Subscribe Us

হে পথিক ভবিষ্যৎ বলে কিছু নাই ,আসোল ভবিষ্যৎ হলো পরোকাল

বিদআতি বই পড়ার হুকুম কি?

মাদীনাহর অন্যতম ‘আলিম ও ফাক্বীহ, আশ-শাইখুল ‘আল্লামাহ ‘উবাইদ বিন ‘আব্দুল্লাহ আল-জাবিরী (হাফিযাহুল্লাহ) বলেন:
” ﺇﻥَّ ﺍﻟﻨَّﻈﺮ ﻓﻲ ﻛﺘﺐ ﺍﻻﻧﺤﺮﺍﻑ ﻟﻪ ﺛﻼﺛﺔ ﺃﺣﻜﺎﻡ :
١- ﻣﺎ ﻛﺎﻥ ﺑﺪﻋﺔً ﺧﺎﻟﺼﺎً ﻟﻴﺲ ﻓﻴﻪ ﺷﻲﺀٌ ﻣﻦ ﺍﻟﺴُﻨَّﺔ، ﻭﻣﺜﺎﻝ ﺫﻟﻚ " : ﺃﺻﻮﻝ ﺍﻟﻜﺎﻓﻲ " ﻟﻠﻜُﻠَﻴْﻤﻲّ ﻭﻏﻴﺮﻩ ﻣﻦ ﻛُﺘُﺐ ﺍﻟﺮﺍﻓﻀﺔ، ﻓﻬﺬﺍ ﻳﺤﺮﻡ ﺍﻟﻨﻈﺮ ﻓﻴﻪ ﻭﻣﻄﺎﻟﻌﺘﻪ ﺇﻻَّ ﻟﻌﺎﻟﻢٍ ﻣﺘﻤﻜﻦ ﻳﺮﻳﺪ ﺍﻟﺮﺩَّ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻘﻮﻡ ﻣﻦ ﻛﺘﺒﻬﻢ .
ﺳﻤﻌﺘﻢ؟ ﺷﺮﻃﻴﻦ ١- : ﻋﺎﻟﻢ ﻣﺘﻤﻜﻦ ٢- . ﻳﺮﻳﺪ ﺍﻟﺮَّﺩ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻘﻮﻡ ﻣﻦ ﻛﺘﺒﻬﻢ .
٢- ﻣﺎ ﻛﺎﻥ ﺧﻠﻴﻄﺎً ﻓﻴﻪ ﺳُﻨَّﺔٌ ﻭﺑﺪﻋﺔ؛ ﻓﻬﺬﺍ ﻻ ﻳﺤﻞ ﺍﻟﻨﻈﺮُ ﻓﻴﻪ ﺇﻻَّ ﻟﻌﺎﻟﻢٍ ﻣُﺘﻤﻜﻦ ﻗﺎﺩﺭٌ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﺘﻤﻴﻴﺰ ﺑﻴﻦ ﺍﻟﺼﺤﻴﺢ ﻭﺍﻟﺴﻘﻴﻢ ﻭﺍﻟﻐﺚ ﻭﺍﻟﺴﻤﻴﻦ ﻭﺍﻟﺴﻨﺔ ﻭﺍﻟﺒﺪﻋﺔ؛ ﻭﻣﻦ ﺃﻣﺜﻠﺔ ﺫﻟﻚ : " ﺍﻟﻜﺸَّﺎﻑ " ﻟﻠﺰﻣﺨﺸﺮﻱ، ﺗﻔﺴﻴﺮ ﺍﻟﻜﺸَّﺎﻑ ﻟﻠﺰﻣﺨﺸﺮﻱ، ﻓﺈﻥَّ ﺍﻟﺰﻣﺨﺸﺮﻱ ﻣﻌﺘﺰﻟﻲ ﺟﻠﺪ، ﻣﺎﻛﺮٌ ﺩﺍﻫﻴﺔٌ، ﻳﺪُﺱُّ ﺍﻋﺘﺰﺍﻟﻴﺎﺗﻪ؛ ﻓﺎﻟﻤُﺘﻤﻜِّﻦُ ﻣﻦ ﺃﻫﻞ ﺍﻟﻌﻠﻢ ﻳﺴﺘﻔﻴﺪُ ﻣﻤﺎ ﻓﻴﻪ ﻣﻦ ﺍﻟﻤﻌﺎﻧﻲ ﻭﺍﻟﺒﻼﻏﺔ ﻭﺍﻟﺒﺪﻳﻊ ﻭﺍﻟﻠﻐﺔ ﻭﺍﻟﻨﺤﻮ ﻭﻏﻴﺮ ﺫﻟﻚ ﻣﺎ ﺩﺍﻣﺖ ﻋﻨﺪﻩ ﺍﻟﻘﺪﺭﺓُ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﺘﻤﻴﻴﺰ .
٣- ﺍﻟﺜﺎﻟﺚُ ﻣﺎ ﻛﺎﻥ ﺧﺎﻟﻴﺎً ﻣﻦ ﺍﻟﺒﺪﻋﺔ، ﺻﺎﺣﺒﻪُ ﻣﺒﺘﺪﻉ ﻣُﺆﻟﻔﻪ ﻣﺒﺘﺪﻉ ﻭﻟﻜﻦَّ ﺍﻟﻜﺘﺎﺏ ﻟﻴﺲ ﻓﻴﻪ ﺑﺪﻋﺔ، ﻳﺆﻟﻒُ ﻣﺜﻼً ﻓﻲ ﺍﻟﻔﻘﻪ، ﻓﻲ ﺍﻟﻄﻬﺎﺭﺓ، ﻓﻲ ﺍﻟﺒﻴﻮﻉ، ﻭﻻ ﻳﺪﺱُّ، ﻳﻘﻮﻝ ﻟﻴﺲ ﻟﻲ ﺷﺄﻥ، ﺃﻧﺎ ﺃﺅﻟﻒ ﺃﻃﻠﺐ ﺍﻟﻤﻌﻴﺸﺔ، ﺃﻃﻠﺐ ﺍﻟﺮﺯﻕ ﻣﻦ ﻫﺬﺍ ﺍﻟﺘﺄﻟﻴﻒ، ﺃﻭ ﻳﺄﺧﺬ ﻣﺜﻼً ﻛﺘﺎﺑﺎً ﻣﻦ ﻛُﺘُﺐ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ ﻭﻳﺮﺗﺒﻪ ﻭﻳﻨﻈﻢُ ﺃﺑﻮﺍﺑﻪُ ﻭﻳُﺮﻗﻤﻪ ﻓﻘﻂ، ﻭﻻ ﻳﺪﺧﻞ ﺷﻴﺌﺎً ﻣﻦ ﺑﺪﻋﺘﻪ، ﻓﻬﺬﺍ ﺇﺫﺍ ﺃﺭﺷﺪﻙ ﺇﻟﻴﻪ ﻋﺎﻟﻢٌ ﻣﺘﻤﻜﻦٌ ﺃﺭﺷﺪﻙ ﺇﻟﻰ ﻫﺬﺍ ﺍﻟﻜﺘﺎﺏ، ﻭﻗﺎﻝ ﻟﻚ : ﺇﻥ ﻛﺘﺎﺏ ﻓُﻼﻥ ﻟﻴﺲ ﻓﻴﻪ ﺑﺪﻋﺔ، ﻃﺎﻟﻌﺘﻪُ ﻭﺧﺒَﺮﺗﻪُ، ﺍﻟﻜﺘﺎﺏ ﺍﻟﻔﻼﻧﻲ ﻟﻴﺲ ﻓﻴﻪ ﺷﻲﺀٌ ﻣﻦ ﺑِﺪَﻋِِﻪِ، ﻓﻼ ﻣﺎﻧﻊ ﻣﻦ ﻗﺮﺍﺀﺗﻪ . ﺍﻫـ “
“বিদ‘আতিদের বই পড়ার ৩টি বিধান রয়েছে। যথা:
১. যে বই বিদ‘আতে পরিপূর্ণ এবং তাতে কোন সুন্নাহ নেই, যেমন: কুলাইমীর “উসূলুল কাফি” এবং রাফিদ্বী শী‘আদের অন্যান্য বই। এমন বই পড়া হারাম। তবে কোনো সামর্থবান ‘আলিম যদি কোনো সম্প্রদায়কে তাদের বই দিয়ে রাদ্দ করতে চান (তাহলে জায়েয)। তোমরা কি শুনেছো ? শর্ত হলো দুইটি: ক. সামর্থবান ‘আলিম খ. তিনি তাদের বই দিয়ে তাদেরকে রাদ্দ করতে চান।
২. যে বই সুন্নাহ ও বিদ‘আহ মিশ্রিত। এই বইও সামর্থবান ‘আলিম ছাড়া অন্য কারো জন্য পড়া জায়েয নয়; এমন ‘আলিম যিনি সাহীহ-দ্বা‘ঈফ, ভালো-মন্দ, সুন্নাহ-বিদ‘আহ প্রভৃতির মধ্যে পার্থক্য করতে পারেন। এমন বই এর উদাহরণ হলো— যামাখশারীর “তাফসীরে কাশশাফ”। যামাখশারী ছিলো কট্টর মু‘তাযিলী, আর ধূর্ত কূটকৌশলী, সে তার মু‘তাযিলী ‘আক্বীদাহ বইয়ে প্রবিষ্ট করতো। ‘আলিমদের মধ্যে যারা সামর্থবান, তাঁরা এই বইয়ে উল্লিখিত শব্দার্থ, অলঙ্কারশাস্ত্র, আরবি ভাষার চমৎকার বাক্যবিন্যাস-শাস্ত্র, ভাষাবিজ্ঞান, নাহূশাস্ত্র প্রভৃতি থেকে উপকার লাভ করতে পারেন; যতক্ষণ পর্যন্ত তাঁর কাছে সাহীহ-দ্বা‘ঈফ, ভালো-মন্দ, সুন্নাহ-বিদ‘আহ প্রভৃতির মধ্যে পার্থক্য করার সক্ষমতা থাকে।
৩. যে বই বিদ‘আত থেকে মুক্ত। বইয়ের লেখক বিদ‘আতি, কিন্তু বইয়ে কোনো বিদ‘আত নেই। যেমন কেউ ফিক্বহশাস্ত্রের বই লিখেছে, পবিত্রতা, ব্যবসাবাণিজ্য প্রভৃতির ক্ষেত্রে বই লিখেছে এবং বইয়ে কোনো বিদ‘আত প্রবিষ্ট করেনি। সে বলে যে, “আমার (অন্য) কোনো ব্যাপার নেই, আমি জীবিকা নির্বাহের জন্য বই লিখি, আমি এই বইয়ের মাধ্যমে রিযিক অন্বেষণ করি।” সে হয়ত কোনো হাদীসগ্রন্থের অধ্যায়গুলো বিন্যস্ত করে, হাদীসের নম্বর দেয় এবং তাতে কোনো বিদ‘আত প্রবেশ করায় না। যদি কোনো সামর্থবান ‘আলিম এই বই পড়ার পরামর্শ দেন, তাহলে আমিও তোমাকে তা অধ্যয়ন করার পরামর্শ দিই। আর সেই ‘আলিম তোমাকে বলেন যে, “অমুক লোকের এই বইয়ে কোনো বিদ‘আত নেই। সেটা আমি পড়েছি এবং নিরীক্ষা করেছি। অমুক বইয়ে কোনো বিদ‘আত নেই।” তাহলে এই বই পড়ায় কোনো আপত্তি নেই।”
http://www.ajurry.com/Kotob-Manhag.htm
অনুবাদক: রাক্বীবুন ‘আতীদ জিহাদ
সম্পাদনা: মুহাম্মাদ ‘আব্দুল্লাহ মৃধা

Post a Comment

0 Comments