Subscribe Us

হে পথিক ভবিষ্যৎ বলে কিছু নাই ,আসোল ভবিষ্যৎ হলো পরোকাল

কবরের উপর খেজুর গাছের ডাল পুঁতে দেয়া কি জায়েজ ?


## কবরের উপর খেজুর গাছের ডাল পুঁতে দেয়া কি জায়েজ ?
-----------------------
আমাদের দেশে বিভিন্ন এলাকায় নতুন কবরের উপর খেজুরের ডাল পুঁতে দেয়ার প্রচলন রয়েছে । এর সমর্থনে কোন কোন আলেম ইবনু আব্বাস (রাদ্বিঃ) হতে বর্ণিত নিম্নোক্ত হাদীস দ্বারা দলীল গ্রহণ করে থাকেন :-
ইবনু আব্বাস (রাদ্বিঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে , একদা রাসূল (সাঃ) দুটি কবর অতিক্রম করছিলেন বা দু’টি কবরের নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন । তিনি (কবর দু’টি দেখে) বললেন : দু’টি কবরেই শাস্তি হচ্ছে , তবে বড় কোন কারণে শাস্তি হচ্ছে না । অতঃপর বললেন : হ্যাঁ অবশ্যই বড় কারণ । কেননা দু’কবরবাসীর একজন নিজেকে পেশাব হতে বাঁচাত না , আর দ্বিতীয়জন পরনিন্দা করতো । অতঃপর রাসূল (সাঃ) খেজুর গাছের একটি কাঁচা ডাল আনতে বললেন এবং তা (লম্বালম্বিভাবে) দ্বিখন্ডিত করলেন এর খন্ড দু’টি দু’কবরের উপর পুঁতে ‍দিলেন এবং বললেন : সম্ভবত ডাল দু’টো না শুকানো পর্যন্ত দু’কবরবাসীর শাস্তি লাঘব হবে । – হাদীসটি বুখারী (২১৬, ২১৮, ১৩৬১, ১৩৭৮, ৬০৫২, ৬০৫৫), মুসলিম (২৯২), আবু দাউদ, নাসাঈ ও আহমাদ প্রমুখ মুহাদ্দিসগণ বর্ণনা করেছেন

হাদীসটি সবার জন্য পালনীয় না হওয়ার কারণঃ
১ – মৃত ব্যক্তির অবস্থা জানাটা এক গায়েবী ব্যাপার । অহী ছাড়া তা জানার কোন সুযোগ নেই । আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন :
“তিনি অদৃশ্যের জ্ঞানী , তিনি অদৃশ্য বিষয় কারও কাছে প্রকাশ করেন না,তাঁর মনোনীত রাসূল ব্যতীত ।” – সূরা জ্বিন : আয়াত ২৬-২৭ ।
অতএব আল্লাহ তাঁর রাসূলকে কবরদ্বয়ে আযাব হচ্ছে তা অবহিত করেছিলেন । ফলে রাসূল (সাঃ) জানতে পেরেছিলেন কবরদ্বয়ে আযাব হচ্ছে । তাই তিনি দু’কবরে খন্ডিত খেজুর ডাল পুঁতে দিয়েছিলেন । কিন্তু রাসূল (সাঃ) ব্যতীত অন্যদের পক্ষে কবরে আযাব হচ্ছে কি না তা জানার কোনই উপায় নেই । অতএব অন্যদের পক্ষ থেকে খেজুর ডাল পুঁতে দেয়া নেহায়েত অর্থহীন ।
কারণ হাদীসের ভাবার্থ অনুযায়ী আযাব বা শাস্তি হলে তো আপনি খেজুর ডাল পুঁতে দিবেন। কিন্তু আযাব হচ্ছে কি না তাতো আপনি আর আমি জানি না ।
অতএব যে কারণে রাসূল (সাঃ) ডাল পুঁতেছিলেন ঐ কারণ তো আমাদের ক্ষেত্রে অনুপস্থিত । তাই হাদীসটি আমাদের জন্য প্রযোজ্য বা আমলযোগ্য নয় ।
২ – রাসূল (সাঃ) এ কাজের জন্য তাঁর উম্মাতকে কোন দিক নির্দেশনা দেননি । যদি কাজটি করা উপকারী হতো তাহলে তিনি অবশ্যই সাহাবায়ে কেরামের মাধ্যমে উম্মাতকে এ বিষয়ে সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে যেতেন ।সত্যিই যদি হাদীসটির হুকুম ব্যাপক ভিত্তিক সবার জন্য প্রযোজ্য হত তাহলে সাহাবীগণ এর উপরে আমল করতেন , কর্মটি তাদের মাঝে ব্যাপকতা লাভ করত এবং তা তাদের থেকে বর্ণিতও হতো অথচ তারাই আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল (সাঃ) কে সর্বাপেক্ষা বেশী ভালবাসতেন আর তারাই তাঁকে সবচেয়ে বেশী অনুসরণ করতেন ।
আব্দুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন :
“প্রত্যেক বিদ’আতই ভ্রষ্টতা যদিও মানুষ বিদ’আতকে ভাল মনে করে ।”
--
সংকলন : মৃত্যু রোগ থেকে শুরু করে মৃত ব্যক্তি কেন্দ্রিক
যাবতীয় করণীয় এবং বর্জনীয়
শাইখ আকমাল হুসাইন বিন বাদীউযযামান



About সহীহ-আকিদা(RIGP)
বল,এটিই আমার পথ।স্পষ্ট জ্ঞানের ভিত্তিতে আল্লাহর দিকে আহবান করি নিয়মিত আপডেট পাবেন- Important Knowledge= নির্ভেজাল জ্ঞান পেতে ভিজিট করুন এই সাইটে- https://sarolpoth.blogspot.com আলাদা আলাদা সাজানো আছে... আপনি চাইলে ওয়েবসাইটটি এবং লেখাগুলি,বা অন্যান্য জিনিস গুলি শেয়ার করে বন্ধুদের জানিয়ে দিতে পারেন এতে আপনার ও আমার ইনশাআল্লাহ সাদকায়ে জারিয়া হবে.ইসলামিক বই পেতে-.http://rasikulindia.blogspot.com/

1522042958