আসসালা-মু 'আলাইকুম ওয়া
রহমাতুল্লা-হি ওয়া বারাকা-তুহু।
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা-র জন্য,
যিনি বলেছেন “ধ্বংস
প্রত্যেক মিথ্যাবাদী পাপিষ্ঠের জন্য।” [সূরাহ জাছিয়াহ: ৭]
এবং অসংখ্য সলাত ও সালাম বর্ষিত হোক সর্বশেষ
নাবী ও রাসূল মুহাম্মাদ ﷺ-এর প্রতি,
যিনি বলেছেন :مَنْ يَقُلْ عَلَىَّ مَا لَمْ أَقُلْ فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ
‘‘আমি যা বলি নি তা যে আমার নামে বলবে তার আবাসস্থল জাহান্নাম।’’ [বুখারী,
আস-সহীহ ১/৫২]
আহলুস সুন্নাহর উলামা- মাশায়েখ ,দ্বায়ীগণের প্রতি শত্রুতা ও বিদ্বেষ
পোষণ এবং বাতিলপন্থী কর্তৃক
বিভিন্ন মিথ্যাচার, তোহমত লাগানোর বিষয়টি এক্কেবারে নতুন নয় বরং তা
বেশ পুরনো! এতদসত্ত্বেও হক্ব ও বাত্বিলের লড়াই যুগ যুগ ধরে চলমান রয়েছে!
সকলের
জ্ঞাতার্থে সুস্পষ্টভাবে একথা জানিয়ে দিতে চাই যে,আমরা যেকোন ভ্রান্ত ফ্বিরকা,দল, মতবাদ
বা ব্যক্তির বিরোধিতা করি শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তষ্টি অর্জনের জন্যে! এক্ষেত্রে কারো
সাথে আমাদের ব্যক্তিগত দ্বন্ধ নেই বললেই চলে! আমরা যখন কোন বিরোধী মতবাদের বা দ্বায়ীর
সমালোচনা করি অথবা উলামায়ে'ছু দের ভ্রান্তির বিরুদ্ধে কলম ধরি, তখন সেটা নিজের মনের
খায়েশ মেটানোর জন্যে নয় বরং সুন্নাহ নির্দেশিত পথেই এর প্রতিবিধান করি।
[আল্লাহ তাওফ্বিক দাতা]
✍ উস্তাযুল আ-লিম, ইমাম আব্দুল
আ’জিজ বিন বাজ রাহি’মাহুল্লাহ বলেন -
“হক্কপন্থী লোকেরা যদি কোনটা সত্য আর কোনটা মিথ্যা,সেই
কথা বর্ণনা না করতো, তাহলে ভ্রষ্টতার শিকার হয়েছে এমন লোকেরা তাদের ভুলের উপরেই থেকে
যেত। তখন সাধারণ লোকেরা অন্ধভাবে সেই ভ্রষ্টতার অনুসরণ করতো। সুতরাং যারা সত্য জেনেও
চুপ করে ছিলো,লোকদের পথভ্রষ্ট হওয়ার পাপ তাদের উপরেও পড়তো।”
📚 [মাজমু ফাতাওয়াঃ ৩/৭২]
আমরা আজকে সুরেলা কণ্ঠের বক্তা মিজানুর রাহমান আল আযহারী [হাদাহুল্লাহ]
নামক এক ব্যক্তির কয়েকটি বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের পর্যালোচনা করব!
[ইনশা আল্লাহ]
▶️ বক্তব্য - (এক),
"বিতির নামায তিনটি নিয়মে পড়া যায়!
আমরা হানাফিরা যে পদ্ধতিতে বিতির নামায পড়ি তার আম দলিল রয়েছে! মৌলিক তিনটি পদ্ধতির
যেকোনো একটি দিয়ে বিতির নামায পড়ুন কিন্তু বিভ্রান্তি সৃস্টি করা যাবেনা!
আমরা কেউ তাবলীগ জামাত করি, কেউ জামাতে ইসলামী করি, কেউ চরমোনাই
পীরের মুরিদ, কেউ হেফাজতে ইসলাম, কেউ কাওমী, কেউবা আলিয়া কিন্তু এই ভূখন্ডে আমাদের
দাড়িওয়ালা,টুপিওয়ালাদের মাঝে রয়েছে শতবছরের ঐক্য! এইজন্যই দাওয়াতের নামে, সহিহ হাদিসের
নামে, ইসলামের নামে এদেশের ঐক্য আপনারা নষ্ট করবেন না! এই ঐক্য নষ্ট করার কোন অধিকার
আপনাদের নাই! অতএব, এই ভূখন্ডে কঠিন ইসলাম প্রচার করা আপনাদের দরকার নেই!
► লিংকঃ
https://www.youtube.com/watch?v=FMKgSZTO1p4&t=9s
[মুলভাব সংক্ষেপিত ]
🔸পর্যালোচনাঃ
প্রথমত, বিতির নামায তিনটি নয় দুইটি
নিয়মে পড়ার বিশুদ্ধ বর্ননা পাওয়া যায় হাদিসে! এদেশের হানাফী-রা যে পদ্ধতিতে বিতির নামায
আদায় করেন তার পক্ষে কোন গ্রহনযোগ্য দলিল পাওয়া যায় না।
দ্বিতীয়ত, বক্তা অভিযোগ করেন " সহিহ হাদিসের নামে নাকি সমাজে বিভেদ
তৈরি করা হচ্ছে"! বিশুদ্ধ দ্বীনের দাওয়াতের কারণেই নাকি তাদের শতবছরের কথিত ঐক্য
বিনষ্ট হচ্ছে"!
আমি পাঠকদের কাছে জানতে চাই - কখন,কবে, কোথায় এদেশীয় ভিবিন্ন ফিরকাবন্দী
ওয়ালাদের ঔক্য ছিল?দেওবন্দীদের একাংশের কাছে পীর পন্থীরা সবসময়ই ভ্রান্ত ছিল,আবার মুল
ধারার দেওবন্দীদের কাছে জামাতীরা পথভ্রষ্ট এমনকি মওদুদী সাহেবকে রদ্দ করে তারা শত শত
বই পর্যন্ত রচনা করেছেন! কওমীদের একাংশ ফুলতলীদের পিছনে নামাজ পড়ে না,জামাতীদের কাছে
চরমোনাই হল পথভ্রষ্ট , দেওয়ানবাগী সর্বমহলে গোমরাহ,কওমী আর আলিয়ার দ্বন্দ্ব বহু পুরানো,এইতো
গতবছরই ব্রেরলভীদের সাথে দেওবন্দীদের খুনাখুনির ঘটনা ঘটে,কিছুদিন আগেও তাবলীগের দুই
গ্রুপের খুনাখুনির ঘটনাগুলি জাতীয় পত্রিকার শিরোনাম হয়েছিল! হ্যায়াতিদের কাছে মামাতিরা
বিভ্রান্ত আবার মামাতিদের কাছে হ্যায়াতি!
এবার আপনিই বলুন -- এ সমাজে
ঐক্য কখন ছিল?
মোদ্দা কথা হল - বক্তা সাহেবকে তার জাহালতের উপর ক্রন্দন করা উচিত এইজন্য যে, তিনি
আজও ঐক্যের মানদণ্ড সম্পর্কেই ওয়াকিবহাল নন! কেননা ফিক্বহি 'মাসআলা - মাসায়েল 'কখনো
ঐক্যের ভিত্তি হতে পারেনা!
পাঠকদের জেনে রাখা জরুরী যে এই বক্তা সাহেবগন কিছু ভাল কথার আড়ালে ভিবিন্ন মনভোলানো
যুক্তি ও বচন দ্বারা আহলে সুন্নাহর বিরোধীতা অত:পর নিজ হস্তের কলম কিংবা মুখের বচন
দ্বারা আহলে সুন্নাহর গর্দান উড়িয়ে দিয়ে বাতিল পন্থীদের রসদ জোগায়!
▶️ বক্তব্য - (দুই)
'মুসা আলাইহিস সালাম
যখন লোহিত সাগরে নিজ হাতের লাঠি দিয়ে আঘাত করলেন তখন সেখানে একটি "ব্রিজ"
তৈরি হয়েছিল!
► লিংকঃ
https://www.youtube.com/watch?v=vJt7l4K04Hg
[মুলভাব সংক্ষেপিত]
🔸পর্যালোচনাঃ
ইতিহাসবিদদের গ্রন্থ থেকে লোহিত সাগরে 'ব্রিজ' তৈরি
হওয়ার কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না! বরং একটি রাস্তা তৈরি হয়েছিল [কিন্তু সেটা ব্রিজ নয়]
এমন বর্ননা পাওয়া যায়! সুতরাং বক্তার উল্লিখিত দাবিটা মিথ্যা ও বানোয়াট!
▶️ বক্তব্য - (তিন) ,
নিম্নোক্ত ভিডিও-তে রাসূল ﷺ-এর দেহের গড়নের
বর্ননা দিতে গিয়ে বক্তা সাহেব বলেন -"আল্লাহর রাসূল ﷺ- এর বডি ছিল সিক্স
পেক! যুবক ভাইয়েরা, তোমরাও সবসময় এমনভাবে ফিট থাকবা" !
► লিংকঃ
https://www.youtube.com/watch?v=-wipigAEb14&t=2s
[মুলভাব সংক্ষেপিত]
🔸পর্যালোচনাঃ
কোরআন,হাদিস কিংবা সাহাবায়ে ক্বেরামের ক্বওল তো দূরের কথা, কোন জাল
হাদিস দ্বারাও এমন আজগুবী বর্ণনা ছাবিত হয়নি! তাছাড়া যে রাসূল ﷺ-এর ছুলায় কোন কোন সময় আগুন পর্যন্ত জ্বলতো না, উপোস
দিনাতিপাত করেছেন মাঝেমাঝে, সেই রাসূল ﷺ-এর কিনা 'সিক্স পেক' ছিল !!!
আপনারা যারা জিম করেন তারা নিশ্চয়ই জানেন 'সিক্স পেক'
বডি বানানো কতটা কষ্টসাধ্য এবং সময়সাপেক্ষ ব্যাপার! তাছাড়া রাসূল ﷺ এর শরীরিক গড়ন সম্পর্কে মানুষকে এরকম বর্ননা কোন
সাহাবী দেন নি অথচ উনারা তাকে সরাসরি দেখেছেন।
অতএব, বক্তার উক্ত বক্তব্যটি বিভ্রান্তিকর, মনগড়া এবং
বানোয়াট।
▶️ বক্তব্য - (চার)
দুটি প্রশ্নোত্তর রয়েছে নিম্নোক্ত ভিডিওতে!
১. কোন ব্যক্তি মারা গেলে যেয়াবাত, চল্লিশা খাওয়ানো কি
জায়েজ?
২. মৃত ব্যক্তির পাশে বসে কোরআন মাজিদ পড়া
ও খতম দেওয়া কি সাওয়াবের কাজ?
উত্তরে বক্তা মিজানুর রাহমান আল আযহার সাহেব
বলেন,
১.আপনি [৪০ শা] খাওয়ান! খাওয়াতে দোষ নেই!
মৃত ব্যক্তির রুহের মাগফিরাতের জন্য খাওয়ালে মাইয়াতের
গুনাহ আল্লাহ মাফ করবেন! কিন্তু খাওয়াবেন
মিস্কিনদেরকে,এয়াতিমদেরকে কারণ তারা বেশি হক্বদার! কিন্তু এখনকার চল্লিশাতে মিস্কিনদের
জায়গা হয়না বরং পয়সা ওয়ালারা এসে লাইনে বসে থাকে! অথচ দরকার ছিল আপনার আব্বা মারা গেছে
তাই কোন এতিমখানায় একটি গরু দান করে দেন, তারা খেয়ে দোয়া করবে!
২. কোরআন তেলোয়াত করতে পারবেন! কারণ হাদিসে
এসেছে মুমূর্ষু ব্যক্তির সামনে 'সুরা ইয়াসিন' তেলোয়াত করলে তার মৃত্যু যন্ত্রণা হাল্কা
হয়!
৩. অতিরিক্ত হিসেবে তিনি এখানে আম্নাজান খাদিজা
রাদিআল্লাহু আনহা-র কবরে সাওয়াল-জাওয়াব সংক্রান্ত একটি ঘটনা বর্ণনা করেন (রেফারেন্সবিহীন)।
তিনি বলেন -আম্মাজান খাদিজা রাদিআল্লাহু তাআলা আনহা-দাফন করার পর
আল্লাহর রাসূল ﷺ- উনার কবরের পাশে দাড়িয়ে রইলেন,কবরের তিনটি প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার
জন্য! এমতাবস্থায় জিবরাইল (আঃ) এসে বলল, খাদিজার জবাব স্বয়ং আল্লাহ দিবেন, আপনি চলে
যান! অতপর তিনি বাড়ী ফিরে গেলেন!
► লিংকঃ
https://www.youtube.com/watch?v=rWS3gURhhCs
[মুলভাব সংক্ষেপিত]
🔸পর্যালোচনাঃ
১. মৃত ব্যক্তির জন্য ভোজ,চারদিনা,চল্লিশা,যেয়াবত করা
সুস্পষ্ট বিদায়াত! এটি আল্লাহর রাসূল ﷺ এর সুন্নাহ দ্বারা সাবস্ত হয়নি! পরবর্তী লোকেরা এই রেওয়াজ চালু করেছে!
২. শ্রোতার প্রশ্ন ছিল "মৃত্য ব্যক্তির পাশে বসে কোরআন তেলোয়াত,খতম
করা যাবে কিনা" অথচ বক্তা সাহেব মুমূর্ষু রোগীর পাশে বসে 'সুরা ইয়াসিন ' পড়ার
দলিল দিয়ে সেটাকে জায়েজ বানিয়ে দিচ্ছেন! মুমূর্ষু রোগী আর মৃত ব্যক্তি কি এক হল?
তারপরও চলুন দেখি মুমূর্ষু রোগীর পাশে বসে "সুরা
ইয়াসিন" পড়ার হাদিসটি বিশুদ্ধ কিনা!!!
রাসূলুল্লাহ (ছা্ঃ) এরশাদ করেন,
(ب) عَنْ أُبَيَ بْنِ كَعْبٍ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ r مَنْ قَرَأَ (يس) يُرِيْدُ بِهَا اللهَ غَفَرَ اللهُ لَهُ وَأَعْطَي مِنَ الْأَجْرِ كَأَنَّمَا قَرَأَ الْقُرْآنَ اثْنَتَىْ عَشَرَةَ مَرَّةً وَأَيُّمَا مَرِيْضٍ قُرِىءَ عِنْدَهُ سُوْرَةُ (يس) نَزَلَ عَلَيْهِ بِعَدَدِ كُلِّ حَرْفٍ عَشَرَةُ أَمْلاَكٍ يَقُوْمُوْنَ بَيْنَ يَدَيْهِ صُفُوْفاً فَيُصَلُّوْنَ وَيَسْتَغْفِرُوْنَ لَهُ وَيَشْهَدُوْنَ قَبْضَهُ وَغَسْلَهُ وَيَتَّبِعُوْنَ جَنَازَتَهُ وَيُصَلُّوْنَ عَلَيْهِ وَيَشْهَدُوْنَ دَفْنَهُ وَأَيُّمَا مَرِيْضٍ قَرَأَ سُوْرَةَ (يس) وَهُوَ فِىْ سَكْرَاتِ الْمَوْتِ لَمْ يَقْبِضْ مَلَكُ الْمَوْتِ رُوْحَهُ حَتىَّ يَجِيْئَهُ رِضْوَانُ خِازِنِ الْجَنَّةِ بِشُرْبَةٍ مِنَ الْجَنَّةِ فَيَشْرِبَهَا وَهُوَ عَلَى فِرَاشِهِ فَيَمُوْتُ وَهُوَ رَيَّانٌ وَلاَ يَحْتَاجُ إِلَى حَوْضٍ مِنْ حِيَاضِ الْأَنْبِيَاءِ حَتىَّ يَدْخُلَ الْجَنَّةَ وَهُوَ رَيَّانٌ .উবাই ইবনু কা‘ব (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহকে
সন্তুষ্ট করার জন্য সূরা ইয়াসীন পাঠ করবে, আল্লাহ তাকে ক্ষমা করবেন এবং তাকে প্রতিদান
দান করবেন, যেন সে দশবার কুরআন তেলাওয়াত করল। কোন অসুস্থ ব্যক্তির কাছে সূরা ইয়াসীন
তেলাওয়াত করা হলে তার উপর প্রত্যেক অক্ষরের পরিবর্তে দশজন ফেরেশতা নাযিল হয়। তারা তার
সামনে কাতারবন্দী হয়ে দাঁড়িয়ে তার জন্য দু‘আ করেন এবং ক্ষমা প্রার্থনা করেন; যান কবয
ও গোসল করার সময় উপস্থিত থাকেন, জানাযার সাথে গমন করেন। ছালাত আদায় করেন এবং দাফন কার্যে
উপস্থিত থাকেন। মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতর এমন ব্যক্তির উপর যদি সূরা ইয়াসীন পাঠ করা হয়,
তবে ‘মালাকুল মাউত’ ততক্ষণ তার রূহ কবয করবেন না, যতক্ষণ জান্নাতের তত্ত্বাবধায়ক জান্নাতের
পানীয় না নিয়ে আসেন। অতঃপর বিছানায় থাকা অবস্থায় তাকে তা পান করাবেন। ঐ ব্যক্তি তখন
পরিতৃপ্ত হবে। এমনকি নবীদের হাউযের পানিরও সে প্রয়োজন মনে করবে না। অবশেষে সে জান্নাতে
প্রবেশ করবে। তখনও সে পরিতৃপ্তই থাকবে।
তাহক্বীক্ব : এটি ডাহা মিথ্যা বর্ণনা। এর সনদে উইসুফ ইবনু আতিইয়াহ নামে একজন মিথ্যুক রাবী
আছে। এছাড়া সুওয়াইদ নামেও একজন দুর্বল রাবী আছে।
সোর্সঃ [ছা‘লাবী ৩/১৬১ পৃঃ; সিলসিলা যঈফাহ হা/৪৬৩৬]
উল্লেখ্য যে, সূরা ইয়াসীন সম্পর্কে যত ফযীলত বর্ণিত হয়েছে, সবই যঈফ কিংবা জাল। ছহীহ
কোন বর্ণনা পাওয়া যায় না।
সোর্সঃ [ সিলসিলা
যঈফা হা - ৬৬২৩-৬৬২৪]
অতএব,
,মৃত ব্যক্তির পাশে সারিবদ্ধভাবে বসে কোরআন খতম করা নব আবিস্কৃত বিদায়াত! বক্তা এখানে
হক্ব (সত্য)- কে পাশ কাটিয়ে বিদাআতের দিকে সুস্পষ্ট আহবানকারী বলেই প্রতীয়মান হয়েছে!
৩. 'স্বয়ং আল্লাহ তাআলা,আম্মাজান খাদিজা রাদিআল্লাহু তাআলা আনহা-র কবরের
(৩টি) প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন ' এটা ভিত্তিহীন - জাল কথা।
নোটঃ এরকম আরো ভুরি ভুরি বক্তব্য রয়েছে, যেখানে উক্ত বক্তা সাহেব জাল,দ্বইফ
হাদিস বর্ননা, বিদা'আতের দিকে আহবান করা , সুন্নাহপন্থীদের সাথে শত্রুতা ও বিদ্বেষ
পোষণ করা , কুতুব,বান্না,মওদূদী সাহেবের প্রশংসাসহ বেশকিছু আপত্তিজনক,মিথ্যা, মনগড়া
বক্তব্য দিয়েছেন!
ইমাম মুহাম্মদ ইবনে সিরিন রাহিমাহুল্লাহ-র একটি সতর্কবাণী দিয়েই শেষ করছি!
তিনি [রাহিমাহুল্লাহ ] বলেছেন,
إنَّ هذا العلم دين ؛ فانظروا عمَّن تأخذون دينكم
নিশ্চয় এই ইলম দ্বীনের অন্তর্ভূক্ত। সুতরাং লক্ষ্য রেখো! কার নিকট
থেকে তুমি তোমার দ্বীন গ্রহণ করছো।
আল্লাহতালা উক্ত বক্তার ফিতনা থেকে সকলকে হিফায্বত করুন - [আ-মীন]
আপনাদের শুভাকাঙ্ক্ষী,
আখতার বিন আমীর।
Mizanur Rahman al-Azharhi misunderstood some
misunderstanding ...