Subscribe Us

হে পথিক ভবিষ্যৎ বলে কিছু নাই ,আসোল ভবিষ্যৎ হলো পরোকাল

✔প্রশ্নঃ স্বামী-স্ত্রীর আপোষের চুম্বন ও প্রেমকেলিতে রোযার ক্ষতি হয় কি না?

২১৭ প্রশ্নঃ স্বামী-স্ত্রীর আপোষের চুম্বন ও প্রেমকেলিতে রোযার ক্ষতি হয় কি না?
🎤উত্তরঃ যে সায়িম স্বামী-স্ত্রী মিলনে ধৈর্য রাখতে পারেঅর্থাৎ সঙ্গম বা বীর্যপাত ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা না করেতাঁদের জন্য আপোসে চুম্বন ও প্রেমকেলি বা কোলাকুলি করা বৈধ এবং তা তাঁদের জন্য মাকরূহ নয়। কারণমহানবী () রোযা রাখা অবস্থায় স্ত্রী-চুম্বন করতেন এবং রোযা রোযা অবস্থায় প্রেমকেলিও করতেন। আর তিনি ছিলেন যৌন ব্যাপারে বড় সংযমী। 
২৮৯(বুখারী ১৯২৭মুসলিম ১১০৬,আবূ দাঊদ ২৩৮২,তিরমিযী ৭২৯ইবনে আবী শাইবাহ ৯৩৯২ নং) 
অন্য এক বর্ণনায় আছে যেআল্লাহর রাসূল () স্ত্রী-চুম্বন করতেন রমযানে রোযা রাখা অবস্থায়।
অন্য এক বর্ণনায় আছে যেআল্লাহর রাসূল () স্ত্রী-চুম্বন করতেন রমযানে রোযা রাখা অবস্থায়। 
 ২৯০ (মুসলিম ১১০৬ নং)
রোযার মাসে।  (আবূ দাঊদ ২৩৮৩ইবনে আবী শাইবাহ ৯৩৯০ নং)
আর এক বর্ণনায় আছেমা আয়েশা (রঃ) বলেন, “আল্লাহর রাসুল () আমাকে চুম্বন দিতেন। আর সে সময় আমরা উভয়ে রোযা অবস্থায় থাকতাম।” 
 ২৯১ (আবূ দাঊদ ২৩৮৪ইবনে আবী শাইবাহ ৯৩৯৭ নং )
উম্মে সালামাহ (রঃ) বলেনতিনি তাঁর সাথেও অনুরূপ করতেন।  ২৯২ (মুসলিম ১১০৮নং)
আর তদ্রূপ বলেন হাফসা (রায্বিয়াল্লাহু আনহা)ও।  (ঐ ১১০৭ নং)
উমার (রঃ) বলেনএকদা স্ত্রীকে খুশী করতে গিয়ে রোযা অবস্থায় আমি তাকে চুম্বন দিয়ে ফেললাম। অতঃপর নবী () এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললাম, “আজ আমি একটি বিরাট ভুল করে ফেলেছিরোযা অবস্থায় স্ত্রী-চুম্বন করে ফেলেছি।” আল্লাহর রাসূল () বললেন, “যদি রোযা রেখে পানি দ্বারা কুল্লি করতেতাহলে তাতে তোমার অভিমত কি?” আমি বললাম, “তাতে কোন ক্ষতি নেই।” মহানবী () বললেন, “তাহলে ভুল কিসের?” 
 ২৯৩ (আহমাদ ১/২১৫২সহীহ আবূ দাঊদ ২০৮৯দারেমী ১৬৭৫ইবনে আবী শাইবাহ ৯৪০৬ নং)
পক্ষান্তরে সায়িম যদি আশঙ্কা করে যেপ্রেমকেলি বা চুম্বনের ফলে তাঁর বীর্যপাত ঘটে যেতে পারে অথবা (স্বামী-স্ত্রী) উভয়ের উত্তেজনার ফলে সহসায় মিলন ঘটে যেতে পারেকারণ সে সময় সে হয়ত তাঁদের উদগ্র কাম-লালসাকে সংযত করতে পারবে নাতাহলে সে কাজ তাঁদের জন্য হারাম। আর তা হারাম এই জন্য যেযাতে পাপের ছিদ্রপথ বন্ধ থাকে এবং তাঁদের রোযা নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা পায়।

Post a Comment

0 Comments