ইমাম
আস-সাবূনী (রাহিমাহুল্লাহ) বিদ‘আতিদের ব্যাপারে সালাফদের মানহাজ বর্ণনা
করতে গিয়ে বলেন, “আর তারা আহলুল বিদ‘আহ— যারা দ্বীনের মধ্যে নতুন কিছু
আবিস্কার করে— তাদের ঘৃণা করতো। তারা তাদের ভালোবাসতো না, তাদের সাথে
সম্পর্কও রাখতো না। তারা তাদের কথা শুনতো না, তাদের সাথে বসতোও না। তারা
তাদের সাথে দ্বীনের ব্যাপারে তর্ক করতো না, বিতর্কও করতো না।”
ইমাম আস-সাবূনীর (রাহিমাহুল্লাহ) কথার ব্যখ্যায় ‘আল্লামাহ ড. রাবী‘ বিন হাদী ‘উমাইর আল-মাদখালী (হাফিযাহুল্লাহ) বলেন, “এ ব্যাপারটি কেমন? এটা কি তারা নিজেরা আবিষ্কার করেছিলেন নাকি এটা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল এর পক্ষ থেকে হিদায়াত, এবং যার ওপর সালাফুস-সালিহ ছিলেন?
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা আহলুল বিদ‘আহর ব্যাপারে সতর্ক করেছেন এবং আমাদের জন্য স্পষ্ট করেছেন যে তারা হলো প্রবৃত্তির অনুসারী এবং তারা মুতাশাবিহাত (অস্পষ্ট আয়াতসমূহ)-এর অনুসরণ করে।
‘আয়িশাহ (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহা) থেকে বর্ণিত:
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আয়াতটি পাঠ করলেন هُوَ الَّذِي أَنْزَلَ عَلَيْكَ الْكِتَابَ ............ إِلاَّ أُولُو الأَلْبَابِ– ❝তিনিই তোমার প্রতি এ কিতাব অবতীর্ণ করেছেন যার কতক আয়াত সুস্পষ্ট, দ্ব্যর্থহীন।❞ এগুলো কিতাবের মূল অংশ; আর অন্যগুলো রূপক; যাদের অন্তরে সত্য-লঙ্ঘন প্রবণতা রয়েছে শুধু তারাই ফিতনাহ এবং ভুল ব্যাখ্যার উদ্দেশে যা রূপক তার অনুসরণ করে। আল্লাহ ব্যতীত অন্য কেউ এর ব্যাখ্যা জানে না। আর যারা জ্ঞানে সুগভীর, তাঁরা বলেন: ❝আমরা এতে ঈমান এনেছি, এসবই আমাদের প্রভুর তরফ থেকে এসেছে। জ্ঞানবানরা ব্যতীত কেউ নাসীহাত গ্রহণ করে না।❞ [সূরাহ আলি ইমরান:৭]
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পাঠ করলেন। ‘আয়িশাহ (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহা) বলেন, “রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঘোষণা করেছেন যে, যারা মুতাশাবিহাত আয়াতের পেছনে ছুটে তাদের যখন তুমি দেখবে তখন মনে করবে যে, তাদের কথাই
আল্লাহ তা‘আলা কুরআনে বলেছেন। সুতরাং তাদের ব্যাপারে সাবধান থাকবে।” [মুসলিম, হা/ ২৬৬৫]
আল্লাহ স্পষ্ট করেছেন যে তাদের সাথে রয়েছে (মন্দ) প্রবৃত্তি ও গোমরাহি, এবং তারা তাদের নিজেদের ও অন্যদের পথভ্রষ্ট করতে চায়! তারা ফিতনাহ চায় এবং লোকদের পথভ্রষ্ট করতে চায়,এবং একারণেই রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “আমার উম্মাতের মধ্যে এমন এমন দলের আবির্ভাব ঘটবে যাদের সর্বশরীরে (বিদ‘আতের) প্রবৃত্তি এমনভাবে অনুপ্রবেশ করবে যেমন পাগলা কুকুর কামড়ালে জলাতঙ্ক রোগীর সর্বশরীরে সঞ্চারিত হয়।” [বুখারী, হা/৪৫৪৭]
আহলুস সুন্নাহ আহলুল বিদ‘আহকে ঘৃণা করে— কোন সন্দেহ নেই— এবং ইমাম (আস-সাবূনী) তাদের (আহলুস সুন্নাহ’র ইমাম) বেশ কয়েকজনের ব্যাপারে উল্লেখ করেছেন যে তারা সবাই তাদের (আহলুল বিদ‘আহ) প্রতি ঘৃণা পোষণের ব্যাপারে একমত হয়েছেন। তবে, তাদের মধ্যে রয়েছে দু‘আত, তাদের সাথে বসা হবে না, মুনাযারাও করা হবে না, প্রয়োজন ও মাসলাহাতের জন্য ছাড়া। অন্যথায় তাদের সাথে মুনযারা করা জায়েয নেই। কোনো একজন রাওয়াফিদ্বের সাথে বিশেষ মুনাযারায় প্রবেশ করা জায়েয নয় যদি তুমি দুর্বল হও (‘ইলম ও দক্ষতার দিক দিয়ে)। তবে যদি এমন কেউ থেকে থাকে যে ‘ইলম এবং দ্বীনের ক্ষেত্রে শক্ত ভিত্তিসম্পন্ন, দলীল প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে (অত্যন্ত দক্ষ), বুদ্ধিমান এবং (দক্ষতার ও দৃঢ়তার) অধিকারী, সুতরাং সে যদি মুনাযারা করার মধ্যে কোনো কল্যাণ দেখে, সে তাদের সাথে মুনাযারা করবে।
আল্লাহ বলেন: ❝তুমি মানুষকে তোমার রবের পথে আহবান কর হিকমাত ও সদুপদেশ দ্বারা এবং তাদের সাথে উত্তম পন্থায় বিতর্ক কর।❞ [সূরা আন-নাহল: ১২৫]
এটি হলো শারী‘আহ সমর্থিত মুনাযারা। আল্লাহ মুনাযারার পথ শতভাগ রুদ্ধ করে দেননি, সুতরাং যদি আমাদের দলীল প্রতিষ্ঠিত করার এবং লোকদের উত্তম দিকে পথপ্রদর্শন করার উপায় থাকে, তাহলে আমরা তার অনুসরণ করবো। যার সাথে মুনাযারা করা হচ্ছে সে হয়তো উপকৃত হবে না, কিন্তু অন্যরা উপকৃত হতে পারে।
আর দুর্বল ব্যক্তির ক্ষেত্রে, তাহলে না (সে মুনাযারা করবে না)। এমনকি ‘উলামাদের মধ্যে এমন কেউ রয়েছেন যে দুর্বল এবং শুবুহাত (সন্দেহ) দ্বারা ভুল করার দিকে পরিচালিত হন। তিনি একজন ‘আলিম হয়ে থাকতে পারেন, কিন্তু তার চরিত্র দুর্বল। সুতরাং তিনি আহলুল বিদ‘আহর উপস্থিতিতে দুর্বল হয়ে পড়েন যদিও তারা বয়সে তার চেয়ে ছোট এবং তাদের ‘ই্লম তার চেয়ে কম! নিশ্চয়ই (নিজেদের) সুন্নাহ ও হাদীসের সাথে সম্পৃক্ত করেন এমন অনেকের ক্ষেত্রে এমনটা হয়েছে যে, তারা পরিবর্তিত হয়ে গিয়েছেন তাদের দুর্বলতা ও সালাফদের মানহাজের বিরোধিতা করার কারণে। উদাহরণ স্বরুপ: আল-বাইহাক্বী ছিলেন জ্যেষ্ঠ আহলুল হাদীস ও তাদের ‘উলামাদের একজন, এবং (তিনি) কিছু আশ‘আরী, যেমন ইবন ফাওরাক্ব ও তার শিষ্যের দ্বারা প্রতারিত হয়েছিলেন, এবং আশ‘আরী মতবাদে পতিত হয়েছিলেন!
আর এই যুগে! তরুণদের কতজন আহলুল বিদ‘আহর হাতে নষ্ট হয়েছে?! কতো তরুণ, মধ্যবয়স্ক লোক ও ইউনিভার্সিটি গ্র্যাজুয়েট আহলুল বিদ‘আহ কর্তৃক প্রতারিত হয়েছে, এবং এভাবে তাদের বাহুতে পতিত হয়েছে?! তারা দলগুলোর দ্বারা প্রতারিত হয়েছে এবং তাদের বাহুতে পতিত হয়েছে। এটা কেনো? কারণ তারা রাসূলের কথার ওপর আমল করেনি, “যারা মুতাশাবিহাত আয়াতের পেছনে ছুটে তাদের যখন তুমি দেখবে তখন মনে করবে যে, তাদের কথাই আল্লাহ তা‘আলা ক্বুর’আনে বলেছেন। সুতরাং তাদের ব্যাপারে সাবধান থাকবে।”
শক্তিশালী (‘ইলম, দক্ষতা ও দৃঢ়তার দিক দিয়ে) ব্যক্তি আহলুল বিদ‘আহকে দাওয়াত দিবে, সে খ্রিষ্টানদের দাওয়াত দিবে। আল্লাহ’র পথে দাওয়াত হতে হবে এবং শক্তিশালী ‘উলামা থাকতে হবে যারা আল্লাহ’র দ্বীন ছড়িয়ে দেয়, এবং যখন দরকার হয় তখন তারা মুনাযারা করে, যাতে করে দলীল প্রতিষ্ঠিত হয় এবং যার উপকৃত হওয়ার সে উপকৃত হয়।”
(শারহ ‘আক্বীদাতুস সালাফ আসহাবুল হাদীস, ৩০১-৩০৪ পৃষ্ঠা, সংক্ষেপিত ও ঈষৎ পরিমার্জিত)
• https://bit.ly/2QaiEr5
অনুবাদক: রিফাত রাহমান সিয়াম
fb.com/SunniSalafiAthari
ইমাম আস-সাবূনীর (রাহিমাহুল্লাহ) কথার ব্যখ্যায় ‘আল্লামাহ ড. রাবী‘ বিন হাদী ‘উমাইর আল-মাদখালী (হাফিযাহুল্লাহ) বলেন, “এ ব্যাপারটি কেমন? এটা কি তারা নিজেরা আবিষ্কার করেছিলেন নাকি এটা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল এর পক্ষ থেকে হিদায়াত, এবং যার ওপর সালাফুস-সালিহ ছিলেন?
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা আহলুল বিদ‘আহর ব্যাপারে সতর্ক করেছেন এবং আমাদের জন্য স্পষ্ট করেছেন যে তারা হলো প্রবৃত্তির অনুসারী এবং তারা মুতাশাবিহাত (অস্পষ্ট আয়াতসমূহ)-এর অনুসরণ করে।
‘আয়িশাহ (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহা) থেকে বর্ণিত:
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আয়াতটি পাঠ করলেন هُوَ الَّذِي أَنْزَلَ عَلَيْكَ الْكِتَابَ ............ إِلاَّ أُولُو الأَلْبَابِ– ❝তিনিই তোমার প্রতি এ কিতাব অবতীর্ণ করেছেন যার কতক আয়াত সুস্পষ্ট, দ্ব্যর্থহীন।❞ এগুলো কিতাবের মূল অংশ; আর অন্যগুলো রূপক; যাদের অন্তরে সত্য-লঙ্ঘন প্রবণতা রয়েছে শুধু তারাই ফিতনাহ এবং ভুল ব্যাখ্যার উদ্দেশে যা রূপক তার অনুসরণ করে। আল্লাহ ব্যতীত অন্য কেউ এর ব্যাখ্যা জানে না। আর যারা জ্ঞানে সুগভীর, তাঁরা বলেন: ❝আমরা এতে ঈমান এনেছি, এসবই আমাদের প্রভুর তরফ থেকে এসেছে। জ্ঞানবানরা ব্যতীত কেউ নাসীহাত গ্রহণ করে না।❞ [সূরাহ আলি ইমরান:৭]
নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পাঠ করলেন। ‘আয়িশাহ (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহা) বলেন, “রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঘোষণা করেছেন যে, যারা মুতাশাবিহাত আয়াতের পেছনে ছুটে তাদের যখন তুমি দেখবে তখন মনে করবে যে, তাদের কথাই
আল্লাহ তা‘আলা কুরআনে বলেছেন। সুতরাং তাদের ব্যাপারে সাবধান থাকবে।” [মুসলিম, হা/ ২৬৬৫]
আল্লাহ স্পষ্ট করেছেন যে তাদের সাথে রয়েছে (মন্দ) প্রবৃত্তি ও গোমরাহি, এবং তারা তাদের নিজেদের ও অন্যদের পথভ্রষ্ট করতে চায়! তারা ফিতনাহ চায় এবং লোকদের পথভ্রষ্ট করতে চায়,এবং একারণেই রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “আমার উম্মাতের মধ্যে এমন এমন দলের আবির্ভাব ঘটবে যাদের সর্বশরীরে (বিদ‘আতের) প্রবৃত্তি এমনভাবে অনুপ্রবেশ করবে যেমন পাগলা কুকুর কামড়ালে জলাতঙ্ক রোগীর সর্বশরীরে সঞ্চারিত হয়।” [বুখারী, হা/৪৫৪৭]
আহলুস সুন্নাহ আহলুল বিদ‘আহকে ঘৃণা করে— কোন সন্দেহ নেই— এবং ইমাম (আস-সাবূনী) তাদের (আহলুস সুন্নাহ’র ইমাম) বেশ কয়েকজনের ব্যাপারে উল্লেখ করেছেন যে তারা সবাই তাদের (আহলুল বিদ‘আহ) প্রতি ঘৃণা পোষণের ব্যাপারে একমত হয়েছেন। তবে, তাদের মধ্যে রয়েছে দু‘আত, তাদের সাথে বসা হবে না, মুনাযারাও করা হবে না, প্রয়োজন ও মাসলাহাতের জন্য ছাড়া। অন্যথায় তাদের সাথে মুনযারা করা জায়েয নেই। কোনো একজন রাওয়াফিদ্বের সাথে বিশেষ মুনাযারায় প্রবেশ করা জায়েয নয় যদি তুমি দুর্বল হও (‘ইলম ও দক্ষতার দিক দিয়ে)। তবে যদি এমন কেউ থেকে থাকে যে ‘ইলম এবং দ্বীনের ক্ষেত্রে শক্ত ভিত্তিসম্পন্ন, দলীল প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে (অত্যন্ত দক্ষ), বুদ্ধিমান এবং (দক্ষতার ও দৃঢ়তার) অধিকারী, সুতরাং সে যদি মুনাযারা করার মধ্যে কোনো কল্যাণ দেখে, সে তাদের সাথে মুনাযারা করবে।
আল্লাহ বলেন: ❝তুমি মানুষকে তোমার রবের পথে আহবান কর হিকমাত ও সদুপদেশ দ্বারা এবং তাদের সাথে উত্তম পন্থায় বিতর্ক কর।❞ [সূরা আন-নাহল: ১২৫]
এটি হলো শারী‘আহ সমর্থিত মুনাযারা। আল্লাহ মুনাযারার পথ শতভাগ রুদ্ধ করে দেননি, সুতরাং যদি আমাদের দলীল প্রতিষ্ঠিত করার এবং লোকদের উত্তম দিকে পথপ্রদর্শন করার উপায় থাকে, তাহলে আমরা তার অনুসরণ করবো। যার সাথে মুনাযারা করা হচ্ছে সে হয়তো উপকৃত হবে না, কিন্তু অন্যরা উপকৃত হতে পারে।
আর দুর্বল ব্যক্তির ক্ষেত্রে, তাহলে না (সে মুনাযারা করবে না)। এমনকি ‘উলামাদের মধ্যে এমন কেউ রয়েছেন যে দুর্বল এবং শুবুহাত (সন্দেহ) দ্বারা ভুল করার দিকে পরিচালিত হন। তিনি একজন ‘আলিম হয়ে থাকতে পারেন, কিন্তু তার চরিত্র দুর্বল। সুতরাং তিনি আহলুল বিদ‘আহর উপস্থিতিতে দুর্বল হয়ে পড়েন যদিও তারা বয়সে তার চেয়ে ছোট এবং তাদের ‘ই্লম তার চেয়ে কম! নিশ্চয়ই (নিজেদের) সুন্নাহ ও হাদীসের সাথে সম্পৃক্ত করেন এমন অনেকের ক্ষেত্রে এমনটা হয়েছে যে, তারা পরিবর্তিত হয়ে গিয়েছেন তাদের দুর্বলতা ও সালাফদের মানহাজের বিরোধিতা করার কারণে। উদাহরণ স্বরুপ: আল-বাইহাক্বী ছিলেন জ্যেষ্ঠ আহলুল হাদীস ও তাদের ‘উলামাদের একজন, এবং (তিনি) কিছু আশ‘আরী, যেমন ইবন ফাওরাক্ব ও তার শিষ্যের দ্বারা প্রতারিত হয়েছিলেন, এবং আশ‘আরী মতবাদে পতিত হয়েছিলেন!
আর এই যুগে! তরুণদের কতজন আহলুল বিদ‘আহর হাতে নষ্ট হয়েছে?! কতো তরুণ, মধ্যবয়স্ক লোক ও ইউনিভার্সিটি গ্র্যাজুয়েট আহলুল বিদ‘আহ কর্তৃক প্রতারিত হয়েছে, এবং এভাবে তাদের বাহুতে পতিত হয়েছে?! তারা দলগুলোর দ্বারা প্রতারিত হয়েছে এবং তাদের বাহুতে পতিত হয়েছে। এটা কেনো? কারণ তারা রাসূলের কথার ওপর আমল করেনি, “যারা মুতাশাবিহাত আয়াতের পেছনে ছুটে তাদের যখন তুমি দেখবে তখন মনে করবে যে, তাদের কথাই আল্লাহ তা‘আলা ক্বুর’আনে বলেছেন। সুতরাং তাদের ব্যাপারে সাবধান থাকবে।”
শক্তিশালী (‘ইলম, দক্ষতা ও দৃঢ়তার দিক দিয়ে) ব্যক্তি আহলুল বিদ‘আহকে দাওয়াত দিবে, সে খ্রিষ্টানদের দাওয়াত দিবে। আল্লাহ’র পথে দাওয়াত হতে হবে এবং শক্তিশালী ‘উলামা থাকতে হবে যারা আল্লাহ’র দ্বীন ছড়িয়ে দেয়, এবং যখন দরকার হয় তখন তারা মুনাযারা করে, যাতে করে দলীল প্রতিষ্ঠিত হয় এবং যার উপকৃত হওয়ার সে উপকৃত হয়।”
(শারহ ‘আক্বীদাতুস সালাফ আসহাবুল হাদীস, ৩০১-৩০৪ পৃষ্ঠা, সংক্ষেপিত ও ঈষৎ পরিমার্জিত)
• https://bit.ly/2QaiEr5
অনুবাদক: রিফাত রাহমান সিয়াম
fb.com/SunniSalafiAthari
0 Comments