নিয়মিত আপডেট পেতে ভিজিট করুন < হাশরের দিন বিশেষ শিশুরা সুস্থ হয়ে উঠবে?
আপনার জিজ্ঞাসা | পর্ব ২২৯২
আলোচোখ- ডাঃ সাইফুল্লাহ মাদানি হাশরের দিন বিশেষ শিশুরা সুস্থ হয়ে উঠবে?
এ প র্বে র স ব প্র শ্ন ■ আমার একটি বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মেয়ে সন্তান আছে। তাঁর বয়স প্রায় ২৫। সে একটু আধটু হাটতে পারে, আবার পড়ে যায়। হাত দুটোতেও সমস্যা আছে। আমার সাহায্য ছাড়া একা চলাচল করতে পারে না। নিজের কাজ যতটুকু পারে করে। যেমন নিজ হাতে খেতে পারে, কিন্তু খুব দেরি হয়। চুল আচড়ানো, নখ কাটা যেসব কাজ সে নিজে করতে পারে না, সবকিছু আমি করে দেই। তাঁকে আমি নামাজ পড়তে শিখিয়েছি। সে আমার সাথে প্রতি ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে থাকে। দাঁড়িয়ে নামাজ পড়তে গিয়ে অনেক সময় পড়ে যায়। তারপর আবার দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করে। একটি ফরজ রোজাও সে ভাঙে না। মাঝে মাঝে নফল রোজাও রাখে। তার মনে কখনো কষ্ট দিতে চাই না। আমার সুস্থ সন্তানদের চেয়েও বেশি আদর আমি ওকে করি। এভাবে মা হিসেবে ওর সেবা যত্ন করার জন্য আল্লাহর কাছে বিশেষ কোনো ফজিলত পাব কি? এ উসিলায় কোনো গুনাহ থেকে ক্ষমা পাব কি? ■ হাশরের দিন আমার মেয়ে কি এই অবস্থায় উঠবে নাকি সুস্থ হয়ে উঠবে? ■ আমার পরিবারের মানুষ, যাঁদের আমি ভালোবাসতাম, বিশ্বাস করতাম, তাঁরা আমার সাথে হায়েনার চেয়ে ভয়ঙ্কর নিষ্ঠুর আচরণ করেছে। আমি এখন মানসিকভাবে অসুস্থ। এঅবস্থায় আমি কী করব? ■ সংসারে শান্তির জন্য আমার স্বামীকে অনেক বুঝিয়েছি। ওয়াদা করে কসম খেয়েও রাখেননি। একদিন তার সাথে চুক্তি করেছি ‘আমার নামে মিথ্যা আরোপ করলে, মানুষের নাম দিয়ে মিথ্যা কথা বললে, আমার কথা না শুনলে আমার ওপর তোমার কোনো দাবি থাকবে না।’ কিন্তু সে ওয়াদা করে ভঙ্গ করেছে। আল্লাহর কাছে অনেক কান্নাকাটি করে দোয়া করেছি। আপনজনের বিশ্বাস, ভালোবাসা হারিয়ে এখন আমি আমার স্বামীর সঙ্গে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারি না। এর পরও কি আমি আমার স্বামীর কাছে দাবিদার থাকব?
আপনার জিজ্ঞাসা | পর্ব ২২৯২
আলোচোখ- ডাঃ সাইফুল্লাহ মাদানি হাশরের দিন বিশেষ শিশুরা সুস্থ হয়ে উঠবে?
এ প র্বে র স ব প্র শ্ন ■ আমার একটি বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মেয়ে সন্তান আছে। তাঁর বয়স প্রায় ২৫। সে একটু আধটু হাটতে পারে, আবার পড়ে যায়। হাত দুটোতেও সমস্যা আছে। আমার সাহায্য ছাড়া একা চলাচল করতে পারে না। নিজের কাজ যতটুকু পারে করে। যেমন নিজ হাতে খেতে পারে, কিন্তু খুব দেরি হয়। চুল আচড়ানো, নখ কাটা যেসব কাজ সে নিজে করতে পারে না, সবকিছু আমি করে দেই। তাঁকে আমি নামাজ পড়তে শিখিয়েছি। সে আমার সাথে প্রতি ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে থাকে। দাঁড়িয়ে নামাজ পড়তে গিয়ে অনেক সময় পড়ে যায়। তারপর আবার দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করে। একটি ফরজ রোজাও সে ভাঙে না। মাঝে মাঝে নফল রোজাও রাখে। তার মনে কখনো কষ্ট দিতে চাই না। আমার সুস্থ সন্তানদের চেয়েও বেশি আদর আমি ওকে করি। এভাবে মা হিসেবে ওর সেবা যত্ন করার জন্য আল্লাহর কাছে বিশেষ কোনো ফজিলত পাব কি? এ উসিলায় কোনো গুনাহ থেকে ক্ষমা পাব কি? ■ হাশরের দিন আমার মেয়ে কি এই অবস্থায় উঠবে নাকি সুস্থ হয়ে উঠবে? ■ আমার পরিবারের মানুষ, যাঁদের আমি ভালোবাসতাম, বিশ্বাস করতাম, তাঁরা আমার সাথে হায়েনার চেয়ে ভয়ঙ্কর নিষ্ঠুর আচরণ করেছে। আমি এখন মানসিকভাবে অসুস্থ। এঅবস্থায় আমি কী করব? ■ সংসারে শান্তির জন্য আমার স্বামীকে অনেক বুঝিয়েছি। ওয়াদা করে কসম খেয়েও রাখেননি। একদিন তার সাথে চুক্তি করেছি ‘আমার নামে মিথ্যা আরোপ করলে, মানুষের নাম দিয়ে মিথ্যা কথা বললে, আমার কথা না শুনলে আমার ওপর তোমার কোনো দাবি থাকবে না।’ কিন্তু সে ওয়াদা করে ভঙ্গ করেছে। আল্লাহর কাছে অনেক কান্নাকাটি করে দোয়া করেছি। আপনজনের বিশ্বাস, ভালোবাসা হারিয়ে এখন আমি আমার স্বামীর সঙ্গে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারি না। এর পরও কি আমি আমার স্বামীর কাছে দাবিদার থাকব?
0 Comments