Subscribe Us

হে পথিক ভবিষ্যৎ বলে কিছু নাই ,আসোল ভবিষ্যৎ হলো পরোকাল

🔴রুকিয়াহ কাকে বলে?. Who is Ruqiyah?

 

রুকিয়াহ ক্যাটাগরি: পার্ট -০১,Ruqyah Categories

🔴১. রুকিয়াহ কাকে বলেAbout Ruqyah,রুকইয়াহ সম্পর্কে

ব্যক্তি যখন শারীরিক, মানসিক, আত্মিক কিংবা জ্বিন, জাদু ও বদনজর ইত্যাদি রোগ থেকে আরোগ্যের প্রত্যাশায় আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থাশীল হয়ে নিজে কুরআন পাঠ করে কিংবা অন্য কেউ তাকে পাঠ করে শোনায়, একে আমরা শারঈ রুকিয়াহ বলি শারঈ রুকিয়াহর মাঝে শুধু কুরআন নয়, হাদীসে বর্ণিত দুআ সমূহও অন্তর্ভুক্ত

রুকিয়াহ শাব্দিক অর্থ বিবেচনায় রক্বী রুকিয়াহ পড়ে রোগীকে ঝাড়ফুঁক করতে পারে আবার ঝাড়ফুঁক না করলেও সমস্যা নেই

স্বাস্থ্যবিধিসমূহ পালন করার মাধ্যমে এবং ঔষধ সুপথ্য গ্রহণের দ্বারা ইসলাম যেমন রোগ নিরাময়ের পরামর্শ দান করেছে তেমনি বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে দোয়া বা মন্ত্র পাঠের সাহায্যেও রোগ সারানোর অনুমতি দান করেছে। যেসব ক্ষেত্রে ঔষধ-পথ্য কোন উপকারে আসে না, বিশেষতঃ সেই সব ক্ষেত্রে ঝাড়ফুঁকের দ্বারা চিকিৎসা গ্রহণ করতে কোন আপত্তি নেই বরং ঐসব ক্ষেত্রে ঝাড়ফুঁক দ্বারা চিকিৎসা গ্রহণ করাই বাঞ্ছনীয় বা বেশী উপযোগী। 

তবে এ প্রসঙ্গে স্মরণীয় ও লক্ষণীয় কথা হচ্ছে, দোয়া বা মন্ত্রের বাক্য যেন শরীয়ত গর্হিত কোন কথা না থাকে। যেমন, যাদু-মন্ত্র, শির্কমূলক বাক্য, জ্যোতিষ শ্বাস্ত্রের নির্দেশমত শরীয়ত-নিষিদ্ধ তিথি ও ক্ষণ পালন ইত্যাদি। এগুলিকে ইসলাম স্বীকৃতি দেয়নি বরং এগুলো কঠোরভাবে নিষিদ্ধ ও হারাম বলে বিঘোষিত হয়েছে। নীচের হাদীসটি বুঝতে চেষ্টা করুনঃ

আউফ বিন মালিক(রাঃ) বলেন যে, আমরা জাহেলী যুগে মন্ত্রাদি পাঠ করতাম। তাই ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হওয়ার পর আমরা জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রসূল! ঐসব মন্ত্রের ব্যাপারে আপনার অভিমত কি?'

রাসূল() বললেন, 'তোমাদের মন্ত্রগুলি আমার কাছে পেশ করোযতক্ষণ ঐগুলিতে শির্কমূলক কোন বাক্য থাকবে না, ততক্ষণ সেগুলির ব্যবহারে আমার আপত্তি নেই।' [মুসলিম, মিশকাত ৮৮ পৃঃ]

অতএব যে দোয়া বা মন্ত্রে দেব-দেবী, জ্বিন-ভূত, অথবা কোন পীর-ওলীর নাম কিংবা তাদের নিকট সাহায্য প্রার্থনা করার মত কোন বাক্য থাকবে না, সে সব মন্ত্র পাঠে কোন দোষ নেই। আবার যেসব মন্ত্রের অর্থ বোধগম্য নয়, সেই সব মন্ত্র পাঠ থেকেও তফাতে থাকা দরকার। কারণ, সে গুলোতে হয়ত নিষিদ্ধ কোন ব্যাপার থাকতে পারে- এই আশংকায়

 🔴পক্ষান্তরে যে সব মন্ত্রে নিষিদ্ধ কোন বাক্য থাকবে না, সে গুলি ব্যবহার করতে কোন বারণ নেই। নীচের দু’টি হাদীসে তার প্রমাণ রয়েছেঃ

.আয়েশা(রাঃ) বলেন, যে, রাসূলুল্লাহ() আমাদেরকে বদ-নজরের কুফল দূর করনার্থে মন্ত্রপাঠ করতঃ ঝাড়ফুঁক করতে নির্দেশ দান করেছেন। [বুখারী, মুসলিম, মিশকাত, ৩৮৮ পৃঃ ]

.আনাস(রাঃ) বলেন, “রাসূলুল্লাহ() নজর-দোষ, বিষাক্ত জন্তুর দংশন এবং দূষিত ঘা সারাবার নিমিত্তে ঝাড়ফুঁক করতে অনুমতি দান করেছেন।” [মুসলিম, মিশকাত- ৩৮৮ পৃঃ]

সর্বপ্রকার রোগ ব্যাধিতে দোয়া ও মন্ত্রপাঠের সাহায্য গ্রহণ করা যেতে পারে। কিন্তু অন্যান্য ব্যাধি অপেক্ষা উপরোক্ত তিনটি ব্যাধির ক্ষেত্রে মন্ত্রপাঠ বেশী ক্রিয়াশীল এবং মন্ত্রপাঠের সুফল বেশী পরিলক্ষিত হয় বলে হাদীসে তিনটির উল্লেখ নির্দিষ্ট হয়েছে।

দোয়া-মন্ত্র লিখে ধৌত করে সেই পানি পান করা অথবা মন্ত্র পড়ে ঝাড়ফুঁক করা অবৈধ নয়; বরং হাদীস সম্মত জিনিস। কিন্তু লিখে তাবিজ করে হাতে অথবা গলায় লটকানো ঠিক নয়। এ মর্মে একটি হাদীস লক্ষ্য করুনঃ

আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ(রাঃ)-এর সহধর্মিনী হযরত যয়নাব(রাঃ) বলেন, একদা আমার গলায় সুতো লটকানো দেখে আব্দুল্লাহ বলেছিলেন যে, তোমার গলায় এটা কি? আমি বললাম, 'এটা একটি সুতো, এতে মন্ত্র পাঠ করা হয়েছে।' ইহা শুনে আব্দুল্লাহ সুতোটিকে ধরে ছিড়ে ফেলেছিলেন এবং বলেছিলেন, 'আব্দুল্লাহর পরিবার শির্ক থেকে এ যাবৎ বিরত আছে, আর তোমার এটা কি? এটা যে শির্কের পর্যায়ভুক্ত! আমি নবী করীম()-এর নিকট স্বকর্ণে(নিজের কানে) শ্রবণ করেছি। তিনি বলেছেন “নিষিদ্ধ দোয়া-মন্ত্র, হাতে-গলায় তাবিজ লটকানো এবং যাদু মন্ত্র এ সবই শির্কের অন্তর্ভুক্ত। [আবু দাউদ, মিশকাত ৩৮৯ পৃঃ]

আল্লাহর নাবী() বলেন, “কবজ, বালা নোয়া ইত্যাদি ব্যবহারে লাভ তো কিছুই হয় না বরং ক্ষতিই হয়।” [আহমাদঃ ৪:৪৫, ইবনে মাজাহঃ ৩৫৩১]

যে সমস্ত তাবিজ নক্সা বানিয়ে সংখ্যা দ্বারা লিখা হয়, কোন ফিরিস্তা, জ্বীন কিংবা শয়তানের নাম দ্বারা তৈরী করা হয় অথবা কোন তেলেস্মতি জাদুবিদ্যার সাহায্য নিয়ে অথবা কোন ধাতু, পশু-পাখীর হাড়, লোম বা পালক কিংবা গাছের শিকড় দিয়ে বানানো হয়, তা ব্যবহার করা নিঃসন্দেহে শির্ক।

অবশ্য কুরআনী আয়াত দ্বারা লিখিত তাবিজ প্রসঙ্গে উলামাদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। তবে তাও ব্যবহার না করাটাই সঠিক। কারণ,

 প্রথমতঃ আল্লাহর রাসুল() তাবিজ ব্যবহারকে শির্ক বলেছেন। তাতে সমস্ত রকমেরই তাবিজ উদ্দিষ্ট হতে পারে।

দ্বিতীয়তঃ কুরআনী আয়াত দ্বারা লিখিত তাবিজ ব্যবহারকারী গলায়, হাতে কিংবা কোমরে বেঁধেই প্রস্রাব-পায়খানা করবে, স্ত্রী-মিলন করবে মহিলারা মাসিক অবস্থায় ও অন্যান্য অপবিত্রতায় ব্যবহার করবে। যাতে কুরআন মাজীদের অসম্মান ও অমর্যাদা হবে। আশ্চর্যের কথা যে ওদের মতে তাবিজ় বেঁধে মাড়াঘর বা আতুড়ঘর গেলে তাবিজ ছুত হয়ে যায়। কিন্তু অচ্ছুতের গায়ে এ তাবিজ কি করে ছুত না হয়ে থাকে।

তৃতীয়তঃ যদি এরূপ তাবিজ ব্যবহার বৈধ করা যায়, তাহলে অ-কুরআনী তাবিজও ব্যবহার করতে দেখা যাবে। তাই এই শির্কের মুলোৎপাটন করার মানসে তার ছিদ্রপথ বন্ধ করতে কুরআনী তাবিজ ব্যবহারও অবৈধ হবে।।

রুকিয়াহ সম্পর্কে এই খানেই শেষ। এডিটরঃ আমি রাসিকুল ইসলাম।

এইগুলি নেওয়া হয়েছে IRD,(আলহাদিস প্রজেক্সট PVT রুকিয়াহ অ্যাপস থেকে।

আর Apps গুলি হল- এবং আপনারা এই গুলি ব্যবহার করতে পারবেন।

.দোয়া ও রুকিয়াহ অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ

.আল হাদিস অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ

.কুরআন মাজিদ অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ

____________________________________________________________________________________________________________________

Ruqiyah Category: Part-01
1. Who is Ruqiyah?
✍ When a person recites the Qur'an by himself or someone else recites it to him with full trust in Allah in anticipation of healing from physical, mental, spiritual or jinn, magic and evil eye diseases, we call it Shar'i Ruqyah. Shari'i Ruqyah includes not only the Qur'an, but also the Du'as mentioned in the Hadith.
Considering the literal meaning of Ruqyah, the reciter can sweep the patient by reading Ruqyah and there is no problem if he does not sweep.

✍ Just as Islam has given advice to cure diseases by following the rules of hygiene and taking medicine, it has also allowed the cure of diseases with the help of prayers or mantras in certain cases. There is no objection to taking treatment by Jharfunk, especially in those cases where medicine is of no use, but in those cases it is preferable or more useful to take treatment by Jharfunk.

✍ However, in this context, it is important to remember and note that the words of prayers or mantras should not contain any words related to Shariat. For example, magic spells, Shirkal words, observance of Shariah-prohibited dates and times as directed by Jyotish Shastra etc. They are not recognized by Islam but are strictly prohibited and declared haram. Try to understand the hadith below:

✍Auf bin Malik (RA) said that we used to recite mantras during the Jahili period. So after being converted to Islam, we asked, O Messenger of Allah! What do you think about those spells?'

✍ Rasul (ﷺ) said, 'Present your mantras to me. I have no objection to their use as long as they do not contain any shirk words.' [Muslim, Mishkat 88 p.]
Therefore, there is no harm in reciting those mantras that do not contain the names of gods and goddesses, jinns, ghosts, or any pir-oli or asking them for help. Again, those mantras whose meaning is not understandable, should be kept apart from the recitation of those mantras. Because, they may contain some forbidden matter - in this apprehension.

🔴On the contrary, there is no prohibition to use those mantras which do not contain any prohibited words. There is proof of that in the following two hadiths:

✅ 1. Aisha (RA) said that the Messenger of Allah (ﷺ) used to recite mantras to remove the evil eye: He instructed us to blow. [Bukhari, Muslim, Mishkat, 388 p.]
✅ 2. Anas (RA) said, "The Messenger of Allah (ﷺ) permitted the use of sweepings for the treatment of evil eyes, stings of poisonous animals and infected wounds." [Muslim, Mishkat- 388 p.]
All kinds of ailments can be helped by prayers and mantras. But in the case of the above three diseases, mantra reading is more effective than other diseases and the benefits of mantra reading are more observed in the hadith.
It is not illegal to drink the water after chanting a mantra or to wash it after chanting a mantra; Rather, it is something according to the hadith. But it is not right to write a talisman on the hand or hang it around the neck. Note a hadith to this effect:

✍ Hazrat Zainab (RA), the wife of Abdullah Ibn Masood (RA) said, Abdullah once saw a thread hanging around my neck and said, "What is this on your neck?" I said, 'It is a thread, on which mantras are recited.' Hearing this, Abdullah grabbed the thread and tore it and said, 'Abdullah's family has abstained from Shirk, and what is yours? It belongs to the stage of shirk! I heard it from the Prophet (ﷺ) with my own ears. He said, “Prohibited invocations, hanging amulets on the hands and necks and magic spells are all included in Shirk. [Abu Dawud, Mishkat p. 389]

✍ The Prophet of Allah (ﷺ) said, "The use of charms, bala noa, etc. does not gain anything, but only causes harm." [Ahmad: 4:45, Ibn Majah: 3531]

Any talisman which is designed and written with numbers, which is made with the name of an angel, jinn or devil or with the help of telesmathi magic or made of any metal, bone of animal or bird, hair or feather or root of a tree, is certainly to be used. shirk
However, there is a difference of opinion among the scholars regarding amulets written by Quranic verses. But it is also correct not to use it. because,

First: The Messenger of Allah (ﷺ) called the use of amulets shirk. It can refer to all kinds of amulets.
✅Secondly, the talisman written by the Qur'anic verse will be tied around the neck, hand or waist for urinating, sexual intercourse, menstruating women and other impurity. So that the Qur'anic sages will be dishonored and dishonored. It is surprising that according to them, if the talisman is tied to a shrine or a shrine, the talisman falls off. But how does this talisman not fall on the untouchable.
✅Third: If the use of such amulets can be legalized, then non-Qur'anic amulets will also be seen to be used. Therefore, the use of Qur'anic talismans to close the portals of this shirk will also be illegal.
This is the end of the story about Ruqiyah. Editor: I am Rasiqul Islam.

These are taken from IRD, (Alhadis Project PVT Ruqiyah Apps.
And Apps are – and you can use these.
1. Dua and Ruqiyah Android App
2.Al Hadith Android App
3. Quran Majeed Android App

Post a Comment

0 Comments