নিয়মিত আপডেট পেতে ভিজিট করুন sahih-akida.simplesite.com
https://rasikulindia.blogspot.com/
‘যাকাতুল ফিতর’ এর ব্যাখ্যা
‘যাকাতুল ফিতর’ এর ব্যাখ্যা
ডাঃ জাকির নায়েকঃ
ক) যাকাত শব্দের অর্থ পরিষ্কার করা,পবিত্র করা ও ফিতর অর্থ রোযা ভেংগে ফেলা।সুতরাং যাকাতুল ফিতরের অর্থ হোল পবিত্রকরন,দানশীলতা যেটা রোযা ভাংগার জন্য দেয়া হয়।এই দান এমন একটা পরিমান যেটা গরীব মুসলিমদের খাদ্য হিসাবে দেয়া হয়।এই খাদ্যের পরিমান বিশেষ ভাবে নির্ধারিত ও এটা প্রত্যেক মুসলিমের জন্য বাধ্যতামূলক।
# “মহানবী (সঃ) প্রত্যেক মুসলিমকে ফতরের যাকাত হিসাবে এক ‘শাআ’ পরিমান খেজুর অথবা বার্লি দিতে নির্দেশ দিয়েছেন”। বুখারী—যাকাত-১৫০৩
# “মুহাম্মাদ(সঃ) প্রত্যেক মুসলিমের উপর যাকাত ফরয করেছেন”। আবু দাউদ-১৬১৮
খ) শরীয়তে এই ব্যাপারে কি ধরনের সিদ্ধান্ত আছে ?
কিছু বিশেষজ্ঞা আছেন, যারা বলেন,এই যাকাত ফরয ছিলো,কিন্তু এখন আর নাই।তারা এই মতামত প্রদান করেন,নিজের হাদিসের উপর ভিত্তি করে।
“কায়েস ইবনে সাদ ইবনে উবাদা বলেন,মুহাম্মাদ(সঃ) আমাদের উপর যাকাত ফরয হবার পূর্বে ফিতরের যাকাত ফরয করেছিলেন এবং যাকাত ফরয হবার পরে তিনি ,যাকাতুল ফিতরের ব্যাপারে কোন আদেশ প্রদান করেননি। কিন্তু আমরা যাকাতুল ফিতর অনুশীলন করি”। সুনানে নাসাঈ-যাকাত-২৫০৯
এই হাদিসের কারনে তারা বলে যে, যাকাতুল ফিতর আগে ফরয ছিল কিন্তু কিন্তু এখন আর ফরয নাই। কিন্তু আসল ব্যাপার হোল, এই হাদিসে এটা বলা হয়নি, যাকাতুল ফিতর ফরয নয় কিংবা ফরয রহিত হবার ব্যাপারে কোন সাক্ষ্য-প্রমান কিন্তু বর্ননাকারী সাহাবী দেননি।যখন এটা ফরয নির্দেশিত হয় ও পরবর্তীতে যখন আরেকটা ফরয আসে, এবং যদি প্রথমফরযটার বন্ধ হবার ব্যাপারে কোন স্পষ্ট নির্দেশনা না আসে,তাহলে উবয়ই চলতে থাকবে।অধিকাংশ বিশেষজ্ঞ এই কারনে একমত যে, যাকাতুল ফিতর প্রত্যেক মুসলিমের উপর ফরয।
গ) যাকাতুল ফুতরের যৌক্তিকতা কি ?
মহানবী(সঃ) বলেছেন, “রমযান মাসে কৃত বিভিন্ন বাজে কাজ হতে রোযাকে পবিত্রকরনের জন্যে ফিতরের যাকাত প্রদান প্রত্যেক মুসলিমের জন্য ফরয। যাকাত হিসাবে দরিদ্র মুসলিমকে খাওয়াতে হবে।যদি কেউ ‘ঈদুল ফিতরের’ আগে দেয়,তবে সেটা যাকাত হিসাবে গন্য হবে আর পরে দিলে সেটা সাধারন দান হিসাবে গন্য হবে”।
আবু দাউদ-যাকাত-১৬০৫
ঘ) যাকাত ও যাকাতুল ফিতরের মধ্যে পার্থক্য
# যাকাত অর্থ পবিত্রতার কাজ করে, কিন্তু যাকাতুল ফিতর রোযা পবিত্রতার কাজ করে।
# যাকাত দেয়ার নিয়ম নিসাব পরিমান সম্পদের মালিকদের কিন্তু ফিতর শুধুমাত্র
যাদের খাওয়ানোর শক্তি আছে, তাদের উপর ফরয।
# যাকাত শুধুমাত্র ৮ শ্রনীর মুসলিমকেই দিতে হবে। কিন্তু ফিতর শুধুমাত্র দরিদ্র মুসলিমকে।
# যাকাত শুধুমাত্র মুসলিমকেই সারা বছর দেয়া যায়। ফিতরের যাকাত হিসাবে কোন দরিদ্র মুসলিমকে ঈদের দিন সকালেই খাওয়াতে হয়।
# যাকাত হিসাবে টাকাসহ যেকোন বস্তু দেয়া যায়। কিন্তু ফিতরে শুধু খাদ্য জাতীয় জিনিসই দিতে হবে।
ইউসুফ to ডাঃ জাকির- যাকাৎ ও সদকার পার্থক্য
যাকাত
যাকাত শব্দের অর্থ পবিত্রকরন। যদি কোন মুসলিমের চাহিদা পূরন করার পর তার কাছে নিসাব পরিমান অর্থ জমা থাকে , সেই জমার পরিমান যদি এক বছর হয়, তবে তাকে যাকাত বলে।
যাকাত হচ্ছে বাধ্যতামূলক দান। যাকাত দেবার জন্য ১ বছর অপেক্ষা করতে হয়। যাকাত দিলে আল্লাহ শাস্তি দিবেন। ৮ শ্রেনীর মানুষ এটা গ্রহন করতে পারে। যাকাত অমুসলিমকে দেয়া যায় না।
সদকা
সদকা শব্দটির মৌলিক শব্দ হোল, ‘সিদক’, যার অর্থ আন্তরিকতা।সুতরাং সদকা হোল আল্লাহর আনুগত্যের প্রতি গভীর আন্তরিকতা। সদকা হচ্ছে ঐচ্ছিক দান। কিন্তু সদকা’র জন্য কোন সময়ের প্রয়োজন নাই। এখানে এই ব্যাপার নাই। সদকা’র জন্য এটা নেই। এটা সবাইকে দেয়া যায়।
‘যাকাতুল ফিতর’ এর ব্যাখ্যা
‘যাকাতুল ফিতর’ এর ব্যাখ্যা
ডাঃ জাকির নায়েকঃ
ক) যাকাত শব্দের অর্থ পরিষ্কার করা,পবিত্র করা ও ফিতর অর্থ রোযা ভেংগে ফেলা।সুতরাং যাকাতুল ফিতরের অর্থ হোল পবিত্রকরন,দানশীলতা যেটা রোযা ভাংগার জন্য দেয়া হয়।এই দান এমন একটা পরিমান যেটা গরীব মুসলিমদের খাদ্য হিসাবে দেয়া হয়।এই খাদ্যের পরিমান বিশেষ ভাবে নির্ধারিত ও এটা প্রত্যেক মুসলিমের জন্য বাধ্যতামূলক।
# “মহানবী (সঃ) প্রত্যেক মুসলিমকে ফতরের যাকাত হিসাবে এক ‘শাআ’ পরিমান খেজুর অথবা বার্লি দিতে নির্দেশ দিয়েছেন”। বুখারী—যাকাত-১৫০৩
# “মুহাম্মাদ(সঃ) প্রত্যেক মুসলিমের উপর যাকাত ফরয করেছেন”। আবু দাউদ-১৬১৮
খ) শরীয়তে এই ব্যাপারে কি ধরনের সিদ্ধান্ত আছে ?
কিছু বিশেষজ্ঞা আছেন, যারা বলেন,এই যাকাত ফরয ছিলো,কিন্তু এখন আর নাই।তারা এই মতামত প্রদান করেন,নিজের হাদিসের উপর ভিত্তি করে।
“কায়েস ইবনে সাদ ইবনে উবাদা বলেন,মুহাম্মাদ(সঃ) আমাদের উপর যাকাত ফরয হবার পূর্বে ফিতরের যাকাত ফরয করেছিলেন এবং যাকাত ফরয হবার পরে তিনি ,যাকাতুল ফিতরের ব্যাপারে কোন আদেশ প্রদান করেননি। কিন্তু আমরা যাকাতুল ফিতর অনুশীলন করি”। সুনানে নাসাঈ-যাকাত-২৫০৯
এই হাদিসের কারনে তারা বলে যে, যাকাতুল ফিতর আগে ফরয ছিল কিন্তু কিন্তু এখন আর ফরয নাই। কিন্তু আসল ব্যাপার হোল, এই হাদিসে এটা বলা হয়নি, যাকাতুল ফিতর ফরয নয় কিংবা ফরয রহিত হবার ব্যাপারে কোন সাক্ষ্য-প্রমান কিন্তু বর্ননাকারী সাহাবী দেননি।যখন এটা ফরয নির্দেশিত হয় ও পরবর্তীতে যখন আরেকটা ফরয আসে, এবং যদি প্রথমফরযটার বন্ধ হবার ব্যাপারে কোন স্পষ্ট নির্দেশনা না আসে,তাহলে উবয়ই চলতে থাকবে।অধিকাংশ বিশেষজ্ঞ এই কারনে একমত যে, যাকাতুল ফিতর প্রত্যেক মুসলিমের উপর ফরয।
গ) যাকাতুল ফুতরের যৌক্তিকতা কি ?
মহানবী(সঃ) বলেছেন, “রমযান মাসে কৃত বিভিন্ন বাজে কাজ হতে রোযাকে পবিত্রকরনের জন্যে ফিতরের যাকাত প্রদান প্রত্যেক মুসলিমের জন্য ফরয। যাকাত হিসাবে দরিদ্র মুসলিমকে খাওয়াতে হবে।যদি কেউ ‘ঈদুল ফিতরের’ আগে দেয়,তবে সেটা যাকাত হিসাবে গন্য হবে আর পরে দিলে সেটা সাধারন দান হিসাবে গন্য হবে”।
আবু দাউদ-যাকাত-১৬০৫
ঘ) যাকাত ও যাকাতুল ফিতরের মধ্যে পার্থক্য
# যাকাত অর্থ পবিত্রতার কাজ করে, কিন্তু যাকাতুল ফিতর রোযা পবিত্রতার কাজ করে।
# যাকাত দেয়ার নিয়ম নিসাব পরিমান সম্পদের মালিকদের কিন্তু ফিতর শুধুমাত্র
যাদের খাওয়ানোর শক্তি আছে, তাদের উপর ফরয।
# যাকাত শুধুমাত্র ৮ শ্রনীর মুসলিমকেই দিতে হবে। কিন্তু ফিতর শুধুমাত্র দরিদ্র মুসলিমকে।
# যাকাত শুধুমাত্র মুসলিমকেই সারা বছর দেয়া যায়। ফিতরের যাকাত হিসাবে কোন দরিদ্র মুসলিমকে ঈদের দিন সকালেই খাওয়াতে হয়।
# যাকাত হিসাবে টাকাসহ যেকোন বস্তু দেয়া যায়। কিন্তু ফিতরে শুধু খাদ্য জাতীয় জিনিসই দিতে হবে।
ইউসুফ to ডাঃ জাকির- যাকাৎ ও সদকার পার্থক্য
যাকাত
যাকাত শব্দের অর্থ পবিত্রকরন। যদি কোন মুসলিমের চাহিদা পূরন করার পর তার কাছে নিসাব পরিমান অর্থ জমা থাকে , সেই জমার পরিমান যদি এক বছর হয়, তবে তাকে যাকাত বলে।
যাকাত হচ্ছে বাধ্যতামূলক দান। যাকাত দেবার জন্য ১ বছর অপেক্ষা করতে হয়। যাকাত দিলে আল্লাহ শাস্তি দিবেন। ৮ শ্রেনীর মানুষ এটা গ্রহন করতে পারে। যাকাত অমুসলিমকে দেয়া যায় না।
সদকা
সদকা শব্দটির মৌলিক শব্দ হোল, ‘সিদক’, যার অর্থ আন্তরিকতা।সুতরাং সদকা হোল আল্লাহর আনুগত্যের প্রতি গভীর আন্তরিকতা। সদকা হচ্ছে ঐচ্ছিক দান। কিন্তু সদকা’র জন্য কোন সময়ের প্রয়োজন নাই। এখানে এই ব্যাপার নাই। সদকা’র জন্য এটা নেই। এটা সবাইকে দেয়া যায়।
0 Comments