Subscribe Us

হে পথিক ভবিষ্যৎ বলে কিছু নাই ,আসোল ভবিষ্যৎ হলো পরোকাল

মুতাজিলা সম্প্রদায় কারা

       মুতাজিলা ফেরকাঃ
ইসলামী আকিদায় প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ ভ্রান্ত দলগুলোর একটি হল মুতাজিলা। মুতাজিলা ফির্কাদের “মুতাজিলা” নামটি অন্যদের দেওয়া। তারা নিজেদের ‘আছহাবুত তাওহীদ ওয়াল আদল’ বলে পরিচয় দিত। কারন তারা তাদের আল্লাহ আদত বা ইনসাফ এবং তাওহীদ সম্পর্কে নিজস্ব ব্যাখ্যার পরিপেক্ষিতে শুধু নিজেদের তাওহীদ পন্থী মনে করত। উমাইয়া যুগে মুতাজিলা আন্দোলনের আবির্ভাব হয় এবং আব্বাসীয় যুগে এটি সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়। ওয়াসিল ইবনে আতাকে মুতাজিলা মতবাদের জনক হিসেবে ধরা হয়।
নাম করনের কারনঃ ওয়াছিল ইবনে আতা’ (মৃত ১৩১ হিজরি) নামে আর এক ব্যক্তি স্বীয় ওস্তাদ সুবিখ্যাত তাবেয়ী হযরত হাসান বছরীর রাহিমাহুল্লাহ (৬৪২-৭২৮) দরবার থেকে এই উক্তি করতে করতে বের হয়ে গেল যে, কবীরাহ গুনাহকারী মুমেনও নয় আবার কাফেরও নয়। হযরত হাসান বসরী তার এই অদ্ভুত উক্তি শ্রবণ করতঃ বললেন, قَدْ اِعْتَزَلَ عَنَّا অর্থাৎ সে আমাদের দল থেকে বহির্গত হয়ে গেছে। হযরত হাসান বসরী রাহিমাহুল্লাহর অত্র উক্তি অনুসারে তাদের দলের নাম হয়ে গেল মু’তাজিলাহ। আর তারা নিজেরা তাদের দলের নামকরণ করল اَصْجَابُ التَوْحِيْدِ وَ العدلِ (আছহাবুত তাওহীদ ওয়াল আদল)। ইহা ছাড়াও তাদের নাম করনের অনেক রহশ্য পাওয়া যায়। অনেকে মনে করেন, ব্যাপকহারে গ্রীক দর্শন ও গ্রীক তর্কশাস্ত্র আমদানি ফলে মুতাজিলা ফের্কার আত্মপ্রকাশ ঘটে। তারা কুরআন ও সুন্নাহ নীতি ত্যাগ করে কতক নীতিমালা তৈরি করে, যার নামকরণ করে ‘ইলমুল কালাম’, বা কালাম শাস্ত্র, তার ভিত্তিতে তারা আকিদা উপস্থাপন করে। এবং তার উপর ভিত্তি করেই তারা আকিদার উপর দলিল দেয় ও আকিদার পক্ষে প্রতিরোধ করে। তারা ‘ইলমুল কালাম’, বা কালাম শাস্ত্রকে কুরআন ও সুন্নাহ উপর স্থান দেয় আর এটা্‌ই তাদের ভ্রান্তির মূল কারন। মুতাজিলা বাদীরা ধর্মকে যুক্তি দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করে এবং বলে যুক্তি ছাড়া কিছু গ্রহনযোগ্য হতে পারে না। বুদ্ধি খাটিয়ে ইসলাম পালন করতে হবে বলে তারা বিশ্বাস করে। আর কুরআনকে আল্লাহর সৃষ্ট বলার কারণে তারা বেশি আলোচিত। তাদের মতে কুরআন আল্লাহর সাথে একই অস্তিত্বে ছিল না বরং তা আল্লাহর সৃষ্ট। তাদের যুক্তিতে আব্বাসীয় খলিফা আল মামুন মুতাজিলা মতবাদকে সত্য হিসেবে গ্রহণ করেন। এর ফলশ্রুতিতে মুতাজিলারা রাজদরবারের পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করে। এরপর মামুন অনুবাদ সংস্থা প্রতিষ্ঠা করে এবং দর্শন শাস্ত্রের অনেক কিতাব আমদানি করে। গ্রীক দর্শনের কিতাবসমূহের অনুবাদ, তার উপর মু‘তাযিলাদের গভীর মনোযোগ প্রদান করে। এই ইলমে কালামের উপর ব্যাপক গবেষনার ফলে মুতাজিলাদের নিকট ইহার ভিত রচনা হয় এবং রাজ দরবারে একটা স্বতন্ত্র মাযহাব হিসাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এর প্রভাবে খলিফা মামুন যুক্তি ভিত্তিক আকিদা বিশ্বাস করতে আহবান জানায় এবং অনেক কে বাধ্য করে। সে বায়তুল হিকমাহ এর প্রতিষ্ঠাতা। তার পরবর্তী খলিফা আল মুতাসিম ও আল ওয়াসিক এই মতবাদকে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠা করতে ভিন্ন মতালম্বীদ আলেমদের উপর নির্যাতন, গ্রেফতার, কারারুদ্ধ এমনকি হত্যাও করতে শুরু করেন। মুতাজিলা মতবাদকে প্রতিষ্ঠা করতে বিরুদ্ধ পক্ষকে দমনের এই ধারণা ‘মিনহা’ নামে পরিচিত। মূলত মুতাজিলাদের ধারণা “পবিত্র কুরআন আল্লাহর বাণী নয়, বরং তা সৃষ্ট”কে অস্বীকার করার ফলেই সেই সময়ের আলেমদের উপরে এই নির্যাতনের স্টীমরোলার নেমে আসে। অনেক আলেমই পরাস্ত হয়ে এই মতবাদকে স্বীকার করে নেন এবং অনেকে এই প্রসঙ্গে চুপ করে যান। কিন্তু এর প্রতিবাদে সরব হয়ে উঠেন বিখ্যাত হাদিসবিশারদ ও ফকিহ ইমাম আহমেদ ইবন হাম্বল। কুরআন আল্লাহর বাণী এবং ইসলামের প্রতিষ্ঠিত ধারার (কুরআন সুন্নাহ) ব্যাপারে অটল থাকার কারণে তাঁকে দীর্ঘ সময় কারারুদ্ধ করে রাখা হয় ও অবর্ণনীয় নির্যাতনের স্বীকার হতে হয়। এই মর্মান্তিক ঘটনা ইবনে কাসির তার বিখ্যাত গ্রন্থ “আল বিদায় ওয়ান নিহায়া” ইসলামি ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত এর দশম খন্ডের ৫৬২-৫৬৭ পৃষ্ঠায়, “মুতাসিমের সম্মুখে ইমাম আহমেদ ইবন হাম্বলকে প্রহার করার আলোচনা” শিরোনামে উল্লেখ করেছেন। মিহনা’র এই ঘটনা জনরোষের সৃষ্টি করে। বাগদাদের পথে পথে আরম্ভ হওয়া দাঙ্গা আব্বাসীয় খিলাফতকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দেয়। অবশেষে ৮৪৮ খৃস্টাব্দে খলিফা আল মুতাওয়াক্কিল ‘মিনহা’র সমাপ্তি ঘোষণা করেন ও ইমাম হাম্বলকে মুক্তি প্রদান করেন। তিনি কুরআন সুন্নাহ ভালবাসতেন। তিনি চারে দিকে ফরমান পাঠান যে, “পবিত্র কুরআন আল্লাহর বাণী, তা সৃষ্ট নয়। আর ধিরে ধিরে মতবাদএর পতন ঘটে।
মু‘তাযিলাদের দলসমূহ:
মু‘তাযিলারা বিভিন্ন ফেরকায় বিভক্ত হয়েছে, তার এক ফেরকা অপর ফেরকাকে কাফির অথবা গোমরাহ বলে। মু‘তাযিলাগণ তাদের যে ধর্ম বিশ্বাস এখনকার অনেক শিয়াদের সাথে মিলে যায় তাই তাদের শিয়াদের থেকে পৃথক করা খুবই মুসকিল। তাছাড়া তৃতীয় শতাব্দী থেকেই মু‘তাযিলা ও শিয়া এক হয়ে যায়। রাফেদী ও যাইদিয়ারা অদ্যাবধি মু‘তাযিলাদের আকিদার উপর বিদ্যমান। অনুরূপ মু‘তাযিলাদের দ্বারা প্রভাবিত হয় আশ‘আরি মাযহাব সৃষ্টি হয়। এবং পরবর্তী আশআরী মতবাদ সবচেয়ে বেশি প্রচার-প্রসার পায়। তবে আশারী মতবাদে প্রতিষ্ঠা আবুল হাসন আশআরী পরবর্তিতে তাহার যুক্তি ভিত্তিক আকিদা থেতে ফিরে কুরআন সুন্নাহ ভিত্তিক আকিদা গ্রহন করে।
মুতাজিলাদের অনেক দল উপদল পাওয়াযায় তাদের মধ্য কয়েকটি হলঃ
১) ওয়াসিলিয়া
২) হুজায়লিয়্যা
৩) নাজ্জামিয়্যা
৪) জাহিযিয়্যা
৫) খাতামিয়্যা
৬) জুব্বাইয়্যা ইত্যাদি।
মুতাজিলাদের আকিদাগত ও চিন্তাগত ভ্রান্তিগুল হল:
ক. মু‘তাযিলারা আল্লাহর নাম ও গুণাবলী তথা সিফতকে আল্লাহর সাথে অন্তর্ভুক্ত করতে স্বীকার করে না। তারা যুক্তি দেয় আল্লাহকে কোন কিছুর সাথে তুলনা করা যাবে না। তাই এগুলো আল্লাহর প্রতি দেওয়া যাবে না। তারা আল্লাহকে গুণহীন নামীয় সত্তা মনে করেন। তাঁদের মতে আল্লাহর সত্তা যেমন আল্লাহ ইলম (জ্ঞান) ছাড়াই ‘আলীম’ (সর্বজ্ঞ), কুদরত (শক্তি) ছাড়াই ‘ক্বাদীর’ (সর্বশক্তিমান), হায়াত (জীবন) ছাড়াই ‘হাই’ (চিরঞ্জীব) ইত্যাদি। তারা আল্লাহর নাম ও নামীয় সত্তার পার্থক্য করে থাকেন। তাদের কথিত কালেমায়ে শাহাদাতের অর্থ হ’ল- ‘আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি সেই সত্তার যাঁর নাম আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই এবং আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি সেই ব্যক্তির যার নাম মুহাম্মাদ, তিনি আল্লাহর রাসূল’।
খ. বুদ্ধিবাদী এই দলটির অতি যুক্তিবাদী উপর নির্ভর করে পুরা হাদীছ শাস্ত্রকেই অস্বীকার করেছে। এমনকি যুক্তির বাইরে হওয়ায় তারা কুরআনের অবোধ্য বিষয়গুলি এবং রাসূল (ছাঃ)-এর মু‘জিযাসমূহকে অস্বীকার করেছে। আবু হুরায়রা (রাঃ)-কে তারা ‘সেরা মিথ্যুক’ বলতেও দ্বিধা বোধ করেনি। ছাহাবী ও তাবেঈগণের ফৎওয়াসমূহকে তারা তাচ্ছিল্য করে এবং তাঁদেরকে মূর্খ ও মুনাফিক বলে। এমনকি তাঁদেরকে স্থায়ীভাবে জাহান্নামী বলে (নাঊযুবিল্লাহ)।
গ. যে সকল সহিহ হাদিস তাদের প্রবৃত্তির বা যুক্তির বিপক্ষে সেগুল তারা ত্যাগ করে। এই জন্য তারা বাতিল আকিদা তৈরি করে ইসলামের নামে চালিয়ে দিয়েছে। ফলোশ্রতিতে তারা কবরের আযাব, পুলসিরাত ও মীযান অস্বীকার করে। এবং হাসিসে প্রমাণিত এরূপ অনেক গায়েবি বিষয় তারা অস্বীকার করে। এভাবে যুক্তি, মতামত ও বিবেককে কুরআন ও সুন্নাহর্ উপর বিচারক হিসাবে সাব্যস্ত করে সেগুলি পরিত্যাগ করে। যার ফলে তারা সাহাবি, তাবেঈ ও সকল রাবিকে মিথ্যাবাদী বলে সাব্যস্ত করে।
ঘ. আমাদের বিশ্বাস মহান আল্লাহ কোন কিছূ করতে বাধ্য নন। কিন্তু মুতাজিলারা বিশ্বাস করে যে আল্লাহ পরিপূর্ণ ন্যায়বিচার করতে বাধ্য। অর্থাৎ নেককার কে জান্নাত আর পাপিকে জাহান্নাম দেওয়া ওয়াজিব বা দিতে বাধ্য যাকে ইচ্ছা তাকে ক্ষমা করতে পারেন না। আল্লাহর ইচ্ছার বাইরেও কোন মানুষ স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। কিন্তু মুতাজিলারা মানুষের স্বাধীন ইচ্ছায় বিশ্বাস করে। তারা মনে করে যে আল্লাহ মানুষের ভাগ্য পূর্বনির্ধারণ করতে পারেন না।
ঙ. মুতাজিলারা কুফর ও ইমানের মাঝে একটি স্বতন্ত্র স্তর আবিস্কার করে। তারা মনে করে যে একজন কবিরা গুনাহ কারি ঈমানদার তাওবা করা ছাড়াই মৃত্যুবরণ করে, তবে ঐ ব্যক্তিকে তারা কাফির বা মুমিন কোনটিই বলতে রাজি নয়। অর্থাৎ সাধারন অর্থে যাকে আমরা ফাসিক বলি তাকে তারা এই মধ্যবর্তী স্থান বলে গন্য করে। তাকে মুমিন না বলে মুসলিম বলতে হবে। তবে এটা তার সম্মানের জন্য নয় বরং কাফির ও জিন্দিক থেকে আলাদা করার জন্য।
চ. তারা ‘সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ’ সকল মুসলিমের মৌলিক দায়িত্ব মনে করে। তারা এ ধারণাকে এক বিশেষ দৃষ্টি হিসাবে গ্রহন করে। এই লক্ষ্যে শক্তিপ্রয়োগকে তারা বৈধ মনে করে। হক বিরোধীতের হক গ্রহনে বাধ্য করা ওয়াজির। এই জন্য তারা ‘মিহনা’ নামে নতুন এক ধারণার সাথে পরিচিত করায়। যার ফলে, আব্বাসীয় খলিফা মামুন, মুতাসিম ও ওয়াসিক “পবিত্র কুরআন আল্লাহর বাণী নয়, বরং তা সৃষ্ট” কে অস্বীকার কারি সেই সময়ের আলেমদের উপর নির্যাতনের স্টীমরোলার চালায়।
মন্তব্যঃ ইসলাম কোন অযৌক্তিক ধর্ম নয়। কুরআন হাদিসে বর্নিত প্রতিটি বিষয়ই যুক্তিপূর্ণ। পৃথিবীতে চলার জন্য জীবন ঘনিষ্ট প্রতিটি ব্যবস্থা অবলোন করলেই ইহার যৌক্তিকতা খুজে পাবেন। কিন্তু মৃত্যুর পরের প্রতি বিষয়ই গাইব (অদৃশ্য)। আর অদৃশ্যের বিষয়গুলির প্রতি না দেখেই বিশ্বাস করতে হবে এখানে যুক্তি খুজা বোকামি ছাড়া কিছুই নয়। এখানে যুক্তি না খুজে আল্লাহর নাজিল করা বিধান মান্য করা ফরজ কর্তব্য। একজন সাধারণ মানুষের নিজের অনেক যুক্তি এখানে নাও মিলতে পারে। কারণ মানুষের জ্ঞান সীমিত। মুতাজিলা তাদের এই সীমিদ জ্ঞান দ্বারা অদৃশ্যের বিষয়গুলির বুঝার চেষ্টা করে বলেই বিভ্রান্তিতে নিপতিত হয়েছিল। আজও মুতাজিলাদের সৃষ্ট উসুলের মত অনেক নামধারী মুসলিক দেখা যায় আসুন তাদের সাথে পরিচয় হই।
ক. বর্তমানে যাদের মুতাজিলাদের মত মনে হবে তারা হল, সেই সকল পশ্চিমা ভাবধারার মডারেট মুসলিম, যারা মনগড়া যুক্তি দিয়ে কুরআন ও সহিহ হাদিসেন ব্যাখ্যা করে। তাদের যদি দলিল জানতে চান তবে তারা কুরআন ও সুন্নাহ থেকেই দলিল দিবে। সাথে দিবে বিশাল সব যুক্তি ও ব্যাখা যার সাথে ইসলামের স্বর্ণযুগের সলফে সালেহীনদের সাথে নুন্যতম মিল খুজে পাওয়া যাবে না।
খ. সাধারন শিক্ষায় শিক্ষিত, ডাক্তার, ইজ্ঞিনিয়ার বা আমল ইসলামের বিধি বিধান মানার চেষ্টা করে। ইসলাম সম্পর্কে ভাল জ্ঞান রাখে। যখন গতানিগতিক চলে আসা কোন ভুল আমল, কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে সংশোধণ করার কথা বলা হবে। অমনি যুক্তি দাড় করায়, এত মানুষ কি ভুল আমল করছে? এত দিন কি মানুষ বুঝে নি? অমুক আলেম যে এভাবেই করছে আর কত যুক্তি। যুক্তির আর শেষ নেই। অথচ যুক্তি না খুজে শিক্ষিত লোক হিসাবে তার উচিত্ ছিল সত্য অনুসন্ধান করা। যখন আবার যুক্তিদেয় ইসলাম বুঝা সহজ নয়। অথচ তিনি পৃথিবীর সবচেয়ে কঠির জ্ঞান অর্জন করেছেন।
গ. এক শ্রেণীর আলেম যারা কুরআন ও সুন্নাহ ধার ধারেনা। তার নিকট যে এলম পৌছেছে তাকে শতভাগ সহিহ জেনে আমল করছে। কুরআন ও সুন্নাহ দ্বারা কোন সংশোধ করার চেষ্টা করলে, নিজের মতবাদ ঠিক প্রমানের মানষে যুক্তির পসরা সাজায়। এই যুক্তিবাদী মুতাজিলা আলেম একবারের জন্যও সঠিক ইসলাম গ্রহনে আগ্রহ দেখায় না।
ঘ. এমনই অনেক কে পাবেন যারা যুক্তি দ্বারা পরিস্কার হারাম জিনিস হালাল করছে। যুক্তি দ্বারা হাদিস কে অস্বীকার করছে। কুরাআনে নেই বলে, এই যুক্তিতে কবরের জীবন কে অস্বীকার করছে। এরাই মুতাজিলাদের কাছাকাছি বলে মনে করা যেতে পারে।
সংকলনেঃ মোহাম্মাদ ইস্রাফিল হোসাইন
(বিএ ইন আরবি সাহিত্য ও ইসলাম শিক্ষা)
About সহীহ-আকিদা(RIGP)
বল,এটিই আমার পথ।স্পষ্ট জ্ঞানের ভিত্তিতে আল্লাহর দিকে আহবান করি নিয়মিত আপডেট পাবেন- Important Knowledge= নির্ভেজাল জ্ঞান পেতে ভিজিট করুন এই সাইটে- https://sarolpoth.blogspot.com আলাদা আলাদা সাজানো আছে... আপনি চাইলে ওয়েবসাইটটি এবং লেখাগুলি,বা অন্যান্য জিনিস গুলি শেয়ার করে বন্ধুদের জানিয়ে দিতে পারেন এতে আপনার ও আমার ইনশাআল্লাহ সাদকায়ে জারিয়া হবে.ইসলামিক বই পেতে-.http://rasikulindia.blogspot.com/


Post a Comment

0 Comments