ইমাম আশ-শাওকানী (رحمه الله) বলেন, “এবং অতীত ও বর্তমানকালের আহলুল বিদ‘আহর চলমান মূলনীতি হলো, যখনই একজন ‘আলিম এমন একটি কথা বলেন যা তাদের বিদ‘আতের পক্ষে যায়, তারা উল্লাসিত হয়। এবং তারা তাদের প্রচেষ্টা বাড়িয়ে দেয় তাদের নিজেদের মধ্যে এটি জানিয়ে দেয়া ও প্রচার করার ক্ষেত্রে। অধিকন্তু, তারা এটিকে তাদের বিদ‘আতের পক্ষে একটি দলীল হিসেবে ব্যবহার করে এবং তাদের মুখে একটি চপেটাঘাত হিসেবে ব্যবহার করে যারা তাদের বিরুদ্ধে কথা বলে।”
(আদাব আত-তালাব, পৃষ্ঠা নং ১১৬)
ইমাম ‘আব্দুর রাহমান বিন ইয়াহইয়া আল-মু‘আল্লিমী (رحمه الله) বলেন, “আর জেনে রাখুন যে, আল্লাহ কতিপয় মুখলিস ব্যক্তিদের কিছু ভুলে পতিত করেন অন্যদের জন্য ফিতনাহ স্বরূপ, এই বিষয়ে যে, তারা কি হাক্ব-এর অনুসরণ করবে এবং তাঁর কথা বর্জন করবে, নাকি তাঁর ধার্মিকতা ও উচ্চ মর্যাদা দ্বারা প্রতারিত হবে? তিনি (ঐ মুখলিস ‘আলিম) অজুহাতপ্রাপ্ত, বরং তিনি তাঁর ইজতিহাদ ও উত্তম নিয়াতের জন্য পুরষ্কারপ্রাপ্ত হবেন, এবং অধঃপতিত হবেন না। তবে তাঁর বিশাল মর্যাদা দ্বারা প্রতারিত হয়ে যে আল্লাহর কিতাব ও তাঁর রাসূল (ﷺ)-এর সুন্নাহর আসল দলীল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে এবং তাঁর অনুসরণ করবে, সে অজুহাতপ্রাপ্ত না, বরং সে এক মহাবিপদের মধ্যে রয়েছে।”
(রাফ‘উল ইশতিবাহ, পৃষ্ঠা নং ১৫২-১৫৩)
অনুবাদক: রিফাত রাহমান সিয়াম