নিয়মিত আপডেট পেতে ভিজিট করুন https://rasikulindia.blogspot.com/ ইসলামিক বই
ডাঃ জাকির, ক) ‘লাইলাতুল কদর’ ও তার গুরুত্ব খ) কোন রাতটি ‘লাইলাতুল কদর’
গ) ‘লাইলাতুল কদরের’ নির্দিষ্ট তারিখ প্রকাশ না করার কারন ? ঘ) ‘লাইলাতুল কদর’কে খুজা
ডাঃ জাকির, ক) ‘লাইলাতুল কদর’ ও তার গুরুত্ব খ) কোন রাতটি ‘লাইলাতুল কদর’ গ) ‘লাইলাতুল কদরের’ নির্দিষ্ট তারিখ প্রকাশ না করার কারন ? ঘ) ‘লাইলাতুল কদর’কে খুজা ডাঃ জাকির, ক) ‘লাইলাতুল কদর’ ও তার গুরুত্ব খ) কোন রাতটি ‘লাইলাতুল কদর’ গ) ‘লাইলাতুল কদরের’ নির্দিষ্ট তারিখ প্রকাশ না করার কারন কি ? ঘ) কিভাবে আমি ‘লাইলাতুল কদর’কে খুজবো ?
ডাঃ জাকির, ক) ‘লাইলাতুল কদর’ ও তার গুরুত্ব খ) কোন রাতটি ‘লাইলাতুল কদর’
গ) ‘লাইলাতুল কদরের’ নির্দিষ্ট তারিখ প্রকাশ না করার কারন ? ঘ) ‘লাইলাতুল কদর’কে খুজা
ডাঃ জাকির, ক) ‘লাইলাতুল কদর’ ও তার গুরুত্ব খ) কোন রাতটি ‘লাইলাতুল কদর’ গ) ‘লাইলাতুল কদরের’ নির্দিষ্ট তারিখ প্রকাশ না করার কারন কি ? ঘ) কিভাবে আমি ‘লাইলাতুল কদর’কে খুজবো ?
ক) ‘লাইলাতুল কদর’ ও তার গুরুত্ব
‘লাইলাতুল কদর’ আরবী শব্দ । লাইলাতুল অর্খ রাত ও কদর অর্থ মহিমা, সবোর্ত্তম। ‘লাইলাতুল কদর’ শব্দের অর্থ মহিমান্বিত রা,শ্রষ্ঠ রাত ইথ্যাদি। রমযান মাসের এই রাতে কুরআন নাযিল হয়েছিল ও এই রাত ‘বছরের অন্যান্য রাতের চেয়ে বহুগুনে শ্রেষ্ঠ। মহান আল্লাহ কুরআনে বলেন,
* “আমি একে নাযেল করেছি শবে-কদরে,শবে-কদর সম্পর্কে আপনি কি জানেন ? শবে-কদর হোল এক হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ”। সুরা আল-কদর-১-৫
সুতরাং এই রাত বছরের সবচেয়ে সেরা রাত।এই রাতে করা কোন ভাল কাজ, হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। এই মাসকে যদি ১২ দিয়ে ভাগ করা হয়, তাহলে হিসাব দাড়ায়, ৮৩ বছলের চেয়ে কিছু বেশী। আর এই সময়টা মানুষের গড় আয়ুর চেয়ে বেশী। শুধু একরাত ইবাদত করা হলে, তার
মর্যাদা সারা জীবন ইবাদত করার চেয়ে বেশী। এটা এমন রাত যখন সূর্যোদয়ের আগ
পর্যন্ত মহান আল্লাহর রহমত ও শান্তি বর্ষিত হতে থাতে। মহান আল্লাহ বলেন,
* “আমি একে নাযেল করেছি, এক বরকতময় রাতে। নিশ্চয় আমি সতর্ককারী, এরাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ন বিষয়ে স্থিরিকৃত হয়”। সুরা দুখান-৩,৪
* “আমি কুরআনকে বুঝার জন্য সহজ করে দিয়েছি”। সুরা কামার -৪০
সুতরাং ‘লাইলাতুল কদর’ ভাগ্যের রাত। আল্লাহ এই রাতে পরবর্তী ‘লাইলাতুল কদর” পর্যন্ত ভাগ্য নির্ধারন করে দেন। মুহাম্মাদ(সঃ) বলেন,
* “লাইলাতুল কদরের” রাতে যে ব্যাক্তি ঈমানের সাথে আল্লাহর পুরস্কারের
অশায় ইবাদত করে,আল্লাহ তার পূর্বের সব গুনাহ মাফ করে দেবেন”। বুখারী-২০১৪
===
খ) কোন রাতটি ‘লাইলাতুল কদর’?
‘লাইলাতুল কদরের’ নির্দিষ্ট তারিখ সম্পর্কে ৪০ টিরও বেশী মতামত পাওয়া যায়।কেউ বলেন রমযানের প্রথম রাত,কেউ বলেন সপ্তম রাত, কেউ বলেন ১৯ তম রাত।কিন্তু এই ব্যাপারে সবচেয়ে সঠিক মত হোল, রমযানের শেষ ১০ দিনের কোন এক ‘বিজোড়’ রাতে।
# “রমযানের শেষ দিনের ‘বিজোড়’ রাতগুলোতে ‘লাইলাতুল কদর’ তালাশ করো।
বুখারী-২০১৭
# “উবাই বিন কাব হতে বর্নিত, ‘লাইলাতুল কদর’ সম্ভবতঃ রমযানের ২৭তম রাতে। কারন ঐ রাতে মুহাম্মাদ(সঃ) আমাদেরকে নামাজে দাড়াতে বলতেন”।
মুসলিম-২৩৬৪
# “লাইলাতুল কদর” রমযান মাসের ২১,২৩,২৫,২৭ ও রমযানের শেষ রাতে খোজ করো”। তিরমিযী-৭৯৪
# “মুহাম্মাদ(সঃ) রমযানের শেষ দিনে ই’তিকাফে বসতেন এবং তিনি রমযানের শেষ ১০দিনে লাইলাতুল কদর খোজ করতেন। বুখারী-২০২০
# “রমযানের শেষ ১০ রাতে লাইলাতুল কদর খোজ কর ।কিন্তু যদি অপারগ হও তাহলে শেষ ৭ রাতে খোজ কর”। মুসলিম-২৬২১
# “লাইলাতুল কদর রমযানের শেষ ৭দিনের ভিতর রয়েছে”। বুখারী-২০১৫
লাইলাতুল কদর রমযানের শেষ ১০দিনের যেকোন এক রাতে। ২৭ রমযানের রাতেও হতে পারে। নিশ।চিত ভাবে বলা সম্ভব না।
গ) ‘লাইলাতুল কদরের’ নির্দিষ্ট তারিখ প্রকাশ না করার কারন কি ?
মূল কারন হোল, মানুষ যেন মহিমান্বিত,দয়াময় ও মহামূল্যবান রাতকে নিয়ে চিন্তা করে। মহান আল্লাহ যেহেতু এ্টা গুরুত্বপূর্ন বিধায় তারিখ গোপন রেখেছেন, সবাই চেষ্টা করবে,এটা বের করার।
মহান আল্লাহ চান সবাই যেন ইবাদত করে এবং এই বিশেষ সুযোগ গ্রহন করে।আল্লাহ দেখেন, মু’মিনদের মধ্যে কারা রাত জেগে ইবাদত করে আর কে করেনা। মহান আল্লাহ এধরনের আরো কিছু গেআআপন করেছেন।
# জুমার দিনে প্রার্থনা কবুলের সঠিক সমঢটা বলা হয়নি।
# “আল্লাহর ৯৯টা নাম আছে,যে ব্যাক্তি এই সবগুলো নাম জানবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
# কিয়ামতের সময়ঃ- “একমাত্র
আল্লাহই সেই সময়ের জ্ঞান রাখেন ৷ তিনি বৃষ্টি বর্ষণ করেন৷ তিনিই জানেন
মাতৃগর্ভে কি লালিত হচ্ছে৷ কোন প্রাণসত্তা জানে না আগামীকাল সে কি উপার্জন
করবে এবং কোন ব্যক্তির জানা নেই তার মৃত্যু হবে কোন যমীনে৷ আল্লাহই সকল
জ্ঞানের অধিকারী এবং তিনি সবকিছু জানেন৷ সুরা লুকমান-৩৪
ঘ) কিভাবে আমি ‘লাইলাতুল কদর’কে খুজবো ?
লাইলাতুল কদরকে খোজার একাধিক নির্দেশনা আছে।
# “আমরা
মুহাম্মাদ(সঃ) এর সাথে রোজা পালন করতাম এবং তিনি কখনও ইবাদত করার জন্য
রাতে উঠতেন না।তবে রমজানের শেষ ৭দিনে তিনি গভীর রাতে উঠতেন,শেষ দশের শেষ সপ্তমের প্রথম রাতে তিনি রাতের তিন ভাগের এক ভাগ ইবাদত করতেন।ষষ্ঠ রাতে ঘুমাতেন, আবার শেষ ৫ রাতের প্রথম রাতে আবার ইবাদত করতেন।এভাবে শেষদিন পর্যন্ত চলতো। আবু দাউদ-১৮৭০
# “হযরত আয়েশা(রা) মুহাম্মাদ(সঃ)কে জিজ্ঞাসা করলেন যে, লাইলাতুল কদর তালাশ করার জন্য আমার কি করা উচিত ? তিনি বল্লেন, আল্লাহর কাছে এই বলে দুয়া ও ক্ষমা প্রার্থনা করা উচিত যে, আল্লাহ তুমি মহা-ক্ষামাকারী ও তুমি ক্ষমা করতে ভালবাস। অতএব আমাকে ক্ষমা কর। তিরমিযী- ৩৫১২
# “রমযানের শেষ রাতে বেশী করে দুয়া কর,প্রার্ভনা কর এবং নামায পড়”।
মুসলিম-২৬৪৪
# এছাড়া আর বিশেষ কোন চিন্হ আছে কিনা
কুরআন-হাদিসে আরো কিছু চিন্হ আছে, তবে সেগুলো ‘লাইলাতুল কদর’ অতিবাহিত হবার পরের ব্যাপার। কারন মহান আল্লাহ চান না, মানুষ শুধু কদরের রাতে ইবাদত করুক, আর অন্য দিনগুলোতে চুপ করে বসে থাকুক।
# “লাইলাতুল কদরের” পরের দিন সূর্য রশ্নিহীন এবং উচুতে উদিত হবে।
মুসলিম-১৬৭৫
# “লাইলাতুল কদরের” পরের দিন সূর্যের রশ্নি থাকবে না”। মুসলিম-২৬৩৩
# “কদরের রাতে আকাশের চাদ মাসের সবচেয়ে বাকা দেখাবে”। মুসলিম-২৬৩৫
# “কদরের রাত খুব বেশী গরম হবে না, আবার ঠান্ডাও হবে না।এটি হবে একটা উদার রাত এবং পরের দিন সূর্য অনেকটা বাকা-লালাভ দেখাবে।
0 Comments