▌২৯শ অধ্যায়: ইমাম সালিহ বিন ফাওযান আল-ফাওযান (হাফিযাহুল্লাহ) [১ম কিস্তি]


    ·শাইখ পরিচিতি:
  • ইমাম সালিহ বিন ফাওযান বিন ‘আব্দুল্লাহ আল-ফাওযান (হাফিযাহুল্লাহ) বর্তমান যুগের একজন শ্রেষ্ঠ ফাক্বীহ। তিনি ১৩৫৪ হিজরী মোতাবেক ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দে ক্বাসীম বিভাগের আশ-শিমাসিয়্যাহ জেলায় জন্মগ্রহণ করেছেন। তিনি অনেক বড়ো বড়ো ‘আলিমের সান্নিধ্যে ‘ইলম অর্জন করেছেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হলেন—ইমাম মুহাম্মাদ আল-আমীন আশ-শানক্বীত্বী, ইমাম ‘আব্দুল ‘আযীয বিন ‘আব্দুল্লাহ বিন বায, ইমাম ‘আব্দুল্লাহ বিন হুমাইদ, ইমাম ‘আব্দুর রাযযাক্ব ‘আফীফী, ইমাম মুহাম্মাদ বিন ‘আব্দুল্লাহ আস-সুবাইল প্রমুখ (রাহিমাহুমুল্লাহ)। 

  • তিনি রিয়াদস্থ শারী‘আহ কলেজ থেকে ফিক্বহ শাস্ত্রে অনার্স, মাস্টার্স এবং পিএইচডি সম্পন্ন করেছেন। তিনি একাধারে সৌদি আরবের ‘ইলমী গবেষণা ও ফাতাওয়া প্রদানের স্থায়ী কমিটির (সৌদি ফাতাওয়া বোর্ড) সদস্য, সর্বোচ্চ ‘উলামা পরিষদের সদস্য এবং মক্কা মুকাররামাহ’য় রাবেতায়ে আলাম আল-ইসলামীর ফিক্বহ একাডেমির সদস্য হিসেবে কাজ করছেন। [ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ দার্ব, খণ্ড: ২; পৃষ্ঠা: ৬-৮; সংগৃহীত: alifta.net]

  • তাঁর ব্যাপারে শাইখুল ইসলাম ইমাম ‘আব্দুল ‘আযীয বিন ‘আব্দুল্লাহ বিন বায (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪২০ হি./১৯৯৯ খ্রি.] বলেছেন, “শাইখ সালিহ আল-ফাওযান এবং শাইখ সালিহ বিন গুসূন ভালো ‘আলিমদের অন্তর্ভুক্ত। তাঁরা উত্তম ‘আক্বীদাহ পোষণকারীদের, মর্যাদাবান ব্যক্তিদের এবং দ্বীনের ফাক্বীহদের অন্তর্ভুক্ত।” [দ্র.: https://m.youtube.com/watch?v=dqrn8E_Jmlw (অডিয়ো ক্লিপ)]

  • শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনু বায (রাহিমাহুল্লাহ) তাঁর মৃত্যুর পর ইমাম সালিহ আল-ফাওযান (হাফিযাহুল্লাহ)’র নিকট থেকে ফাতওয়া নেওয়ার নসিহত করেছেন। অনুরূপভাবে বিগত শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ মুফাসসির, মুহাদ্দিস, ফাক্বীহ ও উসূলবিদ ইমাম মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-‘উসাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪২১ হি./২০০১ খ্রি.] তাঁর মৃত্যুর পর শাইখ সালিহ আল-ফাওযান (হাফিযাহুল্লাহ)’র নিকট থেকে ফাতওয়া নেওয়ার নসিহত করেছেন। এমনকি ইমাম ইবনু ‘উছাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) বলেছেন, “শাইখ সালিহ আল-ফাওযানের ফাতওয়ায় অন্তর প্রশান্ত হয়।” [bayenahsalaf.com]

  • ইয়েমেনের প্রখ্যাত মুহাদ্দিস, ফাক্বীহ ও মুজাদ্দিদ ইমাম মুক্ববিল বিন হাদী আল-ওয়াদি‘ঈ (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪২২ হি./২০০১ খ্রি.] কে প্রশ্ন করা হয়েছে, “শাইখ সালিহ আল-ফাওযান এবং শাইখ রাবী‘ বিন হাদী আল-মাদখালীর গ্রন্থসমূহের ব্যাপারে আপনার অভিমত কী?” তিনি (রাহিমাহুল্লাহ) উত্তরে বলেছেন, “গ্রন্থগুলো ভালো এবং উপকারী। আল্লাহ তাঁদের উত্তম প্রতিদান দান করুন। হিযবীদের (দলবাজদের) বিরুদ্ধে তাঁদের ভালো অবস্থান রয়েছে। এজন্য তাঁরা প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য। অবশ্যই আমরা এমন কিছু বিষয় জেনেছি, যে ব্যাপারে আমরা অজ্ঞ ছিলাম। আর তা (জেনেছি) আমাদের ভাই শাইখ রাবী‘র বইয়ের মাধ্যমে। আল্লাহ তাঁকে উত্তম প্রতিদান দিন। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এই দুজন লেখক সৌদি আরবের শ্রেষ্ঠ লেখকদের অন্তর্ভুক্ত।” [muqbel.net]

  • বর্তমান যুগে জারাহ ওয়াত তা‘দীলের ঝাণ্ডাবাহী মুজাহিদ আল-মুহাদ্দিসুল ফাক্বীহ ইমাম রাবী‘ বিন হাদী বিন ‘উমাইর আল-মাদখালী (হাফিযাহুল্লাহ) [জন্ম: ১৩৫১ হি./১৯৩২ খ্রি.] শাইখ ফাওযান এবং শাইখ লুহাইদান সম্পর্কে বলেছেন, “আমি তাঁদের দুজনের পূর্বেই মারা যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা করি। আল্লাহ’র কসম! যদি আমাকে এখতিয়ার দেওয়া হতো, তাহলে আমি তাঁদের দুজনের পূর্বে (আমার) মরণকে বাছাই করতাম। আমি জানিনা, তাঁরা যদি মারা যান, তাহলে দুনিয়া কীভাবে চলবে!” এই কথা বলার পর শাইখ রাবী‘ কাঁদতে শুরু করেন। আল্লাহ তাঁকে হেফাজত করুন। [sahab.net]

  • ইমাম রাবী‘ আল-মাদখালী (হাফিযাহুল্লাহ) আরও বলেছেন, “তাঁরা সুন্নাহ’র ‘আলিমদের মধ্যকার নক্ষত্র। তাঁদের অন্তর্ভুক্ত হলেন শাইখ আলবানী, শাইখ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-‘উসাইমীন, শাইখ সালিহ আল-ফাওযান, শাইখ মুহাম্মাদ আমান।” [আজুর্রি (ajurry) ডট কম]

  • বর্তমান যুগের শ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস ইমাম ‘আব্দুল মুহসিন আল-‘আব্বাদ (হাফিযাহুল্লাহ) [জন্ম: ১৩৫৩ হি./১৯৩৪ খ্রি.] শাইখ সালিহ আল-ফাওযানকে “মুহাক্বক্বিক্ব ‘আলিম” বলেছেন। [sahab.net]

  • বর্তমান যুগের শ্রেষ্ঠ ফাক্বীহ, মুহাদ্দিস, মুফাসসির ও উসূলবিদ ইমাম ‘উবাইদ আল-জাবিরী (হাফিযাহুল্লাহ) [জন্ম: ১৩৫৭ হি.] শাইখ ফাওযান এবং শাইখ লুহাইদান সম্পর্কে বলেছেন, “আর বর্তমানে জীবিত ‘আলিমদের মধ্যে আমি দুইজনের ব্যাপারে উল্লেখ করব, যদিও আরও অনেকেই রয়েছেন। কিন্তু আমার উদ্দেশ্য হচ্ছে একটি উদাহরণ দেয়া। (আর তাঁরা হলেন) শাইখ সালিহ বিন ফাওযান আল-ফাওযান এবং শাইখ সালিহ আল-লুহাইদান। আল্লাহ’র কসম! আমরা তাদেরকে পরীক্ষা করি, যারা তাঁদের (শাইখ ফাওযান এবং শাইখ লুহাইদান) জন্য ভালোবাসা দেখায় না। 

  • পক্ষান্তরে যারা তাঁদেরকে ঘৃণা করে, আমরাও তাদেরকে ঘৃণা করি, আমরা তাঁদেরকে (শাইখ ফাওযান এবং শাইখ লুহাইদান) ‘ইলম, (সঠিক) বুঝ এবং নিজেদের দা‘ওয়াতের কাজে হিকমাহ’র ক্ষেত্রে দৃঢ়ভাবে স্থাপিত মনে করি, ওয়ালিল্লাহিল হামদ। সুতরাং যে তাঁদেরকে ঘৃণা করে আমরাও তাকে ঘৃণা করি এবং যে তাঁদেরকে ভালোবাসে আমরা তাকে কাছে টেনে নিই। আর সে যদি এর বিপরীত কিছু প্রদর্শন করে তাহলে আমরা তাকে ঘৃণা করি এবং দূরে ঠেলে দিই, আমরা তাকে বর্জন করি এবং তাকে  তার মতের ওপর ছেড়ে দিই। এবং আমরা বলি, তুমি আমাদের অন্তর্ভুক্ত না আর আমরাও তোমাদের অন্তর্ভুক্ত না, সুতরাং তুমি আমাদের ছাড়া অন্য কাউকে খুঁজে নাও।” [দ্র.: https://m.youtube.com/watch?v=wglwBjHRwk4 (অডিয়ো ক্লিপ)]

  • এই মহান ‘আলিমের অমূল্য খেদমতকে আল্লাহ কবুল করুন এবং তাঁকে উত্তমরূপে হেফাজত করুন। আমীন।

  • ·
  • ১ম বক্তব্য:

  • সৌদি আরবের ফাতাওয়া প্রদানকারী স্থায়ী কমিটি এবং সৌদি আরবের সর্বোচ্চ ‘উলামা পরিষদের প্রবীণ সদস্য বর্তমান যুগে সালাফদের অবশিষ্টাংশ যুগশ্রেষ্ঠ ফাক্বীহ আশ-শাইখুল ‘আল্লামাহ ইমাম সালিহ বিন ফাওযান আল-ফাওযান (হাফিযাহুল্লাহ) [জন্ম: ১৩৫৪ হি./১৯৩৫ খ্রি.] প্রদত্ত ফাতওয়া—

  • السؤال: ما حكم وجود مثل هذه الفرق كالتبليغ الإخوان المسلمين وغيرها في بلادنا خاصة وبلاد المسلمين عامة؟
  • الجواب: بلادنا –ولله الحمد– جماعة واحدة كل أفرادها وكل حاضرتها وباديتها تسير على منهج الكتاب والسنة يوالي بعضهم بعضًا، ويحب بعضهم بعضًا. أما هذه الجماعات الوافدة فيجب أن لا نتقبلها؛ لأنها تريد أن تنحرف بنا أو تفرقنا، وتجعل هذا تبليغي، و هذا إخواني، وهذا وهذا.
  • প্রশ্ন: “মুসলিম বিশ্বে বিশেষত আমাদের দেশে তাবলীগ জামা‘আত, মুসলিম ব্রাদারহুড ও অন্যান্য দলের অস্তিত্বের বিধান কী?”

  • উত্তর: “আল-হামদুলিল্লাহ, আমাদের দেশ মূলত একটাই দল। এর সকল নগর, অঞ্চল ও জনগণ কুরআন-সুন্নাহ’র মানহাজ অনুযায়ী চলে। তারা একে অপরের সাথে মিত্রতা পোষণ করে, একে অপরকে ভালোবাসে। পক্ষান্তরে এই আগন্তুক দলগুলো গ্রহণ না করা আমাদের জন্য ওয়াজিব। কেননা এগুলো আমাদেরকে বিপথগামী করতে চায়, আমাদের মধ্যে ফাটল ধরাতে চায়। এরা ওকে তাবলীগী বানাতে চায়, আর ওকে ইখওয়ানী (ব্রাদারহুডের সমর্থক) বানাতে চায়, ওকে এটা, আর ওকে ওটা বানাতে চায়।” [ইমাম সালিহ আল ফাওযান (হাফিযাহুল্লাহ), আল-আজউয়িবাতুল মুফীদাহ ‘আন আসইলাতি মানাহিজিল জাদীদাহ; পৃষ্ঠা: ২৩৩; দারুল মিনহাজ, কায়রো কর্তৃক প্রকাশিত; সন: ১৪২৪ হিজরী (৩য় প্রকাশ)]
  • ·
  • ২য় বক্তব্য:

  • ইমাম সালিহ বিন ফাওযান আল-ফাওযান (হাফিযাহুল্লাহ) প্রদত্ত আরেকটি ফাতওয়া—

  • السؤال: يقول أحسن الله إليكم هل صحيح أنكم تقولون بأن جماعة الإخوان المسلمين والتبليغ وغيرها داخلون في السلفية؟
  • الجواب: هذا كذب وافتراء ما يدخل في السلفية إلا من كان على منهج السلف، فإذا كانوا على منهج السلف فهم سلفيون، أما إذا كانوا مخالفين لمنهج السلف فليسوا سلفيين.
  • الرسول صلى الله عليه وسلم قال في الفرقة الناجية: من كان على مثل ما أنا عليه اليوم وأصحابي، الرسول ما تركنا بدون بيان ، بين من هو السلفي من غير السلفي، نعم.
  • প্রশ্ন: “আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন। এটা কি সঠিক যে, আপনি বলেছেন—‘মুসলিম ব্রাদারহুড, তাবলীগ এবং অন্যান্য দল সালাফিয়্যাহ’র অন্তর্ভুক্ত’?”

  • উত্তর: “এটা মিথ্যা এবং অপবাদ। যারা সালাফদের মানহাজের উপর প্রতিষ্ঠিত, তারা ব্যতীত আর কেউ সালাফিয়্যাহ’র অন্তর্ভুক্ত নয়। তারা যদি সালাফদের মানহাজের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকে, তাহলে তারা সালাফী। পক্ষান্তরে তারা যদি সালাফদের মানহাজের বিরোধী হয়, তাহলে তারা সালাফী নয়।
  • রাসূল ﷺ মুক্তিপ্রাপ্ত দলের ব্যাপারে বলেছেন, “আজকের দিনে আমি ও আমার সাহাবীরা যে মতাদর্শের উপর প্রতিষ্ঠিত আছি, সে মতাদর্শের উপর যারা প্রতিষ্ঠিত থাকবে (তারাই মুক্তিপ্রাপ্ত দল)।” (তিরমিযী, হা/২৬৪১; সনদ: সাহীহ) রাসূল ﷺ আমাদেরকে সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা না করে ছেড়ে দেননি। কে সালাফী, আর কে সালাফী নয়—তা তিনি বর্ণনা করেছেন। না‘আম।” [দ্র.: www.sahab.net/forums/index.php?app=forums&module=forums&controller=topic&id=135231 (টেক্সট-সহ অডিয়ো ক্লিপ)]

  • ·৩য় বক্তব্য:

  • ইমাম সালিহ বিন ফাওযান আল-ফাওযান (হাফিযাহুল্লাহ) প্রদত্ত আরেকটি ফাতওয়া—

  • السؤال: يقول أحسن الله إليكم: انتشر في مواقع الإنترنت فتوى لكم حول جماعة الإخوان المسلمين وأنهم من أهل السنة والجماعة؛ فهل هذا صحيح؟
  • الجواب: أنا رددتُ على هذا؛ لكن ما يقبلون اللي عليهم، إلا أنا رددتُ على هذا في حينه ، وقلت أنا أتبرأ من منهج الإخوان المسلمين ، وبينت منهجهم في نفس الرد ، لكن ما ينشرون اللي عليهم، نعم.

  • প্রশ্ন: “আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন। ইন্টারনেটের বেশকিছু ওয়েবসাইটে মুসলিম ব্রাদারহুডের ব্যাপারে আপনার একটি ফাতওয়া ছড়িয়ে পড়েছে যে, তারা (ব্রাদারহুড) আহলুস সুন্নাহ’র অন্তর্ভুক্ত। এটা কি সঠিক?”
  • উত্তর: “আমি এর রদ (রিফিউট) করেছি। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে বলা বক্তব্যটি তারা গ্রহণ করছে না। নতুবা আমি তো তাদেরকে তখনই রদ করেছি এবং বলেছি যে, আমি মুসলিম ব্রাদারহুডের মানহাজ থেকে মুক্ত। রদের মধ্যে আমি তাদের মানহাজ বর্ণনা করেছি। কিন্তু তারা তাদের বিরুদ্ধে বলা বক্তব্য প্রচার করে না। না‘আম।” [দ্র.: http://ar.alnahj.net/audio/305 (টেক্সট-সহ অডিয়ো ক্লিপ)]
  • ·৪র্থ বক্তব্য:

  • ইমাম সালিহ বিন ফাওযান আল-ফাওযান (হাফিযাহুল্লাহ) যে রদটির কথা উপরিউক্ত ফাতওয়ায় বললেন, সেটা তিনি ১৪৩৩ হিজরী সনের ২৬শে জুমাদাল উলা তারিখে লিখেছেন। ইমাম ফাওযানের ছাত্র শাইখ জামাল বিন ফুরাইহান আল-হারিসী (হাফিযাহুল্লাহ) ইমাম ফাওযানের স্বাক্ষরিত রদটি তাঁর আর্টিকেলে উল্লেখ করেছেন। রদটি নিম্নরূপ—
  • الحمد لله رب العالمين والصلاة والسلام على نبينا محمد وعلى آله وصحبه.
  • رأيي في الإخوان المسلمين أنهم حزبيون يريدون التوصل إلى الحكم ولا يهتمون بالدعوة إلى تصحيح العقيدة ولا يفرقون في أتباعهم بين السني والبدعي . وما جاء في الكلام الشفهي المسجل عني فهو سبق لسانلا يغير من رأيي فيهم شيئا.

  • “যাবতীয় প্রশংসা জগৎসমূহের প্রতিপালক মহান আল্লাহ’র জন্য। দয়া ও শান্তি অবতীর্ণ হোক আমাদের নাবী মুহাম্মাদ, তাঁর পরিবার-পরিজন এবং সাহাবীবর্গের উপর।

  • মুসলিম ব্রাদারহুডের ব্যাপারে আমার অভিমত হলো তারা হিযবী (দলবাজ)। তারা শাসনক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতে চায়। ‘আক্বীদাহ বিশুদ্ধকরণের দিকে দা‘ওয়াত দেওয়ার প্রতি তারা কোনো গুরুত্ব দেয় না। তাদের অনুসারীদের মধ্যে তারা সুন্নী ও বিদ‘আতীর পার্থক্য করে না। আর আমার পক্ষ থেকে যে রেকর্ড করা কথা বর্ণিত হয়েছে, তা হলো জবানের বিচ্যুতি (স্লিপ অফ দ্য টাং)। আমি তাদের ব্যাপারে যে মত পোষণ করি—এটা তা পরিবর্তন করে দেয় না।” [দ্র.: www.sahab.net/forums/index.php?app=forums&module=forums&controller=topic&id=128726.]

  • ইমাম সালিহ আল-ফাওযান (হাফিযাহুল্লাহ)’র স্বাক্ষরিত রদের প্রামাণ্য চিত্র—
  • http://archive.org/download/shekh_alfawzan_fawaed/Alfawzan_tabra3_men_ikhwan_2.jpg
  • ·৫ম বক্তব্য:
  • ইমাম সালিহ বিন ফাওযান আল-ফাওযান (হাফিযাহুল্লাহ) প্রদত্ত আরেকটি ফাতওয়া—

  • السائل: أحسن الله إليكم صاحب الفضيلة، هذا سائل أغلظ علينا في سؤاله، فقال أقسم بالله لأشكينك إلى ربي يوم القيامة لكتمك لي، أرجوا منك تكرما وأمراً أن تلقي هذا السؤال على الشيخ، لحيرتي الزائدة فيها.
  • الشيخ: لا حول ولا قوة إلا بالله. الله يسمعنا خير، نعم.
  • السائل: نستأنف يا شيخ. 
  • الشيخ: نعم.
  • السائل: قال فأرجوا وأرجوا وأرجوا أن تطرحه أرجوا وأرجوا أن تطرحه.
  • الشيخ: إيه، هذا خير إن شاء الله، إن كان نحن نعلم الجواب أجبنا وإلا قلنا الله أعلم.
  • السائل: يقول عندنا مدرس يقول إنه سلفي، وإن جماعة التبليغ مبتدعين والإخوان وسيد قطب وطارق السويدان ضالين مبتدعين، وهم من الإخوان، يقول: من هم الإخوان؟ ومن هم السلفيون؟ ومن هم جماعة التبليغ؟ وضح لي ذلك يا شيخنا فقد زادت حيرتي وتشككت في ديني وفي زملائي الصالحين وفي علمائنا، فهل كلامه صحيح؟
  • الشيخ: فيه كتب يا أخي، فيه كتب مؤلفة تبين من هم الإخوان المسلمون وما هو منهجهم، وفيه كتب تبين من هم جماعة التبليغ وما هو منهجهم، اطلبها من الأسواق واقرأها تعرفهم إن شاء الله تعالى، تعرف من هم جماعة التبليغ وما هو منهجهم، وتعرف من هم الإخوان الملسمون وما هو منهجهم .
  • وأما السلفيون فهم من كان على منهج السلف الصالح، من كان على منهج السلف الصالح يقال له «سلفي»، على منهجهم حقيقة ما هو بالإنتساب فقط أوادعاء، وإنما على منهجهم حقيقة، هذا هو السلفي.
  • فيه كتب معينة، فيه كتب عن التبليغيين ككتاب لمحمد أسلم رحمه الله الداعية الباكستاني، وكتاب لتقي الدين الهلالي المغربي، وكتاب للشيخ حمود بن عبد الله التويجري رحمه الله عن جماعة التبليغ ومنهجهم، مكتوب عنهم كتابات.
  • والإخوان المسلمون أيضا عنهم كتابات بينت منهجهم منها كتبهم هم، اقرأ من كتبهم تعرف دعوتهم ومنهجهم وما هم عليه، ككتب البنا – مذكراته – وكتب سيد قطب وخصوصا معالم في الطريق هذا اللي كتب هذا وبين منهجه، والذين ردوا عليهم أيضاً تعرف ويش الأغلاط التي عندهم من الكتب التي ردت عليهم وهي كثيرة.

  • প্রশ্নকর্তা: “ইয়োর এক্সিলেন্সি, আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন। এই প্রশ্নকর্তা তাঁর প্রশ্নের ব্যাপারে আমাদের উপর কঠোরতা আরোপ করেছেন। তিনি বলেছেন, আমি আল্লাহ’র শপথ করে বলছি। আমি অবশ্যই আমার প্রভুর নিকট কেয়ামতের দিন আমার কাছে আপনার ‘ইলম গোপন করার ব্যাপারে অভিযোগ করব। আমি আপনার কাছে এই উদারতা কামনা করছি যে, আমার প্রবল পেরেশানি ও বিমূঢ়তার জন্য আপনি এই প্রশ্ন শাইখের কাছে উপস্থাপন করবেন।”

  • শাইখ: “লা হাওলা ওয়ালা ক্বুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ। আল্লাহ আমাদেরকে শুনছেন। না‘আম।”
  • প্রশ্নকর্তা: “শাইখ, আমরা তাহলে শুরু করছি।”
  • শাইখ: “হ্যাঁ।”

  • প্রশ্নকর্তা: “তিনি (মূল প্রশ্নকারী) বলেছেন, আমি আশা করছি, আমি আশা করছি এবং আমি আশা করছি যে, আপনি প্রশ্নটি করবেন। আমি আশা করছি এবং আমি আশা করছি যে, আপনি প্রশ্নটি করবেন।”
  • শাইখ: “হুম, এটা কল্যাণকর হবে, ইনশাআল্লাহ। আমরা যদি প্রশ্নের উত্তর জানি, তাহলে জবাব দিব। নতুবা আমরা বলব, আল্লাহু আ‘লাম (আল্লাহই সর্বাধিক অবগত)।”

  • প্রশ্নকর্তা: “তিনি (মূল প্রশ্নকারী) বলেছেন, আমাদের একজন শিক্ষক আছেন। যিনি বলেন যে, তিনি সালাফী। তিনি বলেন, তাবলীগ জামা‘আত বিদ‘আতী। ব্রাদারহুড, সাইয়্যিদ ক্বুত্বুব, ত্বারিক্ব আস-সুওয়াইদান পথভ্রষ্ট বিদ‘আতী, তারা (উল্লিখিত ব্যক্তিবর্গ) ব্রাদারহুডের অন্তর্ভুক্ত। প্রশ্নকারী বলছেন, ব্রাদারহুড কারা? সালাফী কারা? তাবলীগ জামা‘আত কারা? হে আমাদের শাইখ, আমার কাছে স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করুন। আমার পেরেশানি বেড়ে গেছে। আমি আমার দ্বীনের ব্যাপারে এবং আমার সৎ সঙ্গীবর্গ ও আমাদের ‘আলিমদের ব্যাপারে সংশয়ে পতিত হয়েছি। তাঁর (শিক্ষকের) কথা কি সঠিক?”

  • শাইখ: “হে আমার ভাই, এ ব্যাপারে বইপুস্তক রয়েছে। এ ব্যাপারে বেশকিছু গ্রন্থ রচিত হয়েছে, যা স্পষ্ট করে দেয়—কারা মুসলিম ব্রাদারহুড এবং তাদের মানহাজ কী। আবার বেশকিছু গ্রন্থ রয়েছে, যা স্পষ্ট করে দেয়—কারা তাবলীগ জামা‘আত এবং তাদের মানহাজ কী। তুমি বাজার থেকে গ্রন্থগুলো ক্রয় করো এবং সেগুলো অধ্যয়ন করো। তুমি তাদেরকে চিনতে পারবে, ইনশাআল্লাহ। তুমি জানতে পারবে, কারা তাবলীগ জামা‘আত এবং তাদের মানহাজ কী। জানতে পারবে, কারা মুসলিম ব্রাদারহুড এবং তাদের মানহাজ কী।

  • পক্ষান্তরে যারা ন্যায়নিষ্ঠ সালাফদের মানহাজের উপর থাকে, তারাই সালাফী। যে ব্যক্তি ন্যায়নিষ্ঠ সালাফদের মানহাজের উপর থাকে, তাকে ‘সালাফী’ বলা হয়। যে সত্যিকারার্থেই তাঁদের মানহাজের উপর থাকে, স্রেফ তাঁদের দিকে নিজেকে সম্পৃক্ত করে না বা দাবি করে না। বরং সত্যিকারার্থেই তাঁদের মানহাজের উপর থাকে। এই ব্যক্তি হলো সালাফী।

  • এই বিষয়ে কিছু নির্দিষ্ট গ্রন্থ রয়েছে। তাবলীগীদের সম্পর্কে গ্রন্থ রয়েছে। যেমন: পাকিস্তানের দা‘ঈ মুহাম্মাদ আসলাম (রাহিমাহুল্লাহ)’র গ্রন্থ, তাক্বিউদ্দীন হিলালী আল-মাগরীবী প্রণীত গ্রন্থ, তাবলীগ জামা‘আত ও তাদের মানহাজের ব্যাপারে শাইখ হামূদ বিন ‘আব্দুল্লাহ আত-তুওয়াইজীরী (রাহিমাহুল্লাহ) রচিত গ্রন্থ। তাবলীগীদের ব্যাপারে অনেক গ্রন্থ রচিত হয়েছে।

  • মুসলিম ব্রাদারহুডের ব্যাপারেও অনেক গ্রন্থ রয়েছে, যা তাদের মানহাজ স্পষ্ট করে দেয়। তন্মধ্যে রয়েছে তাদের নিজেদের রচিত গ্রন্থাবলি। তুমি তাদের গ্রন্থ পড়লে তাদের দা‘ওয়াত, মানহাজ এবং আদর্শ সম্পর্কে জানতে পারবে। যেমন: হাসান আল-বান্না’র গ্রন্থসমূহ, সাইয়্যিদ ক্বুত্বুবের গ্রন্থসমূহ। বিশেষ করে মা‘আলিমু ফিত্ব ত্বারীক্ব। এটা সে (ক্বুত্বুব) লিখেছে এবং তার মানহাজ স্পষ্ট করে দিয়েছে। আর যাঁরা তাদেরকে রদ করেছেন, তাঁদের লিখন পড়েও তুমি তাদের মানহাজ সম্পর্কে জানতে পারবে। তুমি তাদেরকে খণ্ডন করে লেখা কিতাবসমূহ থেকে তাদের (ব্রাদারহুড) ভুলগুলো জানতে পারবে। আর এরকম বই অনেক রয়েছে।” [দ্র.: http://ar.alnahj.net/audio/228.]
  • [অত্র অধ্যায় আগামী পর্বে সমাপ্য, ইনশাআল্লাহ।]
  • ·অনুবাদ ও সংকলনে: মুহাম্মাদ ‘আব্দুল্লাহ মৃধা
  • পরিবেশনায়: www.facebook.com/SunniSalafiAthari (সালাফী: ‘আক্বীদাহ্ ও মানহাজে)

Post a Comment

0 Comments