Subscribe Us

হে পথিক ভবিষ্যৎ বলে কিছু নাই ,আসোল ভবিষ্যৎ হলো পরোকাল

▌বাসায় তারাবির নামাজ পড়ার বিধান

▌বাসায় তারাবির নামাজ পড়ার বিধান
সৌদি আরবের ‘ইলমী গবেষণা ও ফাতাওয়া প্রদানের স্থায়ী কমিটি (সৌদি ফাতাওয়া বোর্ড) প্রদত্ত ফাতওয়া—
ﺍﻟﺴﺆﺍﻝ: ﻋﻨﺪﻣﺎ ﻳﻤﺮ ﺷﻬﺮ ﺭﻣﻀﺎﻥ ﻭﺣﺎﻥ ﻭﻗﺖ ﺻﻼﺓ ﺍﻟﺘﺮﺍﻭﻳﺢ، ﻫﻞ ﺃﺫﻫﺐ ﺇﻟﻰ ﺍﻟﻤﺴﺠﺪ ﺃﻡ ﺃﺻﻠﻲ ﻓﻲ ﺑﻴﺘﻲ، ﻭﺃﻧﺎ ﻟﺴﺖ ﺇﻣﺎﻣﺎ ﻭﻟﻜﻦ ﻣﺄﻣﻮﻡ ﻭﺃﺣﺐ ﺃﻥ ﺃﻗﺮﺃ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ، ﻭﺃﻓﻀﻞ ﻗﺮﺍﺀﺗﻲ ﻋﻦ ﺍﺳﺘﻤﺎﻋﻲ ﻭﺇﺫﺍ ﺻﻠﻴﺖ ﻓﻲ ﺑﻴﺘﻲ ﻫﻞ ﻓﻴﻪ ﺫﻧﺐ ﻋﻠﻲ، ﻧﻘﺼﺪ ﺻﻼﺓ ﺍﻟﺘﺮﺍﻭﻳﺢ ﻓﻘﻂ؟
ﺍﻟﺠﻮﺍﺏ: ﻻ ﺣﺮﺝ ﻋﻠﻴﻚ ﻓﻲ ﺻﻼﺗﻬﺎ ﻓﻲ ﺍﻟﺒﻴﺖ ﻟﻜﻮﻧﻬﺎ ﻧﺎﻓﻠﺔ، ﻟﻜﻦ ﺻﻼﺗﻬﺎ ﻣﻊ ﺍﻹﻣﺎﻡ ﻓﻲ ﺍﻟﻤﺴﺠﺪ ﺃﻓﻀﻞ ﺗﺄﺳﻴًﺎ ﺑﺎﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻭﺃﺻﺤﺎﺑﻪ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻢ، ﻭﻟﻘﻮﻝ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻷﺻﺤﺎﺑﻪ ﻟﻤﺎ ﺻﻠﻰ ﺑﻬﻢ ﺍﻟﺘﺮﺍﻭﻳﺢ ﻓﻲ ﺑﻌﺾ ﺍﻟﻠﻴﺎﻟﻲ ﺇﻟﻰ ﺛﻠﺚ ﺍﻟﻠﻴﻞ ﻭﻗﺎﻝ ﻟﻪ ﺑﻌﻀﻬﻢ : ﻟﻮ ﻧﻔﻠﺘﻨﺎ ﺑﻘﻴﺔ ﻟﻴﻠﺘﻨﺎ : ﻣﻦ ﻗﺎﻡ ﻣﻊ ﺍﻹﻣﺎﻡ ﺣﺘﻰ ﻳﻨﺼﺮﻑ ﻛﺘﺐ ﺍﻟﻠﻪ ﻟﻪ ﻗﻴﺎﻡ ﻟﻴﻠﺘﻪ. ﺭﻭﺍﻩ ﺃﺣﻤﺪ ﻭﺃﺻﺤﺎﺏ ﺍﻟﺴﻨﻦ ﺑﺈﺳﻨﺎﺩ ﺣﺴﻦ ﻣﻦ ﺣﺪﻳﺚ ﺃﺑﻲ ﺫﺭ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ . ﻭﺑﺎﻟﻠﻪ ﺍﻟﺘﻮﻓﻴﻖ ﻭﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻰ ﻧﺒﻴﻨﺎ ﻣﺤﻤﺪ ﻭﺁﻟﻪ ﻭﺻﺤﺒﻪ ﻭﺳﻠﻢ.
প্রশ্ন: “রমজান মাস আগমন করেছে এবং তারাবির নামাজের সময়ও নিকটবর্তী হয়েছে। আমি কি (তারাবির নামাজের জন্য) মাসজিদে যাব, নাকি নিজ গৃহে নামাজ পড়ে নিব? জ্ঞাতব্য যে, আমি ইমাম নই, বরং মুক্তাদি। আর আমি কুরআন পড়তে ভালোবাসি। কুরআন শোনার চেয়ে তা পড়তেই আমার বেশি ভালো লাগে। এক্ষেত্রে আমি যদি নিজ গৃহে নামাজ পড়ি, তাহলে কি আমার পাপ হবে? আমি স্রেফ তারাবির নামাজের কথাই বলছি।”
উত্তর: “তারাবির নামাজ নফল হওয়ার কারণে তা বাড়িতে পড়ায় আপনার কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু মাসজিদে ইমামের সাথে তারাবির নামাজ পড়া—নাবী ﷺ ও তাঁর সাহাবীগণকে (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহুম) অনুসরণের দিক থেকে সবচেয়ে উত্তম। কেননা নাবী ﷺ যখন তাঁর সাহাবীদের নিয়ে কয়েক রাত্রি রাতের তৃতীয়াংশ পর্যন্ত তারাবির নামাজ পড়লেন, আর কতিপয় সাহাবী তাঁকে বললেন যে, ‘আপনি যদি বাকি রাতটুকুও আমাদের নিয়ে নফল নামাজ পড়তেন’, তখন তিনি ﷺ সাহাবীদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, “যে ব্যক্তি ইমামের প্রস্থান করা পর্যন্ত তাঁর সাথে কিয়াম (রাতের নামাজ আদায়) করবে, আল্লাহ তার জন্য সম্পূর্ণ রাতে কিয়াম করার সওয়াব লিখবেন।” হাদীসটি ইমাম আহমাদ, আবূ দাউদ, তিরমিযী, নাসাঈ এবং ইবনু মাজাহ আবূ যার (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) থেকে হাসান সনদে বর্ণনা করেছেন। (আবূ দাউদ, হা/১৩৭৫; তিরমিযী, হা/৮০৬; নাসাঈ, হা/১৩৬৪; ইবনু মাজাহ, হা/১৩২৭; আহমাদ, হা/২০৯১০, ২০৯৩৬; সনদ: সাহীহ, তাহক্বীক্ব: আলবানী)
আর আল্লাহই তাওফীক্বদাতা। হে আল্লাহ, আমাদের নাবী মুহাম্মাদ, তাঁর পরিবার পরিজন ও সাহাবীবর্গের উপর দয়া ও শান্তি বর্ষণ করুন।”
ফাতওয়া প্রদান করেছেন—
চেয়ারম্যান: ইমাম ‘আব্দুল ‘আযীয বিন ‘আব্দুল্লাহ বিন বায (রাহিমাহুল্লাহ)।
ভাইস চেয়ারম্যান: শাইখ ‘আব্দুর রাযযাক্ব ‘আফীফী (রাহিমাহুল্লাহ)।
মেম্বার: শাইখ ‘আব্দুল্লাহ বিন ক্বা‘ঊদ (রাহিমাহুল্লাহ)।
·তথ্যসূত্র:
ফাতাওয়া লাজনাহ দাইমাহ; খণ্ড: ৭; পৃষ্ঠা: ২০২; ফতোয়া নং: ৭৬১৭; প্রশ্ন নং: ৪; গৃহীত: আল-ইফতা (alifta) ডট নেট।
·অনুবাদক: মুহাম্মাদ ‘আব্দুল্লাহ মৃধা

Post a Comment

0 Comments