যে ব্যক্তি বিদ‘আতীদের বইপুস্তক পড়তে উৎসাহিত করে, সে ধোঁকাবাজ হিসেবে পরিগণিত


যে ব্যক্তি বিদ‘আতীদের বইপুস্তক পড়তে উৎসাহিত করে, সে ধোঁকাবাজ হিসেবে পরিগণিত
যুগশ্রেষ্ঠ ফাক্বীহ আশ-শাইখুল ‘আল্লামাহ ইমাম সালিহ বিন ফাওযান আল-ফাওযান (হাফিযাহুল্লাহ) [জন্ম: ১৩৫৪ হি./১৯৩৫ খ্রি.] প্রদত্ত ফাতওয়া—
উপস্থাপক: “এই প্রশ্নকারী বলছেন, যে ব্যক্তি বিদ‘আতী ও তাকফীরীদের বইপুস্তককে ডিফেন্ড করে, যুবকদেরকে সেসব বই পড়ার নসিহত করে এবং সেসব বই থেকে সতর্ক করেন—এমন ব্যক্তিবর্গের বিরোধিতা করে, সে ব্যক্তির বিধান কী? জাযাকুমুল্লাহু খাইরা।”
শাইখ: “এই লোক উম্মতকে ধোঁকাদানকারী হিসেবে বিবেচিত। যে ব্যক্তি ভ্রষ্ট ও সংশয়মূলক বইপুস্তক পড়তে উৎসাহিত করে, সে উম্মতকে ধোঁকাদানকারী হিসেবে বিবেচিত। অনুরূপভাবে সে আল্লাহ’র কিতাব এবং রাসূল ﷺ এর সুন্নাহকেও ধোঁকাদানকারী হিসেবে বিবেচিত। যেহেতু রাসূল ﷺ বলেছেন, ‘নসিহত করাই দ্বীন।’ আমরা (সাহাবীগণ) জিজ্ঞেস করলাম, ‘হে আল্লাহ’র রাসূল, কার জন্য নসিহত?’ তিনি বললেন, ‘আল্লাহ, তাঁর কিতাব ও তাঁর রাসূলের জন্য এবং মুসলিম শাসকবর্গ ও মুসলিম জনগণের জন্য।’ (সাহীহ মুসলিম, হা/৫৫; ‘ঈমান’ অধ্যায়; পরিচ্ছেদ- ২৩) অবশ্যই হক বর্ণনা করতে হবে, হক স্পষ্ট করতে হবে এবং হকের দিকে দা‘ওয়াত দিতে হবে। এতে যে সন্তুষ্ট হওয়ার সে সন্তুষ্ট হোক, আর যে অসন্তুষ্ট হওয়ার সে অসন্তুষ্ট হোক। না‘আম।”
·উৎস: ফাতওয়া’র অডিয়ো ক্লিপটি ইউটিউব থেকে সংগৃহীত।
·অনুবাদক: মুহাম্মাদ ‘আব্দুল্লাহ মৃধা
www.facebook.com/SunniSalafiAthari


বিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ ফ্বাকীহ, উস্তাযুল আলিম, আশ শাইখুল আল্লামাহ, ইমাম মুহাম্মদ বিন ছ্বালিহ আল-উছাইমীন [রাহিমাহুল্লাহ] বলেন -
فإذا تعلمت من أجل أن ترفع الجهل عن هذه الأمة كنت من المجاهدين في سبيل الله الذين ينشرون دين الله.
"যখন তুমি এই উম্মাহ (জাতি) থেকে অজ্ঞতা দূর করার জন্য (ইলম) শিক্ষা করবে, তখন তুমি আল্লাহর রাস্তায় (জিহাদকারী) এমন মুজাহিদগণের অন্তর্ভুক্ত হবে, যারা আল্লাহর দ্বীনকে উজ্জীবিত করেন এবং প্রতিষ্টিত করেন"।
📚সোর্সঃ
[কিতাবুল ইলম, পৃঃ - ২২]
ইমাম শাফেঈ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন -
ﺃَﻋْﻘَﻞُ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ ﻣَﻦْ ﺗَﺮَﻙَ ﺍﻟﺪُّﻧْﻴَﺎ ﻗَﺒْﻞَ ﺃَﻥْ ﺗُﺘْﺮَﻛَﻪُ، ﻭَﺃَﻧَﺎﺭَ ﻗَﺒْﺮَﻩُ ﻗَﺒْﻞَ ﺃَﻥْ ﻳُّﺴْﻜِﻨَﻪُ، ﻭَﺃَﺭْﺿَﻰ ﺭَﺑَّﻪُ ﻗَﺒْﻞَ ﺃَﻥْ ﻳَّﻠْﻘَﺎﻩُ
ﻭَﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟْﺠَﻤَﺎﻋَﺔَ ﻗَﺒْﻞَ ﺃَﻥْ ﺗُﺼَﻠَّﻲ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺍﻟْﺠَﻤَﺎﻋَﺔُ، ﻭَﺣَﺎﺳَﺐَ ﻧَﻔْﺴَﻪُ ﻗَﺒْﻞَ ﺃَﻥْ ﺗُﺤَﺎﺳَﺒَﻪُ
‘সবচেয়ে জ্ঞানী ব্যক্তি সে-ই যে দুনিয়াকে পরিত্যাগ করে দুনিয়া তাকে পরিত্যাগ করার পূর্বেই। কবরকে আলোকিত করে কবরে বসবাস করার পূর্বেই। স্বীয় প্রভুকে সন্তুষ্ট করে তাঁর সাথে সাক্ষাৎ লাভের পূর্বেই, জামা‘আতে ছালাত আদায় করে তার উপর জামা‘আতে ছালাত (অর্থাৎ জানাযার ছালাত) পঠিত হবার পূর্বেই। নিজের হিসাব নিজেই গ্রহণ করে হিসাব দিবসে তার হিসাব গ্রহণ করার পূর্বেই’।
📚 [ইগাছাতুল লাহফান -১/৭৯]

Post a Comment

0 Comments