মনে নিয়ত করে অথবা টেলিফোন, মোবাইল বা মাইকের সাহায্যে থেকে রুকিয়া বা ঝাড়ফুঁক করা শরীয়ত সম্মত নয়। রুকিয়া হতে হবে সামনা সামনি-রোগীর শরীরে ফুঁ দেয়ার মাধ্যমে। এটিই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সুন্নাহ থেকে প্রমাণিত। তবে রোগীর সুস্থতার তার অনুপুস্থিতিতেআল্লাহর নিকট দুআ এবং দান-সদকা করা যেতে পারে।
অনুরূপভাবে (অধিক নির্ভরযোগ্য অভিমত অনুসারে) রুকিয়া বা ঝাড়ফুঁকের সুরা ও দুআগুলো পড়ে পানিতে দম করে তা রোগীর ব্যবহারের উদ্দেশ্যে দেয়াও জায়েয আছে ইনশাআল্লাহ।
📞 ফোনের মাধ্যমে রুকিয়া (ঝাড়ফুঁক) সংক্রান্ত একটি প্রশ্নের উত্তরে সউদী স্থায়ী ফতোয়া বোর্ড বলেছে:
"রুকিয়া (ঝাড়ফুঁক )হতে হবে সরাসরি রোগীর শরীরে। মাইক বা ফোনের মাধ্যমে তা হবে না। কারণ এটি রুকিয়ার ক্ষেত্রে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাহাবায়ে কেরাম এবং তাবেঈনের নিয়মের পরিপন্থী। আর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:
مَنْ أَحْدَثَ فِيْ أَمْرِنَا هَذَا مَا لَيْسَ مِنْهُ فَهُوَ رَدٌّ
“যে ব্যক্তি আমার এ দ্বীনের ভিতরে কোন নতুন জিনিস উদ্ভাবন করবে, যার ভিত্তি এ দ্বীনে নেই, সেটা অবশ্যই পরিত্যাজ্য।” (বুখারী ও মুসলিম)।
আল্লাহু আলাম।
-▬▬▬➰▬▬▬
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল মাদানী
fb/AbdullaahilHadi
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সৌদি আরব
0 Comments