Subscribe Us

হে পথিক ভবিষ্যৎ বলে কিছু নাই ,আসোল ভবিষ্যৎ হলো পরোকাল

🔴পেট্রো-ডলার শাইখ


🔴পেট্রো-ডলার শাইখ
-------------------------------------
যারা সত্যিকারার্থে আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআতের অনুসারী, তারা কখনও সত্য প্রচারে এবং অসত্যের মেঘকে অপসারণ করতে পিছপা হন না। এ জন্য তারা যেমন কারো পদলেহন করেন না, তেমনি তাদের বিরুদ্ধে কে কী বলল, কতজন তার বিপক্ষে অবস্থান নিল— সে-দিকে ভ্রুক্ষেপ করেন না।

তাদের কারো দিকে ভ্রুক্ষেপ করা না-করা, কাউকে ভালোবাসা না-ভালোবাসার একমাত্র মানদণ্ড কুরআন ও সুন্নাহ। তাদের একমাত্র মানদণ্ড কুরআন ও সুন্নাহ হওয়ায় সমাজে প্রচলিত ইসলাম, প্রবৃত্তিপূজারী, বিভ্রান্ত-গোষ্ঠী, দলান্ধ, গোঁড়া ইত্যাদি শ্রেণির সাথে তাদের মিল হয় না; স্বয়ংক্রিয়ভাবে এসব শ্রেণির সাথে তাদের বিভেদ ও মতানৈক্য তৈরি হয়। আর এভাবে তারা বিভিন্ন গোষ্ঠী থেকে মুফতে খেতাব পান ইহুদি-খ্রিষ্টানদের দালাল, মুরজিয়া, দরবারি আলিম, পেট্রো ডলারের শাইখ ইত্যাদি ইত্যাদি।

এসব খেতাব পাওয়া নতুন কোনো ইতিহাস নয়। সালাফদের যুগ থেকে চলে আসা এটি একটি রীতি। ইমাম শাফিয়ী রাহিমাহুল্লার সাথে যখন বিভিন্ন শ্রেণির মতানৈক্য ও মতবিরোধ হয়, তখন তাঁকে এসব খেতাব দেওয়া হয়।

তাদের থেকে এসব খেতাব পেয়ে তিনি আবেগজড়িতকণ্ঠে কিছু কথা বলেছিলেন, যা আজও সান্ত্বনার পরশ বুলিয়ে যায়। তিনি বলেছিলেন—
"তারা বলে, আমি দুনিয়াবি ধান্দায় তাদের বিরোধিতা করি। অথচ তাদের দিকে দেখুন, তারাই ভোগবিলাসে জীবন অতিবাহিত করছে। মানুষ তো দুনিয়ার পেছনে ছুটে দু'জিনিসের তাড়নায় : পেটের ও পিঠের তাড়নায়। নানানপদের সুস্বাদু খানাপিনা তো আমার জন্য নিষিদ্ধ। আর বিবাহ করা তো আমার পক্ষে অসম্ভব। (কারণ, তিনি অর্শরোগী ছিলেন)। আমি তাদের বিরোধিতা করি সুন্নাহর স্বার্থে। তারা সুন্নাহর বিরোধিতা করে, তাই আমি তাদের বিরোধিতা করি।" (তাওয়ালিউত তা'সীস, পৃ. ৭৬)

যারা আজ সুন্নাহপন্থি আলিমদের বিভিন্ন খেতাব দিচ্ছে, তাদের দিকে দেখুন আর সুন্নাহপন্থি আলিমদের দিকে দেখুন। তাহলে সহজে ধরা পড়বে কারা দুনিয়ার ভোগবিলাসে আছে আর কারা কষ্টের মধ্য দিয়ে জীবন পার করছে।

বিংশশতাব্দীর তিন জন শ্রেষ্ঠ আলিম হলেন, ইমাম আলবানী, ইমাম ইবন উসাইমিন ও ইমাম বিন বায রাহি.। এঁদেরকেও মুরজিয়া ও দরবারি আলিম বলা হয়েছে। অথচ তাদের জীবনী দেখুন, তারা কষ্টে জীবন অতিবাহিত করেছেন।

ইমাম আলবানীর কাছে কাগজ কেনার মতো টাকা না-থাকায় রাস্তা-ঘাটে পরিত্যক্ত কাগজ সংগ্রহ করে লেখতেন।

ইমাম ইবন উসাইমিনের জীর্ণশীর্ণ একটি ভাঙা ঘর ছিল। একবার মালিক খালিদ ইবন আব্দুল আযীয ইমাম ইবন উসাইমিনের বাসায় যান। তিনি তার বাসা দেখে বলেন, আপনার জন্য একটা বাসা বানিয়ে দিই? তিনি বললেন, আলহামদুলিল্লাহ আমার দিন গুযরানোর ঠাঁই আছে। আসুন আমরা একটা জান্নাতের ঘর বানাই। উনাইযাহ শহরে একটা মাসজিদের অবস্থা খুবই করুণ। সে-মাসজিদ আমরা সংস্কার করি।

ইমাম বিন বায রাহি. এর দানের হাত খুবই প্রসারিত ছিল। যেখান থেকে তিনি বেতন পেতেন তাদের লেখে পাঠাতেন, অমুককে এত টাকা অমুককে এত টাকা আমার বেতন থেকে দিয়ে দিয়েন। মাস শেষে যখন তিনি বেতন তুলতে যেতেন, বলা হতো আপনার বেতনের টাকা তো শেষ, উল্টো আপনার কাঁধে এত টাকা ঋণের বোঝা চেপে গেছে।

জ্বী, এঁরাই ছিলেন পেট্রো ডলারের শাইখ!

লিখা- Ustad Abdullah mahmud

প্রচারেঃ-সৌদি আরব-The Land Of Tawheed🇸🇦

শেয়ার করে সবাইকে জানিয়ে দিন।

আপনি চাইলে -Whatapps-Facebook-Twitter-ব্লগ- আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking-ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন-মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]-:-admin by rasikul islam নিয়মিত আপডেট পেতে ভিজিটকরুন -এই ওয়েবসাইটে -https://sarolpoth.blogspot.com/(জানা অজানা ইসলামিক জ্ঞান পেতে runing update)< -https://rasikulindia.blogspot.com (ইসলামিক বিশুদ্ধ শুধু বই পেতে, পড়তে ও ডাউনলোড করতে পারবেন). Main Websaite- esoislamerpothecholi.in , comming soon my best world websaite

Post a Comment

0 Comments