উত্তরঃ বেস্বলাতীর রোযা কবুল হবে না। যেহেতু স্বলাত ইসলামের খুঁটি, যা ব্যতিরেকে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। পরন্ত বেস্বলাতী কাফের ও ইসলামের মিল্লত থেকে বহির্ভূত।
রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, “মানুষ ও কুফুরীর মধ্যে (পর্দা) হল, স্বলাত ত্যাগ করা।”✔২৫৩ (মুসলিম)
তিনি আরো বলেছেন, “যে চুক্তি আমাদের ও তাঁদের (কাফেরদের) মধ্যে বিদ্যমান, তা হচ্ছে স্বলাত (পরা)। অতএব যে স্বলাত ত্যাগ করবে, সে নিশ্চয় কাফের হয়ে যাবে।”✔২৫৪ (তিরমিযী)
শাক্বীক ইবনে আব্দুল্লাহ তাঁবেঈ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, “মুহাম্মাদ (ﷺ) এর সহচরবৃন্দ স্বলাত ছাড়া অন্য কোন আমল ত্যাগ করাকে কুফরীমূলক কাজ বলে মনে করতেন না।” ✔২৫৫ (তিরমিযী)(ফাতাওয়া ইবনে উষাইমীন ২/৬৮৭)
আর কাফেরের নিকট থেকে আল্লাহ রোযা, সাদকা, হজ্জ এবং অন্যান্য কোনও নেক আমল কবুল করেন না। যেহেতু আল্লাহ পাক বলেন, “ওদের অর্থ সাহায্য গৃহীত হতে কোন বাধা ছিল না। তবে বাধা এই ছিল যে, ওরা আল্লাহ ও তাদীয় রাসুলকে অস্বীকার (কুফরী) করে এবং স্বলাতে আলস্যের সঙ্গে উপস্থিত হয়। আর অনিচ্ছাকৃতভাবে অর্থদান করে।” ✔(সূরা তাওবা ৫৪ আয়াত)
সুতরাং যদি কেউ রোযা রাখে এবং স্বলাত পড়ে, তাহলে তাঁর রোযা বাতিল ও অশুদ্ধ। আল্লাহর নিকট তা কোন উপকারে আসবে না এবং তা তাকে আল্লাহর সান্নিধ্য দান করেতেও পারবে না।
সুতরাং যদি কেউ রোযা রাখে এবং স্বলাত পড়ে, তাহলে তাঁর রোযা বাতিল ও অশুদ্ধ। আল্লাহর নিকট তা কোন উপকারে আসবে না এবং তা তাকে আল্লাহর সান্নিধ্য দান করেতেও পারবে না।
সুতরাং যদি কেউ রোযা রাখে এবং স্বলাত পড়ে, তাহলে তাঁর রোযা বাতিল ও অশুদ্ধ। আল্লাহর নিকট তা কোন উপকারে আসবে না এবং তা তাকে আল্লাহর সান্নিধ্য দান করেতেও পারবে না।
আর আর তাঁর অমূলক ধারনা যে, “এক রমযান থেকে অপর রমযান মধ্যবর্তী
পাঁচ ওয়াক্ত স্বলাত, জুমআহ থেকে জুমআহ এবং রমযান থেকে রমযান; এর মধ্যবর্তী সকল গোনাহকে মোচন করে দেয়--- যতক্ষণ পর্যন্ত কাবীরা গোনাহসমূহ থেকে দূরে থাকা হয়।” ✔২৫৬ (মুসলিম, মিশকাত ৫৬৪ নং)
পাঁচ ওয়াক্ত স্বলাত, জুমআহ থেকে জুমআহ এবং রমযান থেকে রমযান; এর মধ্যবর্তী সকল গোনাহকে মোচন করে দেয়--- যতক্ষণ পর্যন্ত কাবীরা গোনাহসমূহ থেকে দূরে থাকা হয়।” ✔২৫৬ (মুসলিম, মিশকাত ৫৬৪ নং)
সুতরাং রমযান থেকে রমযানের মধ্যবর্তী পাপসমূহ মোচন হওয়ার জন্য মহানবী (ﷺ) শর্তারোপ করেছেন যে, কাবীরা গোনাহসমূহ থেকে দূরে থাকতে হবে। কিন্তু সে তো স্বলাতই পড়ে না, আর রোযা রাখে। যাতে সে কাবীরা গোনাহ থেকে দূরে থাকতে পারে না। যেহেতু স্বলাত ত্যাগ করার চেয়ে অধিক বড় কাবীরা গোনাহর কাজ আর কি আছে? বরং স্বলাত ত্যাগ করা তো কুফরী। তাহলে কি করে সম্ভভ যে, রোযা তাঁর পাপ মোচন করবে?
সুতরাং নিজ প্রভুর কাছে তাঁর জন্য তওবা (অনুশোচনার সাথে প্রত্যাবর্তন)করা ওয়াজেব। আল্লাহ যে তাঁর উপর স্বলাত ফরয করেছেন, তা পালন করে তারপর রোযা রাখা উচিত। যেহেতু নবী (ﷺ) মুআয (রঃ) কে ইয়ামান প্রেরণকালে বলেছিলেন, “ওদেরকে তোমার প্রথম দাওয়াত যেন ‘আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই এবং মুহাম্মদ তাঁর রাসুল’- এই সাক্ষ্যদানের প্রতি হয়। যদি ওরা তা তোমার নিকট থেকে গ্রহণ করে, তবে তাঁদেরকে জানিয়ে দাও যে, আল্লাহ ওদের উপর প্রত্যেক দিবা রাত্রে পাঁচ ওয়াক্ত স্বলাত ফরয করেছেন।”
অতএব দুই সাক্ষ্যদানের পর স্বলাত, অতঃপর যাকাত দিয়ে (দাওয়াত) শুরু করেছেন।✔২৫৭ (ইবনে উষাইমীন)
নিকৃষ্ট মানুষ সে, যে নিজ প্রভুকে কেবল রমযানে চেনে ও স্মরণ করে, বাকী এগারো মাস ভুলে থাকে! অথচ সে এক মাসের চেনা তাঁদের কোন কাজে লাগবে না। ✔২৫৮ (লাজনাহ দায়েমাহ)
0 Comments