قَالَ سَمِعْتُ عِتْبَانَ بْنَ مَالِكٍ الأَنْصَارِيَّ، ثُمَّ أَحَدَ بَنِي سَالِمٍ قَالَ غَدَا عَلَىَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " لَنْ يُوَافِيَ عَبْدٌ يَوْمَ الْقِيَامَةِ يَقُولُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ. يَبْتَغِي بِهِ وَجْهَ اللَّهِ، إِلاَّ حَرَّمَ اللَّهُ عَلَيْهِ النَّارَ ".
তিনি বলেন, ইতবান
ইবনু মালিক আনসারীকে, অতঃপর বানী সালিমের এক লোককে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সকালে আমার নিকট এলেন এবং বললেন, আল্লাহর সন্তুষ্টি
কামনায় যে ব্যক্তি ’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্’ বলবে এবং এ বিশ্বাস সহকারে কিয়ামতের দিন
উপস্থিত হবে, আল্লাহ্ তার উপর জাহান্নাম হারাম করে দেবেন।[1]
[সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)৬৪২৩. [৪২৪]
(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৯৭৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৯৮০)]
যেমন,
রাসূল (সাঃ) তাঁর বাড়ীতে প্রবেশ করেন। সালাত আদায় করেন। তাদের নিকট অপেক্ষার করার আবদার
করেন। অবশেষে তারা তাকে পানাহার করান।
তিনি মালেক বিন দাখশাম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন ইত্যাদি। সব শেষে হাদীসে উল্লেখিত কথাটি বলেন।(ফাতহুল বারী)
মক্কা নগরীর লোকেরা আল্লাহকে সৃষ্টিকর্তা হিসাবে মানলেও
তিনিই যে একমাত্র ইলাহ, যাবতীয় ইবাদাত বন্দেগী লাভের একমাত্র মাবূদ (উপাস্য), সকল ক্ষমতার
একচ্ছত্র অধিকারী, আইন দাতা, বুদ্ধিদাতা, বিপদে উদ্ধারকর্তা, একমাত্র হুকুম-বিধান দাতা
এটা তারা স্বীকার করত না। তারা নানান দেবদেবীর পূজা করত এবং বিশ্ব পরিচালনায় সে সব
দেবদেবীকে আল্লাহর অংশীদার মনে করত।
তাই
আল্লাহ তাআলা তাঁর নাবীর মাধ্যমে জানিয়ে দিলেন, যারা আল্লাহকে একমাত্র ইলাহ বলে স্বীকার
করে নিবে এবং এ বিশ্বাসের উপর অটল থেকে শির্কমুক্ত অবস্থায় মারা যাবে, জাহান্নাম তাদের
জন্য হারাম করে দেয়া হবে।
নবুয়তের
প্রাথমিক অবস্থায় সালাত, সওম, হজ্জ, যাকাত কিছুই ফরয করা হয়নি। সে সময়ে আল্লাহকে একমাত্র
ইলাহ হিসাবে বিশ্বাস করে নেয়াই ছিল বড় কঠিন ব্যাপার।
তাই
তখন তাওহীদের প্রতি ঈমান আনাই জান্নাতে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল।
অতঃপর
যখন উক্ত ইবাদাতগুলো ফরয হিসাবে বিধিবদ্ধ করা হল, তখন শুধুমাত্র ‘আল্লাহ্ ব্যতীত সত্য
কোন মাবূদ নেই’ এর স্বীকৃতি প্রদানই জান্নাতে প্রবেশের জন্য আর যথেষ্ট থাকল না।
অতএব
এখন আল্লাহর তাওহীদে বিশ্বাস করার অর্থই হল তাঁর যাবতীয় নির্দেশকে মান্য করা। তবে বর্তমানে
কেউ যদি নতুনভাবে ইসলাম কবূল করে কোন ফরয ইবাদাত কার্যকর করার আগেই তার মৃত্যু হয়ে
যায়, সে ক্ষেত্রে এ হাদীস প্রযোজ্য হবে।
তাওহীদে বিশ্বাসী কোন লোক যদি এমন অবস্থা ও পরিবেশে বাস করেন যেখানে কোন ফরয এবাদত করা একেবারেই অসম্ভব তবে সেক্ষেত্রেও এ হাদীস প্রযোজ্য হতে পারে। আল্লাহই ভাল জানেন।
0 Comments