Saturday, November 24, 2018 6:41 PMAnonymous
কে এই এর্দোগান? কি তার পরিচয়??
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাত্বহ
প্রিয় দ্বীনি ভাই ও বোনেরা।
বেশ কিছুদিন ধরে তথাকথিত খলিফা/এ যুগের একমাত্র সুলতানের গুণগান বিভোর লোকদের অতিরঞ্জন আর কল্পিত সপ্ন দেখে তাজ্জব না হয়ে পারলাম না! আজকাল ভক্তগন এই তথাকথিত খলিফাকে নিয়ে তো রীতিমত কাব্যিক রচনা & একের পর এক বই লিখাও শুরু করছে!
দেশিয় জামাতি প্রতিষ্ঠান "গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্সের"! সর্বশেষ "এরদোয়ান দ্য চেইঞ্জ মেকার" সহ বেশ কিছু বইয়ের আংশিকটা পড়ে টাস্কি না খেয়ে উপায় নাই!
প্রিয় দ্বীনি ভাই ও বোনেরা।
বেশ কিছুদিন ধরে তথাকথিত খলিফা/এ যুগের একমাত্র সুলতানের গুণগান বিভোর লোকদের অতিরঞ্জন আর কল্পিত সপ্ন দেখে তাজ্জব না হয়ে পারলাম না! আজকাল ভক্তগন এই তথাকথিত খলিফাকে নিয়ে তো রীতিমত কাব্যিক রচনা & একের পর এক বই লিখাও শুরু করছে!
দেশিয় জামাতি প্রতিষ্ঠান "গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্সের"! সর্বশেষ "এরদোয়ান দ্য চেইঞ্জ মেকার" সহ বেশ কিছু বইয়ের আংশিকটা পড়ে টাস্কি না খেয়ে উপায় নাই!
এবার আসি মুল আলোচনায়:-
প্রথমত জেনে নিন #কে_এই_এরদোগান?
প্রথমত জেনে নিন #কে_এই_এরদোগান?
১৯৫৪ সালের ২৬ ফেব্র“য়ারি ইস্তাম্বুলে জন্মগ্রহণ করেন এযুগের তথাকথিত সুলতান এরদোগান!বাবা ছিলেন তুর্কি কোস্টগার্ডের একজন সদস্য হওয়াতে তেমন সচ্ছলতা ছিল না পরিবারে! ছাত্রজীবনে এরদোগান National Turkish Student Uninon নামে একটি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এছাড়া, তিনি ১৯৬৯ সাল থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত কাসিমপাসা ক্লাবের সেমি-প্রফেশনাল ফুটবলার ছিলেন।
১৯৯৪ সালে তিনি ইস্তাম্বুলের মেয়র নির্বাচিত হন। তার আগ পর্যন্ত তিনি ফুটবলের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। রাজনৈতিক জীবনের প্রথমদিকে সাদত পার্টির সঙ্গে জড়িত থাকলেও ২০০১ সালে প্রকাশ্যে নাজিমুদ্দিন এরবাকানের দল সাদত পার্টি বাদ দিয়ে নিজে জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি বা একেপি নামে একটি দল গঠন করেন। সে সময় তিনি বলেছিলেন, ‘আমি আজ থেকে আমার পূর্বের পোশাকটি (আগের দলের পোশাক) খুলে ফেললাম।’ এরদোগান এ কেপি গঠনের আগে ২০০১ সালের ১৮ জুলাই তুরস্কে নিযুক্ত ইসরাইলি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে যোগাযোগ করার কথা মিডিয়ায় প্রকাশ পায়। এ বৈঠকে এরদোগান, ইসরাইলি রাষ্ট্রদূতকে নিশ্চয়তা দেন যে, ‘নতুন যে পার্টি গঠন করা হবে তা কোনোদিনই আমেরিকা ও ইসরাইল নীতির বিরুদ্ধে যাবে না।’ এমনকি এরদোগানকে আমেরিকা অনেক আগে থেকেই পছন্দের তালিকায় রেখেছেন বলে উল্লেখ করেছেন তুরস্কের সরকারি টেলিভিশন চ্যানেল টি আরটি নিউজের প্রধান নাসুহি গুংগর।
১৯৯৪ সালে তিনি ইস্তাম্বুলের মেয়র নির্বাচিত হন। তার আগ পর্যন্ত তিনি ফুটবলের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। রাজনৈতিক জীবনের প্রথমদিকে সাদত পার্টির সঙ্গে জড়িত থাকলেও ২০০১ সালে প্রকাশ্যে নাজিমুদ্দিন এরবাকানের দল সাদত পার্টি বাদ দিয়ে নিজে জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি বা একেপি নামে একটি দল গঠন করেন। সে সময় তিনি বলেছিলেন, ‘আমি আজ থেকে আমার পূর্বের পোশাকটি (আগের দলের পোশাক) খুলে ফেললাম।’ এরদোগান এ কেপি গঠনের আগে ২০০১ সালের ১৮ জুলাই তুরস্কে নিযুক্ত ইসরাইলি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে যোগাযোগ করার কথা মিডিয়ায় প্রকাশ পায়। এ বৈঠকে এরদোগান, ইসরাইলি রাষ্ট্রদূতকে নিশ্চয়তা দেন যে, ‘নতুন যে পার্টি গঠন করা হবে তা কোনোদিনই আমেরিকা ও ইসরাইল নীতির বিরুদ্ধে যাবে না।’ এমনকি এরদোগানকে আমেরিকা অনেক আগে থেকেই পছন্দের তালিকায় রেখেছেন বলে উল্লেখ করেছেন তুরস্কের সরকারি টেলিভিশন চ্যানেল টি আরটি নিউজের প্রধান নাসুহি গুংগর।
দল গঠনের এক বছরের মধ্যে নির্বাচনে একেপি জাতীয় নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। এর আগে ১৯৯৮ সালে এরদোগান একটি বিতর্কিত কবিতা আবৃত্তি করে রাজনীতিতে নিষিদ্ধ হন এবং ১০ মাসের কারাদণ্ড ভোগ করেন। রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে তিনি ২০০১ সালের নির্বাচনের অংশ নিতে পারেননি। পরে দল ক্ষমতায় গিয়ে সে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে তিনি ২০০৩ সালের উপনির্বাচনে বিজয়ী হয়ে প্রধানমন্ত্রী হন। তার আগে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন আব্দুল্লাহ গুল। এরদোগান নির্বাচিত হলে তিনি সে পদ ছেড়ে দেন এবং আলঙ্কারিক প্রেসিডেন্টের পদ গ্রহণ করেন।
২০০৩ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তিন দফায় তিনি তুরস্কের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার জন্য এরদোগান আর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না জেনে ক্ষমতায় থেকে তিনি সংবিধান পরিবর্তন করে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য নির্বাচন করেন। আগে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট যেখানে ছিলেন অনেকটা আলঙ্কারিক এবং প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মূল ক্ষমতার মালিক সেখানে এরদোগান সংবিধান পরিবর্তন করে নিজের হাতে ক্ষমতা নিয়ে প্রেসিডেন্ট হন। এখন প্রেসিডেন্টই মূলত তুরস্কের ক্ষমতার মালিক। সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও তারই একান্ত অনুগত আহমেদ দাউদওগ্লু এখন আলঙ্কারিক প্রধানমন্ত্রী।
তার দেশ ন্যাটো নামক পশ্চিমা সামরিক জোটের অন্যতম এবং একমাত্র সদস্য ।এই জোট বিশ্বব্যাপি ত্রাসের রাজত্ব প্রতিষ্টা করেছে এবং মুসলিম নিধনে আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে ,শুধু তাই নয় আফগানিস্তানে ধ্বংস করে সেখানে শিয়া শাসন প্রতিষ্টার জন্য মার্কিন আগ্রাসনের অংশিদার হিসেবে এই তুরস্ক ৩য় সর্বোচ্চ সংখ্যক সৈন্য পাঠিয়েছিল ।এবং বর্তমানেও সেই দেশে উল্লেখযোগ্য সৈন্য সেখানে ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্বে যুদ্বে লিপ্ত রয়েছে ।
এই কথিত খলিফা ২০০৫ সালে ইসরাইল সফরে যান সম্পক উন্নয়নে, এমনকি তুরষ্কের পার্লামেন্টে ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট শিমন পেরেজ কে ভাষন দেওয়ার সুযোগ দিয়ে মুসলমানদের গৌরবময় ইতিহাসকে কলন্কিত করেন!তাছাড়া সেখানে গিয়ে ফুল দিয়ে কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলিও দিতে দেখা যায়!
লিংক--https://youtu.be/PXuNwvXLTH0
এই কথিত খলিফা ২০০৫ সালে ইসরাইল সফরে যান সম্পক উন্নয়নে, এমনকি তুরষ্কের পার্লামেন্টে ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট শিমন পেরেজ কে ভাষন দেওয়ার সুযোগ দিয়ে মুসলমানদের গৌরবময় ইতিহাসকে কলন্কিত করেন!তাছাড়া সেখানে গিয়ে ফুল দিয়ে কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলিও দিতে দেখা যায়!
লিংক--https://youtu.be/PXuNwvXLTH0
এরদোগান হচ্ছেন একমাত্র মুসলিম খলিফা যিনি -একদিকে বলেন "ইসরাইল হল সন্ত্রাসী রাষ্ট্র " আবার অন্যদিকে ইহুদীবাদী ইসরাইলে যখন ভয়াবহ দাবানল ছড়িয়ে পড়েছিল(২০১৬ সালে) তখন আগুন নিবানোর জন্য বিশেষ বিমান ও সৈন্য পাঠিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন! কৃতজ্ঞতা স্বরুপ ইজরাইলের বর্তমান প্রেসিডেন্ট নেতানিয়াহু বন্ধু রাষ্ট্র তুরুস্কের প্রেসিডেন্ট কে ধন্যবাদ ও চলমান সম্পক আরও মজবুত রাখার নিশ্চয়তা দিয়েছেন!যা তুরকি ও ইসরাইলের প্রধান নিউজ পেপারের হেডলাইন ছিল!
লিংক---https://www.google.ae/search…
লিংক---https://www.google.ae/search…
অত্যন্ত আফসোস ও পরিতাপের বিষয় হল -আমাদের কিছু অতি উৎসাহী দ্বীনি ভাই তাদের তথাকথিত সুলতানের মুখরোচক কিছু কথা শুনেই তাকে মুসলমানদের খলিফা, মুসলিম উম্মাহর একমাত্র নেতা বলে সরলমনা যুবকদের বিভ্রান্ত করছে ।এরকম ল্যাংটা গুনসম্পন্ন মানুষ কিভাবে খলিফা হতে পারে তা আমার বোধগম্য নয় !
আগামীকাল থাকছে--সুলতানের শিয়া প্রীতি/ওহাবি বিদ্বেষ /সেকুলার রাষ্ট্র গড়ার সপ্ন/ তুর্কিতে সুফি, নক্সবন্দিয়ার সয়লাব, ব্যাশাখানা ও নর্তকির আধিক্য & খলিফার সাতকাহন...
সংগ্রহীত,,,,,,,,,
আক্তার বিন আমির