▌ব্রেলভী বা রেজভী মতবাদ!!
__________________________
.
.কাদিয়ানিদের পর উপমহাদেশে বৃটিশ আমলে দ্বিতীয় যে ভ্রান্ত মতবাদ প্রতিষ্ঠা হয় তা হল “ব্রেলভী বা রেজভী মতবাদ”। উপমহাদেশে কবর বা মাজার কেন্দ্রিক শির্ক বিস্তারে প্রধান ভুমিকা রাখেন এই ‘ব্রেলভী বা রেজভী’ মতবাদ। এরাই মিলাদ, কিয়াম, মাজারপূজা, কবরপূজা, ব্যক্তিপূজা, আল্লাহর সাথে শির্ক, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আল্লাহর সমান মর্যাদা প্রদান করে (রসূল গায়েব জানেন, সকল কিছু করার ক্ষমতা রাখেন, সবকিছু দেখছেন)।
.
.
পক্ষান্তরে রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রেমিক সেজে, তার সম্মানের মুখরোচক স্লোগান দিয়ে, সুন্নাতকে অবমাননা করে এবং বিদআত সৃষ্টির মাধ্যমে রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত অস্বীকার করে। কাজেই এই দলের আকিদা, বিশ্বাস, আমল এবং তাদের কার্জ কালাপ সম্পর্কে জানা দরকার।
.
.
তাদের সম্পর্কে জানতে পারলে তাদের ভ্রান্তি মাখা দাওয়াত পরিহার করে চলা সম্ভব। সেই সাথে সাধারন মুসলীম যাদের ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞান কম, তাদের ও সতর্ক করা সম্ভব হবে। বাংলদেশে রেজভী ফেরকার অনুসারির সংখ্যা কম নয়, তবে পাকিস্তার ও ভারতে তার অনুসারির সংখ্যা অনেক। তাদের আকিদায় মারাত্মক বিভ্রান্তি লক্ষ্য করা যায়। তারা সুফিবাদে বিশ্বাসি এবং সুফিদের আকিদায় যে সকল ভ্রান্তি লক্ষ্য করা যায়, তার সবগুলি ভ্রান্তিতে তারা জড়িত।
.
.
সুফিদের আকিদা আর ‘ব্রেলভী’ আকিদা মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ। ব্রেলভীদের মূল আক্বীদার ভিত্তি ও বিশ্বাসের মূল সৌধ নির্মিত হয়েছে শী‘আ সম্প্রদায় কেন্দ্রিক। তাদের বিশ্বাসের মূলে কিছু শীয়াদের ভ্রান্ত আক্বীদা ও বিশ্বাসও পরিলক্ষিত হয়। ফলে দেখা যায় তাদের আমল-আক্বীদায় শী‘আদের মতবাদের ব্যাপক প্রভাব। অর্থাৎ তাদের আকিদা জগাখিচুরির মত।
.
তারা চারটি উৎস থেকে তাদের আকিদা গ্রহন করছে।
__________________________
.
ক. দক্ষিণ এশীয় হিন্দু ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নিকট থেকে।
.
যেমন: প্রাচ্য দর্শন ভিত্তিক আকিদা। মৃত্যুর পর মানুষে আত্মা পার্থিব জীবনের ভাল মন্দ পৌছানের ক্ষমতা রাখে।
.
খ. খ্রিস্টানদের নিকট থেকে।
.
যেমন: হুলূল বিশ্বাসি, সাধনার এক পর্যায় আল্লাহ মানুষের দেহে হুলূল করে বা ‘মানুষের দেহে আল্লাহর অনুপ্রবেশ’ করে। খ্রিস্টানদের বিশ্বাস ঈসা আলাইহিস সালাম স্বয়ং ঈশ্বর। বড় দিনের আদতে ঈদে মিলাদুন নবী পালন করা, ক্যারলের মত গান করা।
.
গ. সুফিদের নিকট থেকে।
.
যেমন: ওয়াহদাতুল উজূদ বা সর্বেশ্বরবাদ যা হুলূল-এর পরবর্তী পরিণতি। আল্লাহর সত্তার মধ্যে বান্দার সত্তা বিলীন হয়ে যাওয়া। তাদের দৃষ্টিতে পৃথিবীতে অস্তিত্ববান সব কিছুই আল্লাহর অংশ। আল্লাহ পৃথক কোন সত্তার নাম নয় (নাঊযুবিল্লাহ)।
.
ঘ. শিয়াদের নিকট থেকে।
যেমন: মাজার কেন্দ্রিক বিভিন্ন উৎসব ও ইবাদাত ও আহলে বাইয়াতকে নিয়ে বাড়াবাড়ি।
.
কাদিয়ানি ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা যেমন মির্জা গোলাম আহমেদ কাদিয়ানি ঠিক তেমনি এই ‘ব্রেলভী বা রেজভী’ মতবাদটি প্রতিষ্ঠা করেন শাহ আহমদ রেজা খাঁন নামের এক ভারতীয়। যেহেতু এই মতবাদের প্রতিষ্ঠাতা শাহ আহমদ রেজা খাঁন, সুতরাং তার রেজা নাম থেকে রেজভী শব্দটি উৎপত্তি হয়েছে। আবার তিনি যেহেতু ‘ব্রেলভী’ শহরে জন্ম গ্রহণ করেন, সুতরাং তার জম্মস্থানের নাম অনুসারে এই মতবাদটিকে ‘ব্রেলভী’ নামেও নামকরন করা হয়।
.
.
তার অনুসারিরা তাকে ‘আলা হযরত’ হিসাবে পরিচয় দেন। বেরেলভী মতবাদের অনুসারীদের কাছে এ দলের নাম ‘আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আত’ বা সুন্নী মুসলিম। নিজেদেরকে তারা সুন্নী ইসলামের অনুসারী প্রমাণ করার জন্য এ নাম ব্যবহার করে।
.
.
তবে অন্যদের কাছে দলটি ‘‘ব্রেলভী’’ নামেই সমধিক পরিচিত। তাদের ভ্রান্ত আকিদা বিশ্বাস সম্পর্কে জানতে হলে প্রথমে তাদের প্রতিষ্ঠাতা আহমদ রেজা খাঁনের জীবন সম্পর্কে জানতে হবে। তিনি কিভাবে, কখন, কেন এই মতবাদ সৃষ্টি করলেন? উত্তর জানতে পারলেই, এই মতবাদের স্বরূপ উম্মোচন করা সম্ভব হবে বলে আশা করি।
▪শাহ আহমদ রেজা খাঁন।
_________________________
‘ব্রেলভী বা রেজভী’ মতবাদটি প্রতিষ্ঠা করেন শাহ আহমদ রেজা খাঁন। তিনি ১৮৫৬ সাল মোতাবেক ১২৭২ হিজরীতে ভারতের উত্তর প্রদেশের ব্রেলভী শহরে যাচুলী গ্রামের, সওদাগরা নামক মহল্লায় স্বনামধন্য এক মুসলিম হানাফি পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তার নাম রাখা হয় মুহম্মদ। তার মাতা তার নাম রাখেন আমান মিয়া। পিতা তার নাম রাখেন আহমাদ মিয়া। দাদা তার নাম রাখেন আহমাদ রেজা। তার পিতা নক্বী আলী এবং দাদা রেজা আলীকে হানাফিদের মধ্যে আলেম হিসাবে বিবেচনা করা হত। (তাজকিরাতু উলামায়ে হিন্দ পৃষ্ঠা-৬৪)। তার মাতার নাম ছিল হুসাঈনী খানম।
.
.
▪শিক্ষা:
_________
.
তারপর প্রাথমিক শিক্ষা ও নাহু, সরফ, উর্দু, ফারসীর জ্ঞান অর্জন করেন, তাঁর পিতার ঘনিষ্ঠ বন্ধু মাওলানা গোলাম কাদের বেগ সাহেবের নিকট। তারপর ‘শরহে ছমগীনী’ নামক কিতাব পড়েন মাওলানা আব্দুল আলী রামপুরী সাহেবের নিকট। পিতা নকী আলীর কাছে তিনি প্রচলিত দারসে নিযামী ধারার পাঠ গ্রহণ করেন। এরপর মির্জা কাদীয়ানির ছোট ভাই মির্জা কাদের বেগ থেকে দীর্ঘ সাত বৎসর দীনি ইলিম শিক্ষা নেন। তিনি শিক্ষা অর্জনের জন্য কোনো মাদরাসায় ভর্তি হননি। (খায়াবানে রেজা-১৮, ইকবাল আহমাদ কাদেরী)।
.
.
আলা হযরত নিজেই বলেছেন যে, “আমার কোনো উস্তাদ নেই”। (সীরাতে ইমাম আহমাদ রেজা-১২, আব্দুল হাকীম শাহ জাহানপুরী)।
.
.
▪ইসলামি কাজ কর্ম:
______________________
.
১৮৭৭ সালে জনৈক শাহ আলে রাসূলের নিকট কাদেরিয়া তরীক্বার বায়‘আত নেন ও খেলাফত লাভ করেন এবং ঐ সালেই পিতার সাথে হজ্জব্রত পালনের জন্য মক্কায় গমন করেন। অতঃপর দেশে ফিরে লেখালেখিতে মনোনিবেশ করেন ।
.
.
১৮৮০ সালের দিকে তিনি তার শির্কী, কুফুরী মতবাদ প্রচার করা শুরু করেন। তিনি নিজেকে অতিশয় রাসূল প্রেমিক প্রমাণের জন্য নামের পূর্বে ‘আব্দুল মুছতফা’ (মুহাম্মাদ মুছতফার দাস)’ উপনাম ব্যবহার করেন। অনুসারীদের কাছে তিনি ‘ইমাম’ ও ‘আ‘লা হযরত’ নামে পরিচিত হন।
.
.
▪গবেষনা ও লেখাঃ
____________________
.
তিনি আরবী, উর্দূ, এবং ফারসী ভাষায় বিভিন্ন বিষয়ে অনেক বই লিখেছেন। তার লেখার বিষয়বস্তুতে আইন, ধর্ম এবং দর্শনসহ বিভিন্ন বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল। তিনি ছিলেন উর্বর লেখক, তার জীবদ্দশায় তিনি ইসলামী আইন-কানুনের উপর অনেক লিখা লিখেছেন। তার লেখা বইয়ের সংখ্যা নিয়ে নানা বকম তথ্য পাওয়া যায়।
.
.
ব্রেলভীদের কিতার ‘মান হুয়া আহমাদ রেজার’ ২৫ পৃষ্ঠায় তার লেখা কিতাব হাজারের উপর উল্লেখ করা হইয়াছে। আবার হায়াতে আহমাদ রেজার’ ১৩ পৃষ্ঠায় তার লেখা কিতাব ৬০০ উপর বলা হয়েছে। এভাবে কেউ কেউ ৪০০ বা ৪৪০ বা ৩৫০ বা্ ২০০ বা উল্লেখ করেছেন। তবে আল্লামা ইহসান এলাহী যহীর (রহঃ) বলেন, বই হিসাবে গণ্য হয় এমন বইয়ের সংখ্যা ১০–এর অধিক নয়। এবং আল্লামা খালেদ মাহমুদ রহঃ এর কথা মুতাবেক বই হিসাবে গণ্য হয় এমন বইয়ের সংখ্যা ১৫-এর অধিক নয়।
.
.
১৯১২ সালে তার প্রথম অনূদিত কুরআনের উর্দূ তরজমা ‘কুনূযূল ঈমান ফি তরজমাতিল কুরআন’ প্রকাশিত হয়। এটি ইউরোপ ও দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে যার মধ্যে রয়েছে ইংরেজী, হিন্দি, বাংলা, ডাচ, তুর্কী, সিন্ধি, গুজরাটী এবং পশতু। বাংলা ভাষায় কানযুল ঈমান গ্রন্থটি অনুবাদ করেন এম এ মান্নান। তবে এই “কুনূযূল ঈমান ফি তরজমাতিল কুরআন” প্রকাশিত হওয়ার কিছু দিনের মাথায় কিতাব আরব বিশ্ব প্রত্যাখ্যান করে এবং ২৭ টা আরব দেশে তা ব্যান্ড করে দেওয়া হয়।
.
.
তার প্রধান ও সর্ববৃহৎ রচনা হল ‘ফৎওয়া রিযভিয়াহ’ রেযা ফাউন্ডেশন মারকাজুল আউলিয়া লাহোরের তত্ত্বাবধানে এটি ৩০ খন্ডে প্রকাশিত হয়। যার পৃষ্ঠা সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ২১৬৫৬, প্রশ্ন উত্তর ৬৮৪৭ টি, রিসালা মোট ২০৬ টি। অনেকে মনে করে, তেমন ভালো কিছু এ কিতাবে নেই, তবে ফতওয়াবাজীতে ভরপুর। এছাড়া আনবাউল মুছত্বফা, খালিছুল ই‘তিক্বাদ, মারজাউল গায়ব ওয়াল মালফূযাত, মাদায়ে আলা হযরত, হাদায়েকে বখশিস, প্রভৃতি তার শিরক কুফুরী ভরপুর প্রসিদ্ধ রচনা।
.
.
▪চরিত্র:
__________
.
আলা হযরতের মেজাজ ছিল খুবই চড়া। (আনওয়ারে রেজা-৩৫৮)। তিনি ছিলেন চিররোগা, পিঠব্যথার রুগী, অত্যধিক রাগী, সুচতুর ও তীক্ষ্ণ মেধার অধিকারী। তার মেজাজ ছিল চড়া। মুফতী মাজহারুল্লাহ ব্রেলবী তার ফাতওয়ায়ে মাজহারিয়্যাতে লিখেন “চড়া মেজাজী আলা হযরত আহমাদ রেজা খান হয়তো এ অশ্লীল কবিতা বাজারী মহিলাদের ব্যাপারে উদ্ধৃত করেছেন। (ফাতওয়া মাজহারিয়্যাহ-৩৯২)।
.
.
এ কারণেই লোকেরা তার থেকে বিমুখ হতে শুরু করেছিল। অনেক কাছের বন্ধুরাও তার এ স্বভাবের কারণে তার থেকে দূরে চলে যায়। এদের মাঝে মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াসীনও আছেন। যিনি মাদরাসায়ে এশাআতুল উলুমের প্রধান ছিলেন। যাকে আহমাদ রেজা উস্তাদের মর্যাদা দিতেন। তিনিও তার থেকে আলাদা হয়ে যান।
.
.
এছাড়াও মাদরাসায়ে মিসবাহুত তাহযীব যেটা তার পিতা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, সেটাও তার দুর্ব্যবহার ও বদমেজাজী, আত্মগরীমা এবং মুসলমানদের কাফের বলার কারণে তার হাত থেকে ছুটে গিয়েছিল। আর মাদরাসার ষ্টাফরা তার থেকে দূরে সরে তথাকথিতা ওহাবীদের সাথে মিলে। অবস্থা এমন হয়ে যায় যে, বেরেলবীদের মার্কাজে আহমাদ রেজা খার তত্বাবধানে কোনো মাদরাসা বাকি রইল না। (আল্লামা ইহসান এলাহী যহীর, হায়াতে আলা হযরত-২১১)।
.
.
আলা হযরত, মাওলানা আব্দুল হক খায়রাবাদীর কাছে মানতেকী ইলম শিখতে চাইলেন। কিন্তু তিনি তাকে পড়াতে রাজি হলেন না। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেনঃ আহমাদ রেজা বিরুদ্ধবাদীদের ব্যাপারে খুবই কঠোর শব্দ ব্যবহার করতে অভ্যাস্ত। (হায়াতে আলা হযরত-২৩, যফরুদ্দীন, আনওয়ারে রেজা-৩৫৭)।
.
.
▪বৃটিশ শাসকদের সমর্থক:
__________________________
.
আহমেদ রেজা ব্রেলভী আযাদী আন্দোলনের বিরোধী ছিলেন। শাহ ওয়ালীউল্লাহ দেওলভীর বিরোধ পক্ষ হিসেবে তিনি আবির্ভূত হন। তৎকালীন মুসলিমগন বৃটিশ শাসিত ভারতকে ‘দারুল হারব’ ঘোষণা দিলে, তিনি তার ঘোর আপত্তি করেন। তিনি ততৎকালীন বৃটিশ শাসিত ভারতকে দারুল ইসলাম ঘোষণা করেন।
.
.
জিহাদের বিপক্ষ অবস্থান নেন এবং এ দেশে জিহাদ ও হিজরতের বিরোধিতা করে ফতওয়া প্রদান করেন। আল্লামা ইহসান এলাহী যহীর “ব্রেলভী মতবাদ” বই-এ উল্লেখ করেন, বৃটিশদের সমর্থনের উদ্দেশ্যে আহমদ রেজা খাঁন একটি বই লিখেন। যাতে তিনি ফতওয়া প্রদান করেন যে, ভারতের মুসলিমদের জন্য জিহাদ ফরয নয়। আর যে ব্যক্তি এর ফরজিয়াতের উপর ঐক্যমত পোষন করে সে মুসলিমদের বিরোধী এবং তাদের ক্ষতি করতে চায়।
.
.
জিহাদ ও বৃটিশ বরোধিতা হতে মুসলিমদের বিরত রাখার জন্য আহমদ রেজা খাঁন লিখেন, মহান আল্লাহ বলেন,
يَـٰٓأَيُّہَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ عَلَيۡكُمۡ أَنفُسَكُمۡۖ لَا يَضُرُّكُم مَّن ضَلَّ إِذَا ٱهۡتَدَيۡتُمۡۚ إِلَى ٱللَّهِ مَرۡجِعُكُمۡ جَمِيعً۬ا فَيُنَبِّئُكُم بِمَا كُنتُمۡ تَعۡمَلُونَ (١٠٥)
হে ঈমানদারগণ ! নিজেদের কথা চিন্তা করো, অন্য কারোর গোমরাহীতে তোমাদের কোন ক্ষতি নেই যদি তোমরা নিজেরা সত্য সঠিক পথে থাকো৷ তোমাদের সবাইকে আল্লাহর দিকে ফিরে যেতে হবে৷ তখন তোমরা কি করছিলে তা তিনি তোমাদের জানিয়ে দেবেন৷ (সুরা মায়িদা ৫:১০৫)।
.
.
অর্থাৎ প্রত্যেক মুসলিমরে ব্যক্তিগতভাবে আত্মসংশোধন করা উচিৎ এবং সম্মিলিত জিহাদের কোনো প্রয়োজন নেই। আর যারা বৃটিশ বিরোধী নেতৃবৃন্দ ও অসহযোগ আন্দোলন সমর্থন করে তাদের সকলের উপর কুফর ফতওয়া জারি করেন। (ব্রেলভী মতবাদ পৃষ্ঠা -৫৭)।
.
.
তিনি ইংরেজদের পৃষ্ঠপোষকতায় একদিকে ভ্রান্ত আকীদা প্রচার ও নানা প্রকার শরীয়ত বিরোধী কাজ চালু করে শির্ক ও বেদায়াতের পথ উন্মুক্ত করেন এবং অন্যদিকে ইংরেজদের বিরুদ্ধে জিহাদরত ওলামায়ে কেরামগণকে ওহাবী বলে প্রচার চালান। সেই সময়ের ৩ শতাধিক মুফাসসির,মুহাদ্দিস,মুজাদ্দ
.
.
▪তার বিরোধী কারা:
____________________
.
.
তার ভাষায়, দেওবন্দী ও ওহাবীরা রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে যথাযথ সম্মান না দেয়ায়, তিনি তাদের তীব্র সমালোচনা ও তিরস্কার করেছেন। কাফের মুশরিক হওয়ার অসংখ্য ফতওয়াও প্রদান করেন। তার সাথে কিছু কিতাবও রচনা করে। কবর মাজার বা বিদাতে বিরুদ্ধে কিছু বললেই, তার অনুসারিদের প্রায়ই দেওবন্দী ও ওহাবী বলে গাল মন্দ করতে দেখা যায়।
.
.
অন্যদিকে তিনি অবশ্য ক্বাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণার দাবীতে তৎপরতা চালান। তবে অনেকে মনে করেন, তা ছিল লোক দেখানোর জন্য। কারণ ভিতরগতভাবে তার সুসম্পর্ক ছিল কাদিয়ানী পরিবারের সাথে। (আল্লাহু আলাম)। তা যাহোক তিনি কাদিয়ানি বিরোধী ছিলেন এটা প্রমানিত।
.
.
আহমাদ রেজা খাঁ বেরেলভী ১৩২৩ হি: হজ্বের উদ্দেশ্যে সফর করেন। হজ্ব শেষে তিনি মক্কা শরীফে একটি পুস্তক রচনা করলেন। দেওবন্দ অনুসারি আলেমদের দাবি অনুসারে, এই পুস্তকে তিনি বেশ কয়েকজন বরেণ্য উলামায়ে দেওবন্দের বক্তব্যকে শাব্দিক ও অর্থগতভাবে বিকৃত করে উপস্থাপন করেন এবং দেওবন্দের উলামায়ে কেরামের ব্যাপারে কিছু অপবাদ আরোপ করে। এ পুস্তকে সে দেওবন্দের বড় বড় আলেমকে কাযযাবী দল, শয়তানী দল হিসাব উল্লেখ করেছেন এবং সে দেওবন্দী আলেম মাওলানা কাসেম নানুতুবী (রহ.), মাওলানা রশীদ আহমাদ গাঙ্গুহী (রহ.), হযরত মাওলানা খলীল আহমাদ সাহারানপুরী (রহ.) ও আশরাফ আলী থানবী (রহ.) এর বক্তব্যকে বিভিন্নভাবে উপস্থাপন করে তাদের সবাইকে সুনিশ্চিত কাফের ফতোয়া দিয়েছে এবং এও লিখেছে যে, যারা তাদেরকে কাফের মনে করবে না, তারাও কাফের।
.
.
আহম্মদ রেজা খান দেওবন্দী কিছু আমেদের লেখা বই উপস্থাপন করে। তাদের বিভিন্ন বইয়ের উদ্ধৃতিও উপস্থাপন করেন। বিভিন্ন পদ্ধতিতে তিনি মক্বা-মদীনার আলেমগণের সাক্ষ্য গ্রহণের চেষ্টা করতে থাকেন। কিন্তু মক্কা-মদীনার উলামায়ে কেরামের নিকট উলামায়ে দেওবন্দের আক্কিদা-বিশ্বাস ও তাদের লিখনী সম্পর্কে পরিচিত না থাকায়, অনেকেই সেখানে ফতোয়া দেয়ার সময় বলেন যে, যদি বাস্তবেই তাদের আক্বিদা এমন হয়ে থাকে, তবে তারা কাফের হবে। হজ্জ থেকে ফিরে কিছুদিন চুপ-চাপ থেকে ১৩২৫ হি: আহমাদ রেজা খাঁ উক্ত পুস্তিকাটি ‘হুসামুল হারামাইন’ নামে প্রকাশ করে এবং প্রচার করে যে, মক্কা-মদীনার উলামায়ে কেরামের নিকট উলামায়ে দেওবন্দ কাফির।
.
.
▪বিরোধী চোখে:
__________________
.
.
তার বিরোধীরা মনে করেন, তিনি শিয়া ছিলেন এবং ‘তাকিয়া’ করতেন। এবং তার পুরা জীবনে এ সত্য প্রকাশ করেনি যাতে সে আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাত এর মাঝে বসবাস করতে পারে এবং শিয়া আকিদা প্রাচার করতে পারে। প্রমান হিসাবে তার বিরোধীরা বলে,
ক. তিনি শিয়াদের মত পাক পাঞ্জাতন বিশ্বাস করতেন, তিনি তার ফতয়ায়ে রিজভিয়্যার ৬ষ্ঠ খন্ডের ১৮৭ পৃষ্ঠায় লিখেন, এমন পাঁচজন ব্যক্তি আছে যাদের বরকতে সকল দুঃখ কষ্ট দুর করে দেয়। (তারা হলেন) মুহম্মদ, আলী, হাসান, হোসেন ও ফাতিমা। (অথচ শিয়াদের এই পাঞ্জাতন সম্পর্কে যা কিছু বলা হয় সবই জাল: হাদিসের নামে জালিয়াতি; ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গির)।
.
.
খ. তার বাবা দাদা ও পূর্ব পুরুষদের নামের সাথে শিয়াদের মাঝে পাওয়া নামের সাথে মিলে যায়। যেমন তার পূর্ণ নাম হল: আহম্মদ রেজা বিন নকী আলী বিন রেজা আলি বিন কাজিম আলী।
.
.
গ. তার অনেক হাদিসে এমন শিয়া বর্ণনাকারী আছে যার সাথে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের কোনো সম্পর্ক নেই (শিয়া বর্ণনাকারি)। যেমন: আলী কিয়ামতের দিবসে জাহান্নাম বিতরন করবেন। (আলমান ওয়াল আলী, আহমদ রেজ ব্রেলভী)।
.
.
ঘ. শিয়াদের একটা বিপদ দুর করার দোয়া প্রসিদ্ধ, যার নাম হল “সাইফি দোয়া”। যেখানে আলীকে বিপদ দুরকারি বলে ঘোষনা করা হয়েছে। আহমদ রেজা খান বলেন, যে “সাইফি দোয়া” দ্বারা দোয়া করবে তার বিপদ দূর হয়ে যাবে।
.
.
ঙ. আহমদ রেজা খান তার “খতমে নবুয়াত” এর ৯৭ পৃষ্ঠায় লিখেন, ফাতিমা (রাদি:) এর নাম রাখা হয়েছিল কারন আল্লাহ তাকে এবং তার বংশধরদের আগুন হতে রক্ষা করছেন।
.
.
এভাবে অনেক লেখায় তার শিয়াদের প্রতি দুর্বলতা খুজে পাওয়া যায়, তাই অনেকে তাকে শিয়া বলতে দ্বিধা করেন নি। (আল্লাহতায়ালাই ভাল জানেন, হে আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুন)।
.
.
চ. তার অনুসারিরা শী‘আদের মত মনে করে যে, ওলীরা মা‘ছূম। তাদের কোনো পাপ নেই। তাই শী‘আদের ইমামদের মত তারাও তাদের আওলিয়াদের মাযার তৈরী করে। মাযারে মোমবাতি বা আলোকসজ্জা করে, কবরের উপর ফুল, নকশাদার চাদর ইত্যাদি চড়ায়। তাদের কবরকে ঘিরে তাওয়াফ করে।
.
.
তারা মনে করে, আওলিয়াদের নযর-নেয়ায দেওয়া এবং তাদের কাছে প্রার্থনা করা জায়েয। এমনিভাবে জানাযার ছালাতের পর হাত তুলে দো‘আ করা, ফাতেহা পাঠ করা, তাজিয়া, চল্লিশা ও বার্ষিক ঈছালে ছাওয়াবের অনুষ্ঠান ও উৎকৃষ্ট ভোজের ব্যবস্থা করত: কুরআন খতম করা, কবরের পার্শ্বে আযান দেওয়া, মৃতের কাফনের উপরে কালেমা তাইয়েবা লেখা, শায়খ আব্দুল কাদির জিলানীর স্মরণে ফাতিহা-ইয়াযদাহমের অনুষ্ঠান করা এবং আওলিয়াদের নামে পশু পালন ইত্যাদি শির্কী-বিদ‘আতী কাজকে তারা পরম ছওয়াবের কাজ মনে করে।
.
.
ছ. তারা মনে করে, আলী (রাঃ) এর মধ্যে আল্লাহর বৈশিষ্ট্য ছিল।
.
মাওলানা আহমদ রেযা খান লিখেছেন, বে সক আলি কা নাম নামে আল্লাহ বাতেঁ আপকি কালামুল্লাহ ।
অর্থাৎ আলীর নামটাই হল আল্লাহর নাম এবং তাঁর কথা হল কালামুল্লাহ বা আল্লাহর কালাম । (নাউজুবিল্লাহি মিন যালিক। (নাতে মাকবুলে খোদা, পৃষ্ঠা-৮২)
.
.
▪শেষ মুহুর্ত:
_____________
.
তাঁর মৃত্যুর ২ ঘন্টা ১৭ মিনিট পুর্বে তিনি একটি অসিয়ত লিখে যান । তাতে তিনি নির্দেশ দেন,
“রেযা হুসাইন হাসনাইন আউর তুম মুহাম্মাদ ও ইত্তেফাক সে রহো আউর হাত্তাল ইমকান ইত্তিবায়ে শরীয়াত না ছোড়ো, আউর মেরে দীন ও মাযহাব জো মেরে কুতুব সে জাহির হ্যায় উস পর মযবুতি সে কায়েম রহনা হর ফরয সে আহম ফরয হ্যায় ।” (অসায়া শরীফ, পৃষ্ঠা-১০, অসিয়ত নং ১৪)
.
বহু আলোচিত সমালোচিত গ্রন্থ রচনাকারী আহমদ রেজা খান ২৫ সফর ১৩৪০ হিজরি মোতাবেক ২৮ অক্টোবর ১৯২১ খ্রি. জুমারদিন ধরাধাম ত্যাগ করেন।
.
ব্রেলভীদের আকিদা বিশ্বাস
.
▪শির্কি বিশ্বাস সমূহ।
_____________________
.
০১। আল্লাহ তায়ালাকে সর্বত্র বিরাজমান মনে করা।
০২। আল্লাহ তায়ালাকে গুণশূণ্য মনে করা।
০৩। তাদের মতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহতায়ালার মতই অদৃশ্যর জ্ঞান রাখেন।
০৪। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহতায়ালার মতই সবকিছূ দেখেন।
০৫। একটা পর্যায় দুনিয়াতে বসেই আল্লাহকে দেখা সম্ভব বলে বিশ্বাস করে।
০৬। অহদাতুল অজুদে বা সর্বেশ্বরবাদে বিশ্বাসি, করে। {তাদের দৃষ্টিতে পৃথিবীতে অস্তিত্ববান সব কিছুই আল্লাহর অংশ। আল্লাহ পৃথক কোনো সত্তার নাম নয়।(নাঊযুবিল্লাহ)।
০৭। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নুরের তৈরি।
০৮। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের মতই কবরে জীবিত আছেন।
০৯। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহতায়ালার মত মানুষের ভাল মন্দ করার ক্ষমতা রাখেন।
১০। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আল্লাহতায়ালার সাথে তুলনা করে ও কোনো কোন ক্ষেত্রে আল্লাহর সমান জ্ঞান করে।
১১। গাউস, কুতুব, আবদাল, নকিব ইত্যাদিতে বিশ্বাসি। (এদের নিজেস্ব ক্ষমতা আছে বিশ্বাস করে)।
১২। বিপদে পীর বা অলি আওলিয়াদের আহবান করে এবং তাদের কবরের নিকট গিয়ে কোন কিছু চাওয়া, এবং তারা বিপদ হতে উদ্ধার করতে পারেন।
১৪। অলি আওলিয়ারা কবর থেকে ফরিয়াদ শুনতে পান।
১৫। কবরে সিজদাহ করে।
১৬। মিলাদ মাহফিল চলা কালে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আগমনে বিশ্বাস করা। (এ উপলক্ষে মিলাদ মাহফিলের মাঝে কিয়াম করে বা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আগমনের কামনায় চেয়ারের ব্যবস্থা করে)।
১৭। মাধ্যম ছাড়া আল্লাহ পর্যন্ত পৌছানো যায় না বলে বিশ্বাস করে।
১৮। অলিদের কাশফকে তাদের নিজস্ব ক্ষমতা মনে করে।
১৯। অলি আওলিয়াদের কেরামত তাদের ইচ্ছাধীন মনে করে।
২০। তাবিজ কবজে বিশ্বাস করে।
▪বিদআতি বিশ্বাস সমূহ।
_______________________
.
০১। কবর জিয়ারত ওয়াজিব মনে করা।
০২। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বপনের মতই জীবিত অবস্থায় দেখা যায়,
০৩। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম না হলে পৃথিবী সৃষ্টি হত না,
০৪। অলি আওলিয়াদের স্মৃতি বিজড়িত স্থান থেকে বরকত লাভ করা যায় বলে বিশ্বাস করা।
০৫। তাক্কলিদে শাখসিতে বিশ্বাসি বা যে কোনো এক মাজহাব মানা ওয়াজিব বলে বিশ্বাস করা।
০৬। পীর বা অলীদের কলবের তাওয়াজ্জু দানে বা নেক নজরে বিশ্বাসি।
০৭। এলম সিনা থেকে সিনার মধ্যমে চলে আসছে বিশ্বাস করা।
০৮। সংশোধনের জন্য পীর ধরা ওয়াজিব মনে করা।
০৯। পীর ও অলি আওলিয়াদের ছাড়া ইসলাহ বা সংশোধন হয় না মনে করা।
১০। বিভিন্ন দিবসে মৃত্যু ব্যক্তি ফিরে আসে এই বিশ্বাস রেখে ঐ দিনে হালুয়া রুটি রেখে দেওয়া।
▪বিদআতি আমলসমূহ।
________________________
.
০১। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কল্পিত জ্ম্ম দিনকে সব ঈদের শ্রেষ্ঠ ঈদ (ঈদে মিলাদুন নবী) হিসবে পালন করা।
০২। ইবাদাত মনে করে কবরের নিকট মিলাদ পড়ে, ফাতিহা আদায় করে ও ওরস পালন করে।
০৩। কবর পাকা করে, কবরের উপর গম্বুজ নির্মান করে।
০৪। কবর চাদর চড়ায়, মোমবাতি ও আগর বাতি জ্বালায়।
০৫। মাজারে মান্নত করে, টাকা পয়সা দান করন, শিন্নি দেয়, তরিতরকারি দান করে, ফলমুল দান করে ইত্যাদি।
০৬। মাজারে গরু, মহিষ, উট, ভেড়া, ছাগল ইত্যাদি জবেহ করে।
০৭। মৃত্যুকে কেন্দ্র করে কুলখানি, চল্লিশা আদায় করা।
০৮। বিভিন্ন বৃদ্ধাঙ্গুলী চুম্বন করে খতম আদায় করে।
০৯। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নাম শুনলে বৃদ্ধাঙ্গুলী চুম্বন করে।
১০। অলি আওলিয়াদের কবরের নিকট বরকতের জন্য দোয়া করা।
১১। দোয়ায় মৃত নবী, পীর ও অলি আওলিয়াদের অছিলা দিয়ে দোয়া করে।
১২। স্বন্পকে শরিয়তের দলিল মনে না করলেও প্রমান হিসাবে ব্যবহার করে।
১৩। পীর বা শায়েখের ধ্যান করে।
১৪। ইসলাহ বা সংশোধনের জন্য যে কোনো একটা তরিকা গ্রহণ করতেই হবে মনে করে।
.
.
তাদের এ ভ্রান্ত ও শির্কি আকিদাগুলি প্রমানের জন্য তাদের কোন বইয়ের রেফারেন্স দেওয়ার দরকার নেই।
.
কারণ তারা এই আকিদাগুলি স্বীকার করে ও প্রচার করে। এই ভ্রান্তি আকিদা প্রমানের জন্য বিভিন্ন ওয়েব সাইড থেকে ঢালাও ভাবে প্রচার চালাচ্ছে। শত শত কিতাব রচনা করছে। তার পরেও যদি কোনো সত্য সন্ধানী ভাই সত্যতা যাচাই করতে চান তবে শায়খ ইহসান ইলাহী যহীর (রহ) এর লেখা “ বেরেলভী মতবাদ:আকিদা-বিশ্বাস ও ইতিহাস” গন্থখানা পড়লেই সব রেফারেন্স এক সাথে পেয়ে যাবেন।
.
দেখবেন এরাই প্রথম কুরআন হাদিসের অপব্যাখ্যা করে প্রমান করতে চেষ্টা করে যে, মৃত আওলীয়াদের নিকট সাহায্য চাওয়া জায়েয।
_________________________
__________________________
লেখক:- শাইখ আবু বকর মুহাম্মদ জাকারিয়া মাদানি ।হাফিয্বাহুল্লাহ
আইডি লিংক -https://www.facebook.com/
____________________
পোষ্টার ডিজাইনার:- রাজভির হোসেন।
▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂
► আপনার যদি পোস্টটি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করুন ও পরবর্তী আপডেট পেতে পেজটি লাইক দিয়ে রাখুন। কেননা রাসূল (সাঃ) বলেছেন,“যে ব্যক্তি মানুষকে হিদায়াতের দিকে ডাকে তার জন্য ঠিক ঐ পরিমাণ সাওয়াব রয়েছে, যে পরিমাণ পাবে তাকে অনুসরণকারীরা।” [সহীহ মুসলিম/২৬৭৪,৬৮০৪]
► আমাদের পোস্টগুলি কপিরাইট মুক্ত! সুতরাং আপনি চাইলে পেজের কনটেন্টগুলো হুবহু কপি করে ফেসবুক বা যেকোন মাধ্যমে দাওয়াতের উদ্দেশ্যে প্রচার করতে পারেন বিনা অনুমতিতে।
জায্বাকুমুল্লাহ।
►আলিমদের সাথে,সালাফদের পথে।
►বার্তা-The Massage Of Allah S.W.T
► https://www.facebook.com/
0 Comments