যে
ব্যক্তি পায়ে হেটে কা’বার যিয়ারত করার মানত করে
আবেগ নিয়ন্ত্রণ
করতে শিখুন আবেগ দিয়ে ইসলাম মানলে চলবে না"পায়ে হেঁটে/সাইকেলে চড়ে হজ্বে
যাওয়া বড়ত্ব নয় বরং মুর্খতা"
এমনটা করা
রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লামের নিষেধ করেছেন, এবং অবশ্যই এর মধ্যে কোনো কল্যাণ নাই।
_________________________________________________________________________________________
মুহাম্মদ ইবনু সালাম (রহঃ) ... আনাস(রাঃ) থেকে বর্ণিত যে নবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক বৃদ্ধ ব্যাক্তিকে তাঁর দুই ছেলের উপর ভর করে হেটে যেতে দেখে
বললেনঃ তাঁর কি হয়েছে? তাঁরা বললেন, তিনি পায়ে হেটে হাজ্জ
(হজ্জ) করার মানত করেছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ লোকটি
নিজেকে কষ্ট দিক আল্লাহ তা’আলার এর কোন প্রয়োজন নেই। তাই তিনি তাঁকে সওয়ার হয়ে
চলার জন্য আদেশ করলেন।
[ সহীহ বুখারী (ইসলামিক
ফাউন্ডেশন): ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ
১৭৪৩, আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ১৮৬৫ পরিচ্ছেদঃ
১১৬৯]
_________________________________________________________________________________________
ইবরাহীম ইবনু মূসা(রহঃ) ...’উকবা ইবনু ’আমির(রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিন বলেন, আমার বোন পায়ে হেটে হাজ্জ
(হজ্জ) করার মানত করেছিল। আমাকে এ বিষয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে
ফতোয়া আনার নির্দেশ করলে আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বিষয়টি
সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেনঃ পায়ে হেঁটেও চলুক, সওয়ারও
হোক। ইয়াযিদ ইবনু আবূ হাবীব (রহঃ) বলেন, আবূল খায়ের(রহঃ)
’উকবা(রাঃ) থেকে কখনো বিচ্ছিন্ন হতেন না।
[সহীহ বুখারী: ইসলামিক
ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ১৭৪৪, আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ১৮৬৬, পরিচ্ছেদঃ ১১৬৯]
_________________________________________________________________________________________
ব্যাখ্যা:
মানুষের
স্বভাব হলো কখনো কখনো সে আবেগ প্রবণ হয়ে তার নিজের ওপর এমন কিছু ওয়াজিব করে যা তার
ওপর কষ্টকর হয়, অথচ আমাদের শরী‘আত এসেছে মধ্যমপন্থা ও ইবাদত করতে গিয়ে আত্মাকে কষ্ট না
দেওয়ার নীতি নিয়ে যেন তা (কিয়ামত পর্যন্ত) অব্যাহত
থাকে। এ হাদীসটিতে উকবা ইবন আমেরের বোন তার কাছে চাইল, সে যেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করে যে,
তিনি বাইতুল্লায় খালি পায়ে হেঁটে যাওয়ার মান্নত করেছে। রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দেখলেন এ মহিলা কিছু পথ হাঁটতে পারবে। তাই তিনি
তাকে যতক্ষণ হাঁটতে সক্ষম ততক্ষণ হাঁটা এবং যখন অক্ষম হবে তখন সাওয়ার হওয়ার
নির্দেশ দিলেন।
_________________________________________________________________________________________
ইবনু আব্বাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন জানতে পারলেন, উকবাহ ইবনু ‘আমির (রাঃ)-এর বোন
পদব্রজে হজ (হজ্জ) করার মানত করেছেন তখন তিনি বললেনঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ তার এরূপ
মানতের মুখাপেক্ষী নন। তাকে যানবাহনে চড়ে হজে (হজ্জে) আসার নির্দেশ দাও। [সুনানে
আবূ দাউদ, হাদীস নং-৩২৯৭, জামে তিরমিজী, হাদীস নং-১৫৩৬]
_________________________________________________________________________________________
রাসূলুল্লাহ(সাঃ)
একজন অতি বৃদ্ধ লোকের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। সে তার দুই ছেলের কাঁধে ভর করে
যাচ্ছিল। তিনি প্রশ্ন করেনঃ তার কি হয়েছে? লোকেরা বলল,
হে আল্লাহর রাসূল! সে (বাইতুল্লাহ শারিফে) হেঁটে যাওয়ার মানত করেছে।
তিনি বললেনঃ এ লোকের নিজেকে কষ্টে নিক্ষেপ করা হতে আল্লাহ তা‘আলা মুক্ত।
বর্ণনাকারী বলেন, তিনি তাকে সাওয়ারীতে চড়ে যাওয়ার নির্দেশ
দিলেন। (জামে’ আত-তিরমিজি, হাদিস নং ১৫৩৭)
0 Comments