রোজা অবস্থায় সুরমা,পারফিউম-আতর,নাকের ড্রপ-জিভে কোন ওষুধ-ইনহেলার,বিভিন্ন প্রকার টেষ্ট,টুথপেস্ট ইত্যাদি ব্যবহার
রোজা অবস্থায় সুরমা,পারফিউম-আতর,নাকের ড্রপ-জিভে কোন ওষুধ-ইনহেলার,বিভিন্ন প্রকার টেষ্ট,টুথপেস্ট ইত্যাদি ব্যবহারসুরমাঃ- এ্যালকোহল যা আমাদের দেশে সুরমা নামে পরিচিত,এটা চোখে ব্যবহার করা সুন্নাত।রাসুল(সঃ) এটা ব্যবহার করতেন।
“হযরত আনাস(রাঃ) রাসুলের খাবার তৈরী করতেন।তিনি সুরমা ব্যবহার করতেন কিন্তু রাসুল(সঃ) কখনও নিষেধ করেননি, তিনি রোযা অবস্থায়ও নিশেধ করেননি”। সুনানে আবু দাউদ-২য় খন্ড-কিতাবুস সিয়াম- ২৩৭২
আতর-পারফিউমঃ- আতর,পারফিউম যদি ধোয়ার মত না হয়(ধূপ), কেবল কাপড়ে তাহলে ব্যবহার করা যায়্। কারন ধোয়ার মত হলে, পেটে প্রবেশ করতে পারে।
নাকের ড্রপঃ- নাকের ড্রপের ক্ষেত্রে যদি সেটা নাকের ভিতর দিয়ে পেটে নাযায়, তাহলে ব্যবহার করা যায়।কিছু ট্যাবলেট আছে, যেটা শুধু জিহ্বাতে ব্যবহার করা হয় ও এটা গিলে ফেলা হয়না। এগুলো ননিজায়েলারের জন্য এবং ২ প্রকার সমস্যার জন্য ব্যবহার করা হয়।
বিভিন্ন টেস্টঃ- টেস্টের জন্য শরীর থেকে রক্ত নিলেও রোজা ভাংগবে না। খাদ্যের পরিপূরক হিসাবে কোন ইজেকসন নিল এসেটাতে রোজা ভেংগে যাবে। সাধারন ভাবে বেশীর ভাগ টেস্টই করা যায়।
টুথপেস্টঃ- বেশীর ভাগ আলেমের মতে টুথপেস্ট ব্যবহার করা যায়।সতর্ক থাকতে হবে যেন, টুথপেস্টের কোন অংশ গিলে ফেলা না হয়।রাসুল মি- ওয়াক ব্যবহার নাযায়েজ বলেননি।
ইনহেলারঃ- এ্যাজমা রোগের জন্য অক্সিজেন,ইনহেলার,ট্যাবলেট ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়।অক্সিজেন,ইনহেলার কেবল ফুসফুসে প্রবেশ করে, বের হয়ে যায়। পেটে যাবার কোন সুযোগ নাই।আরেক ধরনের চিকিতসা ‘ডিপ্রেসাইজার’ করা হয়।এটি কয়েক প্রকার হতে পারেঃ- পার্টিকেলে এই ওষুধগুলো ঢুকানো হয় ও সুইচ চাপার কারনে এক ধরনের প্রেসার সৃষ্টি হয়।এভাবে ওষধগুলো ফুসফুসে ঢুকানো হয়।এভাবে ঢুকানোর ফলে এগুলো পেটে ঢুকার সম্ভাবনা থাকে।ফলে রোজা ভাংতে পারে।ক্যাপসুলে এক প্রকার পাওডার থাকে।যখন এই ক্যাপসুল পাত্রে রেখে প্রেসার দেয়া হয়, তখন তা নজেল/মাস্কের মাধ্যমে ফুসফুসে যায়।এভাবে কিছু অংশ পেটে যাবার সম্ভাবনা থাকে। ফলে ট্যাবলেট,ক্যাপসুলে রোযা ভেংগে যাবে।
0 Comments