Subscribe Us

হে পথিক ভবিষ্যৎ বলে কিছু নাই ,আসোল ভবিষ্যৎ হলো পরোকাল

শিয়া মতবাদ’ কি ? শিয়াদের উংপত্তির ইতিহাস!



শিয়া মতবাদ’ কি ? শিয়াদের উংপত্তির ইতিহাস!

‘শিয়া মতবাদ’ কি ?

সাহাবায়ে কেরামের কাল থেকেই মুসলীম উম্মাহর মধ্যে ‘শিয়া’নামক একটা দল সৃষ্টি হয়ে মুসলীম উম্মাহর ঐক্য ও সংহতির ক্ষেত্রে মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি করে রেখেছে।

মৌলিকভাবে শিয়া একটি বিভ্রান্ত দলের নাম। এদের মধ্যে অনেক দল-উপদল রয়েছে।
প্রথমদিকে এ ফেরকাটি সৃষ্টির পেছনের কারণ রাজনৈতিক হলেও পরবর্তীতে ইসলামের মৌলিক আকিদা বিশ্বাসের ঠিক বিপরীত ধ্যান-ধারণা দ্বারা প্রচারিত হয়েছে।
তৃতীয় খলিফা হযরত উসমান(রাঃ)এর শাসনামলে আবদুল্লাহ ইবনে সাবা নামক ইয়েমেনের এক ইহুদী পণ্ডীত মুসলমানদের ছদ্মবেশে মদিনায় এসে মুসলমানদের মধ্যে দলাদলীর সৃষ্টি করে। কারবালার মর্মান্তিক ঘটনার পর আবদুল্লাহ ইবনে সাবার দলটিই ‘শিয়া আন্দোলনকে’ একটি ধর্মীয় ফেরকায় রূপান্তর করে।
‘শিয়া মতবাদ’ হলো মূলতঃ ইহুদী মতবাদের দ্বিতীয় সংস্করন।
ইসলামের প্রতি এক বিদ্বেষী মতবাদের নামই হলো ‘শিয়া মতবাদ’। শিয়া আকিদা যদি সত্যি হয় তবে ইসলাম হবে মিথ্যা। আর ইসলাম যদি সত্যি হয় তবে শিয়া মতাদর্শের বাতুলতা সম্পর্কে সন্দেহ থাকার অবকাশ নেই।
‘শিয়া মতবাদ’ উৎপত্তির মূলে
শিয়ানে আলী বা আলী (রাঃ)এর প্রতি নিবেদিত প্রাণদের দলটি ছিল শুরুতে একটি রাজনৈতিক মতভেদ মাত্র। হযরত রাসূলে কারীম (সাঃ)এর ওফাতের পর মুসলমানদের খলিফা কে হবেন , তা নিয়ে সৃষ্ট মতভেদ থেকে ক্ষুদ্র একটি দল হযরত আলী (রাঃ)কে খেলাফতের বৈধ উত্তরাধীকারী এবং তাঁর পূরববর্তী তিন খলিফাকে অন্যায়ভাবে ক্ষমতা দখল করেছিলেন বলে মনে করতো। এ ভিন্নমতটিই রাজনৈতিক মতপার্থক্যের সীমা অতিক্রম করে ধর্মীয় আঁকার ধারণ করে।
‘শিয়া মতবাদ’ হযরত(সাঃ)এর ওফাত দিবস থেকেই নবীর সহিত উম্মতের সম্পর্কচ্ছেদ ঘটাতে এবং দ্বীনের মূলোৎপাঠনে স্বচেষ্ঠ। ফলে ইসলামের মোকাবেলায় ইহুদী কর্তৃক শিয়া ধর্মের উৎপত্তি ঘটে।
ইসলামের তৃতীয় খলিফা হযরত উসমান(রাঃ)এর হত্যার ষড়যন্ত্র ছিল ইহুদী ষড়যন্ত্র। এরপর হযরত আলী(রাঃ)এর ওফাত। এরপর শিয়া ধর্মের উৎপত্তি। ইহুদী পণ্ডীত আবদুল্লাহ ইবনে সাবা আল ইহুদীর চিন্তা-চেতনার আলোকেই এই ‘শিয়া মতবাদ’এর উৎপত্তি।
ইসলামের চিরশত্রু এ ফিৎনা সৃষ্টিকারী ইহুদীদের মূলনায়ক মুনাফিক আবদুল্লাহ ইবনে সাবা আল ইহুদী এবং তার মদদপুষ্টরা ইসলামের প্রবাহমান স্রোতধারাকে স্তব্ধ করার লক্ষ্যে এবং মুসলীম ঐক্যে ফাটল ধরিয়ে দেয়ার নিমিত্তে হযরত আলী(রাঃ)এর প্রেমে মুগ্ধ হবার রূপ দিয়ে শিয়া ফেরকার ভিত্তি স্থাপিত হয়*।
‘শিয়া মতবাদ’এর ভিত্তি রচনাকারী মূল নায়কের পরিচয়
‘শিয়া মতবাদ’এর মূল উদগাতা ছিল ইহুদী তাত্বিক আবদুল্লাহ ইবনে সাবা আল ইহুদী। ইয়েমেনের অধিবাসী এ ধূর্ত লোকটি তৃতীয় খলিফা হযরত উসমান(রাঃ)এর শাসনামলে মদীনায় আগমন করে নিজেকে একজন নিষ্টাবান মুসলমান রূপে প্রকাশ করে খলিফার নৈকট্য প্রাপ্তদের মধ্যে স্থান করে নিতে স্বচেষ্ঠ হয়। কিন্তু, উসমান(রাঃ) তার গতিবিধি দেখে সন্দিহান হয়ে তাকে দূরে সরিয়ে দেন। এ ব্যক্তিই পরে এমন একটি বক্তব্য দাঁড় করায় যে , হযরত নবী করীম(সাঃ)এর পর তাঁর বৈধ উত্তরাধীকারী ছিলেন হযরত আলী(রাঃ)। কিন্তু, চক্রান্ত করে তাঁকে সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এ ব্যক্তি হযরত উসমান(রাঃ)এর বিরুদ্ধেও নানা ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করতে থাকে।
ফলশ্রতিতে হযরত উসমান(রাঃ) দুষ্কৃতকারীর হাতে শাহাদত বরণ করেন। আর এ আবদুল্লাহ ইবনে সাবা আল ইহুদীই প্রথম ব্যক্তি যে প্রচার করেছিল যে , হযরত আলী(রাঃ) মৃত্যুবরণ করেননি, তিনি আবার ফিরে আসবেন। শুধু ক’দিনের জন্য একটি পর্বতের অপর প্রান্তে লুকানো অবস্থায় থাকবেন। তার এ চিন্তা-চেতনায় নির্ভর করে মুসলমানদের মধ্যে ভাঙ্গন সৃষ্টির স্থায়ী রূপ দেয়া হলো তাও ইহুদীদের হাতে।
‘শিয়া মতবাদ’এর জন্মদিন ঐতিহাসিক হিট্টির মতে – ১০ই মুহররম ‘শিয়া মতবাদ’এর জন্ম হয়।
বহুধাবিভক্ত ‘শিয়া মতবাদ’এ বিশ্বাসীরা
ইহুদী তাত্বিক আবদুল্লাহ ইবনে সাবা আল ইহুদীর চিন্তা-চেতার ধারায় শেষ পর্যন্ত শিয়ারা একটা বিরাট দলে পরিণত হয়ে যায়। কালে কালে তারা ইসলামী আকিদা বিশ্বাসের সমান্তরাল নতুন আকিদা-বিশ্বাস , এবাদত পদ্ধতি এবং চিন্তা চেতনার সৃষ্টি করে।
বিচিত্র বিশ্বাসের অনুসারী হয়ে তারা পরবর্তীতে বহুধাবিভক্ত হয়ে বিভিন্ন উপদলে অস্থিত্ব লাভ করে। এমনকি ৭০(সত্তর) এরও অধিক উপদলে বিভক্ত হয়ে যায়। এসব কোন কোন উপদলের বিশ্বাস এতই জগণ্য যে, তাদেরকে কোন মাপেই মুসলীম উম্মাহর অংশ রূপে গণ্য করার উপায় নেই।
শিয়াদের বহুধাবিভক্ত উপদলের মধ্যে সবচেয়ে প্রভাবশালী যে দল , সেটি হলো – ‘শিয়ায়ে ইমামিয়া বা শিয়ায়ে ইসনা আশারিয়া’। বর্তমানে এ দলটিই ‘শিয়া’ নামে পরিচিত। অন্যান্য উপদলগুলোর মধ্যে – দরুজী, হুমাইরী , গোরাবী দলগুলো অন্যতম।
‘শিয়ায়ে ইমামিয়া বা শিয়ায়ে ইসনা আশারিয়া’এর বিংশ খ্রীষ্টাব্দের ইমাম
বিগত বিংশ খ্রীষ্টাব্দে ‘শিয়ায়ে ইমামিয়া বা শিয়ায়ে ইসনা আশারিয়া’র পথ প্রদর্শক ও মহান নেতা ছিল ইরানী বিপ্লবের আহ্বায়ক আয়াতুল্লাহ রুহুল্লা খোমেনী।
শিয়াদের আকিদা-বিশ্বাস
শিয়াদের মূল দল তথা ইহুদী পণ্ডীত আবদুল্লাহ ইবনে সাবার মতাদর্শীরা দাবী করে যে, খলিফা হবার অধিকারী ছিলেন হযরত আলী(রাঃ)। এটা তাঁর রাজনৈতিক অধিকার নয় , ধর্মীয় অধিকার। সাহাবায়ে কেরামের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ট অংশ হযরত আলী(রাঃ)কে খলিফা রূপে মনোনীত না করে ধর্মচ্যুত হয়েছিলেন।
শিয়াদের আরেক দল আরও একটু অগ্রসর হয়ে হযরত আলী(রাঃ) সম্পর্কে এরূপ ধারণা প্রচার করতে থাকে যে , প্রকৃত প্রস্তাবে হযরত আলী(রাঃ)ই নবী ছিলেন। ফিরিস্তা জীবরাঈল(আঃ) ভুলক্রমে ওহী হযরত মুহাম্মদ(সাঃ) র নিকট নাযিল করে ফেলেছিলেন।
শিয়াদের আরেক দলের বিশ্বাস যে, কারবালার ঘটনার পর বিদ্রোহ ঘোষনাকারী নিখোঁজ হওয়া মুহাম্মদ ইবনুল হানাফিয়্যাকে ইরাকের একটি পাহাড়ী অঞ্চলে সুরক্ষিত করে রাখা হয়েছে। কেয়ামতের আগে দাজ্জালের মোকাবেলা করার উদ্দেশ্যে প্রতিশ্রুত ইমাম মাহদীর সহযোগী রূপে তাঁর আবির্ভাব হবে।
শিয়াদের উপদল সমুহের একটি বিরাট অংশের ধারণা – ইবলিশ শয়তান পৃথিবীর প্রতি ইঞ্চি জমিনে সিজদা করে সমগ্র ভূ-ভাগই নাপাক করে ফেলেছে। একমাত্র কারবালার ঐ অংশটুকুই এ অভিশাপ থেকে মুক্ত আছে, যে অংশে হযরত ইমাম হোসাইন(রাঃ) এবং আহলে বাঈতের সদস্যগণ তাবু স্থাপন করেছিলেন।
শিয়াদের ‘আকিদায়ে ইমামত’ হলো- ইসলামী আকিদা মতে একজন স্বতন্ত্র শরীয়াতধারী নবীর যে অর্থ , অবস্থান ও মর্যাদা; তাদের নিষ্পাপ ইমামেরও ঠিক একই অর্থ, মর্যাদা ও মহত্ত্ব।
শিয়াদের মতে, নবী করীম(সাঃ)এর ওফাতের পর সমগ্র সাহাবায়ে কেরামদের মধ্যে যাঁরা হযরত আবু বক্কর সিদ্দীক(রাঃ)কে খলিফা পদে স্বীকৃতি দিয়ে তাঁর হাতে বাইয়াত নিয়েছিলেন , তাঁরা সকলেই কাফেরে পরিণত(নাউযুবিল্লাহ)। কেননা, তাঁরা নিষ্পাপ ইমাম হযরত আলী(রাঃ)এর হাতে বাইয়াত হন নাই। এটাই হলো শিয়াদের সাহাবায়ে কিরামের প্রতি বিদ্বেষ।
শিয়াদের মতে, কিয়ামত পর্যন্তের জন্য নবী করীম(সাঃ) মানুষের হিদায়াতের উদ্দেশ্যে প্ররীত হয়েছিলেন- এটা সত্য নয়। নবী করীম(সাঃ)এর ওফাতের পর একদিনের জন্যও ইসলাম টিকে থাকেনি। কারণ, দীর্ঘ ২৩(তেইশ) বছরে ইসলামের যে সেনাদল তিনি নিজের ও উম্মতের মধ্যে সেতুবন্ধন রূপে তৈরী করেছিলেন, সে সেনাদলের গোটা জামাতই নবী করীম(সাঃ)এর ওফাতের পর ধর্মান্তরিত হয়ে গেছে (নাউযুবিল্লাহ)। শিয়াদের সাহাবায়ে কিরামের প্রতি বিদ্বেষের এটা আর একটা নমুনা।
শিয়াদের মতে, কোরআন মজিদ অবিকৃত থাকেনি। বর্তমান আকারে যে কোরআন মজিদ মুসলমানদের হাতে আছে , তা নির্ভেজাল কোরান নয় বরং তা হযরত উসমান(রাঃ) কর্তৃক সংকলিত কোরআন*।
শিয়াদের প্রসিদ্ধ আলেম ও মুহাদ্দিস ‘নূরী তাবরছি’ কোরআনে কারীমের মধ্যে পরিবর্তন পরিবর্ধনের প্রমাণের লক্ষ্যে একটি বৃহৎ গ্রন্থ রচনা করেছেন। যার নাম ‘ফছলুল খিত্বাব ফি এছবাতি তাহরীফে কিতাবে রাব্বিল আরবাব’। এ গ্রন্থে লেখা হয়েছে যে, পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও রূপান্তরের ক্ষেত্রে কোরআনে কারীম তাওরাত ও যবুর , ইঞ্জিলের মতই (নাউযুবিল্লাহ)। এ কিতাবে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, মূল কোরআনে কারীম যা নিয়ে হযরত জীবরাঈল(আঃ) রাসূলে কারীম(সাঃ)এর নিকট অবতীর্ণ হয়েছিলেন তার মধ্যে ১৭০০০(সতেরো হাজার) আয়াত ছিল। কিন্তু, বর্তমানে মুসলমানদের নিকট যে কোরআন শরীফ বিদ্যমান আছে , সে কোরআনের মধ্যে হযরত আয়শা(রাঃ) এর গণনানুযায়ী মাত্র ৬৬৬৬ (ছয় হাজার ছয়শত ছেষট্টি)টি আয়াত রয়েছে।
শিয়ারা ইসলামের কলেমায় সন্তুষ্ট নয় বরং তারা কালেমার সহিত ‘আলী ওয়ালিউল্লাহ্ অছি রাসূলুল্লাহ ( আলী(রাঃ) রাসূল(সাঃ)এর একমাত্র ওয়ারিশ ও তাঁর সরাসরি খলিফা )’ প্রভৃতি বাক্য যোগ করে।
শিয়ারা কারবালার ঘটনার পর থেকে মুহররম মাসের প্রথম দশ দিন শোকদিবস পালন করে।
শিয়াদের উপদল – দরুজী, হুমাইরী, গোরাবী মতাদর্শীরা প্রচার করে যে, পবিত্র কোরানের একটি উল্লেখযগ্য অংশ হযরত ফাতেমা(রাঃ) এবং হযরত আলী(রাঃ) এর উপর নাযিল হয়েছিল- সেই অংশটুকুই হচ্ছে আসল কোরআন।
শিয়ায়ে ইসনা আশারিয়্যার মতাদর্শীদের আকিদা-বিশ্বাস হলো- তারা হযরত আলী(রাঃ)কে খোদা বলে দাবী করে। সে জন্য তারা ‘ইয়া আলী মদদ’ বলে তাঁকে সম্বোধন করে এবং বলে যে – আল্লাহ তাআলা হযরত জীবরাঈল(আঃ)কে পাঠিয়েছিলেন হযরত আলী(রাঃ)কে নবী বানাতে। কিন্তু, জীবরাঈল(আঃ) ভুল করে মুহাম্মদ(সাঃ)কে নুবুওয়াত দিয়ে দেন।
এদের আরো আকিদাগুলো হলো-
দু’একজন ছাড়া সব সাহাবীরাই কাফির (নাউযুবিল্লাহ)।
হযরত আবু বক্কর(রাঃ) ও হযরত উমর(রাঃ) কাফির (নাউযুবিল্লাহ)।
হযরত আবু বক্কর(রাঃ) ও হযরত উমর(রাঃ)কোরানের মুখালেফাত, বিরোধীতাকারী (নাউযুবিল্লাহ)*৩৪।
শিয়াদের ইমামদের উপর ঈমান আনা নবীদের উপর ঈমান আনার সমান।
শিয়াদের ইমামদের হাতে জান্নাত-জাহান্নাম, তাদের ইমামরা যাকে ইচ্ছা জান্নাত ও জাহান্নামে পাঠাতে পারবে।
মুতা (কিছুক্ষণের জন্য) বিবাহ করা অনেক সওয়াবের কাজ, এটা কোন জেনা নয়।
হযরত আয়শা(রাঃ) জেনাকারিনী (নাউযুবিল্লাহ)।
বর্তমান কোরআন আসল কোরআন নয়, আসল কোরআন ৪০ পারা এবং ৬০ হাত লম্বা।
হযরত উমর(রাঃ) রাসূল(সাঃ)এর ঘরে আগুন লাগিয়েছেন (নাউযুবিল্লাহ)।
শিয়াদের প্রসিদ্ধ আলেম ও লেখক ‘বাকর মজলিসি’ তাঁর স্বীয় গ্রন্থ ‘হায়াতুল ক্বুলুব’এর মধ্যে উম্মুল মু’মেনীন হযরত আয়শা(রাঃ) ও হযরত হাফসা(রাঃ)কে বারবার মুনাফিক বলে আখ্যায়িত করেছেন। এমনকি তিনি একথাও লখেছেন যে, হযরত আয়শা(রাঃ) ও হযরত হাফসা(রাঃ) রাসূল(সাঃ)কে বিষপান করিয়ে শহীদ করে দিয়েছেন (নাউযুবিল্লাহ)।
শিয়াদের প্রামাণ্য গ্রন্থ ’উসূলে কাফী’ তে কোরআনের আয়াত – ‘ওয়ালাকিন্নাল্লাহা হাব্বাবা ইলাইকুমুল ঈ’মানা ওয়াযাইয়্যানাহু ফি ক্বুলুবিকুম ওয়াকাররাহা ইলাইকুমুল কুফরা ওয়ালফুসুকা ওয়াল ইসইয়ান’- এর ব্যাখা প্রসঙ্গে লেখা হয়েছে যে, আয়াতটির মধ্যে ‘ঈমান’ দ্বারা হযরত আলী(রাঃ)কে ও ‘কুফর’ দ্বারা ইসলামের প্রথম খলিফা হযরত আবু বক্কর(রাঃ)কে এবং ‘ফুসক’ দ্বারা দ্বিতীয় খলিফা হযরত উমর(রাঃ)কে বুঝানো হয়েছে।
ইসনা আশারিয়্যার বিংশ খ্রীষ্টাব্দের ইমাম খোমেনী তাঁর লিখিত ফার্সীগ্রন্থ ‘কাশফুল আসরার’ এর ধারাবাহিক আলোচনার মধ্যে প্রথম শিরোনাম স্থাপন করেন- ‘মুখালাফাতে আবু বক্কর বা নচ্ছে কোরআন’(কোরআনের সাথে আবু বক্করের বিরোধতা)। আর দ্বিতীয় শিরোনামে লিখেন – ‘মুখালাফাতে উমর বা কোরআনে খোদা (আল্লাহর কোরআনের সাথে উমরের বিরোধীতা)*৪৩।
শিয়াদের ব্যাপারে মুসলমানদের মতামত
যাঁরা হযরত আবু বক্কর(রাঃ) ও হযরত উমর(রাঃ)এর চেয়ে হযরত আলী(রাঃ)কে উচ্চ মর্যাদাশীল রূপে বিশ্বাস করে, তাদেরকে কাফির বলা যাবেনা, তবে এ কারনে তারা ভুলের মধ্যে আছে।
যারা মনে করে কোরআন শরীফ হুবহু নেই, কিছু বেশ কম হয়েছে এবং যারা মনে করে আল্লাহর আত্মা হযরত আলী(রাঃ)এর মধ্যে প্রবেশ করেছে- তাদেরকে মুসলমান বলা যাবেনা।
শিয়াদের ‘আকিদায়ে ইমামাত’ হযরত(সাঃ) এর খতমে নুবুওয়াতের বিরুদ্ধে এক প্রকাশ্য বিদ্রোহ এবং ইসলামের শাশ্বত বিধানের বিকৃতি সাধনে এক জগণ্য ষড়যন্ত্র। শিয়াদের এ ‘আকিদায়ে ইমামাত’ হলো ইসলামের সর্বস্বীকৃত ‘আকিদায়ে খতমে নুবুওয়াত’এর বিলুপ্তি সাধন করতঃ মিথ্যা নুবুওয়াতের চোরাপথ খোলার এক মন্ত্র রচনা। শিয়াদের ‘আকিদায়ে ইমামাত’ আদতেই দূর্বল ভিত্তির উপর প্রতিষ্টিত। যে কারনে বেশীদিন এর ভার রক্ষা করা যায়নি। ফলে তাদের ইমামগণের সিলসিলা ১২ নম্বরে সমাপ্ত করে শেষ ইমামকে এক অজানা গর্তে গায়েব করে দেয় ২৬০ হিজরীতে। তারপর সাড়ে ১১শত বছর গত হলেও এ পর্যন্ত কেহ জানেনা তাদের ১২তম ইমাম কোথায় কি অবস্থায় আছেন।
যেহেতু তিন খলিফা [হযরত আবু বক্কর(রাঃ) ও হযরত উমর(রাঃ) এবং হযরত উসমান(রাঃ)] এর আমলে হযরত আলী(রাঃ) স্বয়ং আপন হাতে মুসলমানদের বাইয়্যাত গ্রহণের আহ্বান জানাননি, সেহেতু হযরত আলী(রাঃ)এর প্রতিও শিয়ারা ক্ষীপ্ত।
কোরআনের আয়াত – ‘আমিই এই কোরআনকে নাযিল করেছি এবং আমিই এর হিফাজতকারী’- আল্লাহর এ দৃঢ় বক্তব্যকে চ্যালেঞ্জ ও মিথ্যা সাব্যস্থকারী হলো শিয়াদের কোরআন বিকৃতির আকিদা।
কোরআনের আসল কপি ১২তম ইমামের সহিত অজানা গর্তে লুকিয়ে আছে, শিয়াদের এ আকিদা তাদের দু’চারজন আলেম ব্যতিত বাকি সকলরই স্বীকৃত।
ইসলামের প্রথম কালেমা ও কোরআনের প্রতি যেখানে আস্থা নেই , সেখানে তাদের মধ্যে ইসলামের কিছুই বাকি থাকতে পারেনা।
যে সকল শিয়া নিম্নলিখিত আকিদায় বিশ্বাসী , তারা কাফের। আর যারা তাদের অনুসরণ করবে তারাও কাফের। কাফের সাব্যস্থকারী আকিদাগুলো হল –
কোরআন পরিবর্তনের আকিদা।
আল্লাহর উপর মিথ্যাচারর অপবাদ আরোপ।
আম্বিয়ায়ে কিরামের প্রতি ‘তাকিয়া’ বা মুনাফেকির অপবাদ।
হযরত আবু বক্কর(রাঃ), হযরত উমর(রাঃ) এবং হযরত উসমান(রাঃ) এর উপর কুফর ও মুনাফেকির অপবাদ আরোপ এবং তাঁদের সাহাবিত্ব ও খেলাফত অস্বীকার।
শিয়াদের ইমামদেরকে নিষ্পাপ ও আলেমুল গায়েব রূপে বিশ্বাস পোষণ।
খতমে নুবুওয়াত আকিদার অস্বীকার ইত্যাদি।শিয়া সম্প্রদায়ের ইসনা আশারিয়্যা দলের লোকেরা উল্লেখিত আকিদাগুলো পোষণ করে বিধায় তারাও কাফের।
শিয়ারা কারবালার বাইরে সিজদা করার জন্য কারবালার বিশেষ স্থানের মাটি সংগ্রহ করে এবং সেই মাটি দ্বারা ছোট ছোট চাকতি তৈরী করে চাকতীতে কপাল ঠেকিয়ে সিজদা করে। এমনকি পবিত্র মক্কার বাইতুল্লাহ শরীফ এবং মদীনার মসজিদে নববীতে নামাজ পড়ার সময়ও তারা সেই চাকতি ব্যবহার করে। অথচ এটা হাদীস শরীফের সুস্পষ্ট ঘোষণার বিপরীতে একটা বাড়াবাড়ি। কেননা, রাসূল(সাঃ) স্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা করেছেন যে, আল্লাহ পাক সমগ্র ভূ-ভাগই আমার জন্য মসজিদ বা সেজদার স্থান সাব্যস্থ করেছেন।
আবু হনিফা নামে হযরত আলী(রাঃ)এর কোন সন্তান ছিলনা। হযরত ফাতেমা(রাঃ)র ইন্তেকালের পর হানাফিয়্যা গোত্রের খাওলা বিনতে জাফর ইবনে কাইস নামীয় এক মহিলাকে হযরত আলী(রাঃ) বিয়ে করেছিলেন। এই মহিলার গর্ভে তাঁর যে পুত্র সন্তানের জন্ম হয়েছিল তাঁর নাম ছিল মুহাম্মদ। বনি হানাফিয়্যার উক্ত মহিলাকে বিবি হানাফিয়্যা নামে ডাকা হতো বলেই তাঁর গর্ভজাত সন্তানকে মুহাম্মদ ইবনুল হানাফিয়্যা ডাকা হতো। কারবালার ঘটনার পর তিনি বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন। এমনি এক যুদ্ধে তিনি নিখোঁজ হয়ে যান। শিয়া মতালম্বীরা তাঁর নিখোঁজ হবার ঘটনাটি নিয়ে নানা গল্পের সৃষ্টি করে। অথচ, ইসলামের ইতিহাসের নির্ভরযোগ্য সুত্রগুলিতে এ ধরণের কোন তথ্যের উল্লেখ নাই।
সবশেষে বলতে হয়, শিয়ারা একটা বিভ্রান্ত ফেরকা। এদের অধিকাংশই কাফের। প্রাথমিক অবস্থায় রাজনৈতিক বিতর্কের কারণে বৃহত্তর মুসলীম উম্মাহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লেও পরবর্তীতে আকিদা – বিশ্বাসের ক্ষেত্রেও বড় ধরণের বিভ্রান্তিতে জড়িয়ে তারা মিল্লাতে ইসলামিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
শিয়াদের মতাদর্শ সম্পর্কে পূর্ণ রূপে জ্ঞান অর্জনের লক্ষ্যে প্রয়োজন হবে আরও অধিক অধায়নের।

শিয়ারা কি মুসলিম নাকি কাফির?

-এই নিয়ে অনেকের মধ্যে সংশয় দেখা যায়. অনেকেই শিয়া-দেরকে আরেকটি মাজহাব বা আরেকটি হিজব হিসাবে ভেবে থাকেন। অনেকেই জানতে চান শিয়া-সুন্নীর মধ্যে পার্থক্যটা কি ? (বিশেষত সিরিয়া,ইরাক সহ বিভিন্ন জায়গায় শিয়া-সুন্নী যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে এ প্রশ্নগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাড়াচ্ছে) ।
এই প্রশ্নগুলোর সরাসরি উত্তর অনেকের পক্ষে “গোড়ামী” মনে হতে পারে, তাই প্রশ্নের উত্তরে না গিয়ে শিয়া বিশ্বাসের কিছু দিক তুলে ধরছি। নিজেরাই বিচার করে নেবেন শিয়ারা, মুসলিম কিনা।
১) শিয়া আকীদা এবং শিরক
১২ ইমাম-এ বিশ্বাস ইমামী শিয়াদের ঈমানের অংশ বা আরকানুল ইমান। তারা ইমামদের কিছু নির্দিষ্ট গুনাবলী, দৈব ক্ষমতা ইত্যাদিতে বিশ্বাস করে যা তাওহীদ এর পরিপন্থী এবং শিরক।
প্রথমত, তারা বিশ্বাস করে যে ইমামরা সকল ভুলের উর্ধে (infalliable)।
এমনকি দুর্ঘটনা বশতঃ অথবা মনের ভুলেও তারা কোনো ভুল কাজ, এমনকি ভুল চিন্তাও করতে পারে না। ১ অথচ শুধু আল্লাহই সকল ভুলের উর্ধে এবং আল্লাহর গুনাবলীর কোনো অংশীদার নেই। এটি শিরক-আল-আসমা ওয়াস-সিফাত এবং নিশ্চিতভাবে কুরআনের পরিপন্থী।
فَاطِرُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ جَعَلَ لَكُم مِّنْ أَنفُسِكُمْ أَزْوَاجًا وَمِنَ الْأَنْعَامِ أَزْوَاجًا يَذْرَؤُكُمْ فِيهِ لَيْسَ كَمِثْلِهِ شَيْءٌ وَهُوَ السَّمِيعُ البَصِيرُ
তিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের স্রষ্টা। তিনি তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের জন্যে যুগল সৃষ্টি করেছেন এবং চতুস্পদ জন্তুদের মধ্য থেকে জোড়া সৃষ্টি করেছেন। এভাবে তিনি তোমাদের বংশ বিস্তার করেন। কোন কিছুই তাঁর অনুরূপ নয়। তিনি সব শুনেন, সব দেখেন।
[আল কুরআন- ৪২-১১]
শিয়ারা ইমামদের সর্ব-জ্ঞানী, সর্ব-দ্রষ্টা দাবী করে অর্থাত তারা অতীত,বর্তমান এবং ভবিষ্যতের সকল কিছু সম্পর্কে জ্ঞাত ১,২. । তারা বিশ্বাস করে ইমামরা নিজেদের মৃত্যুর স্থান-কাল সম্পর্কেও অবগত। অথচ শুধু আল্লাহই সর্বজ্ঞানী, আল আলীম. আল্লাহু কুরআন-এ বলেন:
إِنَّ اللَّهَ عِندَهُ عِلْمُ السَّاعَةِ وَيُنَزِّلُ الْغَيْثَ وَيَعْلَمُ مَا فِي الْأَرْحَامِ وَمَا تَدْرِي نَفْسٌ مَّاذَا تَكْسِبُ غَدًا وَمَا تَدْرِي نَفْسٌ بِأَيِّ أَرْضٍ تَمُوتُ إِنَّ اللَّهَ عَلِيمٌ خَبِيرٌ
নিশ্চয় আল্লাহর কাছেই কেয়ামতের জ্ঞান রয়েছে। তিনিই বৃষ্টি বর্ষণ করেন এবং গর্ভাশয়ে যা থাকে, তিনি তা জানেন। কেউ জানে না আগামীকল্য সে কি উপার্জন করবে এবং কেউ জানে না কোন দেশে সে মৃত্যুবরণ করবে। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সর্ববিষয়ে সম্যক জ্ঞাত।
[আল কুরআন- ৩১:৩৪]
ইমামী শিয়ারা বিশ্বাস করে যে সমগ্র সৃষ্টি বা মাখলুক, এমনকি এক একটি অনু-পরমানুও ইমামরা নিয়ন্ত্রন করেন ৩ (Al Wilayah at Takwiniyah)। এটি আল্লাহর রুবুবিয়াহ-এর ( তাওহীদ আর রুবুবিয়াহ) পরিপন্থী । আল্লাহু কুরআন-এ বলেন:
قُلِ الْحَمْدُ لِلَّهِ وَسَلَامٌ عَلَى عِبَادِهِ الَّذِينَ اصْطَفَى آللَّهُ خَيْرٌ أَمَّا يُشْرِكُونَ
أَمَّنْ خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ وَأَنزَلَ لَكُم مِّنَ السَّمَاء مَاء فَأَنبَتْنَا بِهِ حَدَائِقَ ذَاتَ بَهْجَةٍ مَّا كَانَ لَكُمْ أَن تُنبِتُوا شَجَرَهَا أَإِلَهٌ مَّعَ اللَّهِ بَلْ هُمْ قَوْمٌ يَعْدِلُونَ
বল, সকল প্রশংসাই আল্লাহর এবং শান্তি তাঁর মনোনীত বান্দাগণের প্রতি! শ্রেষ্ঠ কে? আল্লাহ না ওরা-তারা যাদেরকে শরীক সাব্যস্ত করে।
বল তো কে সৃষ্টি করেছেন নভোমন্ডল ও ভূমন্ডল এবং আকাশ থেকে তোমাদের জন্যে বর্ষণ করেছেন পানি; অতঃপর তা দ্বারা আমি মনোরম বাগান সৃষ্টি করেছি। তার বৃক্ষাদি উৎপন্ন করার শক্তিই তোমাদের নেই। অতএব, আল্লাহর সাথে অন্য কোন উপাস্য আছে কি? বরং তারা সত্যবিচ্যুত সম্প্রদায়।
[আল কুরআন- ২৭:৫৯-৬০]
তারা এও বিশ্বাস করেন যে ইমামদের কাছে ইবাদত করা গ্রহণযোগ্য। এটি তাওহীদ আল ইবাদাহ-এর পরিপন্থী। ৪ আল্লাহু কুরআন-এ বলেন:
وَلَقَدْ بَعَثْنَا فِي كُلِّ أُمَّةٍ رَّسُولاً أَنِ اعْبُدُواْ اللّهَ وَاجْتَنِبُواْ الطَّاغُوتَ فَمِنْهُم مَّنْ هَدَى اللّهُ وَمِنْهُم مَّنْ حَقَّتْ عَلَيْهِ الضَّلالَةُ فَسِيرُواْ فِي الأَرْضِ فَانظُرُواْ كَيْفَ كَانَ عَاقِبَةُ الْمُكَذِّبِينَ
আমি প্রত্যেক উম্মতের মধ্যেই রাসূল প্রেরণ করেছি এই মর্মে যে, তোমরা আল্লাহর এবাদত কর এবং তাগুত থেকে নিরাপদ থাক। অতঃপর তাদের মধ্যে কিছু সংখ্যককে আল্লাহ হেদায়েত করেছেন এবং কিছু সংখ্যকের জন্যে বিপথগামিতা অবধারিত হয়ে গেল। সুতরাং তোমরা পৃথিবীতে ভ্রমণ কর এবং দেখ মিথ্যারোপকারীদের কিরূপ পরিণতি হয়েছে।
[আল কুরআন-১৬:৩৬]
আলাউই/নুস্রায়রী-রা আরো ভয়ানক শিরক করে থাকে. তারা (নাসারা-দের মতো ) ত্রিত্ব বা ট্রিনিটি-তে বিশ্বাস করে এবংতা তিনটি আরবী অক্ষর দ্বারা প্রকাশ করে (ع ، م ، س) তাদের মতে, আলী(রা:)হচ্ছেন উপাস্য, রাসুল (সা: ) হচ্ছেন উপাস্যের সংসর্গ লাভের পথ এবং সালমান আল-ফার্সী (রা:)হচ্ছেন বিশ্বাসীদের আশ্রয়. তাদের মতে আল্লাহ এবং আলী এক এবং অভিন্ন। ৫
وَعَدَ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا مِنكُمْ وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ لَيَسْتَخْلِفَنَّهُم فِي الْأَرْضِ كَمَا اسْتَخْلَفَ الَّذِينَ مِن قَبْلِهِمْ وَلَيُمَكِّنَنَّ لَهُمْ دِينَهُمُ الَّذِي ارْتَضَى لَهُمْ وَلَيُبَدِّلَنَّهُم مِّن بَعْدِ خَوْفِهِمْ أَمْنًا يَعْبُدُونَنِي لَا يُشْرِكُونَ بِي شَيْئًا وَمَن كَفَرَ بَعْدَ ذَلِكَ فَأُوْلَئِكَ هُمُ الْفَاسِقُونَ
তোমাদের মধ্যে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদেরকে ওয়াদা দিয়েছেন যে, তাদেরকে অবশ্যই পৃথিবীতে শাসনকর্তৃত্ব দান করবেন। যেমন তিনি শাসনকতৃêত্ব দান করেছেন তাদের পূর্ববতীদেরকে এবং তিনি অবশ্যই সুদৃঢ় করবেন তাদের ধর্মকে, যা তিনি তাদের জন্যে পছন্দ করেছেন এবং তাদের ভয়-ভীতির পরিবর্তে অবশ্যই তাদেরকে শান্তি দান করবেন। তারা আমার এবাদত করবে এবং আমার সাথে কাউকে শরীক করবে না। এরপর যারা অকৃতজ্ঞ হবে, তারাই অবাধ্য।
[আল কুরআন-২৪:৫৫]
২) শিয়াদের কালিমা
শিয়াদের কালিমা-ই-তায়িইবা আহলুস-সুন্নাহ-ওয়া’আল জামাহ থেকে ভিন্ন, সঠিক কালিমার সাথে তারা আরেকটি অতিরিক্ত অংশ যোগ করে । তাদের সম্পুর্ন কালিমা হলো:
La ilaha illallaho Mohammad-ur Rasool Allah Ali-un Wali Ullah Wasi-o Rasool Allah wa Khalifato hu bila fasl.
৩) কুরআন এবং শিয়া বিশ্বাস
শিয়ারা কুরআন-এর বিশুদ্ধতায় বিশ্বাস করেনা। তারা বিশ্বাস করে কুরআনকে বিকৃত করা হয়েছে, একে তারা বলে “তাহরীফ” । একাধিক ক্লাসিকাল বই-এ কুরআন-এর বিকৃতি বা “তাহরীফ” এর উল্লেখ করা হয়েছে। মোল্লা মুহসিন কাশানি এর উদৃতি দিয়ে বলা হয়:
“আহলুল বায়ত এর প্রথা এবং হাদিস থেকে এটা নিশ্চিত যে রাসুল (সা: ) এর কাছে যে কুরআন কুরআন নাজিল হয়েছে তা সম্পূর্ণ আর সঠিক রূপে আজকে আর নেই। এমন আয়াত আছে যা সত্যিকার ওহীর সাথে সাংঘর্ষিক; এমন আয়াত আছে যা বিকৃত এবং এমনসব আয়াত আছে যেখান থেকে আলী এবং আহলুল বায়াত এর নাম মুছে ফেলা হয়েছে। মুনাফিকদের নাম গোপন করা হয়েছে. ২৭
শিয়াদের প্রধান তাফসীর গ্রন্থ আল-কুম্মী তে বলা হয়েছে:
(মূল অর্থ ঠিক রাখার জন্য সরাসরি ইংরেজি দেওয়া হলো)
“Therefore, part of the Qur’an is an Abrogator and Abrogated, part is clear (Muhkam) and part is ambiguous (Mutashabih), part is in the general context, and part is particularized, part of it was placed forward and part is placed in the rear, part of it is severed and part of is connected, part of it is a letter in a place of another, and part of it is contrary to the manner revealed by Allah.
তাফসির আল আয়্য়াশী-তে ইমাম জাফর সিদ্দিকীর উধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, “আল্লাহর কালামে সংযোজন-বিয়োজন না করে হলে, ইমামতি-তে আমাদের অধিকার যেকোনো সুস্থ মানুষের কাছে প্রশ্নাতীত হত”। ২৮
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে অনেক শিয়া, তাহরীফ অস্বীকার করেন. এটা একারণে হতে পারে যে ১) তারা ব্যাক্তিগত ভাবে তাহরীফ-এ বিশ্বাস করেন না অথবা ২) তারা সত্য গোপন করছে, যা তাদের ধর্ম-বিশ্বাস এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। (তাকিইয়াহ)
শিয়াদের কুরআন সম্পর্কে মিথ্যা, বানোয়াট দাবীগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো:
মূল কুরআন আলী (রা: ) দ্বারা সংকলিত। মূল কুরআন-এ ১৭০০০ আয়াত আছে এবং তা “ইমাম” মাহদীর কাছে আছে. তার আগমনের পর, আবার মূল কুরআন তেলাওয়াত করা হবে। ২৯
আবু বকর (রা:), উমার (রা: ) এবং উসমান (রা: ) কুরআন বিকৃত করেছেন।৩০
সুরাহ আহযাব- প্রকৃতপক্ষে সুরা বাকারা-এর মতো বড় একটি সুরাহ. কিন্তু এর থেকে রাসুল (সা: ) এর বংশ ( বায়ত) সংক্রান্ত আয়াত মুছে দেওয়া হয়েছে। ৩১
সুরাহ ইনশিরাহ এর শেষে “এবং আল্লাহ আলী-কে আপনার জামাতা বানিয়েছেন” আয়াতটি মুছে দেওয়া হয়েছে। ৩২
সুরাহ ফুরকান এর ৭৪ এ আছে (অর্থ) :
“এবং আমাদের মুত্তাকীনদের ইমাম করে দিন ”
শিয়ারা দাবী করে সুরা ফুরকান-এর আয়াত ৭৪ টি “ভুল”; এই আয়াতটি হওয়া উচিত:
“এবং আমাদের মুত্তাকীনদের ভিতর থেকে ইমাম দিন” ৩২
এছাড়াও সুরা আর রহমান সহ আরো বিভিন্ন সুরাহ পরিবর্তিত বলে তারা বিশ্বাস করে।
অথচ আল্লাহ কুরআন কুরআনের সম্পূর্ণতা এবং বিশুদ্ধতা নিশ্চিত করেছেন।
إِنَّا نَحْنُ نَزَّلْنَا الذِّكْرَ وَإِنَّا لَهُ لَحَافِظُونَ
আমি স্বয়ং এ উপদেশ গ্রন্থ অবতারণ করেছি এবং আমি নিজেই এর সংরক্ষক।
[আল কুরআন-১৫:০৯]
৪)রাসুল (সা:) এবং শিয়া বিশ্বাস
রাসুল (সা:) সম্পর্কে ইমামী শিয়াদের অবমাননাকর অবস্থান আছে । রাসুল (সা: ) এবং অন্য সব নবীদের থেকে তারা তাদের ইমামদের-কে উচ্চ পদমর্যাদার অধিকারী ভাবে৭। মোল্লা মোহাম্মদ বাকী মজলিসীর মতে, ইমাম মাহদীর আগমনের (তারা বিশ্বাস করে তিনি নগ্ন অবস্থায় আসবেন) পর তার থেকে প্রথমে মুহাম্মদ (সা: ) থেকে বায়াহ গ্রহণ করবেন৮। ইমাম খোমেনী তার বই-এ রাসুল (সা: )-কে “ব্যর্থ” বলেছে। ৯
৫) হাদিস এবং শিয়া বিশ্বাস
বেশিরভাগ শিয়া, বিশেষত ইমামী শিয়ারা সহীহ ৬ টি (সহীহ সিত্তাহ) হাদিসের বইগুলোকে গ্রহণযোগ্য মনে করেন না, তাদের নিজের হাদিসের একাধিক বই আছে। প্রচলিত হাদিসের সাথে তাদের সংগৃহীত হাদিসের কোনো মিল নেই ।
সাহীহ হাদিস গ্রন্থগুলোর সংগ্রাহক ইমামদের প্রতি তাদের প্রবল তাচ্ছিল্য দেখা যায়. যেমন আব্দুল্লাহ আল সুবায়তী (বিখ্যাত শিয়া আলেম)ইমাম বুখারী সম্পর্কে বলেন:
“সে এমন কিছু হাদীস বর্ণনা করেছে যা এতটাই অদ্ভূত এবং জঘন্য যে তা এমনকি কুসংস্কারাচ্ছন্ন বর্বরদের কিংবা সুদানী মহিলাদের জন্যও গ্রহণযোগ্য নয় ।
৬ ) সাহাবীই এবং উম্মুল মু’মিনুনদের নিয়ে শিয়া বিশ্বাস
সাহাবীদের প্রতি শিয়ারা অত্যন্ত অপমানজনক ধারণা পোষণ করে। তারা দাবী করে যে ৩ জন সাহাবী ( আল মিকদাদ ইবন আসাদ, আবু জহর এবং সালমান ফার্সী) ছাড়া বাকি সব সাহাবী-ই কাফির এবং সকল সাহাবী-এ রাসুল (সা:) এর মৃত্যুর পড়ে ইসলাম ত্যাগ করেন১০. যে সকল সাহাবী (এবং মুসলিম) যারা আলী (রা:) এর আগের ৩ খলিফাকে রাশিদুন-কে (আবু বকর (রা:), উমার (রা:) এবং উসমান (রা:)) স্বীকৃতি দিয়েছেন তাদের সবাইকেই শিয়ারা কাফির মনে করে।
যেমন আল কুম্মীর মতে, নিচের আয়াতে “অমুক” দিয়ে উমার (রা:) কে বুঝানো হয়েছে:
وَيَوْمَ يَعَضُّ الظَّالِمُ عَلَى يَدَيْهِ يَقُولُ يَا لَيْتَنِي اتَّخَذْتُ مَعَ الرَّسُولِ سَبِيلًا
يَا وَيْلَتَى لَيْتَنِي لَمْ أَتَّخِذْ فُلَانًا خَلِيلً
জালেম সেদিন আপন হস্তদ্বয় দংশন করতে করতে বলবে, হায় আফসোস! আমি যদি রসূলের সাথে পথ অবলম্বন করতাম।
হায় আমার দূর্ভাগ্য, আমি যদি অমুককে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করতাম। ا
[আল কুরআন- ২৫:২৭-২৮]
আল কুম্মী দাবি করে তালহা (রা:) এবং জুবায়ের (রা:) জান্নাতে প্রবেশ করবেন না; তার মতে নিচের আয়াত তাদেরকে উদ্দেস্য করে নাজিল হয়েছে:
إِنَّ الَّذِينَ كَذَّبُواْ بِآيَاتِنَا وَاسْتَكْبَرُواْ عَنْهَا لاَ تُفَتَّحُ لَهُمْ أَبْوَابُ السَّمَاء وَلاَ يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ حَتَّى يَلِجَ الْجَمَلُ فِي سَمِّ الْخِيَاطِ وَكَذَلِكَ نَجْزِي الْمُجْرِمِينَ
নিশ্চয়ই যারা আমার আয়াতসমূহকে মিথ্যা বলেছে এবং এগুলো থেকে অহংকার করেছে, তাদের জন্যে আকাশের দ্বার উম্মুক্ত করা হবে না এবং তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে না। যে পর্যন্ত না সূচের ছিদ্র দিয়ে উট প্রবেশ করে। আমি এমনিভাবে পাপীদেরকে শাস্তি প্রদান করি।
[আল কুরআন- ৭-৪০]
অথচ তালহা বিন উবায়দুল্লাহ এবং জুবায়ের বিন আল-আওআম হচ্ছেন সেই ১০ জন সাহাবীদের মধ্যে অন্যতম যাদেরকে রাসুল (সা:)দুনিয়াতেই জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছেন !
মোল্লা বাকরী এমনও দাবী করেছেন যে আবু বকর (রা:), উমার বিন খত্তাব (রা:), উসমান বিন আফওয়ান (রা:), মুয়াইআ (রা:) আল্লাহর শত্রু, আল্লাহর নিকৃষ্ট সৃষ্টি এবং তাদের সাথে জড়িত সকলেই কাফির ১১।
শিয়ারা উম্মুল মু’মিনুন আয়েশা (রা:) কে শিয়ারা মনে-প্রাণে ঘৃনা করে এবং তার নামে জঘন্যতম মিথ্যা কুত্সা রটায়। তারা বিশ্বাস করে যে রাসুল (সা:) স্বাভাবিক মৃত্যু বরণ করেননি, বরং আবু বকর (রা:), উমার বিন খত্তাব (রা:) এর প্ররোচনায় উম্মুল মু’মিনুন আয়েশা (রা:) এবং উম্মুল মু’মিনুন হাফসা (রা:)( তাদের দুই কন্ন্যা) রাসুল (সা:) কে হত্যা করেন। ১২ লক্ষনীয়, সকল শিয়া আলেমরা এই ব্যাপারে একমত না হলেও কিন্তু অধিকাংশ শিয়া-ই আয়েশা (রা:)কে “বিশ্বাসঘাতক” ( আহলুল বায়ীত এর বিরুদ্ধে) বলে গণ্য করেন১৩।
শুধু তাই নয়, শিয়াদের একটি বিশেষ “দুয়া” ও আছে, যাতে তারা আবু বকর (রা:), উমার বিন খত্তাব (রা:)কে অভিশাপ করে। এই “দুয়া”টির নাম সনমে কুরায়শ অর্থাত কুরায়্শের দুই উপাস্য. তারা এমনকি এটাও বিশ্বাস করেন যে “ইমাম” মাহ্দী আয়েশা (রা: ), আবু বকর (রা:) এবং উমার বিন খত্তাব (রা:) কে পুন:জীবিত করে শাস্তি দিবেন। (আরেকটি কুফরী চিন্তা) ১৪ . আরেকটি বর্ণনায় বলা হয় তাদেরকে ক্রুশবিদ্ধ করে মারা হবে এবং তাদের দেহ এরপরে পুড়িয়ে ফেলা হবে। ১৫,১৬
৭) আহলুস সুন্নাহ ওয়া’আল জামাহ সম্পর্কে শিয়াদের বিশ্বাস
যেকোনো ব্যক্তি, যিনি আবু বকর (রা: ) এবং উমার বিন খাত্তাব (রা: ) এর খিলাফত-কে শিকার করেন তাকেই শিয়ারা “নাসিবী” নামে ডাকে। তাদের সংজ্ঞা অনুসারে সকল আহলুস সুন্নাহ ওয়া’আল জামাহর অনুসারী-ই “নাসিবী” । মোল্লা বাকীর তার ইবিদ বই-এ বলেন:
“নাসিবী-রা জারজদের থেকেই জঘন্য. আল্লাহর সৃষ্টির মধ্যে সবচেয়ে ঘৃণিত প্রাণী কুকুর. আর আল্লাহর চোখে নাসিবী-রা কুকরের থেকেও নোংরা।”
৮) শিয়াদের আরো কিছু ভ্রান্ত ধর্মবিশ্বাস
১) নিজের ধর্ম বিশ্বাস গোপন করা ঈমানের অংশ ।১৯
২) প্রত্যেক নামাজের পড়ে নিজের আবু বকর (রা:), উমার বিন খত্তাব (রা:), উসমান বিন আফওয়ান (রা:), মুয়াইআ (রা:), আয়েশা (রা:), হাফসা(রা:), হিন্দ(রা:), প্রমুখকে অভিশাপ দেওয়া ।
৩) নন-মুসলিম দের আওরাহ এর দিকে তাকানো গুনাহ নয়। ২১
৪)সল্পকালীন অস্থায়ী বিয়ের অনুমোদন আছে (দেহ ব্যবসা) ।
৫) বিপদের সময় আলী (রা: ) এর কাছে “ ইয়া আলী মদদ” বলে সাহায্য চাওয়া যায় ।
Untitled
৬)”ইমাম” মাহ্দী আরেকটি কুরআন নিয়ে আসবেন।
৭)আলী (রা: ) প্রত্যেক নবীর সাথের গোপনে “ইমাম” হিসাবে পাঠানো হয়েছে। ২২
৮)আগা খান পৃথিবীতে আল্লাহর প্রতিভাস ( ইসমাইলী শিয়া)।
৯) রাসুল (সা: ) এর পত্নীরা তার পরিবার-এর সদস্য না।
১০) ইমামরা তাদের মা-এর জাং থেকে জন্ম গ্রহণ করেন. কারণ সাধারণ জন্ম-প্রক্রিয়া তাদের জন্য নাপাক।. ২৩
১১)আলী (রা: ) মেরাজে গিয়েছিলেন ( রাসুল (সা: ) এর আগে) ।২৪
১২)শিয়ারা রোজার সময় পানি পান করতে পারে ।২৫
১৩)পায়ুমিলন হালাল ।২৬
৯) শিয়াদের নিয়ে উলামাদের বক্তব্য
ইমাম আশ-শাফী শিয়াদের থেকে হাদিস সংগ্রহের ব্যাপারে সতর্ক করে বলেছেন, যে তারা হাদীস বানায় এবং তা নিজেদের ধর্মে গ্রহণ করে। ১৭
ইমাম মালিক বলেছেন:
“তাদের সাথে কথা বলনা এবং তাদের থেকে হাদীস বর্ণনা করোনা – কেননা নিশ্চয় তারা মিথ্যুক”।
তিনি আরো বলেন তারা কাফির , কেননা তারা সাহাবীদের নাম শুনলে সহ্য করতে পারেনা, আর কুরআন-এ বলা আছে সাহাবারা কাফিরদের মধ্যে অন্তর্জালা তৈরী করবে ।
مُّحَمَّدٌ رَّسُولُ اللَّهِ وَالَّذِينَ مَعَهُ أَشِدَّاء عَلَى الْكُفَّارِ رُحَمَاء بَيْنَهُمْ تَرَاهُمْ رُكَّعًا سُجَّدًا يَبْتَغُونَ فَضْلًا مِّنَ اللَّهِ وَرِضْوَانًا سِيمَاهُمْ فِي وُجُوهِهِم مِّنْ أَثَرِ السُّجُودِ ذَلِكَ مَثَلُهُمْ فِي التَّوْرَاةِ وَمَثَلُهُمْ فِي الْإِنجِيلِ كَزَرْعٍ أَخْرَجَ شَطْأَهُ فَآزَرَهُ فَاسْتَغْلَظَ فَاسْتَوَى عَلَى سُوقِهِ يُعْجِبُ الزُّرَّاعَ لِيَغِيظَ بِهِمُ الْكُفَّارَ وَعَدَ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ مِنْهُم مَّغْفِرَةً وَأَجْرًا عَظِيمًا
মুহাম্মদ আল্লাহর রসূল এবং তাঁর সহচরগণ কাফেরদের প্রতি কঠোর, নিজেদের মধ্যে পরস্পর সহানুভূতিশীল। আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি কামনায় আপনি তাদেরকে রুকু ও সেজদারত দেখবেন। তাদের মুখমন্ডলে রয়েছে সেজদার চিহ্ন । তওরাতে তাদের অবস্থা এরূপ এবং ইঞ্জিলে তাদের অবস্থা যেমন একটি চারা গাছ যা থেকে নির্গত হয় কিশলয়, অতঃপর তা শক্ত ও মজবুত হয় এবং কান্ডের উপর দাঁড়ায় দৃঢ়ভাবে-চাষীকে আনন্দে অভিভুত করে-যাতে আল্লাহ তাদের দ্বারা কাফেরদের অন্তর্জালা সৃষ্টি করেন। তাদের মধ্যে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা ও মহাপুরস্কারের ওয়াদা দিয়েছেন।
[আল কুরআন- ৪৮ :২৯]
ইমাম আবু জুর’আহ আর রাজী বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর রাসুলের কোনো সাহাবী-কে অপমান করে, নিশ্চয় সে অবিশ্বাসী. ইমাম আলুসী বলেন, নিশ্চয় তারা শয়তানের অনুসারী, এবং তারা বায়েত আহলুল নয়। মাউলানা আবুল আ-লা মউদুদী বলেন, “ তারা কুফরীর মধ্যে আছে” । ১৮
সমসাময়িক আলেম এবং দায়ী’দের মধ্যে শেইখ নাসিরুদ্দিন আলবানী,শেইখ আব্দুল আজিজ ইবন বাজ, শেইখ আন-নাশিবী, মুফতী রিয়াজউদ্দিন ( দারুল উলম, দেওবন্দ), নাজিম মুহাম্মদ মুর্তজা আহসান ( দারুল উলম, দেওবন্দ), ড: বিলাল ফিলিপস, ড: জাকির নায়েক সহ আরো অনেকেই শিয়াদের অমুসলিম বলেছেন।
১০ ) পরিশেষ
কাউকে অপমান করা, অথবা আঘাত দেওয়া এ লেখাটির লক্ষ্য না, বরং শিয়াদের বই,তাদের নেতা/আলেম এবং তাদের সোর্স থেকে শিয়াবাদের প্রকৃতরূপ এবং ইসলামের সাথে তাদের সুস্পষ্ট ফারাক তুলে ধরাই মূল লক্ষ্য।
কোনো ব্যক্তি বা দল যদি নিজেকে শিয়া পরিচয় দেয়, কিন্তু কুফরী আচরণ এবং ভ্রান্ত আকীদা না মানে ( যেমন জায়দী শিয়ারা)তাহলে তার ক্ষেত্রে উলামাদের উপরের বক্তব্যগুলো প্রযোজ্য না. (শেইখ ড: মুহাম্মদ সালেহ)। এর একটি উদাহরণ হচ্ছে জায়দী/ইয়ামেনি শিয়া। তাদের আকীদা আহলুস-সুন্নাহ-ওয়া’আল জামাহর মতোই, তবে তাদের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি (খিলাফা সংক্রান্ত) কারণে তাদের শিয়া বলা হয়া। ইমামী শিয়ারা জায়দী-দের শিয়া বলে স্বীকৃতি দেয়না।
এ লেখা থেকে কারো কোনো উপকার হলে, তার প্রশংসা নিশ্চয় আল্লাহর. এ লেখায় কোনো ভুল-ত্রুটি থাকলে সেটা আমার সীমাবদ্ধতা।
————————————————————————————————————–
Bibliography
1) The Faith Of Shi’a Islam by Muhammad Rida Muzaffar
2) Kitab Al Kafi ( শিয়াদের “হাদীস” সমকক্ষ বই)
3) Al-hukumah islamiyyah by “Imam” Khomeini
4) https://www.youtube.com/watch?v=jWLJHo8QhE0#t=31
5) Jila-ul-Ayoun, Vol. No. 2
6) Shia Mazhab Haq Hai, Vol. No. 2
7) Kitab Al Kafi ( শিয়াদের “হাদীস” সমকক্ষ বই)
8) Al-hukumah islamiyyah by “Imam” Khomeini
9) Haqqul Yaqeen, A Compendium of Twelver Shia Religious Beliefs by Allamah Muhammad Baqir al-Majlisi, Translated by Sayyid Athar Husain S.H. Rizvi
10) Ittihad wa-yak-jihati:15
11)
a. Haqqul Yaqeen, A Compendium of Twelver Shia Religious Beliefs by Allamah Muhammad Baqir al-Majlisi, Translated by Sayyid Athar Husain S.H. Rizvi
b. Hayat-ul-Quloob
c. Quran Majeed by Maqbool Hussain Dehlevi
12) Haqqul Yaqeen, A Compendium of Twelver Shia Religious Beliefs by Allamah Muhammad Baqir al-Majlisi, Translated by Sayyid Athar Husain S.H. Rizvi
13) Yasir Habib: https://www.youtube.com/watch?v=_HiMgW9yd7w
14) Tadhkirat al-a’immah by Allamah Muhammad Baqir al-Majlisi
15) Haqqul Yaqeen, A Compendium of Twelver Shia Religious Beliefs by Allamah Muhammad Baqir al-Majlisi, Translated by Sayyid Athar Husain S.H. Rizvi
16) Basair-ud-Darajat
17) Minhaj as-Sunnah an-Nabawiyyah
18) Ar-Riddah bain al-Ams wa al-Yaum
19)
a. Tafseer al-Askari
b. Kitab Al Kafi ( শিয়াদের “হাদীস” সমকক্ষ বই)
20) Haqqul Yaqeen, A Compendium of Twelver Shia Religious Beliefs by Allamah Muhammad Baqir al-Majlisi, Translated by Sayyid Athar Husain S.H. Rizvi
21) Kitab Al Kafi ( শিয়াদের “হাদীস” সমকক্ষ বই)
22) ‘Fayd al-Kāshānī’s Walāya, Todd Lawson, Reason and Inspiration in Islam
23) Ahsan-ul-Muqaal, Vol. 1
24) Dewan-e-Jil Ehzan
25) Fatwa Sistani
26) Fatwa Sistani
27) Tafseer of Saafi
28) Tafseer of Al-Ayyashi
29)
a. Al Shafi, Vol. 2
b. Usool Kaafi, Vol. 2
30) Quran Majeed by Hakeem Syed Maqbool
31) Haqqul Yaqeen, A Compendium of Twelver Shia Religious Beliefs by Allamah Muhammad Baqir al-Majlisi, Translated by Sayyid Athar Husain S.H. Rizvi
 প্রচারেঃ সৌদি আরব-The Land Of Tawheed
About সহীহ-আকিদা(RIGP)
বল,এটিই আমার পথ।স্পষ্ট জ্ঞানের ভিত্তিতে আল্লাহর দিকে আহবান করি নিয়মিত আপডেট পাবেন- Important Knowledge= নির্ভেজাল জ্ঞান পেতে ভিজিট করুন এই সাইটে- https://sarolpoth.blogspot.com আলাদা আলাদা সাজানো আছে... আপনি চাইলে ওয়েবসাইটটি এবং লেখাগুলি,বা অন্যান্য জিনিস গুলি শেয়ার করে বন্ধুদের জানিয়ে দিতে পারেন এতে আপনার ও আমার ইনশাআল্লাহ সাদকায়ে জারিয়া হবে.ইসলামিক বই পেতে-.http://rasikulindia.blogspot.com/