Subscribe Us

হে পথিক ভবিষ্যৎ বলে কিছু নাই ,আসোল ভবিষ্যৎ হলো পরোকাল

আহলেহাদীস জামা‘আতের বিরুদ্ধে কতিপয় মিথ্যা অপবাদ পর্যালোচনা part 5

 

আহলেহাদীস  জামা‘আতের বিরুদ্ধে কতিপয় মিথ্যা অপবাদ পর্যালোচনা(৫ম কিস্তি

ভুল ধারণা-৫ :
আহলেহাদীছগণ ইমাম চতুষ্টয়কে মানেন না এবং তাদেরকে গোমরাহ বলেন :
আহলেহাদীছ সম্পর্কে আরেকটি বিভ্রান্তি হ’ল, তারা ইমাম চতুষ্টয়কে মানে না; বরং তাদের শানে বেয়াদবী করে এবং তাদেরকে গোমরাহ আখ্যায়িত করে। আসুন দেখা যাক এ ব্যাপারে বাস্তবে আহলেহাদীছদের অবস্থান কী?
১. ইমামদের সম্পর্কে আহলেহাদীছদের অবস্থান :
এ ব্যাপারে বর্তমান সময়ের একজন বড় মাপের আহলেহাদীছ আলেম শায়খ ছালেহ আল-ফাওযান (রহঃ) বলেন,وَهَذَا هُوَ الْقَوْلُ الْحَقُّ الْوَسْطُ : نَأْخُذُ مِنْ اَقْوَالِ الْعُلَمَاءِ وَالْفُقَهَاءِ مَا وَافَقَ الدَّلِيْلُ ِمنْ كِتَابٍ وَسُنَّةٍ وَنَتْرُكُ مَا خَالَفَ الدَّلِيْلُ وَنَعْتَذِرُ لِلْعُلَمَاءِ فِيْ خَطْئِهِمْ وَنَعْرِفُ قُدْرَهُمْ وَلَا نَنْتَقِصُهُمْ- ‘সঠিক ও ন্যায়ভিত্তিক মত এটাই যে, আমরা আলেম ও ফক্বীহদের সেই বক্তব্য গ্রহণ করি, যা কুরআন ও হাদীছের দলীল মোতাবেক হয়, আর যা দলীলের সাথে সাংঘর্ষিক তা পরিত্যাগ করি।[1] আমরা আলেমদের ইজতেহাদী ভুলের জন্য তাদেরকে ক্ষমার্হ মনে করি, তাঁদেরকে সম্মান করি। তাদের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করি না’।[2]
আহলেহাদীছদের নিকটে ইমাম চতুষ্টয় ত্রুটিমুক্ত নন। কিন্তু তাঁরা অবশ্যই সম্মান পাওয়ার যোগ্য। তাঁদের ইলমী অবদান স্বীকার না করা স্বয়ং আল্লাহর অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা। কেননা এঁরা আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে উম্মতে মুহাম্মাদীর জন্য একটা নে‘মত। তাঁরা এমন সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ, যারা তাদের যুগে কুরআন ও সুন্নাহর শিক্ষাকে ব্যাপকভাবে প্রচার করেছেন এবং আগত বহু জটিল মাসআলায় কুরআন ও সুন্নাহর দলীলগুলোকে গবেষণা করে উম্মতকে পথ প্রদর্শন করেছেন। এসব মহান ব্যক্তির গবেষণা ও ইলমী খেদমতের ফায়েদা স্রেফ তাঁদের যুগ পর্যন্ত সীমাবদ্ধ ছিল না। বরং পরবর্তী সময়েও উম্মতের জন্য মাসআলা-মাসায়েলে চিন্তা, গবেষণা ও ইজতেহাদ করার পদ্ধতির ব্যাপারে এক আলোকবর্তিকা স্বরূপ। এ সমস্ত মহান ব্যক্তির খেদমতের প্রতি অসম্মান করা বস্ত্তত আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ না করা। কেননা যে মানুষের শুকরিয়া আদায় করে না সে আল্লাহরও শুকরিয়া আদায় করে না।
চার ইমামের ব্যাপারে আহলেহাদীছদের অবস্থান এই যে, তাদের ইলমী খেদমত থেকে উপকৃত হ’তে হবে। কিন্তু তাঁদের কোন একজনের অনুসারী হয়ে অন্যদের প্রতি গোঁড়ামি করা যাবে না। এরূপ যেন না হয় যে, আমরা একজন ইমামের সমস্ত মত মেনে নিব এবং অন্য তিন ইমামের কোন মতই মানতে প্রস্ত্তত থাকব না। আহলেহাদীছদের নিকট এ ধরনের কর্মপদ্ধতি বেইনছাফী। এরূপ গোঁড়ামির কারণে মানুষ তিন ইমামের রেখে যাওয়া মূল্যবান ইলমী উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে যায়। আবার এটা কোথাকার মূলনীতি যে, একজন ইমামের বিপরীতে অন্য তিনজন ইমামের মতামতকে বিনা দলীলে পরিত্যাগ করা হবে?
বিস্ময়ের ব্যাপার হ’ল, আহলেহাদীছ যদি নবী করীম (ছাঃ)-এর কথার বিপরীতে কোন ইমামের কোন একটি কথা মেনে না নেয় তবে তাদেরকে ইমামদের বিরোধিতাকারী বা অস্বীকারকারী এমনকি তাঁদের দুশমন ও তাদের শানে বেয়াদবীকারী হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়। কিন্তু একজন গায়ের আহলেহাদীছ ব্যক্তি শুধু স্বীয় ইমামের তাক্বলীদের কারণে এক সাথে তিন তিনজন ইমামের কথা নিঃসংকোচে বাদ দিলেও তাকে ইমামদের শানে না বেয়াদবীকারী বলা হয়, আর না অস্বীকারকারী। বরং সে স্বীয় ইমামের কথা মানার কারণে নবী করীম (ছাঃ)-এর কথার প্রতি ভ্রূক্ষেপ না করলেও তার দ্বীন ও ঈমানের মধ্যে কোন পার্থক্য সূচিত হয় না।
আহলেহাদীছগণ ইমামদের সেসব কথা মান্য করেন, যার স্বপক্ষে কুরআন ও সুন্নাহর দলীল মওজূদ রয়েছে। আর তারা সেসব কথাকে পরিত্যাগ করেন যা দলীলের সাথে সাংঘর্ষিক হয়। তারা কোন একজন ইমামের সব মতকে মেনে নিয়ে অন্য ইমামদের মতামতকে অগ্রাহ্য করেন না। বরং প্রত্যেকের দালীলিক (প্রমাণপুষ্ট) মতকে মেনে নেন। আর তাঁদের জ্ঞানগত ভুল-ত্রুটির ব্যাপারে সতর্ক করা সত্ত্বেও তাদের শানে বেয়াদবী করা থেকে মুক্ত থাকেন। এমনকি যদি কোন মাসআলায় তাঁদের মত দলীলের বিপরীত বা দুর্বল প্রমাণিত হ’লেও তাদের প্রতি সুধারণা পোষণ করতঃ তাদের জন্য ওযর তালাশ করেন যে, হয়তবা তাঁদের নিকট এ হাদীছ পৌঁছেনি অথবা তাঁরা এর অন্য কোন অর্থ বুঝেছেন অথবা সেটাকে মানসূখ মনে করেছেন অথবা সেটা গ্রহণযোগ্য হওয়ার ব্যাপারে সন্ধিগ্ধ ছিলেন প্রভৃতি।
২. মুজতাহিদের ফায়ছালায় ভুল ও সঠিক উভয়ের সম্ভাবনা থাকে : এখানে প্রশ্ন উত্থাপিত হয় যে, একজন বড় মাপের আলেম কিভাবে দ্বীনের বিষয়ে ফায়ছালা করতে গিয়ে ভুল করে বসেন? এর জবাব স্বয়ং নবী করীম (ছাঃ)-এর হাদীছে মওজূদ রয়েছে। আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) বলেন,إِذَا حَكَمَ الحَاكِمُ فَاجْتَهَدَ ثُمَّ أَصَابَ فَلَهُ أَجْرَانِ، وَإِذَا حَكَمَ فَاجْتَهَدَ ثُمَّ أَخْطَأَ فَلَهُ أَجْرٌ- ‘যখন বিচারক ফায়ছালা করতে গিয়ে ইজতেহাদ করে এবং সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হয়; তাহ’লে তার জন্য দু’টি নেকী রয়েছে। আর যদি সে ফায়ছালা করতে গিয়ে ইজতেহাদ করে ও ভুল করে তাহ’লে তার জন্য এক নেকী’।[3]
উপরোক্ত হাদীছ থেকে দু’টি বিষয় প্রতীয়মান হয়। যথা : (১) কখনো ফায়ছালা করতে মুজতাহিদের ভুল হ’তেও পারে। (২) মুজতাহিদ ইজতেহাদ করার প্রচেষ্টার কারণে ভুল হওয়া সত্ত্বেও একটি নেকী অবশ্যই পাবেন। নবী করীম (ছাঃ)-এর ফরমানের পরে এখন কোন মুমিন এটা বলার দুঃসাহস দেখাতে পারে না যে, মুজতাহিদের ভুল হ’তে পারে না।
(৩) আহলেহাদীছগণ মুজতাহিদের ইজতিহাদী ভুলের ক্ষেত্রে তার আনুগত্য করেন না :
এখানে কোন ব্যক্তির এ বিভ্রান্তিতে পড়া উচিত নয় যে, যে মাসআলায় ভুল হওয়া সত্ত্বেও মুজতাহিদ নেকী পান সেই মাসআলার উপর আমল করে আমরাও নেকী ও পুরষ্কার পাব। সে কারণ আমরা ঠিক করি আর ভুল করি সর্বাবস্থায় নেকীর অধিকারী হব। মুজতাহিদের সাথে কোন মাসআলায় আমাদের মতভেদ করার প্রয়োজন নেই। যদি কোন ব্যক্তি এ ধরনের চিন্তাধারাকে উছূল (মূলনীতি) বানিয়ে ফেলে তাহ’লে এটা তার ভুল। কেননা এ খোশ চিন্তার দুর্গকে তছনছ করার জন্য খলীফা ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ)-এর ফায়ছালাই যথেষ্ট। ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) বলেন,السُّنَّةُ مَا سَنَّهُ اللهُ وَرَسُولُهُ، لَا تَجْعَلُوْا خَطَأَ الرَّأْيِ سُنَّةً لِلْأُمَّةِ- ‘সুন্নাত (তরীকা) তো সেটাই যা আল্লাহ ও তদ্বীয় রাসূল চালু করেছেন। তোমরা কারো ভুল রায়কে উম্মতের জন্য সুন্নাত হিসাবে নির্ধারণ কর না’।[4]
একথার সমর্থন স্বয়ং কুরআনুল কারীমের এ আয়াত থেকে পাওয়া যায়-وَلَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ فِيمَا أَخْطَأْتُمْ بِهِ وَلَكِنْ مَا تَعَمَّدَتْ قُلُوبُكُمْ وَكَانَ اللهُ غَفُورًا رَحِيمًا ‘আর পিতৃ পরিচয়ের ব্যাপারে তোমরা কোন ভুল করলে তাতে তোমাদের কোন অপরাধ নেই। কিন্তু তোমাদের অন্তরে দৃঢ় সংকল্প থাকলে অপরাধ হবে। বস্ত্ততঃ আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু’ (আহযাব ৩৩/৫)।
বুঝা গেল যে, জেনে-বুঝে ভুল করা কারো জন্য জায়েয নয়। চাই তিনি মুজতাহিদ হোন বা অন্য কেউ। সেকারণ যার নিকট দলীলের আলোকে হক কথা প্রকাশিত হবে, তার জন্য স্বয়ং নিজে ভুলের উপর চলার অবকাশ থাকবে আর না অন্যদেরকে তার উপর চালানোর। স্বয়ং মুজতাহিদগণ তাদের ভুল বুঝতে পারলে তা থেকে ফিরে আসতেন। সেজন্য যে ব্যক্তি মুজতাহিদগণের পদাঙ্ক অনুসরণ করার দাবী করছেন তাকে তাঁদের মত ভুল পথ থেকে সরে এসে হকের প্রতি আগুয়ান হওয়ার প্রমাণ দিতে হবে।
উদাহরণ স্বরূপ ইমাম আবু হানীফা (রহঃ)-এর উক্তি দেখুন। তিনি স্বীয় শিষ্য ইমাম আবু ইউসুফকে বলেন,وَيْحَكَ يَا يَعْقُوْبُ لَا تَكْتُبْ كُلَّ مَا تَسْمَعُ مِنِّيْ فَإِنِّي قَدْ أَرَى الرَّأْيَ الْيَوْمَ وَأَتْرُكُهُ غَدًا وَأَرَى الرَّأْيَ غَدًا وَأَتْرُكُهُ بَعْدُ غَداً ‘সাবধান হে ইয়া‘কূব (আবু ইউসুফ)! আমার নিকট থেকে যা-ই শুনো তাই-ই লিখে নিয়ো না। কেননা আমি আজ যে রায় দেই, কাল তা পরিত্যাগ করি। কাল যে রায় দেই পরশু তা প্রত্যাহার করি’।[5]
৪. কোন একজন ইমামের তাক্বলীদ ওয়াজিব হওয়ার উপর কখনো ইজমা হয়নি[6] :
এখানে কোন মানুষ একথা বলতে পারেন যে, আমরা মুজতাহিদের মতামতকে এজন্য ছাড়তে পারি না যে, তাঁদের তাক্বলীদের উপর উম্মতের ইজমা হয়েছে। এসব বুযুর্গদের নিকটে নিবেদন হ’ল যে, তাদের এ দাবী স্ববিরোধিতা ও মতানৈক্যের শিকার। আব্দুল হাই লাক্ষ্ণৌবী বলেন,مذہب معين كي تقليد کے وجوب کے بارے ميں ہر زمانہ كے علماء ميں اختلاف رہا ہے- ‘নির্দিষ্ট মাযহাবের তাক্বলীদ ওয়াজিব হওয়ার ব্যাপারে সব যুগের আলেমদের মাঝে মতানৈক্য ছিল’।[7]
দেখুন ‘প্রত্যেক যুগে কোন এক মাযহাবের তাক্বলীদ ওয়াজিব হওয়ার উপর আলেমগণ একমত হ’তে পারেননি। এখন প্রশ্ন হ’ল এই যে, তাহ’লে এ ‘ইজমা’ সর্বশেষ কোন যুগে হয়েছে? প্রকৃত সত্য এই যে, উম্মতের কোন ব্যক্তিকে নবী ব্যতীত অন্য কারো সকল কথার অনুসারী করা কোন দলীল দ্বারা প্রমাণিত নয়। মুসলমানরা না এর উপর কখনো একমত হয়েছে, আর না একমত হ’তে পারে। এটা শুধু দাবী। যার পিছনে মাযহাবী গোঁড়ামি ও নিজেদের আবিষ্কৃত মাযহাবকে অন্য মাযহাবের উপর প্রাধান্য দেয়ার মনোবৃত্তি ছাড়া অন্য কোন দলীল নেই। বরং ‘ইজমা’ তো এর উল্টো হয়েছে।
স্বয়ং আশরাফ আলী থানবী ছাহেব বলেন, ‘যদিও এ বিষয়ে ইজমা উল্লেখ করা হয়েছে যে, চার মাযহাবকে বর্জন করে পঞ্চম মাযহাব সৃষ্টি করা জায়েয নয়। অর্থাৎ যে মাসআলাটি চার মাযহাব অনুসারীদের বিরোধী হবে, তার উপরে আমল করা জায়েয নয়। কারণ এই চার মাযহাবের মধ্যেই হক সীমাবদ্ধ ও সীমিত রয়েছে। কিন্তু এর পক্ষেও কোন দলীল নেই। কেননা আহলে যাহের বা যাহেরী মতবাদের লোকজন প্রত্যেক যুগেই বিদ্যমান রয়েছে। আর এটাও নয় যে, তারা প্রত্যেকে প্রবৃত্তিপূজারী এবং উক্ত ঐক্যমত থেকে আলাদা থাকবে। দ্বিতীয়তঃ যদি ইজমা সাব্যস্তও হয়ে যায়, তবুও তাক্বলীদে শাখছীর উপরে তো কখনো ইজমা-ই হয়নি’।[8]
এখানে কয়েকটি বিষয় সামনে এসেছে-
(১) কোন কোন কথার উপর ইজমার দাবী করা হ’লেও তা দলীল বিহীন।
(২) হক চার মাযহাবের মধ্যে সীমাবদ্ধ হওয়ার দাবী দলীলের দৃষ্টিকোণ থেকে সঠিক নয়।
(৩) তাক্বলীদে শাখছীর উপর তো আদতে কখনো ইজমা হয়-ইনি।
এ বিষয়টিকে সামনে রাখলে উম্মতের কাউকে এক ইমাম অথবা চার মাযহাবের কোন একটির অনুসারী করা একটা দলীল বিহীন বিষয়ের অনুসরণকারী করার নামান্তর। সকল যুগে বিদ্বানগণ যার বিরোধিতা করেছেন।
[চলবে]
[1].وَمِنْهَا تَقْلِيد غير الْمَعْصُوم أَعنِي غير النَّبِي الَّذِي ثبتَتْ عصمته، وَحَقِيقَته أَن يجْتَهد وَاحِد من عُلَمَاء الْأمة فِي مَسْأَلَة، فيظن متبعوه أَنه على الْإِصَابَة قطعا أَو غَالِبا، فيردوا بِهِ حَدِيثا صَحِيحا، وَهَذَا التَّقْلِيد غير مَا اتّفق عَلَيْهِ الْأمة المرحومة، فَإِنَّهُم اتَّفقُوا على جَوَاز التَّقْلِيد للمجتهدين مَعَ الْعلم بِأَن الْمُجْتَهد يُخطئ، ويصيب، وَمَعَ الاستشراف لنَصّ النَّبِي صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمِنْهَا تَقْلِيد غير الْمَعْصُوم أَعنِي غير النَّبِي الَّذِي ثبتَتْ عصمته، وَحَقِيقَته أَن يجْتَهد وَاحِد من عُلَمَاء الْأمة فِي مَسْأَلَة، فيظن متبعوه أَنه على الْإِصَابَة قطعا أَو غَالِبا، فيردوا بِهِ حَدِيثا صَحِيحا، وَهَذَا التَّقْلِيد غير مَا اتّفق عَلَيْهِ الْأمة المرحومة، فَإِنَّهُم اتَّفقُوا على جَوَاز التَّقْلِيد للمجتهدين مَعَ الْعلم بِأَن الْمُجْتَهد يُخطئ، ويصيب، وَمَعَ الاستشراف لنَصّ النَّبِي صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ হুজ্জাতুল্লাহিল বালেগাহ ১/২১২-২১৩ পৃ.। ইবনু তায়মিয়া বলেছেন, أَمَّا وُجُوبُ اتِّبَاعِ الْقَائِلِ فِي كُلِّ مَا يَقُولُهُ مِنْ غَيْرِ ذِكْرِ دَلِيلٍ يَدُلُّ عَلَى صِحَّةِ مَا يَقُولُ فَلَيْسَ بِصَحِيحِ؛ بَلْ هَذِهِ الْمَرْتَبَةُ هِيَ ” مَرْتَبَةُ الرَّسُولِ ” الَّتِي لَا تَصْلُحُ إلَّا لَهُ মাজমূ‘ ফাতাওয়া, ৩৫/১২১।
[2]. আল-আজবিবাহ আল-মুফীদাহ আন আসইলাতিল মানাহিজ আল-জাদীদাহ, প্রশ্ন-২৫।
[3]. বুখারী হা/৭৩৫২; মুসলিম হা/৩২৪০।
[4]. জামেউ বায়ানিল ইলম, পৃঃ ২০১৪, ই‘লামুল মুওয়াক্কিঈন ১/৫৭।
[5]. ইবনু আবেদীন, আল-বাহরুর রায়েক্ব-এর হাশিয়া ৬/২৯৩।
[6]. وَقد صَحَّ إِجْمَاع الصَّحَابَة كلهم أَوَّلهمْ عَن آخِرهم وَإِجْمَاع التَّابِعين أَوَّلهمْ عَن آخِرهم على الِامْتِنَاع وَالْمَنْع من أَن يقْصد مِنْهُم أحد إِلَى قَول إِنْسَان مِنْهُم أَو مِمَّن قبلهم، فَيَأْخذهُ كلهم (হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ ২/২৬৩-৬৪, চারশত হিজরীর আগের ও পরের লোকদের অবস্থার বর্ণনা)
[7]. আব্দুল হাঈ, মাজমূ ফাতাওয়া, পৃ. ১৪৯, ১২৯ নং প্রশ্নের জবাব দ্রঃ।
[8]. তাযকিরাতুর রশীদ ১/১৩১।

Post a Comment

0 Comments