১০ম পর্ব | ২০শ অধ্যায়: ‘আল্লামাহ যাইদ আল-মাদখালী (রাহিমাহুল্লাহ), ২১শ অধ্যায়: ‘আল্লামাহ মুহাম্মাদ বাযমূল (হাফিযাহুল্লাহ) এবং ২২শ অধ্যায়: ইমাম সালিহ আল-লুহাইদান (হাফিযাহুল্লাহ)


    নিয়মিত আপডেট পেতে ভিজিট করুন এই পর্বে থাকছে ‘আল্লামাহ যাইদ আল-মাদখালী, ‘আল্লামাহ মুহাম্মাদ বাযমূল এবং ইমাম সালিহ আল-লুহাইদানের ফাতাওয়া।
  • ▌২০শ অধ্যায়: ‘আল্লামাহ যাইদ বিন হাদী আল-মাদখালী (রাহিমাহুল্লাহ)
  • ·শাইখ পরিচিতি:
  • ‘আল্লামাহ যাইদ বিন মুহাম্মাদ বিন হাদী আল-মাদখালী (রাহিমাহুল্লাহ) সৌদি আরবের একজন প্রখ্যাত ফাক্বীহ ছিলেন। তিনি দক্ষিণ সৌদি আরবের জাযান জেলার অন্তর্গত ‘রুকূবাহ’ গ্রামের ‘মাদাখিলাহ’ নামক প্রখ্যাত গোত্রে ১৩৫৭ হিজরী মোতাবেক ১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর অন্যতম কয়েকজন শিক্ষক হলেন—ইমাম ‘আব্দুল্লাহ আল-ক্বার‘আউয়ী, ইমাম হাফিয বিন আহমাদ আল-হাকামী, ইমাম ‘আব্দুল ‘আযীয বিন ‘আব্দুল্লাহ বিন বায, ইমাম আহমাদ বিন ইয়াহইয়া আন-নাজমী, ইমাম মুহাম্মাদ আমান আল-জামী, ইমাম ‘আব্দুল্লাহ বিন ‘আব্দুর রাহমান আল-গুদাইয়্যান প্রমুখ (রাহিমাহুমুল্লাহ)।
  • শাইখ যাইদের ছাত্র শাইখ ফাওয়্যায বিন ‘আলী আল-মাদখালী (হাফিযাহুল্লাহ) প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী নিম্নোদ্ধৃত ‘আলিমগণ শাইখ যাইদের প্রশংসা করেছেন—ইমাম হাফিয বিন আহমাদ আল-হাকামী, ইমাম আহমাদ বিন ইয়াহইয়া আন-নাজমী, ইমাম মুহাম্মাদ বিন ‘আব্দুল্লাহ আস-সুবাইল, ইমাম রাবী‘ বিন হাদী ‘উমাইর আল-মাদখালী, ইমাম সালিহ বিন ফাওযান আল-ফাওযান, ইমাম ‘আব্দুল মুহসিন বিন হামাদ আল-‘আব্বাদ আল-বাদর, ইমাম ‘উবাইদ বিন ‘আব্দুল্লাহ আল-জাবিরী, ‘আল্লামাহ ‘আলী বিন নাসির আল-ফাক্বীহী, ‘আল্লামাহ সালিহ বিন ‘আব্দুল ‘আযীয আলুশ শাইখ, ‘আল্লামাহ সুলাইমান বিন ‘আব্দুল্লাহ আবাল খাইল, ‘আল্লামাহ ওয়াসিউল্লাহ ‘আব্বাস, শাইখ ‘আব্দুল্লাহ বিন সা‘দ মুহাম্মাদ আস-সা‘দ (রাহিমাহুমুল্লাহু মিনহুম ওয়া হাফিযাহুমুল্লাহ)।
  • এছাড়াও আশ-শাইখুল ‘আল্লামাহ আল-ইমাম সালিহ আল-লুহাইদান (হাফিযাহুল্লাহ) এবং আশ-শাইখুল ‘আল্লামাহ মুহাম্মাদ বিন সা‘ঈদ রাসলান (হাফিযাহুল্লাহ) তাঁর প্রশংসা করেছেন। বর্তমান যুগের শ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস ইমাম রাবী‘ আল-মাদখালী (হাফিযাহুল্লাহ) [মৃত: ১৩৫১ হি./১৯৩২ খ্রি.] শাইখ যাইদের মৃত্যুর পর বলেন, “শাইখ যাইদ (রাহিমাহুল্লাহ) সুন্নাহ’র ক্ষেত্রে ও আল্লাহ’র দিকে দা‘ওয়াত দানের ক্ষেত্রে একটি পাহাড় ছিলেন।” [আজুর্রি (ajurry) ডট কম]
  • তিনি ১৪৩৫ হিজরী মোতাবেক ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে মারা যান। আল্লাহ তাঁকে তাঁর সুপ্রশস্ত রহমত দিয়ে ঢেকে দিন এবং তাঁকে জান্নাতুল ফিরদাউসে দাখিল করুন। আমীন। সংগৃহীত: fb.com/SunniSalafiAthari (সালাফী: ‘আক্বীদাহ্ ও মানহাজে)।
  • ·
  • ১ম বক্তব্য:
  • সৌদি আরবের প্রখ্যাত ফাক্বীহ আশ-শাইখুল ‘আল্লামাহ যাইদ বিন মুহাম্মাদ বিন হাদী আল-মাদখালী (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৪৩৫ হি./২০১৪ খ্রি.] বলেছেন,
  • قال بعض قادة الإخوان المسلمون لمن سأله من أتباعه عن مدى الخلاف بين أهل السنة والشيعة، فنهانا عن الدخول في مثل هذه المسائل الشائكة التي لا تليق بالمسلمين أن يشغلوا أنفسهم بها، والمسلمون على ما ترى من تنابذ يعمل أعداء الإسلام على إشعال ناره قال السائل: نحن لا نسأل عن هذا للتعصب أو توسعة هوة الخلاف بين المسلمين، ولكننا نسأل للعلم لأن ما بين السنة والشيعة مذكور في مؤلفات لا حصر لها، وليس لدينا من سعة الوقت ما يمكننا من البحث في تلك المراجع، فقال: اعلموا أن أهل السنة والشيعة مسلمون تجمعهم كلمة لا إله إلا الله وأن محمدًا رسول الله وهذا أصل العقيدة والسنة والشيعة فيها سواء وعلى التقاء، أما الخلاف بينهما فهو في أمور من الممكن التقريب فيما بينها. إه‍ [ذكريات لا مذكرات لعمر التلمساني ص ٢٤٩ - ٢٥٠ بواسطة موقف علماء المسلمين من الشيعة والثورة الإسلامية لعز الدين إبراهيم]
  • وقال بعضهم –وهو يشيد بالخميني الرافضي وأشياعه وثورته– ما نصه: وثورة الخميني ثورة إسلامية، والقائمون عليها جماعة إسلامية وشباب تلقوا التربية الإسلامية في الحركات الإسلامية، وعلى جميع المسلمين عامة والحركات الإسلامية خاصة أن تؤيد هذه الثورة كل التأييد التي بعث بها هذا الرجل وأتباعه إلى الخميني الرافضي خاصة وإلى أشياعه عامة بنجاح ثورتهم. إه‍ [انظر رسالة الشقيقان المودودي والخميني ص ٣]
  • “মুসলিম ব্রাদারহুডের এক নেতাকে [শাইখ যাইদ (রাহিমাহুল্লাহ) টীকায় বলেছেন, এই নেতা হলেন হাসান আল-বান্না – সংকলক।] তাঁর অনুসারীদের মধ্যে একজন আহলুস সুন্নাহ এবং শী‘আদের বিরোধিতার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি এসব জটিল মাসআলাহ’য় প্রবেশ করতে নিষেধ করেন, যে মাসআলাহগুলো নিয়ে মুসলিমদের ব্যস্ত থাকা উচিত নয়! তিনি বলেন, তুমি তো দেখছ যে, মুসলিমরা কেমন বিভক্তির উপর রয়েছে, যে বিভক্তির আগুন প্রজ্বলিত করছে মুসলিমদের শত্রুরা। প্রশ্নকারী বলে, আমরা গোঁড়ামির জন্য বা মুসলিমদের মধ্যকার কোন্দলের খাদকে প্রশস্ত করার জন্য এ সম্পর্কে প্রশ্ন করছি না। বরং আমরা ‘ইলমের জন্য প্রশ্ন করছি। কেননা শী‘আ-সুন্নী বিরোধের ব্যাপারটি অসংখ্য গ্রন্থে উল্লিখিত হয়েছে। আর আমাদের কাছে এত সময় নেই যে, আমরা ওইসব উৎস গ্রন্থ গবেষণা করব।
  • তখন নেতা বলেন, “তোমরা জেনে রেখো, নিশ্চয় আহলুস সুন্নাহ ও শী‘আ সম্প্রদায় মুসলিম। তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ করবে কালিমাহ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ। এটাই ‘আক্বীদাহর মূল ভিত্তি। সুন্নী ও শী‘আ এ ব্যাপারে সমান এবং এক। আর তাদের মধ্যে এমন বিরোধ রয়েছে, যেক্ষেত্রে তাদেরকে নিকটবর্তী করা সম্ভব।” (দ্র.: ‘উমার আত-তিলমিসানী প্রণীত যিকরিয়্যাত লা মুযাক্কিরাত, পৃষ্ঠা: ২৪৯-২৫০; গৃহীত: ‘ইযযুদ্দীন ইবরাহীম প্রণীত মাওক্বিফু ‘উলামা-ইল মুসলিমীন মিনাশ শী‘আতি ওয়াস সাওরাতিল ইসলামিয়্যাহ।)
  • তাদের এক নেতা [শাইখ যাইদ (রাহিমাহুল্লাহ) টীকায় বলেছেন, এই নেতা হলেন আবুল আ‘লা মওদূদী – সংকলক] রাফিদ্বী খোমেনী এবং তার দল ও বিপ্লবের প্রশংসা করে বলেছেন, “খোমেনীর বিপ্লব ইসলামী বিপ্লব। এই বিপ্লব করেছে ইসলামী জামা‘আত এবং একদল যুবক, যারা ইসলামী আন্দোলনের ব্যাপারে ইসলামী শিক্ষা গ্রহণ করেছে। ব্যাপকভাবে সকল মুসলিমের জন্য এবং বিশেষভাবে ইসলামী আন্দোলনগুলোর জন্য এই বিপ্লবকে সর্বাত্মক সাহায্য করা এবং সর্বক্ষেত্রে তাদেরকে সহযোগিতা করা আবশ্যক।”
  • অধিকন্তু তিনি খোমেনীর কাছে দীর্ঘ অভ্যর্থনাপত্র পাঠিয়েছেন। তিনি এবং তাঁর অনুসারীরা বিশেষভাবে রাফিদ্বী খোমেনীর কাছে এবং ব্যাপকভাবে খোমেনীর দোসরদের কাছে তাদের বিপ্লবে সফল হওয়ার কারণে এই অভ্যর্থনাপত্র প্রেরণ করেছেন। (দ্র.: আশ-শাক্বীক্বান: আল-মাওদূদী ওয়াল খুমাইনী (মওদূদী-খোমেনী দুই সহোদর), পৃষ্ঠা: ৩।)” [‘আল্লামাহ যাইদ বিন হাদী আল-মাদখালী (রাহিমাহুল্লাহ), আল-ইরহাব ওয়া আসারুহু ‘আলাল আফরাদি ওয়াল উমাম; পৃষ্ঠা: ৫১-৫৩; বাদশাহ ফাহাদ লাইব্রেরি কর্তৃক প্রকাশিত, সন: ১৪১৮ হি. (১ম প্রকাশ); বইটি সম্পাদনা করেছেন ইমাম সালিহ আল-ফাওযান এবং ‘আল্লামাহ ‘আলী বিন নাসির আল-ফাক্বিহী (হাফিযাহুমাল্লাহ)]
  • ·
  • ২য় বক্তব্য:
  • ‘আল্লামাহ যাইদ বিন মুহাম্মাদ বিন হাদী আল-মাদখালী (রাহিমাহুল্লাহ) প্রদত্ত ফাতওয়া—
  • السؤال: أحسن الله إليكم، هذه تسأل عن جماعة الإخوان، هل الواجب البعد عنهم والحذر منهم؟
  • الجواب: لا شك، الواجب على كل مسلم أن يكون مع أهل السنة عقيدةً ومنهجًا، والإخوان المسلمون عندهم مخالفات متعددة، مخالف ما عليه أهل السنة والجماعة، فلا يجوز لأحد أن ينضم إليهم، لا من الرجال ولا من النساء، مع أنهم يحرصون على استقطاب الرجال واستقطاب النساء ليكونوا من هذا الحزب، فالعاقل [كلام غير واضح] لا يكون معهم أبداً، وإنما يكون مع أهل السنة والجماعة، الذين تقيدوا بنصوص الكتاب والسنة بالفهم الصحيح، قد سئل الشيخ عبد العزيز بن باز عن الإخوان: هل هم من أهل السنة، أو من الفرق الثنتين والسبعين؟ قال: هم من الفرق الثنتين والسبعين، وحذر من الإنضمام إليهم، وغيره من العلماء يحذرون من هذا الحزب الذي يسمى بجماعة الإخوان، نعم.
  • প্রশ্ন: “আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন। একজন মহিলা মুসলিম ব্রাদারহুড সম্পর্কে প্রশ্ন করেছেন। তাদের থেকে কি দূরে থাকা এবং সতর্ক থাকা ওয়াজিব?”
  • উত্তর: “নিঃসন্দেহে। প্রত্যেক মুসলিমের জন্য ‘আক্বীদাহ ও মানহাজগতভাবে আহলুস সুন্নাহ’র সাথে থাকা ওয়াজিব। আর মুসলিম ব্রাদারহুডের বিভিন্ন ধরনের শরিয়ত বিরোধিতা রয়েছে। মুসলিম ব্রাদারহুড আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আতের আদর্শ পরিপন্থি। সুতরাং নারী-পুরুষ কারও জন্য তাদের দলে যোগদান করা জায়েজ নয়। যেহেতু তারা নারী-পুরুষ সবাইকে প্রবলভাবে আকর্ষণ করে, যেন তারা এই দলের অন্তর্ভুক্ত হয়। বুদ্ধিমান ব্যক্তি কখনোই তাদের সাথে থাকবে না, বরং অবশ্যই আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আতের সাথে থাকবে। যেই আহলুস সুন্নাহ বিশুদ্ধ বুঝ অনুসারে কিতাব ও সুন্নাহ’র দলিল মেনে চলে। শাইখ ‘আব্দুল ‘আযীয বিন বায (রাহিমাহুল্লাহ) কে ব্রাদারহুড সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়েছিল, “তারা (ব্রাদারহুড) কি আহলুস সুন্নাহ’র অন্তর্ভুক্ত, নাকি (পথভ্রষ্ট) ৭২ দলের অন্তর্ভুক্ত?” তিনি বলেছিলেন, “তারা (পথভ্রষ্ট) ৭২ দলের অন্তর্ভুক্ত” এবং তিনি তাদের দলে যোগ দেওয়া থেকে সতর্ক করেছিলেন। তিনি ছাড়াও আরও অনেক ‘আলিম “মুসলিম ব্রাদারহুড” নামক এই দল থেকে সতর্ক করেছেন। না‘আম।” [দ্র.: https://ar.alnahj.net/audio/2524.]
  • ·
  • ▌২১শ অধ্যায়: ‘আল্লামাহ মুহাম্মাদ বাযমূল (হাফিযাহুল্লাহ)
  • ·
  • শাইখ পরিচিতি:
  • ‘আল্লামাহ ড. মুহাম্মাদ বিন ‘উমার সালিম বাযমূল (হাফিযাহুল্লাহ) সৌদি আরবের একজন প্রখ্যাত ‘আলিমে দ্বীন। তাঁর জন্ম মক্কা নগরীতে। তিনি মক্কায় অবস্থিত উম্মুল ক্বুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ সদস্য এবং অধ্যাপক। তিনি উম্মুল ক্বুরা বিশ্ববিদ্যালয়ে দা‘ওয়াহ ও উসূলে দ্বীন অনুষদে অধ্যাপনা করেন এবং ছাত্রদের মাস্টার্স ও পিএইচডি থিসিস পর্যবেক্ষণ করেন। ইমাম আলবানী (রাহিমাহুল্লাহ)’র সাথে তাঁর ভালো যোগাযোগ ছিল। আর এখনও তিনি ‘আলিমগণের কাছে সুপরিচিত।
  • তাঁর শিক্ষকদের মধ্যে অন্যতম কয়েকজন হলেন—ইমাম সালিহ আল-ফাওযান, ইমাম রাবী‘ আল-মাদখালী (হাফিযাহুমাল্লাহ), ‘আল্লামাহ ইয়াহইয়া আল-মুদার্রিস (রাহিমাহুল্লাহ) প্রমুখ। তিনি বিভিন্ন বিষয়ে প্রায় আশিটিরও বেশি বই লিখেছেন। তাঁর লিখন ও দারস থেকে প্রমাণিত হয় যে, একাধারে হাদীসশাস্ত্র, তাফসীর, ফিক্বহ ও উসূলে ফিক্বহের উপর তাঁর অগাধ পাণ্ডিত্য রয়েছে। আল্লাহ তাঁর অমূল্য খেদমতকে কবুল করুন এবং তাঁকে উত্তমরূপে হেফাজত করুন। আমীন। সংগৃহীত: salafitalk.net ও sahab.net
  • ·
  • ‘আল্লামাহ মুহাম্মাদ বাযমূলের বক্তব্য:
  • উম্মুল ক্বুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ সদস্য আশ-শাইখুল ‘আল্লামাহ মুহাম্মাদ বিন ‘উমার সালিম বাযমূল (হাফিযাহুল্লাহ) বলেছেন,
  • ﻫﻢ ﻓﻲ ﺍﻟﺤﻘﻴﻘﺔ ﻻ ﻳﺪﺍﻓﻌﻮﻥ ﻋﻦ ﺍﻹﺳﻼﻡ ﻛﻤﺎ ﺟﺎﺀﻧﺎ ﻋﻦ ﺍﻟﺼﺤﺎﺑﺔ ﻭﻣﻦ ﺗﺒﻌﻬﻢ بإﺣﺴﺎﻥ إﻧﻤﺎ ﻋﻦ ﺍﻹﺳﻼﻡ ﻛﻤﺎ ﻳﺼﻮﺭﻩ ﻣﺆﺳﺲ ﺍﻟﺠﻤﺎﻋﺔ ﻭﻋﺮﺿﻪ ﺳﻴﺪ ﻗﻄﺐ.
  • ﻻ ﻭﻻﺀ ﻟﻬﻢ ﻟﻠﺴﻠﻒ ﺍﻟﺼﺎﻟﺢ، ﻭﻳﺘﺒﻌﻮﻥ ﻏﻴﺮ ﺳﺒﻴﻞ ﺍﻟﻤﺆﻣﻨﻴﻦ، ﻭﻻ ﻳﻨﺘﻤﻮﻥ إﻟﻰ أﻭﻃﺎﻧﻬﻢ، ﻓﺎﻟﺪﻳﻦ ﺍﻟﺤﻖ ﻟﻢ ﻳﻌﺮﺿﻪ أﺣﺪ ﻭﻟﻢ ﻳﺤﺴﻨﻪ أﺣﺪ ﻣﺜﻞ ﻣﺮﺷﺪﻫﻢ إﻧﻪ ﺍﻟﺒﻨﺎ.
  • “প্রকৃতপক্ষে আমাদের কাছে সাহাবীগণের নিকট থেকে এবং উত্তমরূপে তাঁদের অনুসরণ করেছেন এমন ব্যক্তিবর্গের নিকট থেকে যে ইসলাম এসেছে, তারা সে ইসলামকে ডিফেন্ড করে না। বরং তারা ওই ইসলামকে ডিফেন্ড করে, যে ইসলাম বর্ণনা করেছেন এই দলের প্রতিষ্ঠাতা এবং যে ইসলাম পেশ করেছেন সাইয়্যিদ ক্বুত্বুব।”
  • “ন্যায়নিষ্ঠ সালাফগণের প্রতি তাদের কোনো মিত্রতা নেই। তারা মু’মিনদের (সালাফদের) পথ ব্যতীত অন্য পথের অনুসরণ করে। তারা তাদের নিজেদের দেশের সাথে সম্পৃক্ত হয় না। (তাদের মতে) তাদের প্রধান নেতা ছাড়া কেউই সত্য দ্বীনকে সঠিকভাবে উপস্থাপন করেনি, আর তিনি হলেন আল-বান্না।” [“তাগরীদাতুন লিশ শাইখ মুহাম্মাদ বাযমূল তাকাল্লামা ফীহা ‘আনিল ইখওয়ান”– শীর্ষক নিবন্ধ; নিবন্ধের লিংক: www.sahab.net/forums/index.php….]
  • ·
  • ▌২২শ অধ্যায়: ইমাম সালিহ বিন মুহাম্মাদ আল-লুহাইদান (হাফিযাহুল্লাহ)
  • ·
  • শাইখ পরিচিতি:
  • ইমাম সালিহ বিন মুহাম্মাদ আল-লুহাইদান (হাফিযাহুল্লাহ) বর্তমান যুগের একজন শ্রেষ্ঠ ও বয়োজ্যেষ্ঠ ফাক্বীহ। তিনি ১৩৫০ হিজরী সনে ক্বাসীম জেলার অন্তর্গত বুকাইরাহ নামক শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি অনেক বড়ো বড়ো ‘আলিমের নিকট থেকে ‘ইলম হাসিল করে ধন্য হয়েছেন। তাঁর কয়েকজন প্রখ্যাত শিক্ষক হলেন—
  • ইমাম মুহাম্মাদ আল-আমীন আশ-শানক্বীত্বী, ইমাম ‘আব্দুল ‘আযীয বিন বায, ইমাম ‘আব্দুর রাযযাক্ব ‘আফীফী প্রমুখ (রাহিমাহুমুল্লাহু আজমা‘ঈন)।
  • তিনি সৌদি আরবের সাবেক গ্র্যান্ড মুফতী শাইখুল ইসলাম ইমাম মুহাম্মাদ বিন ইবরাহীম আলুশ শাইখ (রাহিমাহুল্লাহ)’র সেক্রেটারি ছিলেন। তিনি সৌদি আরবের প্রধান বিচারপতি ছিলেন। ৫০ বছর যাবৎ তিনি ফাতাওয়া প্রদান, দা‘ওয়াহ ও দারস প্রদানের সাথে জড়িত রয়েছেন। তিনি বর্তমানে সৌদি আরবের সর্বোচ্চ ‘উলামা পরিষদের এবং রাবেতায়ে আলাম আল-ইসলামীর সদস্য হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
  • তাঁর ব্যাপারে ইমাম সালিহ বিন ফাওযান আল-ফাওযান (হাফিযাহুল্লাহ) [জন্ম: ১৩৫৪ হি./১৯৩৫ খ্রি.] আলোচনা করতে গিয়ে বলেছেন, “তিনি হলেন প্রশংসনীয় চরিত্রের অধিকারী, স্বীয় কর্মে অত্যন্ত বিচক্ষণ এবং মতপোষণ ও হুকুম প্রয়োগে সঠিক সিদ্ধান্ত দানকারী। তাঁর গুরুত্বপূর্ণ সরকারি কাজের সাথে সাথে তিনি নূরুন ‘আলাদ দার্বের (ফাতাওয়া প্রদানের) প্রোগ্রামেও শরিক হন।” [alfawzan.af.org.sa]
  • বর্তমান যুগে জারাহ ওয়াত তা‘দীলের ঝাণ্ডাবাহী মুজাহিদ আল-মুহাদ্দিসুল ফাক্বীহ ইমাম রাবী‘ বিন হাদী বিন ‘উমাইর আল-মাদখালী (হাফিযাহুল্লাহ) [জন্ম: ১৩৫১ হি./১৯৩২ খ্রি.] শাইখ ফাওযান এবং শাইখ লুহাইদান সম্পর্কে বলেছেন, “আমি তাঁদের দুজনের পূর্বেই মারা যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা করি। আল্লাহ’র কসম! যদি আমাকে এখতিয়ার দেওয়া হতো, তাহলে আমি তাঁদের দুজনের পূর্বে (আমার) মরণকে বাছাই করতাম। আমি জানিনা, তাঁরা যদি মারা যান, তাহলে দুনিয়া কীভাবে চলবে!” এই কথা বলার পর শাইখ রাবী‘ কাঁদতে শুরু করেন। আল্লাহ তাঁকে হেফাজত করুন। [sahab.net]
  • ইমাম রাবী‘ (হাফিযাহুল্লাহ) আরও বলেছেন, “শাইখ লুহাইদান হলেন সালাফী দা‘ওয়াতের একটি অন্যতম স্তম্ভ।” এছাড়াও ইমাম রাবী‘ (হাফিযাহুল্লাহ) প্রায়শই শাইখ লুহাইদানকে “আল-ইমাম” বলে সম্বোধন করতেন। [sahab.net]
  • বর্তমান যুগের শ্রেষ্ঠ ফাক্বীহ, মুহাদ্দিস, মুফাসসির ও উসূলবিদ ইমাম ‘উবাইদ আল-জাবিরী (হাফিযাহুল্লাহ) [জন্ম: ১৩৫৭ হি.] শাইখ ফাওযান এবং শাইখ লুহাইদান সম্পর্কে বলেছেন, “আর বর্তমানে জীবিত ‘আলিমদের মধ্যে আমি দুইজনের ব্যাপারে উল্লেখ করবো, যদিও আরও অনেকেই রয়েছেন। কিন্তু আমার উদ্দেশ্য হচ্ছে একটি উদাহরণ দেওয়া। (আর তাঁরা হলেন) শাইখ সালিহ বিন ফাওযান আল-ফাওযান এবং শাইখ সালিহ আল-লুহাইদান। আল্লাহ’র কসম! আমরা তাদেরকে পরীক্ষা করি, যারা তাঁদের (শাইখ ফাওযান এবং শাইখ লুহাইদান) জন্য ভালোবাসা দেখায় না। পক্ষান্তরে যারা তাঁদেরকে ঘৃণা করে, আমরাও তাদেরকে ঘৃণা করি, আমরা তাঁদেরকে (শাইখ ফাওযান এবং শাইখ লুহাইদান) ‘ইলম, (সঠিক) বুঝ এবং তাঁদের দাওয়াতের কাজে হিকমাহ’র ক্ষেত্রে দৃঢ়ভাবে স্থাপিত মনে করি, ওয়ালিল্লাহিল হামদ। সুতরাং যে তাঁদেরকে ঘৃণা করে আমরাও তাদের ঘৃণা করি এবং যে তাঁদেরকে ভালোবাসে আমরা তাকে কাছে টেনে নিই। আর সে যদি এর বিপরীত কিছু প্রদর্শন করে তাহলে আমরা তাকে ঘৃণা করি এবং দূরে ঠেলে দিই, আমরা তাকে বর্জন করি এবং তাকে তার মতের ওপর ছেড়ে দিই। এবং আমরা বলি, তুমি আমাদের অন্তর্ভুক্ত না আর আমরাও তোমাদের অন্তর্ভুক্ত না, সুতরাং আমাদের ছাড়া অন্য কাউকে খুঁজে নাও।” [দ্র.: https://m.youtube.com/watch?v=wglwBjHRwk4 (অডিয়ো ক্লিপ)]
  • এই মহান ‘আলিমের অমূল্য খেদমতকে আল্লাহ কবুল করুন এবং তাঁকে উত্তমরূপে হেফাজত করুন। আমীন। সংগৃহীত: fb.com/SunniSalafiAthari (সালাফী: ‘আক্বীদাহ্ ও মানহাজে)।
  • ·
  • ১ম বক্তব্য:
  • সৌদি আরবের সাবেক প্রধান বিচারপতি এবং সর্বোচ্চ ‘উলামা পরিষদের সম্মানিত সদস্য আশ-শাইখুল ‘আল্লামাহ ইমাম সালিহ বিন মুহাম্মাদ আল-লুহাইদান (হাফিযাহুল্লাহ) [জন্ম: ১৩৫০ হি.] প্রদত্ত ফাতওয়া—
  • السؤال: أحسن الله إليكم وبارك فيكم، يقول السائل: هناك خطيب بمسجد في هذه البلدة ينقل عن سيد قطب صاحب ظلال القرآن فهل تنصح بالحضور له؟ ويقول هناك من يجتهد في نشر كتب حسن البنا وسيد قطب في بلادنا ليبيا، فبماذا تنصحونه وتنصحوننا؟ جزاكم الله خيرًا.
  • الجواب: أولًا أنا قرأت كتب سيد قطب «في ظلال القرآن» و«العدالة الاجتماعية»، وعدداً من الكتب التي كتبها، ككتب الأدب التي كتبها قبل أن يكون ساعياً في أمر الدعوة، كتبه في الحقيقة ليست حجة في العمل، وكذلك حسن البنا، التصوف أمره سهل عندهم، وهم أيضاً ليسوا على منهج الإسلام حقيقة، هم يزعمون أن المسلمين ما فهموا الإسلام كما فهموه هم، وهم قالوا ذلك في كتبهم، وفي دعوتهم لا تجد أحداً منهم يدعو إلى إخلاص العبادة لله، ولا تجد منهم من يحذّر من التمسح بالقبور، وإنما يريدون تكثير الجماعة وتوسيع الدائرة وتسلّم زمام الحكم، ويزعم المتنطعون منهم أنهم إذا حكموا أصلحوا الناس، فالذي لا يصلح نفسه من البداية لا ينتظر منه إصلاح الآخرين. كتب سيد قطب –نسأل الله أن يغفر لأموات المسلمين– تجرأت في انتقادات وتجهيل، فهو يجهّل كليم الرحمن موسى عليه السلام، إلى غير ذلك من الأقوال في كتابه، كل ذلك في ظلال القرآن، والله المستعان. نصيحتي أن تنصحوا الناس ألا يسلكوا مسلك الإخوان المسلمين، أدعو الله ألا يتولى أحد من الإخوان المسلمين زمام السلطة في البلدان الإسلامية.
  • প্রশ্ন: “আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন এবং আপনার মধ্যে বরকত দান করুন। প্রশ্নকারী বলছেন, এই এলাকার একটি মাসজিদের খত্বীব যিলালুল ক্বুরআনের লেখক সাইয়্যিদ ক্বুত্বুব থেকে উদ্ধৃতি উপস্থাপন করেন। আপনি কি তার নিকটে (বক্তব্যে/দারসে) উপস্থিত হওয়ার নসিহত করেন? প্রশ্নকারী আরও বলছেন, আমাদের দেশ লিবিয়ায় এক লোক হাসান আল-বান্না এবং সাইয়্যিদ ক্বুত্বুবের গ্রন্থসমূহ প্রচার করার চেষ্টা করছে। আপনি তাকে এবং আমাদেরকে কী নসিহত করবেন? আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন।”
  • উত্তর: “প্রথমত, আমি সাইয়্যিদ ক্বুত্বুবের বই পড়েছি। ফী যিলালিল ক্বুরআন, আল-‘আদালাতুল ইজতিমা‘ইয়্যাহ, এছাড়াও তার লেখা আরও অনেক বই। যেমন: সাহিত্যের বইপুস্তক, যেগুলো সে দা‘ওয়াতী কাজে সচেষ্ট হওয়ার পূর্বে লিখেছিল। প্রকৃতপক্ষে তার বইপুস্তক আমল করার জন্য দলিলযোগ্য নয়। অনুরূপভাবে হাসান আল-বান্না। সূফীবাদ তাদের কাছে খুব সহজ বিষয়। প্রকৃতপক্ষে তারা ইসলামের মানহাজের উপর নেই। তারা ধারণা করে, মুসলিমরা ইসলাম বুঝতে পারেনি, যেভাবে তারা নিজেরা ইসলামকে বুঝেছে। তারা এটা তাদের গ্রন্থসমূহে বলেছে।
  • তাদের দা‘ওয়াতে তুমি একজনকেও পাবে না, যে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহ’র ইবাদত করার দিকে আহ্বান করছে। তুমি তাদের মধ্যে কাউকে পাবে না, যে কবর মাসাহ (স্পর্শ) করা থেকে সতর্ক করছে। তারা অসংখ্য লোকসমৃদ্ধ জামা‘আত চায়, প্রশস্ত গণ্ডি চায়, শাসনক্ষমতা লাভ করতে চায়। তাদের মধ্যে যারা ধূর্ত, তারা বলে, তারা যখন ক্ষমতায় যাবে, তখন মানুষকে সংশোধন করবে। যে ব্যক্তি শুরু থেকেই নিজের সংশোধন করে না, তার নিকট থেকে অন্যের সংশোধন প্রত্যাশ্যা করা যায় না।
  • সাইয়্যিদ ক্বুত্বুবের বইপুস্তক –মুসলিমদের মধ্যে যারা মৃত, আমরা তাদের জন্য আল্লাহ’র কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করছি– অন্যের সমালোচনা এবং অন্যকে জাহিল (মূর্খ) বলার দুঃসাহস দেখিয়েছে। সাইয়্যিদ ক্বুত্বুব দয়াময় আল্লাহ’র সাথে কথা বলনেওয়ালা মূসা (‘আলাইহিস সালাম) কে মূর্খ বলেছে। এরকম আরও অনেক কথা সে তার কিতাবের মধ্যে বলেছে। এগুলো সবই ফী যিলালিল ক্বুরআনে পাওয়া যাবে। আল্লাহ সহায় হোন।
  • আমার নসিহত হলো—তোমরা মানুষকে মুসলিম ব্রাদারহুডের মানহাজ গ্রহণ না করার নসিহত করবে। আমি আল্লাহ’র কাছে প্রার্থনা করছি, মুসলিম ব্রাদারহুডের কেউ যেন ইসলামী রাষ্ট্রসমূহের শাসনক্ষমতায় না যায়।” [দ্র.: http://ar.alnahj.net/audio/1406]
  • ·
  • ২য় বক্তব্য:
  • ইমাম সালিহ বিন মুহাম্মাদ আল-লুহাইদান (হাফিযাহুল্লাহ) বলেছেন,
  • الإخوان و جماعة التبليغ ليسوا من أهل المناهج الصحيحة، فإن جميع الجماعات و التسميات ليس لها أصل في سلف هذه الأمة.
  • “মুসলিম ব্রাদারহুড এবং তাবলীগ জামা‘আত বিশুদ্ধ মানহাজধারীদের অন্তর্ভুক্ত নয়। কেননা এ সমস্ত দল এবং নামকরণের কোনো ভিত্তি এই উম্মাহ’র সালাফদের মধ্যে নেই।” [দ্র.: http://ar.alnahj.net/audio/737]
  • ·
  • ৩য় বক্তব্য:
  • ইমাম সালিহ বিন মুহাম্মাদ আল-লুহাইদান (হাফিযাহুল্লাহ) আরও বলেছেন,
  • جماعة الاخوان المسلمين دعوتهم سياسية و ليسوا دعوة سلفية صحيحة.
  • “মুসলিম ব্রাদারহুডের দা‘ওয়াত মূলত রাজনৈতিক দা‘ওয়াত। এটা বিশুদ্ধ সালাফী দা‘ওয়াত নয়।” [দ্র.: www.sahab.net/forums/index.php… (টেক্সট-সহ অডিয়ো ক্লিপ)]
  • ·
  • ৪র্থ বক্তব্য:
  • ইমাম সালিহ বিন মুহাম্মাদ আল-লুহাইদান (হাফিযাহুল্লাহ) আরও বলেছেন,
  • بالنسبة للأخوان المسلمين أرجو أن لا يتولوا سلطة في أي بلاد إسلامية وأن لا تكون السلطة لهم، هم ليسوا في عملهم ساعين لنصرة العقيدة، وإعلاء شأنها، هم عمل في الغالب طلاب حكم، هم في ذلك يرون قول المرشد كأنه تشريع من السماء، المرشد العام عندهم، ولا يجيزون لأحد أن يخرج عنه إلى غير ذلك أشياء كثيرة،... فالأخوان المسلمين نرجو الله –جل وعلا– أن لا يحكموا مصر، وأن لا يكون لهم شأن الحكم في مصر ولا في غيرها من بلاد المسلمين، نعم.
  • “মুসলিম ব্রাদারহুডের ব্যাপারে আমি আশা করি, তারা যেন কোনো ইসলামী রাষ্ট্রের শাসনক্ষমতায় অধিষ্ঠিত না হয়, আর তাদের যেন শাসনকর্তৃত্ব না থাকে। তারা ‘আক্বীদাহর পৃষ্ঠপোষকতার ব্যাপারে এবং ‘আক্বীদাহর মর্যাদাকে সমুন্নত করার ব্যাপারে সচেষ্ট নয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তারা শাসনক্ষমতা প্রত্যাশী। এ ব্যাপারে তারা তাদের মুর্শিদ তথা নেতার কথাকে আসমান থেকে নাযিলকৃত শরিয়তের মতো মনে করে। নেতার কথা থেকে বেরিয়ে যাওয়াকে তারা বৈধ মনে করে না। এরকম আরও অনেক বিষয় রয়েছে।...
  • আমরা মহান আল্লাহ’র কাছে আশা করব, মুসলিম ব্রাদারহুড যেন মিশরের শাসনক্ষমতায় না যায়, তাদের যেন কোনো শাসনকর্তৃত্ব না থাকে, না মিশরে, আর না অন্যান্য মুসলিম রাষ্ট্রে। না‘আম।” [দ্র.: www.sahab.net/forums/index.php…(টেক্সট-সহ অডিয়ো ক্লিপ)]
  • ·
  • ৫ম বক্তব্য:
  • ইমাম সালিহ বিন মুহাম্মাদ আল-লুহাইদান (হাফিযাহুল্লাহ) প্রদত্ত ফাতওয়া—
  • السؤال: هل دعوة الإخوان المسلمين امتدادا لدعوة الشيخ محمد بن عبد الوهاب؟
  • الجواب: لا، دعوة الإخوان المسلمين إنما هي دعوة سياسية، فهم لا يستنكرون التصوف ولا ينكرون على بناء القبور في القرافة، ولم أعلم ولم أسمع أن أحدًا منهم استنكر البناء على القبور في مصر أو ذهب يحذر الناس من زيارة السيد البدوي، ولا اعترضوا على من وقفوا عند مسجد الحسين وأنكروا ومنعوا الذين يطوفون بالقبر، لا أعرف هذا الشئ عنهم، فهو في الحقيقة ليس امتدادا لدعوة الشيخ.
  • প্রশ্ন: “মুসলিম ব্রাদারহুডের দা‘ওয়াত কি শাইখ মুহাম্মাদ বিন ‘আব্দুল ওয়াহহাবের দা‘ওয়াতকে বিস্তৃত করছে?”
  • উত্তর: “না। মুসলিম ব্রাদারহুডের দা‘ওয়াত হলো রাজনৈতিক দা‘ওয়াত। তারা সূফীবাদের বিরুদ্ধে বলে না। তারা কবরস্থানে কবর পাকা করার বিরোধিতা করে না। আমি (তাদের কারও নিকট থেকে) এরকমটা জানিনি, বা এরকমটা শুনিনি যে, তাদের কেউ মিশরে কবর পাকা করার বিরুদ্ধে বলেছে, অথবা আস-সাইয়্যিদ আল-বাদাউয়ীর মাজার যিয়ারত করা থেকে সতর্ক করেছে, বা ‘হুসাইন মাসজিদ’-এ যারা অবস্থান করে তাদের বিরোধিতা করেছে, বা যারা কবরকে প্রদক্ষিণ করে তাদের বিরোধিতা করেছে এবং নিষেধ করেছে। আমি তাদের নিকট থেকে এই বিষয়টি জানিনা। প্রকৃতপক্ষে তাদের দা‘ওয়াত শাইখের দা‘ওয়াতকে বিস্তৃত করে না।” [দ্র.: http://ar.alnahj.net/audio/741]
  • ·
  • ৬ষ্ঠ বক্তব্য:
  • ইমাম সালিহ বিন মুহাম্মাদ আল-লুহাইদান (হাফিযাহুল্লাহ) বলেছেন,
  • إنّ الإخوان المُسلِمين –للأسف– ليسوا دُعاةَ عقيدة صافية، ولا أصحاب ولاءٍ شرعيّ لسُنّة مُحمّد صلّى اللهُ عليهِ وسلّم.
  • “নিশ্চয় মুসলিম ব্রাদারহুড বিশুদ্ধ ‘আক্বীদাহর দা‘ঈ নয়, আর মুহাম্মাদ ﷺ এর সুন্নাহ সমর্থিত শার‘ঈ মিত্রতার অধিকারীও নয়।” [দ্র.: www.sahab.net/forums/index.php… (টেক্সট-সহ অডিয়ো ক্লিপ)]
  • ·
  • ৭ম বক্তব্য:
  • ইমাম সালিহ বিন মুহাম্মাদ আল-লুহাইদান (হাফিযাহুল্লাহ) আরও বলেছেন,
  • أنا قرأت كثيرا من كتب سيد قطب ومن كتب حسن البنا، ليسوا أهل عقيدة، وسيد قطب أكثر مجازفة وانتقاده لبعض الصحابة، ولموسى عليه السلام ولغيرهم، فهذه الكتب ليست كتب علم حقيقة، وليست كتب عقيدة، وظلال القرآن ليس كتاب تفسير وإنما هو في الظِلّال فقط، وبالعموم بالنسبة للإخوان المسلمين عموما لا يقومون قيام من يريد أن يحقق التوحيد للناس، هم يريدون أن تقوم سلطة إسلامية ويزعمون أنه إذا قامت السلطة وجّهوا الناس إلى الخير، لا يستنكرون السير مع صوفي مُغرق في الصوفية، ولا مع شيعيٍّ إثنيْ عَشَري متعصب للإثني عشرية، المهم أن تكون لنا سيرة واحدة، فأنا حقيقة لا أنصح بقراءة كتبهم للشاب الذي لم يتمكن من القراءة، أنا قرأت هذه الكتب وأنا طالب علم ما قرأتها أمس، ولذلك لمّا سُئلت عن تفسير سيد قطب سألني عنه أحد المسؤولين يقابل أكثر من سبع وأربعين سنة، قلت له ليس بتفسير، إنما هو أسلوب يخدع القارئ ولا يورد القارئ إلى مشرب عذب.
  • “আমি সাইয়্যিদ ক্বুত্বুব এবং হাসান আল-বান্নার অনেক বই পড়েছি। তারা ‘আক্বীদাহসম্পন্ন ব্যক্তি নয়। সাইয়্যিদ ক্বুত্বুব খুবই যথেচ্ছাচার এবং কতিপয় সাহাবীর ও মূসা (‘আলাইহিস সালাম) প্রমুখের সমালোচনাকারী। আসলে এসব বইপুস্তক ‘ইলমী গ্রন্থ নয়, আর ‘আক্বীদাহর গ্রন্থও নয়। যিলালুল ক্বুরআন তাফসীরের গ্রন্থ নয়, বরং এটা স্রেফ ‘ফী যিলাল’। সাধারণভাবে মুসলিম ব্রাদারহুড তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করে না, যারা মানুষের জন্য তাওহীদকে বাস্তবায়ন করতে চায়। তারা চায় একটি ইসলামী সালতানাত প্রতিষ্ঠিত হোক। তারা ধারণা করে, যখন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাবে, তখন তারাই মানুষকে কল্যাণের দিকে ফিরাবে।
  • সূফীবাদে (আপাদমস্তক) ডুবে আছে এমন সূফীর সাথে এবং গোঁড়া ইসনা ‘আশারিয়া মতাদর্শ লালনকারী শী‘আর সাথে চলাফেরা করার বিরুদ্ধে তারা বলে না। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আমাদের একটি আদর্শ থাকতে হবে। যে যুবকের পড়ার যোগ্যতা হয়নি, তাকে আমি তাদের বইপুস্তক পড়ার নসিহত করি না। আমি এই কিতাবগুলো তখন পড়েছি, যখন আমি ছিলাম একজন ত্বালিবুল ‘ইলম। আমি এগুলো গতকাল পড়িনি। একারণে আমি যখন সাইয়্যিদ ক্বুত্বুবের তাফসীর সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হয়েছিলাম, আমাকে (প্রায়) ৪৭ বছর আগে জিজ্ঞেস করেছিলেন একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি, তখন আমি তাঁকে বলেছিলাম, এটা তাফসীর নয়। বরং এটা পাঠককে ধোঁকা দেওয়ার একটি পদ্ধতি। এটা পাঠককে কোনো সুপেয় জলাধারে নিয়ে যাবে না।” [দ্র.: http://ar.alnahj.net/audio/3108 (টেক্সট সংগৃহীত হয়েছে আজুর্রি ডট কম থেকে)]
  • ·
  • অনুবাদ ও সংকলনে: মুহাম্মাদ ‘আব্দুল্লাহ মৃধা
  • পরিবেশনায়: www.facebook.com/SunniSalafiAthari (সালাফী: ‘আক্বীদাহ্ ও মানহাজে)

Post a Comment

0 Comments