প্রশ্ন:- কে কাকে সালাম দিবে???
``````````
উত্তর :-রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: ---
“ছোটরা যেন বড়দের সালাম দেয়, চলন্ত ব্যক্তি যেন বসা ব্যক্তিকে সালাম দেয় এবং কম সংখ্যক লোক যেন বেশি সংখ্যক লোককে সালাম দেয়”। (বুখারি ও মুসলিম)
সহীহ মুসলিমের বর্ণনায় রয়েছে, “আরোহী ব্যক্তি যেন পায়ে হাঁটা ব্যক্তিকে সালাম দেয়।”
এটাই হচ্ছে সালামের আদব।
*তবে কনো কারণে যদি এ নিয়মের বত্যয় ঘটে তবে যে কেউ অপরকে সালাম দিতে পারে।* অর্থাৎ বড় ছোটকে সালাম দিতে পারে, বসে থাকা ব্যক্তি চলন্ত ব্যক্তিকে সালাম দিতে পারে.....। এটা নাজায়েয নয়।
যে আগে সালাম দিবে তার মর্যাদার কথা বর্ণিত হয়েছে রাসুল সা. বলেন:
«إن أولى الناس بالله من بدأهم بالسلام»
*“নিশ্চয় আল্লাহর নিকট উত্তম ব্যক্তি সে যে মানুষকে আগে সালাম দেয়”।* (আবু দাউদ শক্তিশালী সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেণ। ইমাম আলবানী এটিকে সহীহ বলেছেন)
অন্য হাদীসে বর্ণিত হয়েছে:
হযরত ইমরান ইবনে হুসাইন রাযিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, একদা এক ব্যাক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে আসল এবং বলল, আস্সালামু আলাইকুম। তিনি তার সালামের জবাব দিলেন। অতঃপর সে বসে পড়ল। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, (এ লোকটির জন্য) দশ নেকী (লেখা হয়েছে)।
তারপর আরেক ব্যক্তি আসল এবং বলল, আস্ সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। তিনি তার সালামের জবাব দিলেন। অতঃপর সে বসে পড়ল। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, এ লোকটির জন্য বিশ নেকী লেখা হয়েছে।
তারপর আর এক ব্যক্তি আসল এবং বলল, আস সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ। তিনি তার সালামের জবাব দিলেন। অতঃপর সে বসে পড়ল। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, এ লোকটির জন্য ত্রিশ নেকী লেখা হয়েছে।
পক্ষান্তরে সালামের জবাব দেয়া একজন মুসলিমের উপর আরেকজন মুসলিমের হক। যেমনটি সহীহ হাদীসে বর্ণিত হয়েছে,
আবূ হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে আমি বলতে শুনেছি যে, এক মুসলিমের প্রতি অপর মুসলিমের হক পাঁচটিঃ
▫ ১. সালামের জওয়াব দেওয়া
▫ ২. অসুস্থ ব্যক্তির দেখা-শোনা ও সেবা করা।
▫ ৩. জানাযার অনুগমন করা,
▫ ৪. দাওয়াত কবূল করা এবং
▫ ৫. হাঁচির উত্তর দেয়া অর্থাৎ কেউ হাঁচি দিয়ে আল হামদু লিল্লাহ (সকল প্রশংসা আল্লাহ) বললে, তার উত্তরে ইয়ারহামুকুমুল্লাহ (আল্লাহ আপনার প্রতি দয়া করুন) বলা। (সহীহুল বুখারী, জানাযা অধ্যায়)
--------------
কেউ সালাম দিলে উচিৎ, তাকেও শুনিয়ে উত্তর দেয়া। অন্যথায় সে ব্যক্তি মনে কষ্ট পেতে পারে।
Shaikh Abdullahil Hadi
``````````
উত্তর :-রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: ---
“ছোটরা যেন বড়দের সালাম দেয়, চলন্ত ব্যক্তি যেন বসা ব্যক্তিকে সালাম দেয় এবং কম সংখ্যক লোক যেন বেশি সংখ্যক লোককে সালাম দেয়”। (বুখারি ও মুসলিম)
সহীহ মুসলিমের বর্ণনায় রয়েছে, “আরোহী ব্যক্তি যেন পায়ে হাঁটা ব্যক্তিকে সালাম দেয়।”
এটাই হচ্ছে সালামের আদব।
*তবে কনো কারণে যদি এ নিয়মের বত্যয় ঘটে তবে যে কেউ অপরকে সালাম দিতে পারে।* অর্থাৎ বড় ছোটকে সালাম দিতে পারে, বসে থাকা ব্যক্তি চলন্ত ব্যক্তিকে সালাম দিতে পারে.....। এটা নাজায়েয নয়।
যে আগে সালাম দিবে তার মর্যাদার কথা বর্ণিত হয়েছে রাসুল সা. বলেন:
«إن أولى الناس بالله من بدأهم بالسلام»
*“নিশ্চয় আল্লাহর নিকট উত্তম ব্যক্তি সে যে মানুষকে আগে সালাম দেয়”।* (আবু দাউদ শক্তিশালী সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেণ। ইমাম আলবানী এটিকে সহীহ বলেছেন)
অন্য হাদীসে বর্ণিত হয়েছে:
হযরত ইমরান ইবনে হুসাইন রাযিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, একদা এক ব্যাক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে আসল এবং বলল, আস্সালামু আলাইকুম। তিনি তার সালামের জবাব দিলেন। অতঃপর সে বসে পড়ল। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, (এ লোকটির জন্য) দশ নেকী (লেখা হয়েছে)।
তারপর আরেক ব্যক্তি আসল এবং বলল, আস্ সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। তিনি তার সালামের জবাব দিলেন। অতঃপর সে বসে পড়ল। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, এ লোকটির জন্য বিশ নেকী লেখা হয়েছে।
তারপর আর এক ব্যক্তি আসল এবং বলল, আস সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ। তিনি তার সালামের জবাব দিলেন। অতঃপর সে বসে পড়ল। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, এ লোকটির জন্য ত্রিশ নেকী লেখা হয়েছে।
পক্ষান্তরে সালামের জবাব দেয়া একজন মুসলিমের উপর আরেকজন মুসলিমের হক। যেমনটি সহীহ হাদীসে বর্ণিত হয়েছে,
আবূ হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে আমি বলতে শুনেছি যে, এক মুসলিমের প্রতি অপর মুসলিমের হক পাঁচটিঃ
▫ ১. সালামের জওয়াব দেওয়া
▫ ২. অসুস্থ ব্যক্তির দেখা-শোনা ও সেবা করা।
▫ ৩. জানাযার অনুগমন করা,
▫ ৪. দাওয়াত কবূল করা এবং
▫ ৫. হাঁচির উত্তর দেয়া অর্থাৎ কেউ হাঁচি দিয়ে আল হামদু লিল্লাহ (সকল প্রশংসা আল্লাহ) বললে, তার উত্তরে ইয়ারহামুকুমুল্লাহ (আল্লাহ আপনার প্রতি দয়া করুন) বলা। (সহীহুল বুখারী, জানাযা অধ্যায়)
--------------
কেউ সালাম দিলে উচিৎ, তাকেও শুনিয়ে উত্তর দেয়া। অন্যথায় সে ব্যক্তি মনে কষ্ট পেতে পারে।
Shaikh Abdullahil Hadi
0 Comments