সাতাশে
রজব তারিখে মিরাজ হওয়ার নিশ্চয়তা তো দূরের কথা, রজব মাসেই মিরাজ হয়েছে কিনা তাও নিঃসন্দেহ নয়। তারিখ,
মাস, এমনকি বছর নিয়েও উলামাদের মধ্যে
বহুমতে মতানৈক্য হয়েছে যে, মিরাজ আসলে কোন বছরে বা মাসে
বা তারিখে সংঘটিত হয়েছিল। সুতরাং সাতাশে রজবকে ‘শবে মেরাজ’ ধরে নেওয়া নিতান্ত
ভ্রান্তি।
[১].
হাফিয ইবনু হাজার বিরচিত ফাতহুল বারি, খণ্ড: ৭; পৃষ্ঠা: ২০৩।
[]
আর একে কেন্দ্র করে যে কোনো ইবাদত করা বিদাতের পর্যায়ভুক্ত, যা ব্যক্তিকে জাহান্নামে নিয়ে
যায়।
অষ্টম
হিজরি শতকের সংস্কারক ইমাম শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়্যাহ রাহিমাহুল্লাহ বলেছেন, “শরয়ি মৌসুম ব্যতিরেকে কোনো
মৌসুম বেছে নেওয়া, যেমন রবিউল আউয়াল মাসের কতিপয় রাতের
ব্যাপারে এমন বলা, ‘এটা নবির জন্মরজনী,’ বা রজব মাসের কতিপয় রাত, জিলহজের অষ্টম দিবস,
রজবের প্রথম জুমা, শাওয়ালের অষ্টম দিবস—
যেটাকে জাহিলরা ‘পুণ্যবানদের ইদ’ বলে থাকে, প্রভৃতিকে
ইবাদতের মৌসুম হিসেবে বেছে নেওয়া বিদাতের অন্তর্গত, সালাফগণ
যেসব বিদাতকে ভালো মনে করেননি এবং তা সম্পাদনও করেননি। মহান আল্লাহ সর্বাধিক
অবগত।”
[২]. মাজমুউ ফাতাওয়া, খণ্ড: ২৫; পৃষ্ঠা: ২৯৮।
সৌদি
আরবের সাবেক গ্র্যান্ড মুফতি ইমাম ইবনু বায রাহিমাহুল্লাহ বলেছেন, “রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম ও তাঁর সাহাবিবর্গ থেকে শবে মেরাজের ব্যাপারে কোনো কিছুই প্রমাণিত হয়নি।...
শবে মেরাজ উদ্যাপন করা বিদাত, যার কোনো ভিত্তি নেই।” [৩]
·❏ পাদটীকা:
▂▂▂▂▂▂▂▂[৩]. https://m(ডট)youtube(ডট)com/watch?v=1OX4H7YhneY।
0 Comments