পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মুসলমানরা এত নির্যাতিত। কিন্তু সৌদি আরব কিছু বলছে না কেন? সৌদি আরব কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না, কেন?
একটা গনতান্ত্রিক প্রশ্ন! আরও কয়েকটা প্রশ্ন সাথে যোগ করা যায়। যেমন সৌদি আরব কেন ইয়ামানে হামলা করলো? মিশরে মুরশিকে সেনাবাহিনী ক্ষমতা থেকে নামিয়ে দিল, সৌদি আরব কিছু করলো না কেন? সিরিয়ায় নিরীহ মুসলমানদের জন্য সৌদি আরব কিছু করছে না, কেন? ফিলিস্তিনিদের জন্য সৌদি আরব কিছু করছে না, কেন? মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের জন্য সৌদি আরব কিছু করছে না, কেন? সৌদি আরব কিছু করছে না কেন? কেন? কেন?
কবরে তিন প্রশ্ন করা হবে, তোমার রব কে? দ্বীন কি? নবী কে? পারলে বলবে, তুমি কোথা থেকে জানলে?
এর পর, মনে হয় ফেরেস্তারা জিজ্ঞেস করবে, সৌদি আরব কেন ইয়ামানে হামলা করলো? ফিলিস্তিনি, সিরিয়া, লিবিয়া, মায়ানমার সহ পৃথিবীর মুসলমানদের জন্য সৌদি আরব কেন কিছু করলো না? সৌদি আরব কেন মুসলমানদের জন্য কিছুই করলো না? মনে হচ্ছে এটা কবরের পাঁচ নম্বর প্রশ্ন? আকিদাগত বিষয়!
এর পর, মনে হয় ফেরেস্তারা জিজ্ঞেস করবে, সৌদি আরব কেন ইয়ামানে হামলা করলো? ফিলিস্তিনি, সিরিয়া, লিবিয়া, মায়ানমার সহ পৃথিবীর মুসলমানদের জন্য সৌদি আরব কেন কিছু করলো না? সৌদি আরব কেন মুসলমানদের জন্য কিছুই করলো না? মনে হচ্ছে এটা কবরের পাঁচ নম্বর প্রশ্ন? আকিদাগত বিষয়!
এবার আমাদের কয়েকটা প্রশ্ন, সৌদি আরব কি পৃথিবীর মুসলমানদের অবিভাবক? পৃথিবীর মুসলমানদের জন্য সৌদি আরবকেই প্রতিবাদ ও যুদ্ধ করতে হবে, এটা কি কুরআন-হাদীসের কোথাও কি লেখা আছে? সৌদি আরব কি পৃথিবীর মুসলমানদের জন্য একাই দ্বায়বদ্ধ? সৌদি আরব কি পৃথিবীর মুসলমানদের জন্য কিছুই করেনি? সৌদি আরব কি কিছুই করছে না?
এই বিষয়গুলো বর্তমানে খুব আলোচিত। যারা এই বিষয়গুলো মিডিয়ায় উপস্থাপন করছে, তারা ইহুদি ও খ্রীষ্টান তথা কাফের। আর যারা এইগুলো প্রচার করছে, তারা কিন্তু আবার মুসলমান! সৌদি আরব সম্পর্কে তারা কেবল বিরোধিতাই করতে শিখলো। তারা সৌদির অবদানটুকু স্বীকার করলো না। তারা বড়ই অকৃতজ্ঞ, বেইমান।
আচ্ছা, পৃথিবীতে এতগুলো মুসলিম রাষ্ট্র থাকতে কেন শুধু সৌদি আরবের কাছে তাদের এত আবদার? অারও তো অনেক মুসলীম রাষ্ট্র আছে, তাদের কাছে কেন, সৌদি বিরোধীদের কোন আবদার নেই? কাতার, কুয়েত, দুবাই, ওমান সহ মধ্যপ্রাচ্য তো আরও অনেক ধনী ও ক্ষমতাশীল রাষ্ট্র আছে। আর ইরান নামে নাকি একটি মুসলিম রাষ্ট্র আছে!!! তাদের কাছে কেন, কোন আবদার নেই? এর জবাব কি সৌদি বিদ্বেষীরা দিতে পারবে?
কুরআন-হাদীসে কোথাও আল্লাহ তা আলা সৌদি শাসকদের মুসলমানদের অবিভাক বলেননি। কিন্তু তার পরও সৌদি আরব সরকার পৃথিবীর মুসলমানদের জন্য যা করেছে, সৌদি বিদ্বেষীরা কিভাবে তা অস্বীকার করতে পারবে?
রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সৌদি আরবের শাসক সম্পর্কে বা সৌদির আরবের কোন ফজিলত বলে যান নি। কিন্তু মক্কা ও মদিনার ফজিলত বলে গেছেন।
মক্কা মদীনার গুরুত্ব সম্পর্কিত কিছু সহীহ হাদীসঃ
রাসূল(সা:) বলেছেন,
“সাপ যেমন সস্কুচিত হয়ে আপন গর্তের দিকে প্রত্যাবর্তন করে তদ্রুপ ঈমানও সস্কুচিত হয়ে মদীনার দিকে প্রত্যাবর্তন করবে।
(সহীহ বুখারী: ১৮৭৬, সহিহ মুসলিম: ২৬৯)
অন্য হাদীছে রাসূল(সা:) বলেছেন,
“অপরিচিতের বেশে ইসলাম শুরু হয়েছিল, অচিরেই তা আবার অপরিচিত অবস্হায় ফিরে যাবে। সাপ যেমন সংকুচিত হয়ে তার গর্তে প্রবেশ করে তদ্রুপ ইসলামও দুই মাসজিদের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে যাবে।
(সহিহ মুসলিম : ২৬৮)
রাসুল(সা:) আরও বলেছেন,
“মদীনা হলো কামারের হাঁপরের ন্যায়, সে তার মধ্যকার আবর্জনাকে দূরীভূত করে এবং খাঁটিটুকু ধরে রাখে। (বুখারী: ৭২১১, ৭৩২২ সহিহ মুসলিম: ৩২৪৬)
মক্কা মদীনা সম্পর্কে রাসুল (স) এর ভবিষ্যৎবাণীঃ
রাসুল (স) বলেন-
মক্কা-মদিনায় দাজ্জাল প্রবেশ করতে পারবে না। (বুখারি: ১৮৮১)
মদিনাবাসীর সাথে যারা ষড়যন্ত্র করবে, তারা লবণ যেভাবে পানিতে গলে যায়, সেভাবে গলে যাবে। (বুখারি: ১৮৭৭)
মদীনা ও মদীনাবাসীদের জন্য নবী( স:)বরকতের দোয়া করে গেছেন। (বুখারি: ১৮৮৫)
মসজিদুল হারাম ব্যতীত মসজিদে নববীতে নামায পড়া অপরাপর মসজিদে ১০০০ নামাযের চেয়ে উত্তম। (বুখারি: ১১৯০)
মদীনা অবাঞ্ছিত লোকদেরকে এমনভাবে বহিষ্কার করে দেয়, যেমনভাবে কামারের অগ্নিচুলা লোহার মরিচা দূর করে দেয়। (বুখারী: ১৮৭১)
মদীনায় ঈমান ফিরে আসবে, যেভাবে সাপ তার গর্তে ফিরে আসে। অর্থাৎ কোথাও বিশুদ্ধ দ্বীন থাকবে না। প্রকৃত দ্বীন (ইসলাম) মদীনায় ফিরে আসবে।
(বুখারি: ১৮৭৬)
মহান আল্লাহ বলেন >>
আলি ‘ইমরান ৩:৯৬
মক্কা মদীনার গুরুত্ব সম্পর্কিত কিছু সহীহ হাদীসঃ
রাসূল(সা:) বলেছেন,
“সাপ যেমন সস্কুচিত হয়ে আপন গর্তের দিকে প্রত্যাবর্তন করে তদ্রুপ ঈমানও সস্কুচিত হয়ে মদীনার দিকে প্রত্যাবর্তন করবে।
(সহীহ বুখারী: ১৮৭৬, সহিহ মুসলিম: ২৬৯)
অন্য হাদীছে রাসূল(সা:) বলেছেন,
“অপরিচিতের বেশে ইসলাম শুরু হয়েছিল, অচিরেই তা আবার অপরিচিত অবস্হায় ফিরে যাবে। সাপ যেমন সংকুচিত হয়ে তার গর্তে প্রবেশ করে তদ্রুপ ইসলামও দুই মাসজিদের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে যাবে।
(সহিহ মুসলিম : ২৬৮)
রাসুল(সা:) আরও বলেছেন,
“মদীনা হলো কামারের হাঁপরের ন্যায়, সে তার মধ্যকার আবর্জনাকে দূরীভূত করে এবং খাঁটিটুকু ধরে রাখে। (বুখারী: ৭২১১, ৭৩২২ সহিহ মুসলিম: ৩২৪৬)
মক্কা মদীনা সম্পর্কে রাসুল (স) এর ভবিষ্যৎবাণীঃ
রাসুল (স) বলেন-
মক্কা-মদিনায় দাজ্জাল প্রবেশ করতে পারবে না। (বুখারি: ১৮৮১)
মদিনাবাসীর সাথে যারা ষড়যন্ত্র করবে, তারা লবণ যেভাবে পানিতে গলে যায়, সেভাবে গলে যাবে। (বুখারি: ১৮৭৭)
মদীনা ও মদীনাবাসীদের জন্য নবী( স:)বরকতের দোয়া করে গেছেন। (বুখারি: ১৮৮৫)
মসজিদুল হারাম ব্যতীত মসজিদে নববীতে নামায পড়া অপরাপর মসজিদে ১০০০ নামাযের চেয়ে উত্তম। (বুখারি: ১১৯০)
মদীনা অবাঞ্ছিত লোকদেরকে এমনভাবে বহিষ্কার করে দেয়, যেমনভাবে কামারের অগ্নিচুলা লোহার মরিচা দূর করে দেয়। (বুখারী: ১৮৭১)
মদীনায় ঈমান ফিরে আসবে, যেভাবে সাপ তার গর্তে ফিরে আসে। অর্থাৎ কোথাও বিশুদ্ধ দ্বীন থাকবে না। প্রকৃত দ্বীন (ইসলাম) মদীনায় ফিরে আসবে।
(বুখারি: ১৮৭৬)
মহান আল্লাহ বলেন >>
আলি ‘ইমরান ৩:৯৬
إِنَّ أَوَّلَ بَيْتٍ وُضِعَ لِلنَّاسِ لَلَّذِى بِبَكَّةَ مُبَارَكًا وَهُدًى لِّلْعَٰلَمِين
নিঃসন্দেহে সর্বপ্রথম ঘর যা মানুষের জন্যে নির্ধারিত হয়েছে, সেটাই হচ্ছে এ ঘর, যা মক্কায় অবস্থিত এবং সারা জাহানের মানুষের জন্য হেদায়েত ও বরকতময়।
সুতরাং মদীনা থেকে প্রচার হওয়া ইসলাম আবার মদীনাতেই ফিরে আসবে। আর পৃথিবীর তিনটি জায়গায় যেখানে সওয়াবের উদ্দেশ্যে গমন করা যায়, মসজিদুল হারাম-মক্কা মুকাররমায়, মসজিদে নববী-মদীনা মুনাওওয়ারাহ ও আল আকসা-জেরুজারেম। এই তিনটি ফজিলতপূর্ন জায়গার দুইটি সৌদি আরবে আছে। কিন্তু সৌদি আরবের শাসকের পৃথিবীর মুসলমানদের উপর কোন দ্বায় আছে, তার কোন দলীল নাই। তার পরও কি সৌদি সরকার পৃথিবীর মুসলমানদের জন্য কি কিছুই করেনি?
রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মৃত্যুর পর ইসলামের প্রাথমিক পর্যায়ে যখন সাহাবীরা পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে থাকে, তখন পঞ্চম খলীফা বলে পরিচিত আব্দুল আজীজ রহঃ হাদীস সংগ্রহের জন্য সরকারীভাবে উদ্যোগ নেন। তিনি ওই সৌদি ভূখন্ডেরই শাসক ছিলেন। প্রায় ১০০ বছর আগে আব্দুল আজীজ আলে সৌদ রহঃ ও বিপ্লবী মুজাদ্দেদ মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওহাব রহঃ সৌদি আরব থেকে শির্ক-বিদআত উৎখাত করেন। সৌদি আরবেই অসংখ্য কবর মাজার ছিল, তাহলে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের অবস্থা কি হতে পারে? সৌদি আরবের শাসকের সাহায্যেই মুহাম্মাদ বিন আবদুল ওহাব রহঃ ইসলামের এই মহৎ সংস্কার কাজ করেন। শুধু তাই নয় মিশরের সুবিধাবাদী শাসকের কাবাকে চার মাজহাবে যে মুসলমানদের ভাগ করে গিয়েছিল। সেই চার মাজহাবকে প্রায় ৫০০ বছর পরে উৎখাত করেন এই সৌদি আরবেরই শাসক। তার পর থেকে আজ পর্যন্ত সৌদি আরবে তাকলীদি চার মাজহাবের বিলুপ্ত হয়ে গেছে। সৌদি আরবে এখন আর মুসলমানদের মাঝে কোন দলাদলি নেই। এর অবদান কেবল সৌদি শাসকেরই, আলহামদুলিল্লাহ।
সেখানেই শেষ নয়, বরং সেখান থেকে নতুন করে শুরু। পূর্বেই বলেছি, রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, "ইসলামের প্রচার শুরু হয় মদীনায়" আর ওই কথার উপর ভিত্তি করে সৌদি আবর সরকার পৃথিবীতে সঠিক ইসলাম প্রচারের দ্বায়িত্ব নেন। পৃথিবীর মুসলমানদের সঠিক ইসলামের আকিদা ও সালাফি মানহাজ প্রচারের জন্য সৌদি সরকার "মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়" প্রতিষ্ঠা করেন, যেখানে ৮০% ছাত্র নেয়া হয় সারা পৃথিবী থেকে আর সৌদি আরবের ছাত্র মাত্র ২০%। তাহলে বুঝাই যাচ্ছে যে সৌদি সরকার পৃথিবীর মুসলমানদের জন্য কাজ করছে বৃহৎ পরিকল্পনা নিয়ে, যা পৃথিবীর আর কোন রাষ্ট্র করেনি। পৃথিবীর বিভিন্ন মুসলিম ও অমুসলিম রাষ্ট্রের সৌদি সরকার মসজিদ বানিয়ে দিচ্ছে ও অর্থ সাহায্য দিয়ে যাচ্ছে।
পৃথিবীর নির্যাতিত মুসলমানদের জন্য সৌদি আরব কি করেছে?
জবাবঃ পূর্বেই বলেছি সৌদি আরব কিন্তু পৃথিবীর মুসলমানদের অবিভাবক নয়। তার পরও সৌদি আরব পৃথিবীর মুসলমানদের জন্য যা করেছে এবং করে যাচ্ছে তা অনস্বীকার্য, কোন রাষ্ট্র সৌদি আরবের ঋন শোধ করতে পারবে না। পৃথিবীর যে দেশেই মুসলমানরা নির্যাতিত হয়, সে দেশেই সৌদি আরব সাহায্যের হাত বাড়িযে দেয়। ফিলিস্তিনি সঙ্কট নিরসরনের জন্য সৌদি আরব নানা ভাবে চেষ্টা করছে। কিন্তু ইসরায়েলের সাথে যেহেতু আমেরিকা, তুরষ্ক ও ইরান এক জোট, তাই এখানে সৌদি আরব তেমন কিছু করতে পারছে না, তবে সৌদি আরব শাসক তাদের চেষ্টা অব্যহত রেখেছে। দুই হারামাইনের মত আল-আকসাও তাদের নিয়ন্ত্রণে আনতে সৌদি সরকার আপ্রান চেষ্টা করছে, যা গাফেলতির কারণে মুসলমানদের হাত ছাড়া হযে যায়।
জবাবঃ পূর্বেই বলেছি সৌদি আরব কিন্তু পৃথিবীর মুসলমানদের অবিভাবক নয়। তার পরও সৌদি আরব পৃথিবীর মুসলমানদের জন্য যা করেছে এবং করে যাচ্ছে তা অনস্বীকার্য, কোন রাষ্ট্র সৌদি আরবের ঋন শোধ করতে পারবে না। পৃথিবীর যে দেশেই মুসলমানরা নির্যাতিত হয়, সে দেশেই সৌদি আরব সাহায্যের হাত বাড়িযে দেয়। ফিলিস্তিনি সঙ্কট নিরসরনের জন্য সৌদি আরব নানা ভাবে চেষ্টা করছে। কিন্তু ইসরায়েলের সাথে যেহেতু আমেরিকা, তুরষ্ক ও ইরান এক জোট, তাই এখানে সৌদি আরব তেমন কিছু করতে পারছে না, তবে সৌদি আরব শাসক তাদের চেষ্টা অব্যহত রেখেছে। দুই হারামাইনের মত আল-আকসাও তাদের নিয়ন্ত্রণে আনতে সৌদি সরকার আপ্রান চেষ্টা করছে, যা গাফেলতির কারণে মুসলমানদের হাত ছাড়া হযে যায়।
মিশরে মোহাম্মদ মুরশিকে সৌদি আরব সাহায্য করেনি। এর পেছনে ছিল আকিদাগত সমস্যা। মোহাম্মদ মুরশি প্রেসিডেন্ট হবার পরে শিয়া কাফের রাষ্ট্র ইরানের সাথে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ট করে। নির্বাচনের আগে সে ইসলাম কায়েমের কথা বললেও, ক্ষমতায় যাবার পর সে গনতন্ত্র কায়েম করে, যার বেশির ভাগই অইসলামিক ও মিশরের অগের নিয়মের আদলেই। আর মুরশি ছিল খারেজী দল মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতা, তাই মুরশির পতন ঠেকাতে সৌদি আরব কোন হস্তক্ষেপ করেনি।
ইয়ামানে হামলাও ছিল আকিদাগত কারন। ইয়ামান সৌদি আরবের প্রতিবেশী রাষ্ট্র। আমেরিকা মধ্যপ্রাচ্যে ঢুকেছে মুলত সৌদি আরবকে অশান্ত করার জন্য, যেমনভাবে তারা অশান্ত করেছে, আফগানিস্তান, ইরাক, লিবিয়া, মিশর, সিরিয়াকে। আর এই কাজে আমেরিকাকে সাহায্য করেছে ইহুদী ও শিয়ারা। ইয়ামানে সালাফি মুসলমান ও কোন আলেম নেই, শিয়ারা তাদের হত্যা করে ফেলেছে। সেখানে বেশিরভাগই শিয়া। ইয়ামান যেহেতু সৌদির পাশের বর্ডার, তাই সৌদি সরকার নিজ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও শিয়াদের হাত থেকে মুসলমানদের রক্ষা করার জন্য ইয়ামানে হামলা করে। সাধারণ মুসলমানদের হত্যার জন্য তারা ইয়ামান হামলা করেনি, বরং শিয়াদের হাত থেকে মুসলমানদের রক্ষা করার জন্য হামলা করেছে। আর ইয়ামান হামলা একটা আন্তর্জাতিক রাজনীতির অংশ। এই বিষয়ে আমাদের মত আমপাবলিক বুঝবে না। তারা শিয়া-খারেজীদের সাথে না বুঝেই লাফালাফি করছে।
সিরিয়াতে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে সৌদি আরব সারা বিশ্বে বসবাসরত সিরিয়ান শরণার্থীদের জন্য ৭০৮ মিলিয়ন সৌদি রিয়াল অনুদান হিসাবে দিয়েছে এবং এছাড়াও যুদ্ধ শুরুর কালে তারা ২৫ লক্ষ সিরিয়াবাসীকে তাদের দেশে আশ্রয় দিয়েছে, যাদের মধ্যে ছয় লক্ষ মানুষ, একজন সৌদি নাগরিকের প্রায় সমপর্যায়ের সুযোগ-সুবিধা সহ এখনও সৌদি আরবেই বসবাস করছে।
আরাকানের রোহিঙ্গা মুসলমানদের জন্য সৌদি আরবের চেয়ে বেশি আর কোন রাষ্ট্র করেছে কিনা জানা নেই। সৌদি সরকার প্রায় ১৭০,০০০ রোহিঙ্গাদের সৌদিতে ইকামা দিয়ে থাকার ও কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছে ও তাদের ফ্রী চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিয়েছে, যা পৃথিবীর আর কোন রাষ্ট্র করেনি। আর বাংলাদেশর রোহিঙ্গাদের জন্যও সৌদি থেকে প্রচুর সাহায্য আসছে।
১৯৫০ সাল থেকে সৌদি আরব মায়ানমারের মুসলিমদেরকে সহায়তা দিয়ে আসছে, এবং মায়ানমার থেকে আসা বিপুল সংখ্যক লোক এখনো এখানে বসবাস করে, যাদের অনেককে পরবর্তীতে সৌদি নাগরিকত্ব দেয়া হয়। ফলে আমাদের এখানে প্রায় ৫০ হাজার বার্মিজ সৌদি রয়েছে।
১৯৫০ সাল থেকে সৌদি আরব মায়ানমারের মুসলিমদেরকে সহায়তা দিয়ে আসছে, এবং মায়ানমার থেকে আসা বিপুল সংখ্যক লোক এখনো এখানে বসবাস করে, যাদের অনেককে পরবর্তীতে সৌদি নাগরিকত্ব দেয়া হয়। ফলে আমাদের এখানে প্রায় ৫০ হাজার বার্মিজ সৌদি রয়েছে।
ফিলিস্তিনির জন্য সৌদি আরবের অবদান আরও জানতে https://www.facebook.com/groups/397192460879778/permalink/415607929038231/
রোহিঙ্গা, ইয়ামান, সিরিয়া সহ কিছু দেশের জন্য সৌদি সরকারের অবদান জানতে https://www.facebook.com/groups/397192460879778/permalink/414141909184833/
রোহিঙ্গা, ইয়ামান, সিরিয়া সহ কিছু দেশের জন্য সৌদি সরকারের অবদান জানতে https://www.facebook.com/groups/397192460879778/permalink/414141909184833/
এছাড়া পৃথিবীর বিভিন্ন রাষ্ট্রের জন্য সৌদি আরব সরকার অর্থ, খাদ্য, চিকিৎসা ও নানাভাবে সাহায্য করে যাচ্ছে, যা আমাদের অনেকেরই অজানা। এর মুল কারন হলো সৌদি সরকার নিজের ঢোল নিজে পিটায় না। যেমনভাবে জামাতে ইসলামি/মুসলিম ব্রাদারহুড দল শিয়াদের সাথে তাল মিলিয়ে এরদোয়ানের চাপাবাজি ঢোল পিটিয়ে প্রচার করে।
আরো কিছু অপ্রসংগিক বিষয়ও সৌদি আরবের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়। তা হল, কাশ্মীরের মুসলমানদের উপর ভারতীয় সরকারের এত অত্যাচার করা হচ্ছে, সৌদি আরব কিছু বলছে না কেন? কয়েক মাস আগে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে জঙ্গি হামলায় ভারতের অনেকজন সৈন্য মারা যায়। তার রেশ ধরে ভারত কাশ্মীরের মুসলমানদের উপর ভারতের সৈন্য ও উগ্রপন্থী হিন্দুরা হামলা করে। এর প্রতিবাদে সৌদি আরব কিছু বলছে না কেন? এর পর নিউজিল্যান্ডের মসজিদে খ্রীষ্টান সন্ত্রাসীদের হামলায়, সৌদি আরব কেন একদিন পর নিন্দা জানালো? কেনো সৌদি আরব সাথে সাথে নিন্দা জানালো না? চীনে মুসলমানদের নির্যাতন করা হচ্ছে, সৌদি কিছু বলছে না কেন? পৃথিবীর যে কোন দেশে মুসলিমদের উপর নির্যাতন হচ্ছে সৌদি আরব কিছু বলছে না কেন, ইত্যাদি ইত্যাদি!!! সৌদি আরবকে এই মূর্খগুলো কি মনে করে, তা আল্লাহই ভাল জানেন। ওরা ইরানে কাছে কিছুই আশা করে না, কেন? তা বুঝি না। আর খলীফা এরদোয়ানের চাপাবাজিতেই ওরা খুশি, আর পৃথিবীর মুসলিমদের জন্য সৌদির এত অবদানে, কিন্তু ওরা খুশি নয়। যদিও এই বেইমান-নিমোখ হারামগুলো টাকা ইনকামের জন্য সৌদি আরবেই যায়। সৌদির টাকায় আজ ওরা ধনী হয়েছে।
জানি না, আমরা মুসলমান হয়ে কেন এত সৌদি বিদ্বেষী। সারা পৃথিবীর মুসলমানদের জন্য সৌদি সরকার নিরবে সাহায্যই করে যাচ্ছে আর আমরা সৌদি আরবকে আমরেরিকা-ইসরায়েলের দালাল বলে যাচ্ছি। আবার আমরা শিয়া-কাফের রাষ্ট্র ইরানকে সমর্থন দিয়েই যাচ্ছি। কতটা অজ্ঞ আর অকৃতজ্ঞ আমরা।
তাওহীদের কেন্দ্রভুমি সৌদি আরব, মুসলমান রাষ্ট্র গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাপে রয়েছে। অমুসলিম রাষ্ট্র গুলোর সাথে শিয়া-খারেজীরা সৌদি বিদ্বেষী প্রবনতা সাধারন মানুষের মধ্যে ঢুকিয়ে দিচ্ছে। সৌদি আরব পৃথিবীর মধ্যে শ্রেষ্ঠ একটি দেশ। অজ্ঞ মানুষদেরকে এইটুকুই বলতে চাই যে, সৌদি আরব হচ্ছে এমন একটি দেশ যারা গোটা পৃথিবীতে, ইসলাম এবং মুসলিমদের সেবায় কাজ করে থাকে। কিছু খোঁজ-খবর নিন। কেননা অন্ধের মতো সৌদিকে ঘৃণা করে যেতে থাকলে এবং তাদের ভালো কাজগুলোকে উপেক্ষা করে গেলে আপনাকেই দেখতে অজ্ঞ এবং মূর্খের মতো লাগবে। সৌদি আরবের সাথে আর কতো নিমোখ হারামি করবেন?
লেখকঃ জাহিদ বিন বেলায়েত
লেখকঃ জাহিদ বিন বেলায়েত
0 Comments