তাওহীদ ও শির্ক বিষয়ক হাদীসসমূহ>>
(১) মুআয বিন জাবাল (রাঃ) বলেন, একদা আমি উফাইর নামক এক গাধার পিঠে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পিছনে সওয়ার ছিলাম। তিনি বললেন, ‘‘হে মুআয! তুমি কি জান, বান্দার উপর আল্লাহর অধিকার এবং আল্লাহর উপর বান্দার অধিকার কি?’’ আমি বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রসূল অধিক জানেন। তিনি বললেন, ‘‘বান্দার উপর আল্লাহর অধিকার হল এই যে, বান্দা একমাত্র তাঁরই ইবাদত করবে এবং তাঁর সাথে কোন কিছুকে শরীক করবে না। আর আল্লাহর উপর বান্দার অধিকার হল এই যে, তাঁর সাথে যে কোন কিছু কে শরীক করে না তাকে আযাব না দেওয়া।’’ (বুখারী হা. ২৮৫৬, মুসলিম হা. ১৫৩)
عَن مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ قَالَ كُنْتُ رِدْفَ رَسُولِ اللهِ ﷺ عَلَى حِمَارٍ يُقَالُ لَهُ عُفَيْرٌ قَالَ فَقَالَ يَا مُعَاذُ تَدْرِىْ مَا حَقُّ اللهِ عَلَى الْعِبَادِ وَمَا حَقُّ الْعِبَادِ عَلَى اللهِ قَالَ قُلْتُ اللهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ قَالَ فَإِنَّ حَقَّ اللهِ عَلَى الْعِبَادِ أَنْ يَّعْبُدُوا اللهَ وَلاَ يُشْرِكُوا بِهِ شَيْئًا وَحَقُّ الْعِبَادِ عَلَى اللهِ عَزَّ وَجَلَّ أَنْ لَّا يُعَذِّبَ مَنْ لَّا يُشْرِكُ بِهِ شَيْئًا
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
عَن مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ قَالَ كُنْتُ رِدْفَ رَسُولِ اللهِ ﷺ عَلَى حِمَارٍ يُقَالُ لَهُ عُفَيْرٌ قَالَ فَقَالَ يَا مُعَاذُ تَدْرِىْ مَا حَقُّ اللهِ عَلَى الْعِبَادِ وَمَا حَقُّ الْعِبَادِ عَلَى اللهِ قَالَ قُلْتُ اللهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ قَالَ فَإِنَّ حَقَّ اللهِ عَلَى الْعِبَادِ أَنْ يَّعْبُدُوا اللهَ وَلاَ يُشْرِكُوا بِهِ شَيْئًا وَحَقُّ الْعِبَادِ عَلَى اللهِ عَزَّ وَجَلَّ أَنْ لَّا يُعَذِّبَ مَنْ لَّا يُشْرِكُ بِهِ شَيْئًا
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
===========================
(২) উসমান (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘যে ব্যক্তি ‘আল্লাহ ছাড়া কেউ সত্য উপাস্য নেই’ এ কথা জানা অবস্থায় মারা যাবে, সে জান্নাত প্রবেশ করবে।’’ (মুসলিম ১৪৫, আহমাদ ৪৬৪)
عَن عُثْمَانَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ مَنْ مَاتَ وَهُوَ يَعْلَمُ أَنَّهُ لَا إِلٰهَ إِلاَّ اللهُ دَخَلَ الْجَنَّةَ
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
===========================
(৩) মুআয বিন জাবাল (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘যার শেষ কথা ‘লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ হবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।’’ (আহমাদ ২২০৩৪, ২২১২৭, আবূ দাঊদ ৩১১৮, হাকেম ১২৯৯, সহীহুল জামে’ ৬৪৭৯)
عَن مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ مَنْ كَانَ آخِرُ كَلاَمِهِ لَا إِلٰهَ إِلاَّ اللهُ دَخَلَ الْجَنَّةَ
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
===========================
(৪) মুআয (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘যে ব্যক্তি সত্য-চিত্তে (ইখলাসের সাথে) ‘‘আশহাদু আল্লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহু, অআন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ’’ বলবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।’’ (আহমাদ ২২০০৩, বাইহাক্বীর শুআবুল ঈমান ৭, সিঃ সহীহাহ ২২৭৮)
عَن مُعَاذٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ مَنْ مَاتَ وَهُوَ يَشْهَدُ أَنْ لَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللهِ صَادِقًا مِنْ قَلْبِهِ دَخَلَ الْجَنَّةَ
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
===========================
(৫) মুসাইয়িব (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পিতৃব্য আবু তালেবের যখন মরণকাল উপস্থিত হয়, তখন তিনি তাঁকে বলেছিলেন, ‘হে পিতৃব্য! আপনি ‘লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলুন -এটা এমন এক কালিমা যাকে আল্লাহর নিকট আপনার (মুক্তির) জন্য দলীল স্বরূপ পেশ করব।’ (বুখারী ৩৮৮৪, ৪৭৭২, ৬৬৮১)
عَن الْمُسَيَّبِ أَنَّ أَبَا طَالِبٍ لَمَّا حَضَرَتْهُ الْوَفَاةُ دَخَلَ عَلَيْهِ النَّبِيُّ ﷺ وَعَندَهُ أَبُو جَهْلٍ فَقَالَ أَيْ عَمِّ قُلْ لَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ كَلِمَةً أُحَاجُّ لَكَ بِهَا عَندَ اللهِ
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
===========================
(৬) আবূ মালিক তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করে বলেন, আমি শুনেছি, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ (আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই) বলবে এবং আল্লাহ ব্যতীত পূজ্যমান যাবতীয় ব্যক্তি ও বস্ত্তকে অসবীকার ও অমান্য করবে, তার জান ও মাল অবৈধ হয়ে যাবে। (অর্থাৎ সে ইসলামী রাষ্ট্রে নিরাপত্তা লাভ করবে।) আর তার হিসাব আল্লাহর উপর।’’ (মুসলিম ১৩৯)
عَن أَبِى مَالِكٍ عَنْ أَبيْهِ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ ﷺ يَقُولُ مَنْ قَالَ لَا إِلٰهَ إِلاَّ اللهُ وَكَفَرَ بِمَا يُعْبَدُ مِنْ دُوْنِ اللهِ حَرُمَ مَالُهُ وَدَمُهُ وَحِسَابُهُ عَلَى اللهِ
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
===========================
===========================
(৭) আনাস বিন মালিক (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘(পরকালে) আল্লাহ বলবেন, সেই ব্যক্তিকে জাহান্নাম থেকে বের কর, যে ‘লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলেছে এবং তার হৃদয়ে যবের দানা পরিমাণ মঙ্গল (ঈমান) আছে। সেই ব্যক্তিকেও জাহান্নাম থেকে বের কর, যে ‘লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলেছে এবং তার হৃদয়ে অণু (বা ভুট্টা) পরিমাণ মঙ্গল (ঈমান) আছে। আর সেই ব্যক্তিকেও জাহান্নাম থেকে বের কর, যে ‘লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলেছে এবং তার হৃদয়ে গমের দানা পরিমাণ মঙ্গল (ঈমান) আছে’’ (আহমাদ ৩/২৭৬, তিরমিযী ২৫৯৩, এ হাদীসের মূল রয়েছে সহীহায়নে)
عَن أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ أَخْرِجُوا مِنْ النَّارِ مَنْ قَالَ لَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ مَنْ كَانَ فِي قَلْبِهِ مِنَ الْخَيْرِ مَا يَزِنُ شَعِيرَةً أَخْرِجُوا مِنَ النَّارِ مَنْ قَالَ لَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ مَنْ كَانَ فِي قَلْبِهِ مِنَ الْخَيْرِ مَا يَزِنُ ذَرَّةً أَخْرِجُوا مِنَ النَّارِ مَنْ قَالَ لَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ مَنْ كَانَ فِي قَلْبِهِ مِنَ الْخَيْرِ مَا يَزِنُ بُرَّةً
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
===========================
(৮) আব্দুল্লাহ বিন আমর বিন আস (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘(কিয়ামতের দিন) আল্লাহ আমার উম্মতের একটি লোককে বেছে নিয়ে তার সামনে নিরানব্বইটি (আমল-নামা) রেজিষ্টার বিছিয়ে দেবেন; প্রত্যেকটি রেজিষ্টার দৃষ্টি বরাবর লম্বা! অতঃপর তাকে জিজ্ঞাসা করবেন, ‘তুমি কি লিখিত পাপের কোন কিছু অস্বীকার কর? আমার আমল সংরক্ষক ফিরিশতা কি তোমার প্রতি কোন অন্যায় করেছে?’ লোকটি বলবে, ‘না, হে আমার প্রতিপালক!’ আল্লাহ বলবেন, তোমার কি কোন পেশ করার মত ওযর আছে অথবা তোমার কি কোন নেকী আছে?’ লোকটি হতবাক হয়ে বলবে, ‘না, হে আমার প্রতিপালক!’ আল্লাহ বলবেন, ‘অবশ্যই আমাদের কাছে তোমার একটি নেকী আছে। আর আজ তোমার প্রতি কোন প্রকার অবিচার করা হবে না।’ অতঃপর একটি কার্ড বের করা হবে, যাতে লেখা থাকবে, ‘আশহাদু আল লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ অআন্না মুহাম্মাদান আবদুহু অরসূলুহ।’ আল্লাহ মীযান (দাঁড়িপাল্লা) আনতে আদেশ করবেন। লোকটি বলবে, ‘হে আমার প্রতিপালক! এতগুলি বড় বড় রেজিষ্টারের কাছে এই কার্ডটির ওজন আর কী হবে?’ আল্লাহ বলবেন, ‘তোমার প্রতি অবিচার করা হবে না।’ অতঃপর রেজিষ্টারগুলোকে দাঁড়ির এক পাল্লায় এবং ঐ কার্ডটিকে অন্য পাল্লায় চড়ানো হবে। দেখা যাবে, রেজিষ্টারগুলোর ওজন হাল্কা এবং কার্ডটির ওজন ভারী হয়ে গেছে! যেহেতু আল্লাহর নামের চেয়ে অন্য কিছু ভারী নয়।’’ (আহমাদ ৬৯৯৪, তিরমিযী ২৬৩৯, ইবনে মাজাহ ৪৩০০, হাকেম১/৪৬)
===========================
(৮) আব্দুল্লাহ বিন আমর বিন আস (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘(কিয়ামতের দিন) আল্লাহ আমার উম্মতের একটি লোককে বেছে নিয়ে তার সামনে নিরানব্বইটি (আমল-নামা) রেজিষ্টার বিছিয়ে দেবেন; প্রত্যেকটি রেজিষ্টার দৃষ্টি বরাবর লম্বা! অতঃপর তাকে জিজ্ঞাসা করবেন, ‘তুমি কি লিখিত পাপের কোন কিছু অস্বীকার কর? আমার আমল সংরক্ষক ফিরিশতা কি তোমার প্রতি কোন অন্যায় করেছে?’ লোকটি বলবে, ‘না, হে আমার প্রতিপালক!’ আল্লাহ বলবেন, তোমার কি কোন পেশ করার মত ওযর আছে অথবা তোমার কি কোন নেকী আছে?’ লোকটি হতবাক হয়ে বলবে, ‘না, হে আমার প্রতিপালক!’ আল্লাহ বলবেন, ‘অবশ্যই আমাদের কাছে তোমার একটি নেকী আছে। আর আজ তোমার প্রতি কোন প্রকার অবিচার করা হবে না।’ অতঃপর একটি কার্ড বের করা হবে, যাতে লেখা থাকবে, ‘আশহাদু আল লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ অআন্না মুহাম্মাদান আবদুহু অরসূলুহ।’ আল্লাহ মীযান (দাঁড়িপাল্লা) আনতে আদেশ করবেন। লোকটি বলবে, ‘হে আমার প্রতিপালক! এতগুলি বড় বড় রেজিষ্টারের কাছে এই কার্ডটির ওজন আর কী হবে?’ আল্লাহ বলবেন, ‘তোমার প্রতি অবিচার করা হবে না।’ অতঃপর রেজিষ্টারগুলোকে দাঁড়ির এক পাল্লায় এবং ঐ কার্ডটিকে অন্য পাল্লায় চড়ানো হবে। দেখা যাবে, রেজিষ্টারগুলোর ওজন হাল্কা এবং কার্ডটির ওজন ভারী হয়ে গেছে! যেহেতু আল্লাহর নামের চেয়ে অন্য কিছু ভারী নয়।’’ (আহমাদ ৬৯৯৪, তিরমিযী ২৬৩৯, ইবনে মাজাহ ৪৩০০, হাকেম১/৪৬)
عَن عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ يَقُولُ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ الله عَزَّ وَجَلَّ يَسْتَخْلِصُ رَجُلاً مِنْ أُمَّتِي عَلَى رُؤُوسِ الْخَلاَئِقِ يَوْمَ الْقيَامَةِ فَيَنْشُرُ عَلَيْهِ تِسْعَةً َوتسْعِينَ سِجِلاًّ كُلُّ سِجِلٍّ مَدُّ الْبَصَرِ ثُمَّ يَقُولُ لَهُ : أَتُنْكِرُ مِنْ هَذَا شَيْئًا ؟ أَظَلَمَتْكَ كَتَبَتِي الْحَافِظونَ ؟ قَالَ : لاَ يَا رَبِّ فَيَقُولُ : أَلَكَ عُذْرٌ أَوْ حَسَنَةٌ ؟ فَيُبْهَتُ الرَّجُلُ فَيَقُوْلُ : لاَ يَا رَبِّ فَيَقُولُ بَلَى إِنَّ لَكَ عَندَنَا حَسَنَةً وَاحِدَةً لاَظُلْمَ الْيَوْمَ عَلَيْكَ فَتُخْرَجُ لَهُ بِطَاقَةٌ فِيهَا أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلٰهَ إلاَّ الله وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ فَيَقُولُ : أَحْضِرُوهُ فَيَقُولُ : يَارَبِّ مَا هَذِهِ الْبِطَاقَةُ مَعَ هَذِهِ السِّجِلاَّتِ ؟ فَيُقَالُ : إِنَّكَ لاَ تُظْلَمُ قَالَ : فَتُوضَعُ السِّجِلاتُ فِي كِفَّةٍ قَال : فَطَاشَتِ السِّجِلاَّتُ وَثَقُلَتِ الْبِطَاقَةُ وَلاَ يَثْقُلُ معَ اسْمِ اللهِ شَيْءٌ
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
===========================
(৯) আব্দুল্লাহ বিন আমর (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘নূহ (আঃ) মৃত্যুর সময় তাঁর দুই ছেলেকে অসিয়ত করে বললেন, —আমি তোমাকে ‘লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ (বলার) আদেশ করছি। যেহেতু যদি সাত আসমান এবং সাত যমীনকে দাঁড়িপাল্লার এক পাল্লায় রাখা হয় এবং ‘লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ’কে অপর পাল্লায় রাখা হয়, তাহলে ‘লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র পাল্লা বেশী ভারী হবে। যদি সাত আসমান এবং সাত যমীন নিরেট গোলাকার বস্ত্ত হয়, তাহলেও ‘লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ তা চূর্ণবিচূর্ণ করে দেবে।—’’ (আহমাদ ৭১০১, ত্বাবরানী, বায্যার, মাজমাউয যাওয়াইদ ৪/২১৯, সিঃ সহীহাহ ১৩৪)
عَن عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ إِنَّ نُوحًا عَلَيْهِ السَّلَام لَمَّا حَضَرَتْهُ الْوَفَاةُ دَعَا ابْنَيْهِ فَقَالَ إِنِّي قَاصِرٌ عَلَيْكُمَا الْوَصِيَّةَ آمُرُكُمَا بِاثْنَتَيْنِ وَأَنْهَاكُمَا عَن اثْنَتَيْنِ أَنْهَاكُمَا عَن الشِّرْكِ وَالْكِبْرِ وَآمُرُكُمَا بِلَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ فَإِنَّ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضَ وَمَا فِيهِمَا لَوْ وُضِعَتْ فِي كِفَّةِ الْمِيزَانِ وَوُضِعَتْ لَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ فِي الْكِفَّةِ الْأُخْرَى كَانَتْ أَرْجَحَ وَلَوْ أَنَّ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضَ كَانَتَا حَلْقَةً فَوُضِعَتْ لَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ عَلَيْهَا لَفَصَمَتْهَا أَوْ لَقَصَمَتْهَا
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
===========================
===========================
(১০) জাবের (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘যে ব্যক্তি কোন কিছুকে আল্লাহর শরীক (শির্ক) না করে মারা যাবে, সে ব্যক্তি জান্নাত্ প্রবেশ করবে। আর যে ব্যক্তি কোন কিছুকে আল্লাহর শরীক (শির্ক) করে মারা যাবে, সে ব্যক্তি দোযখ প্রবেশ করবে।’’ (মুসলিম ২৭৯)
عَنْ جَابِرٍ قَالَ قَالَ النَّبِىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ مَاتَ لاَ يُشْرِكُ بِاللهِ شَيْئًا دَخَلَ الْجَنَّةَ وَمَنْ مَاتَ يُشْرِكُ بِاللهِ شَيْئًا دَخَلَ النَّارَ
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
===========================
===========================
(১১) আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘সাতটি সর্বনাশী কর্ম হতে দূরে থাক।’’ সকলে বলল, ‘হে আল্লাহর রসূল! তা কী কী?’ তিনি বললেন, ‘‘আল্লাহর সাথে শির্ক করা, যাদু করা, ন্যায় সঙ্গত অধিকার ছাড়া আল্লাহ যে প্রাণ হত্যা করা হারাম করেছেন তা হত্যা করা, সূদ খাওয়া, এতীমের মাল ভক্ষণ করা, (যুদ্ধক্ষেত্র হতে) যুদ্ধের দিন পলায়ন করা এবং সতী উদাসীনা মুমিনা নারীর চরিত্রে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া।’’ (বুখারী ২৭৬৬, ৬৮৫৭, মুসলিম ২৭২, আবূ দাউদ, নাসাঈ)
عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ قَالَ اجْتَنِبُوا السَّبْعَ الْمُوبِقَاتِ قِيلَ يَا رَسُولَ اللهِ وَمَا هُنَّ قَالَ الشِّرْكُ بِاللهِ وَالسِّحْرُ وَقَتْلُ النَّفْسِ الَّتِى حَرَّمَ اللهُ إِلاَّ بِالْحَقِّ وَأَكْلُ مَالِ الْيَتِيمِ وَأَكْلُ الرِّبَا وَالتَّوَلِّى يَوْمَ الزَّحْفِ وَقَذْفُ الْمُحْصَنَاتِ الْغَافِلاَتِ الْمُؤْمِنَاتِ
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
===========================
===========================
(১২) আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, ‘‘তোমার নিকটতম স্বজনবর্গকে তুমি সতর্ক ক’রে দাও।’’ (শুআ’রাঃ ২১৪) এই আয়াত যখন অবতীর্ণ হল, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর আত্মীয় ও বংশকে সম্বোধন করে বললেন, ‘‘হে কুরাইশদল! তোমরা আল্লাহর নিকট নিজেদেরকে বাঁচিয়ে নাও, আমি তোমাদের ব্যাপারে আল্লাহর নিকট কোন উপকার করতে পারব না। হে বানী আব্দুল মুত্তালিব! আমি আল্লাহর দরবারে তোমাদের কোন উপকার করতে পারব না। হে (চাচা) আব্বাস বিন আব্দুল মুত্তালিব! আমি আল্লাহর দরবারে আপনার কোন কাজে আসব না। হে আল্লাহর রসূলের ফুফু সাফিয়্যাহ! আমি আপনার জন্য আল্লাহর দরবারে কোন উপকারে আসব না। হে আল্লাহর রসূলের বেটী ফাতেমা! আমার কাছে যে ধন-সম্পদ চাইবে চেয়ে নাও, আমি আল্লাহর কাছে তোমার কোন উপকার করতে পারব না।’’ (বুখারী ৩৫২৭, মুসলিম ৫২২, ৫২৫)
عَنْ أَبيْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ حِينَ أُنْزِلَ عَلَيْهِ (وَأَنْذِرْ عَشِيرَتَكَ الأَقْرَبِينَ) يَا مَعْشَرَ قُرَيْشٍ اشْتَرُوا أَنْفُسَكُمْ مِنَ اللهِ لاَ أُغْنِى عَنكُمْ مِنَ اللهِ شَيْئًا يَا بَنِى عَبْدِ الْمُطَّلِبِ لاَ أُغْنِى عَنكُمْ مِنَ اللهِ شَيْئًا يَا عَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ لاَ أُغْنِى عَنكَ مِنَ اللهِ شَيْئًا يَا صَفِيَّةُ عَمَّةَ رَسُولِ اللهِ لاَ أُغْنِى عَنكِ مِنَ اللهِ شَيْئًا يَا فَاطِمَةُ بِنْتَ رَسُولِ اللهِ سَلِينِى بِمَا شِئْتِ لاَ أُغْنِى عَنكِ مِنَ اللهِ شَيْئًا
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
===========================
(১৩) ইবনে আব্বাস কর্তৃক বর্ণিত, একদা এক ব্যক্তি কোন ব্যাপারে তাঁকে বলল, ‘আল্লাহ ও আপনি যা চেয়েছেন (তাই হয়েছে)।’ তা শুনে তিনি বললেন, ‘‘তুমি তো আল্লাহর সঙ্গে আমাকে শরীক (বা সমকক্ষ) করে ফেললে! না; বরং আল্লাহ একাই যা চেয়েছেন, তাই হয়েছে।’’ (আহমাদ ১৮৩৯, বুখারীর আদব ৭৮৩, ইবনে মাজাহ ২১১৭, বাইহাক্বী ৫৬০৩, সিঃ সহীহাহ ১৩৯)
عَن ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ رَجُلًا قَالَ لِلنَّبِيِّ ﷺ مَا شَاءَ اللهُ وَشِئْتَ فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ ﷺ أَجَعَلْتَنِي وَاللهِ عَدْلًا بَلْ مَا شَاءَ اللهُ وَحْدَهُ
হাদিসের মানঃ সহিহ
=========================
=========================
(১৪) উবাদাহ বিন সবামেত কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘মরণের পূর্বে কখনই তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে দেখতে পাবে না।’’ (আহমাদ ২২৭৬৪, নাসাঈর কুবরা ৭৭৬৪, সহীহুল জামে’ ২৪৫৯)
عَن عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ وأنكمْ لنْ تَرَوْا رَبَّكمْ حَتَّى تَمُوتوا
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
===========================
===========================
(১৫) উমার (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘তোমরা আমাকে নিয়ে (আমার তা’যীমে) বাড়াবাড়ি করো না, যেমন খ্রিষ্টানরা ঈসা ইবনে মারয়্যামকে নিয়ে করেছে। আমি তো আল্লাহর দাস মাত্র। অতএব তোমরা আমাকে আল্লাহর দাস ও তাঁর রসূলই বলো।’’ (বুখারী, ৩৪৪৫, মিশকাত ৪৮৯৭)
عَن عُمَرَ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا تُطْرُونِي كَمَا أَطْرَتِ النَّصَارَى ابْنَ مَرْيَمَ فَإِنَّمَا أَنَا عَبْدُهُ فَقُولُوا عَبْدُ اللهِ وَرَسُولُهُ
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
===========================
(১৬) আবূ হুরাইরা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘—কিয়ামতে লোকেরা সবাই সুপারিশের জন্য আদম, নূহ, ইব্রাহীম, মূসা ও ঈসা নবীর কাছে যাবে। তাঁরা একে একে সকলে ওযর পেশ করলে অবশেষে লোকেরা শেষনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে বলবে, ‘হে মুহাম্মাদ! আপনি আল্লাহর রসূল। আপনি আখেরী নবী। আল্লাহ আপনার পূর্বাপর যাবতীয় গুনাহ মাফ করে দিয়েছেন। অতএব আপনি আমাদের জন্য আপনার প্রতিপালকের কাছে সুপারিশ করুন। আপনি কি দেখছেন না, আমরা কি (ভয়াবহ) দুঃখ ও যন্ত্রণা ভোগ করছি।’ তখন তিনি চলে যাবেন এবং আরশের নীচে তাঁর প্রতিপালকের জন্য সিজদাবনত হবেন। অতঃপর আল্লাহ তাঁর প্রশংসা ও গুণগানের জন্য তাঁর হৃদয়কে এমন উন্মুক্ত করে দেবেন, যেমন ইতিপূর্বে আর কারো জন্য করেননি। অতঃপর আল্লাহ বলবেন, ‘হে মুহাম্মাদ! মাথা উঠাও, চাও, তোমাকে দেওয়া হবে। সুপারিশ কর, গ্রহণ করা হবে।’ তখন শেষনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাথা উঠিয়ে বলবেন, ‘‘আমার উম্মতকে (রক্ষা করুন) হে আমার প্রতিপালক! আমার উম্মতকে (রক্ষা করুন) হে প্রতিপালক! আমার উম্মতকে (রক্ষা করুন) হে প্রতিপালক!ž’’ (বুখারী ৩৩৪০, মুসলিম ৫০১)
عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ فَيَأْتُونِّى فَيَقُولُونَ يَا مُحَمَّدُ أَنْتَ رَسُولُ اللهِ وَخَاتَمُ الأَنْبِيَاءِ وَغَفَرَ اللهُ لَكَ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِكَ وَمَا تَأَخَّرَ اشْفَعْ لَنَا إِلَى رَبِّكَ أَلاَ تَرَى مَا نَحْنُ فِيهِ أَلاَ تَرَى مَا قَدْ بَلَغَنَا فَأَنْطَلِقُ فَآتِى تَحْتَ الْعَرْشِ فَأَقَعُ سَاجِدًا لِرَبِّى ثُمَّ يَفْتَحُ اللهُ عَلَىَّ وَيُلْهِمُنِى مِنْ مَحَامِدِهِ وَحُسْنِ الثَّنَاءِ عَلَيْهِ شَيْئًا لَمْ يَفْتَحْهُ لأَحَدٍ قَبْلِى ثُمَّ يُقَالُ يَا مُحَمَّدُ ارْفَعْ رَأْسَكَ سَلْ تُعْطَهْ اشْفَعْ تُشَفَّعْ فَأَرْفَعُ رَأْسِى فَأَقُولُ يَا رَبِّ أُمَّتِى أُمَّتِى
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
===========================
(১৭) ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, আমি একদা (সওয়ারীর উপর) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পিছনে (বসে) ছিলাম। তিনি বললেন, ‘‘ওহে কিশোর! আমি তোমাকে কয়েকটি (গুরুত্বপূর্ণ কথা( শিক্ষা দেব (তুমি সেগুলো স্মরণ রেখো)। তুমি আল্লাহর (বিধানসমূহের) রক্ষণাবেক্ষণ কর (তাহলে) আল্লাহও তোমার রক্ষণাবেক্ষণ করবেন। তুমি আল্লাহর (অধিকারসমূহ) স্মরণ রাখো, তাহলে তুমি তাঁকে তোমার সম্মুখে পাবে। যখন তুমি চাইবে, তখন আল্লাহর কাছেই চাও। আর যখন তুমি সাহায্য প্রার্থনা করবে, তখন একমাত্র আল্লাহর কাছেই সাহায্য প্রার্থনা কর। আর এ কথা জেনে রাখ যে, যদি সমস্ত উম্মত তোমার উপকার করার জন্য একত্রিত হয়ে যায়, তবে ততটুকুই উপকার করতে পারবে, যতটুকু আল্লাহ তোমার (ভাগ্যে) লিখে রেখেছেন। আর তারা যদি তোমার ক্ষতি করার জন্য একত্রিত হয়ে যায়, তবে ততটুকুই ক্ষতি করতে পারবে যতটুকু আল্লাহ তোমার (ভাগ্যে) লিখে রেখেছেন। কলমসমূহ উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং খাতাসমূহ (ভাগ্যলিপি) শুকিয়ে গেছে।’’ (তিরমিযী ২৫১৬)
عَن ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا قَالَ : كُنْتُ خَلْفَ النَّبيِّ ﷺ يَوماً فَقَالَ يَا غُلامُ إنِّي أُعَلِّمُكَ كَلِمَاتٍ : احْفَظِ اللهَ يَحْفَظْكَ احْفَظِ اللهَ تَجِدْهُ تُجَاهَكَ إِذَا سَألْتَ فَاسأَلِ الله وإِذَا اسْتَعَنتَ فَاسْتَعَن باللهِ وَاعْلَمْ : أنَّ الأُمَّةَ لَوْ اجْتَمَعَتْ عَلَى أنْ يَنْفَعُوكَ بِشَيءٍ لَمْ يَنْفَعُوكَ إلاَّ بِشَيءٍ قَدْ كَتَبهُ اللهُ لَكَ وَإِن اجتَمَعُوا عَلَى أنْ يَضُرُّوكَ بِشَيءٍ لَمْ يَضُرُّوكَ إلاَّ بِشَيءٍ قَدْ كَتَبَهُ اللهُ عَلَيْكَ رُفِعَتِ الأَقْلاَمُ وَجَفَّتِ الصُّحفُ رواه الترمذي وَقالَ حديث حسن صحيح
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
0 Comments