- বিদায়াতীদের সাথে কেমন ব্যবহার করা উচিৎ সালাফদের থেকে ১০ টি উক্তিঃ-
১) ইবনু মাসঊদ (রাযি) বলেছেন :-
যে ব্যক্তি নিজ দ্বীনকে মর্যাদা দিতে চায়। সে যেন বিদায়াতীদের সঙ্গ থেকে দূরে থাকে। (ইবনে অযযাহ ৫৬ পেজ)
যে ব্যক্তি নিজ দ্বীনকে মর্যাদা দিতে চায়। সে যেন বিদায়াতীদের সঙ্গ থেকে দূরে থাকে। (ইবনে অযযাহ ৫৬ পেজ)
২) মুযাহীদ (রহ) বলেন:-
নাফসপুজারী (বিদায়াতীদের) সঙ্গ থেকো না। কারণ তাদের কাছে চুলকানি ঘায়ের মতো ঘা আছে (যা তোমাদের দেহেও সংক্রমণ করতে পারে)
(আল ইবনাহ ২/৪৪১; ৩৮২)
নাফসপুজারী (বিদায়াতীদের) সঙ্গ থেকো না। কারণ তাদের কাছে চুলকানি ঘায়ের মতো ঘা আছে (যা তোমাদের দেহেও সংক্রমণ করতে পারে)
(আল ইবনাহ ২/৪৪১; ৩৮২)
৩) হাসান বাসরী (রহ) বলেন :-
বিদায়াতিদের সাথে উঠা-বসা করো না। কারণ তাদের সাথে উঠা- বসা করায় তোমাদের অন্তরকে রোগে আক্রান্ত করে নিবে।
(ইবনে অযযাহ ৫৪; আল- ইবনাহ ২/৪৩৮; অনুরূপ বলেছেন আব্দুল্লাহ মালাঈ ৩৭২; ইবনু আব্বাস (রাযি) থেকে ৩৭১)
বিদায়াতিদের সাথে উঠা-বসা করো না। কারণ তাদের সাথে উঠা- বসা করায় তোমাদের অন্তরকে রোগে আক্রান্ত করে নিবে।
(ইবনে অযযাহ ৫৪; আল- ইবনাহ ২/৪৩৮; অনুরূপ বলেছেন আব্দুল্লাহ মালাঈ ৩৭২; ইবনু আব্বাস (রাযি) থেকে ৩৭১)
৩) হাসান বাসরী (রহ) আরো বলেছেন :-
বিদায়াতিদের সাথে উঠা-বসা করোনা তাদের সাথে বিতর্ক করোনা। তাদের কাছে থেকে কিছু শুনো না। (সুনান দারেমী হা/৪০১; আল-ইবনাহ ২/৪৪৪)
বিদায়াতিদের সাথে উঠা-বসা করোনা তাদের সাথে বিতর্ক করোনা। তাদের কাছে থেকে কিছু শুনো না। (সুনান দারেমী হা/৪০১; আল-ইবনাহ ২/৪৪৪)
৪) ইব্রাহীম নাখঈ (রহ) বলেন :-
বিদায়াতীদের সাথে উঠা- বসা করো না। কারণ আমার ভয় হয় যে। তোমাদের অন্তর কুফরীর দিকে ফিরে যাবে। (ইমাম শেতাবী – আল- ইতেসাম ১/১৭২; আল ইবনাহ ২/৪৩৯)
বিদায়াতীদের সাথে উঠা- বসা করো না। কারণ আমার ভয় হয় যে। তোমাদের অন্তর কুফরীর দিকে ফিরে যাবে। (ইমাম শেতাবী – আল- ইতেসাম ১/১৭২; আল ইবনাহ ২/৪৩৯)
৫) আব্দুল্লাহ ইবনু মুবারক (রহ) বলেন: –
খবরদার কোন বিদায়াতীর সাথে বসো না। (আল ইবনাহ ৪৫৩)
খবরদার কোন বিদায়াতীর সাথে বসো না। (আল ইবনাহ ৪৫৩)
৬) আবূ কিলাবাহ বিখ্যাত তাবেঈ (রহ) বলেছেন :-
বিদায়াতীদের সাথে উঠা- বসা করো না। কারণ আমার ভয় হয় যে। তোমাদের কে ভ্রষ্টতায় নিমজ্জিত করে ফেলবে। অথবা হক বাতিলের মধ্যে এমন সংমিশ্রণ ঘটিয়ে দেবে যা তোমরা টেরও পাবে না। ( আল – ইতেসাম ১/১৭২; ইমাম লালকাঈ – আল আক্বীদা আহলুস সুন্নাহ ১/১৩৪;২৪৪; দারেমী হা/৩৯১ আল ইবনাহ ২/৪৩৭/ আশ শারীয়াহ ৬১)
বিদায়াতীদের সাথে উঠা- বসা করো না। কারণ আমার ভয় হয় যে। তোমাদের কে ভ্রষ্টতায় নিমজ্জিত করে ফেলবে। অথবা হক বাতিলের মধ্যে এমন সংমিশ্রণ ঘটিয়ে দেবে যা তোমরা টেরও পাবে না। ( আল – ইতেসাম ১/১৭২; ইমাম লালকাঈ – আল আক্বীদা আহলুস সুন্নাহ ১/১৩৪;২৪৪; দারেমী হা/৩৯১ আল ইবনাহ ২/৪৩৭/ আশ শারীয়াহ ৬১)
৭) আতা বিন আবী রবাহ তাবেঈ (رحمه الله) বলেছেন :-
আল্লাহ আযযা অজাল্ল মূসা (আ) ওহী করে বলেন তুমি নাফসপূজারীদের কাছে বসো না। কারণ তারা তোমাদের অন্তরে এমন কিছু প্রবেশ করাবে যা তোমাদের অন্তরে ছিলোনা। (আল ইবনাহ ২/৪৩৯)
আল্লাহ আযযা অজাল্ল মূসা (আ) ওহী করে বলেন তুমি নাফসপূজারীদের কাছে বসো না। কারণ তারা তোমাদের অন্তরে এমন কিছু প্রবেশ করাবে যা তোমাদের অন্তরে ছিলোনা। (আল ইবনাহ ২/৪৩৯)
৮) ইমাম ফারায়বী (رحمه الله) বলেনঃ
সুফিয়ান সওরী (রহ) আমাকে অমূক বিদায়াতীর সংশ্রবে যেতে নিষেধ করেছে। (আল ইবনাহ ৪৫৪)
৯) ফুযাইল (رحمه الله) বলেছেনঃ
“আমি সর্বশ্রেষ্ট মানুষদের সাথে দেখা পেয়েছি; যারা সকলেই ছিলো আহ্লুস সুন্নাহ। তারা বিদায়াতিদের কাছে যেতে নিষেধ করতেন। ( আল আক্বীদা লালকাঈ ১/১৩৮;২৬৭)
১০) উসমান বিন যায়েদাহ বলেন :-
” সুফিয়ান সওরী (رحمه الله) আমাকে উপদেশ দিয়ে বলেন বিদায়াতীদের সাথে উঠা বসা করো না। (আল ইবনাহ ২/৪৬৩)
ন্যায়নিষ্ঠ সালাফগণ বিদ‘আতীদের কথাবার্তা শোনার ক্ষেত্রে খুবই কঠোর ছিলেন। নিম্নোক্ত আসার তিনটি বিদ‘আতীদের ব্যাপারে তাঁদের কঠোর অবস্থান এবং দ্বীনের ব্যাপারে বিন্দুমাত্র শিথিল না হওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট করবে, ইনশাআল্লাহ।
১. আসমা বিন ‘উবাইদ (رحمه الله) [মৃত: ১৪১ হি.] থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
“দুজন বিদ‘আতী (তাবি‘ঈ বিদ্বান) ইবনু সীরীন (রাহিমাহুল্লাহ)’র নিকট প্রবেশ করে বলল, ‘হে আবূ বাকার, আমরা আপনার কাছে একটি হাদীস বর্ণনা করি?’ তিনি বললেন, ‘না।’ তখন তারা দুজন বলল, ‘তাহলে আমরা আপনাকে আল্লাহ’র কিতাব থেকে একটি আয়াত পড়ে শোনাই?’ তিনি বললেন, ‘না; হয় তোমরা আমার নিকট থেকে উঠে চলে যাবে, অথবা আমি উঠে চলে যাব।’ বর্ণনাকারী বলছেন, তারা দুজন প্রস্থান করল। তখন এক ব্যক্তি বলে উঠল, ‘হে আবূ বাকার, আপনার কী (ক্ষতি) হতো, যদি তারা দুজন আপনাকে আল্লাহ’র কিতাব থেকে একটি আয়াত পড়ে শোনাত?’ তিনি (ইবনু সীরীন) বললেন, ‘নিশ্চয় আমি আশঙ্কা করেছি যে, তারা দুজন আমার কাছে একটি আয়াত পড়বে, অতঃপর তারা সে আয়াতে বিকৃতি (তাহরীফ) সাধন করবে, ফলে তা আমার অন্তরে গেঁথে যাবে’।” [দারিমী, হা/৪১১; সনদ: সাহীহ (তাহক্বীক্ব: হুসাইন সালীম আসাদ)]
২. ইমাম সাল্লাম বিন আবূ মুত্বী‘ (رحمه الله) [মৃত: ১৭৩ হি.] থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ
“একজন বিদ‘আতী (তাবি‘ঈ বিদ্বান) আইয়ূব (রাহিমাহুল্লাহ) [মৃত: ১৩১ হি.] কে বলল, হে আবূ বাকার, আমি আপনাকে একটি শব্দ সম্পর্কে প্রশ্ন করি? বর্ণনাকারী বলছেন, তখন তিনি দ্রুত প্রস্থান করলেন। এমতাবস্থায় তিনি তাঁর আঙুল দিয়ে ইশারা করে বলছিলেন, আধা শব্দও নয়। বর্ণনকারী সা‘ঈদ আমাদেরকে তাঁর ডান কনিষ্ঠা দিয়ে ইশারা করে দেখিয়েছেন।” [দারিমী, হা/৪১২; সনদ: সাহীহ (তাহক্বীক্ব: হুসাইন সালীম আসাদ)]
৩. শাইখুল ইসলাম ইমাম মা‘মার (رحمه الله) [মৃত: ১৫৩ হি.] বলেছেন,
“একদা (তাবি‘ঈ বিদ্বান) ইবনু ত্বাউস [মৃত: ১৩২ হি.] উপবিষ্ট ছিলেন। এমন সময় এক মু‘তাযিলী এসে কথা বলা শুরু করল। বর্ণনকারী বলছেন, তখন ইবনু ত্বাউস তাঁর দু’কানে দুই আঙুল প্রবেশ করালেন এবং তাঁর ছেলেকে বললেন, “হে বৎস, তুমি তোমার দু’কানে দুই আঙুল প্রবেশ করাও এবং চেপে ধরে থাকো, তুমি তাঁর সামান্য কথাও শুনো না।” মা‘মার (তাঁর এই কাজের ব্যাখ্যা দিয়ে) বলেছেন, ‘অর্থাৎ অন্তর খুবই দুর্বল (আমরা তার কথা শুনলে আমাদের অন্তরে তা গেঁথে যেতে পারে)’।” [ইবনু বাত্বত্বাহ, আল-ইবানাহ; আসার নং: ৪০০; লালাকাঈ, শারহু উসূলি ই‘তিক্বাদি আহলিস সুন্নাতি ওয়াল জামা‘আহ; আসার নং: ২৪৮]
0 Comments