Subscribe Us

হে পথিক ভবিষ্যৎ বলে কিছু নাই ,আসোল ভবিষ্যৎ হলো পরোকাল

বিষয়ঃ ‘নোমান আলি খান’ কে নিয়ে প্রশ্নের উত্তর।

@@বিষয়ঃ ‘নোমান আলি খান’ কে নিয়ে প্রশ্নের উত্তর।

বিষয়ঃ ‘নোমান আলি খান’ কে নিয়ে প্রশ্নের উত্তর।

__________________________________
প্রশ্নঃ আসসালামু আলাইকুম। নোমান আলি খান সম্পর্কে আমাকে কিছু জানাবেন কি? তরুণরা তাকে খুব পছন্দ করে।

উত্তরঃ ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি বারাকাতুহু। নোমাল আলী খান নিজের আকীদা ও মানহাজ সম্পর্কে স্পষ্ট করে কিছু বলেনা. . .এমন ব্যক্তিদের কাছ থেকে ইলম নেওয়া যাবেনা, এ ব্যপারে পূর্ববর্তী আলেমদের অনেক ফতোয়া আছে। সর্বশেষ, শায়খ ওয়াসী উল্লাহ আব্বাস হা’ফিজাহুল্লাহ স্পষ্ট করে এই কথাগুলো কয়েকবার রিপিট করেছেন, মুফতি মেঙ্ক নামক একজন ব্যক্তির ব্যপারে যখন তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো। আপনারা শায়খের ভিডিওটা দেখলে জানতে পারবেন। যে নিজেকে “সালাফী আকীদাহ ও মানহাজ” এর সাথে এবং সমসাময়িক সালাফী ওলামাদের দিকে

আহবান করেনা, সে নিচের যেকোন একটির মাঝেই আছেঃ
১. হয় সালাফী আকীদাহ ও মানহাজ কি, তা সে জানে না।

২. নয়তো সালাফী আকীদাহ ও মানহাজ কি, সে সম্পর্কে সে ভুল জানে।
৩. অথবা প্রকৃতপক্ষে সে সালাফী আকীদাহ ও মানহাজ এর বিরোধী, কিন্তু বিভিন্ন কারণে প্রকাশ্যে তার বিরুদ্ধে বলার সাহস করেনা।


উল্লেখ্যঃ নোমান আলী খানের কিছু ভক্ত শ্রোতারা দাবী করে থাকে, সেতো তাফসীর নিয়ে কথা বলে, এখানে আকীদার বিষয়কে টেনে আনা ঠিকনা...বা সেতো ভুল কিছু বলেনা, শুধু তাফসীর মানুষের সামনে তুলে ধরছে...যেহেতু সে মানুষকে আকিদাহ শিক্ষা দিচ্ছেনা, সুতরাং এ বিষয়টা এতো গুরত্বপূর্ণ নাহ!

পছন্দের বক্তাদের ডিফেন্ড করার জন্যে এ ধরণের মনগড়া যুক্তি আসলে খুব দুর্বল। কারণ মানুষকে ক্বুরানের তাফসীর শেখানো কোন যেনতেন বিষয় না যে, যে কেউ ২-৪ পাতা পড়েই এই কাজের জন্য যোগ্য হয়ে যায়না। বরং এটা অনেক জটিল ও দুরূহ একটা বিষয়। যেইখানে ওলামারা একজন বিদাতীর কাছ থেকে সাধারণ আরবী ভাষা শিখতে মানা করেন, সেখানে কি করে এমন একজন লোকের কাছ থেকে ‘আল্লাহর কালাম’ এর অর্থ শেখা যাবে, যার আকিদাই এখন পর্যন্ত জানা যায়না। আর তার অনেক ভুল কথা-বার্তা ও ভ্রান্ত দৃষ্টিভংগি আছে, যা তরুণদের মাঝে মহামারীর মতো ছড়িয়ে পড়ছে। এক টেপে সে দাবী করেছে, ক্বুরানুল কারীম অনুযায়ী নাকি বর্তমান যুগের ইয়াহুদী ও খ্রীস্টানদেরকে কাফের বলা যাবেনা। অথচ, এই ব্যপারে ইজমা আছে যে, ইয়াহুদী ও খ্রীস্টানরা কাফের। স্বয়ং আল্লাহ তাআ’লা

তাদেরকে কাফের বলে ঘোষণা করেছেন।

এই ভুলটা এতো মারাত্নক যে, “ঈমান ভংগকারী একটা বিষয় হচ্ছে কাফেরদেরকে কাফের মনে না করা।”

যা আকীদাহ সম্পর্কে না জানা একজন লোকের কাছ থেকেই আশা করা যেতে পারে। তাই আপনারা দ্বীন সম্পর্কে জানার জন্যে অল্প জানা বা অর্ধেক জানা সুপারস্টার, স্টাইলিশ বক্তাদের কথা না শুনে, প্রকৃত ওলামাদের কথাই শুনবেন. . .যদিওবা তাদের কথা শুনে জোকারদের কথা শোনার মতো হাসি না আসে, যদিওবা তাদের বই পড়তে গেলে কিছুটা অতিরিক্ত শ্রম দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে।

বিঃদ্রঃ আমি সকলকে শায়খ মুক্ববিল বিন হাদী আল-ওয়াদী(রহঃ) এর একটা কথা স্বরণ করিয়ে দিতে চাই, “আমরা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যে মানুষের সমালোচনা করি।”

সুতরাং, আমার এই পোস্টের ব্যপারে কারো কিছু বলার/আপত্তি থাকলে, দয়া করে কেউ আবেগ দিয়ে বা নিজস্ব বুঝ দিয়ে কথা না বলে, দলিল-প্রমান এবং নির্ভরযোগ্য ওলামাদের বক্তব্যের আলোকেই মন্তব্য করবেন।