জ্বীন ও শায়ত্বন বিষয়ক প্রবন্ধ_
জ্বীন ও
শায়ত্বন
উত্তরঃ (ক)
আল্লাহর কাছে শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করা উচিত। (খ) সেই
কুমন্ত্রণাকে মন থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা অব্যাহত রাখা উচিত এবং (গ) ‘আমানতু বিল্লাহ’ অথবা ‘আমানতু বিল্লাহি আরুসুলিহ’ বলা উচিত। ৫৯ (ইবনে
জিবরীন)
উত্তরঃ না। এ
উদ্দেশ্যে বাঘের ছাল বা মাথা (মাথা বা তামার কোন জিনিস, মাদুলি বা অন্য কিছু) ব্যবহার করা বৈধ নয়। ৬০ (ইবনে জিবরীন) বরং শরয়ী
দুআ যীকর পড়া উচিত। শিশুকে
দুআ-তাবীয নয়, বরং নির্দিষ্ট দুআ পড়ে দুআর তাবীয দেওয়া
উচিত। আর ত হল এই,
‘আমি তোমাদেরকে আল্লাহর পরিপূর্ণ
বানীসমূহের আসীলায় প্র্যত্যেক শায়ত্বন ও কষ্টদায়ক জন্তু হতে এবং প্রত্যেক
ক্ষতিকারক (বদ) নজর হতে আল্লাহর পানাহ দিচ্ছি।৬১ (বুখারী)
উত্তরঃ শায়ত্বন
প্রকৃতির জ্বীনকে তুষ্ট করে বশ করা যায়। ৬২(ইবনে জিবরীন)
উত্তরঃ জিন-ইনসানের
মিলন অসম্ভভ নয়। ৬৩(ইবনে জিবরীন)
উত্তরঃ না। কোন
মৃতের ‘রূহ’ হাযির করা
যায় না। তবে তুষ্ট করে শায়ত্বন জ্বীন হাযির করা যায়। ৬৪(ইবনে জিবরীন)
উত্তরঃ হাদীসে
বর্ণিত আছে, খাযরাজের সর্দার সা’দ বিন উবাদাহ (রঃ) জ্বীন কতৃক খুন হয়েছিলেন। ৬৫ (ত্বাবাক্বাতে ইবনে সা’দ ৩/৬১৭, মুস্তাদরাক ৩/২৮৩, মুস্বান্নাফ আঃ রাযযাক্ব ১১/৪৩৪) মাদীনায় এক সাহাবীকে এক জ্বীন সাপের
আকৃতি নিয়ে হত্যা করেছিলেন।৬৬ ( মুসলিম, মিশকাত ৪১১৮ নং) অনুরূপ
উমার (রঃ)-এর খেলাফতকালে একজন মুসলিম মুশারিক জ্বীন কতৃক অপহৃত হয়। পরিশেষে মুসলিম
জিনেরা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে তাঁকে মুক্ত করে আনে। ৬৭(ইবনে জিবরীন)
✔ ৫৬ প্রশ্নঃ জ্বীন কতৃক খুন-হত্যা, অপহরণ
ইত্যাদি সত্য হলে, যাঁদের জ্বীন বশ আছে, তাঁরা তাঁর দ্বারা বড় বড় অপরাধিদেরকে ধ্বংস করায় না কেন?
উত্তরঃ তা করতে
গেলে হয়তো বিরোধী জ্বীন তাঁকে বাঁধা দেবে। মানুষের যেমন বন্ধু ও শত্রু আছে, তেমন তাঁদেরও আছে। আর মানুষের উপকার করতে গিয়ে জ্বীনদের আপোশের
গৃহযুদ্ধ বাধবে, যেমন উমার (রঃ) –এর খিলাফতকালে ঘটেছিল।
✔ ৫৭ প্রশ্নঃ অনেক সময় রোগী বড় ওঝার কাছে ভাল হয় না। জ্বীন পাওয়ার প্রায় সমস্ত
আলামত থাকতেও পরিশেষে ডাক্তারের কাছে ভাল হয়। তাহলে জ্বীন পাওয়ার ব্যাপারটা কি
মানসিক রোগ নয়?
উত্তরঃ হতে পারে।
তবে এই শ্রেণীর মানসিক অনেক রোগ কোন ডাক্তারের কাছেও ভাল হয় না। বলা বাহুল্য এই
শ্রেণীর রোগ হিস্টিরিয়া হতে পারে, যাদু-ঘটিত
হতে পারে, জ্বীন পাওয়া হতে পারে, পরিকল্পিত অভিনয়ও হতে পারে। যার যেমন রোগ, তাঁর
তেমন ঔষধ না পড়লে সারবে কেন?
উত্তরঃ যে
ব্যক্তি জিনের অস্তিত্বই অস্বীকার করে, সে
ব্যক্তি কাফের। কারণ কিতাব ও সুন্নাহতে তাদের অস্তিত্ব ও জীবনের কথা আলোচিত হয়েছে।
অদৃশ্য জগৎ ফিরিশতার প্রতি ঈমান যেমন জরুরী, তেমনি জ্বীন
জাতির অস্তিত্বের বিশ্বাসও জরুরী।
মহান আল্লাহ বলেছেন,
‘নিশ্চয় সে নিজে এবং তাঁর দলবল তোমাদেরকে
এমন স্থান হতে দেখে থাকে যে, তোমরা তাদেরকে দেখতে পাও না।’
(আ’রাফঃ ২৭)
✔ ৫৯ প্রশ্নঃ জ্বীন জাতি আগুন থেকে সৃষ্টি। তাদের জান্নাত-জাহান্নাম হলে
জাহান্নামের আগুনে আগুন বা শাস্তি পাবে কীভাবে?
উত্তরঃ আল্লাহর
দেওয়া শাস্তিতে অসম্ভভ কিছু নেই। মহান আল্লাহ জ্বীনদের কথা উদ্ধৃত করে বলেছেন,
‘অপরপক্ষে সিমালঙ্ঘনকারীরা তো
জাহান্নামেরই ইন্ধন।’(জীনঃ ১৫)
আর বিদিত যে, দুনিয়ার
আগুনের চাইতে জাহান্নামের আগুনের তেজ সত্তর গুণ বেশি। অবশ্য এমনও হতে পারে যে,
তাদেরকে আযাব দেওয়ার জন্য পৃথক আগুন প্রস্তুত আছে। যেহেতু
পরকালের বিষয়াবলী ইহকালের বিষয়াবলী থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। ৬৮(ইবনে জিবরীন) মানুষ
মাটি থেকে তৈরি হওয়া সত্ত্বেও যদি মাটির (ঢেলা ইত্যাদির) আঘাতে কষ্ট পায়, তাহলে জ্বীন আগুন থেকে তৈরি হওয়া সত্বেও তাদের আগুন দ্বারা কষ্ট পাওয়া
কোন বিচিত্র কথা নয়।
জ্বীন ও শায়ত্বন বিষয়ে প্রশ্নোত্তর
নং
|
জ্বীন ও শায়ত্বন বিষয়ে প্রশ্নোত্তর
|
৫০
|
মনের ভিতরে আল্লাহ ও গায়েবী বিষয়সমূহে নানা সন্দেহের সৃষ্টি হলে কি করা উচিত?
|
৫১
|
জ্বীন যাতে কাছে বা বাড়ীতে না আসে, সে উদ্দেশ্যে বাঘের ছাল বা মাথা ঘরে রাখা বৈধ কি?
|
৫২
|
জ্বীন কি বশ করা যায়?
|
৫৩
|
জ্বীন কি কোন মানুষের সাথে যৌন-মিলনে লিপ্ত হতে পারে?
|
৫৪
|
কোন মৃতের ‘রূহ’ কি হাযির করা যায়?
|
৫৫
|
জীন কি মানুষকে অপহরণ ও হত্যা করতে পারে?
|
৫৬
|
জ্বীন কতৃক খুন-হত্যা, অপহরণ ইত্যাদি সত্য হলে, যাঁদের জ্বীন বশ আছে, তাঁরা তাঁর দ্বারা বড় বড় অপরাধিদেরকে ধ্বংস করায় না কেন?
|
৫৭
|
অনেক সময় রোগী বড় ওঝার কাছে ভাল হয় না। ...তাহলে জ্বীন পাওয়ার ব্যাপারটা কি মানসিক রোগ নয়?
|
৫৮
|
যে ব্যক্তি জ্বীন অস্বীকার করে, ইসলামে তাঁর বিধান কি?
|
৫৯
|
জ্বীন জাতি আগুন থেকে সৃষ্টি। তাদের জান্নাত-জাহান্নাম হলে জাহান্নামের আগুনে আগুন বা শাস্তি পাবে কীভাবে?
|
আপনি চাইলে -Whatapps-Facebook-Twitter-ব্লগ- আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking-ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন-মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]-:-admin by rasikul islam নিয়মিত আপডেট পেতে ভিজিটকরুন -এই ওয়েবসাইটে -https://sarolpoth.blogspot.com/(জানা অজানা ইসলামিক জ্ঞান পেতে runing update)< -https://rasikulindia.blogspot.com (ইসলামিক বিশুদ্ধ শুধু বই পেতে, পড়তে ও ডাউনলোড করতে পারবেন). Main Websaite- esoislamerpothe.in , comming soon my best world websaite
0 Comments