মুসলিমদের এত জুলুম করা হচ্ছে, আহলে হাদীসরা চুপ কেন?
সারা পৃথিবীতে মুসলমানরা নির্যাতিত হচ্ছে, এটা আমরা সবাই জানি। কিন্তু এর জন্য জামাতি-ইখুয়ানী, খারেজীরা আহলে হাদীসদের আলেমদেরকে প্রশ্ন করছে, আহলে হাদীসদের আলেমরা কেন এই বিষয়ে চুপ? পৃথিবীতে মধ্যপ্রাচ্যের রাষ্ট্রগুলো যেমন সিরিয়া, ইয়ামান, ফিলিস্তিনি, আফগানিস্তান, ইরাক, ভারত ও মায়ানমারসহ অনেক রাষ্ট্রে মুসলমানদের উপর নির্যাতন করা হচ্ছে। এত ইসলামি দল থাকতেও বিশেষ করে বাংলাদেশের জামাতে ইসলামির ভাইয়েরা শায়েখ মতিউর রহমান মাদানীর কাছ থেকে প্রতিবাদ আশা করছেন। যেহেতু তিনি ভারতের নাগরিক, আর তার দেশে বর্তমানে সংখ্যালঘু মুসলমানরা নির্যাতিত হচ্ছে।
প্রথমত একটি বিষয় হলো পৃথিবীতে যত মুসলমান আছে, তাদের মধ্যে সালাফি/আহলে হাদীসদের সংখ্যা শতকরা প্রায় ১০% হবে। বাকিরা বিভিন্ন ফিরকার, যেমন শিয়া, খারেজী, মুরজিয়া, মুতাজিলা ইত্যাদি আকিদার আর তাদের দলও রয়েছে অনেক। কিন্তু তাদেরকে উদ্দেশ্য করে কেউ প্রতিবাদ চায় না, শুধু আহলে হাদীসদের পিছনে লেগে আছে, যে আহলে হাদীস/সালাফিরা কেন কিছু বলছে না? মনে হচ্ছে আহলে হাদীসদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি!
তাদের এই অভিযোগ সম্পূর্ন মিথ্যা। জালিমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার নিয়ম, ইসলাম আমাদের শিখিয়েছে। আপনার সামর্থ দিয়ে আপনি জালেমকে বাঁধা দিন, প্রথমে হাত, না পারলে মুখ দিয়ে, না পারলে অন্তর দিয়ে ঘৃণা করতে হবে। এটা ইমানের সর্বনিম্ন স্তর। কিন্তু চুপ করে থাকার কথা কখনো ইসলাম শেখায়নি। আর আহলে হাদীসরাও চুপ করে নেই। তারা তাদের সামর্থ অনুযায়ী প্রতিবাদ করে যাচ্ছে, জালেম সরকারকে নসিহত করার মাধ্যমে।
কিন্তু জামাতে ইসলামী দলের ভাইয়েরা বলছে, না না না, এভাবে বললে হবে না। আপনারা কেন জালেম সরকারের বিরুদ্ধে জনগনকে কেন উষ্কে দিচ্ছেন না। মানে দেশের পরিস্থিতি কেন আপনারা অস্থির করছেন না? এভাবে কি আর জালেমকে থামানো যায়? জালেমের বিরুদ্ধে জনগনকে বিদ্রোহ করার কথা কেন আপনারা বলছেন না?
সরকাকে নসিহত করতে হবে সরকারের কাছে গিয়ে। সরকারের বিরুদ্ধে জনগনকে উষ্কে দেয়া ইসলাম শেখায়নি। হযরত মুসা আঃ আল্লাহর আদেশে ফেরাউনের কাছে নম্রভাবে, তার সামনে গিয়ে নসিহত করেছেন। তিঁনি ফেরাউনের বিরুদ্ধে ইহুদিদেরকে উষ্কে দেননি। আর জামাতে ইসলামির ভাইয়েরা চাচ্ছেন আহলে হাদীসরা কেন সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করছেন না? এভাবে কখনোই সরকারের জুলুম থামানো যাবে না। বরং সরকার আরও ক্ষেপে যাবে এবং জুলুমের মাত্রা আরও বেড়ে যাবে। আর মাজরুমদের জন্য আহলে হাদীসরা একটি বিশেষ আমল করে, যা অন্যান্য মুসলমানরা করে না। তা হল, আহলে হাদীসরা কুনুতে নাজেলার মাধ্যমে আল্লাহর নিকট দুআ করে, মাজলুমকে জালেমের অত্যাচার থেকে মুক্ত
এবার আমাদের একটা প্রশ্ন, ভারতে আহলে হাদীসদের চেয়ে জামাতে ইসলামিদের সংখ্যা লক্ষ্যগুন বেশি।
তারা মিশরের মাজলুম মুসলমানদের জন্য কি করেছে?
ফিলিস্তিনির মাজলুম মুসলমানদের জন্য কি করেছে?
ইয়ামানের মাজলুম মুসলমানদের জন্য কি করেছে?
ইরাক, আফগানিস্তান, সিরিয়ার মাজলুম মুসলমানদের জন্য কি তারা করেছে?
সবচেয়ে বড় কথা ভারতে জামাতে ইসলামি দলের লোক কয়েক কোটি আর আহলে হাদীসদের সংখ্যা কয়েক লক্ষ্য হবে। এখন আহলে হাদীসদের প্রতিবাদ করার চেয়ে জামাতে ইসলামির প্রতিবাদ করার বিষয়টা বেশি যৌক্তিক। কিন্তু তারা কি করছে? শুধু আহলে হাদীস আর শায়েখ মতিউর রহমান মাদানীর পিছনে পরে আছে।🤣🤣🤣
জামাতি-ইখুয়ানী, খারেজীরা এত আন্দোলন করে, এত বিদ্রোহ করে। কই তারা কেন কিছু করতে পারে না? তারা কেন জুলুম বন্ধ করতে পারছে না। আসলে তারা নিজেরা অপারগ, তাই আহলে হাদীসদের উপর এখন দোষ চাপাতে ব্যাস্ত।
আহলে হাদীসরা সংখ্যায় কম কিন্তু একজন আহলে হাদীসের কথায় জালেম শাসকের ভিত নড়ে যাবে, কোন আন্দোলন কিংবা বোমাবাজির আহলে হাদীসদের প্রযোজন নেই। আহলে হাদীসরা হলো মধ্যমপন্থি। মুরজিয়াদের মত সৈথিল্যবাদী নয় আর খারেজীদের মত চরমপন্থী নয়।
লেখকঃ জাহিদ বিন বেলায়েত Jahid Bin Belayet
— with Amanullah Madani.
সারা পৃথিবীতে মুসলমানরা নির্যাতিত হচ্ছে, এটা আমরা সবাই জানি। কিন্তু এর জন্য জামাতি-ইখুয়ানী, খারেজীরা আহলে হাদীসদের আলেমদেরকে প্রশ্ন করছে, আহলে হাদীসদের আলেমরা কেন এই বিষয়ে চুপ? পৃথিবীতে মধ্যপ্রাচ্যের রাষ্ট্রগুলো যেমন সিরিয়া, ইয়ামান, ফিলিস্তিনি, আফগানিস্তান, ইরাক, ভারত ও মায়ানমারসহ অনেক রাষ্ট্রে মুসলমানদের উপর নির্যাতন করা হচ্ছে। এত ইসলামি দল থাকতেও বিশেষ করে বাংলাদেশের জামাতে ইসলামির ভাইয়েরা শায়েখ মতিউর রহমান মাদানীর কাছ থেকে প্রতিবাদ আশা করছেন। যেহেতু তিনি ভারতের নাগরিক, আর তার দেশে বর্তমানে সংখ্যালঘু মুসলমানরা নির্যাতিত হচ্ছে।
প্রথমত একটি বিষয় হলো পৃথিবীতে যত মুসলমান আছে, তাদের মধ্যে সালাফি/আহলে হাদীসদের সংখ্যা শতকরা প্রায় ১০% হবে। বাকিরা বিভিন্ন ফিরকার, যেমন শিয়া, খারেজী, মুরজিয়া, মুতাজিলা ইত্যাদি আকিদার আর তাদের দলও রয়েছে অনেক। কিন্তু তাদেরকে উদ্দেশ্য করে কেউ প্রতিবাদ চায় না, শুধু আহলে হাদীসদের পিছনে লেগে আছে, যে আহলে হাদীস/সালাফিরা কেন কিছু বলছে না? মনে হচ্ছে আহলে হাদীসদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি!
তাদের এই অভিযোগ সম্পূর্ন মিথ্যা। জালিমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার নিয়ম, ইসলাম আমাদের শিখিয়েছে। আপনার সামর্থ দিয়ে আপনি জালেমকে বাঁধা দিন, প্রথমে হাত, না পারলে মুখ দিয়ে, না পারলে অন্তর দিয়ে ঘৃণা করতে হবে। এটা ইমানের সর্বনিম্ন স্তর। কিন্তু চুপ করে থাকার কথা কখনো ইসলাম শেখায়নি। আর আহলে হাদীসরাও চুপ করে নেই। তারা তাদের সামর্থ অনুযায়ী প্রতিবাদ করে যাচ্ছে, জালেম সরকারকে নসিহত করার মাধ্যমে।
কিন্তু জামাতে ইসলামী দলের ভাইয়েরা বলছে, না না না, এভাবে বললে হবে না। আপনারা কেন জালেম সরকারের বিরুদ্ধে জনগনকে কেন উষ্কে দিচ্ছেন না। মানে দেশের পরিস্থিতি কেন আপনারা অস্থির করছেন না? এভাবে কি আর জালেমকে থামানো যায়? জালেমের বিরুদ্ধে জনগনকে বিদ্রোহ করার কথা কেন আপনারা বলছেন না?
সরকাকে নসিহত করতে হবে সরকারের কাছে গিয়ে। সরকারের বিরুদ্ধে জনগনকে উষ্কে দেয়া ইসলাম শেখায়নি। হযরত মুসা আঃ আল্লাহর আদেশে ফেরাউনের কাছে নম্রভাবে, তার সামনে গিয়ে নসিহত করেছেন। তিঁনি ফেরাউনের বিরুদ্ধে ইহুদিদেরকে উষ্কে দেননি। আর জামাতে ইসলামির ভাইয়েরা চাচ্ছেন আহলে হাদীসরা কেন সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করছেন না? এভাবে কখনোই সরকারের জুলুম থামানো যাবে না। বরং সরকার আরও ক্ষেপে যাবে এবং জুলুমের মাত্রা আরও বেড়ে যাবে। আর মাজরুমদের জন্য আহলে হাদীসরা একটি বিশেষ আমল করে, যা অন্যান্য মুসলমানরা করে না। তা হল, আহলে হাদীসরা কুনুতে নাজেলার মাধ্যমে আল্লাহর নিকট দুআ করে, মাজলুমকে জালেমের অত্যাচার থেকে মুক্ত
এবার আমাদের একটা প্রশ্ন, ভারতে আহলে হাদীসদের চেয়ে জামাতে ইসলামিদের সংখ্যা লক্ষ্যগুন বেশি।
তারা মিশরের মাজলুম মুসলমানদের জন্য কি করেছে?
ফিলিস্তিনির মাজলুম মুসলমানদের জন্য কি করেছে?
ইয়ামানের মাজলুম মুসলমানদের জন্য কি করেছে?
ইরাক, আফগানিস্তান, সিরিয়ার মাজলুম মুসলমানদের জন্য কি তারা করেছে?
সবচেয়ে বড় কথা ভারতে জামাতে ইসলামি দলের লোক কয়েক কোটি আর আহলে হাদীসদের সংখ্যা কয়েক লক্ষ্য হবে। এখন আহলে হাদীসদের প্রতিবাদ করার চেয়ে জামাতে ইসলামির প্রতিবাদ করার বিষয়টা বেশি যৌক্তিক। কিন্তু তারা কি করছে? শুধু আহলে হাদীস আর শায়েখ মতিউর রহমান মাদানীর পিছনে পরে আছে।🤣🤣🤣
জামাতি-ইখুয়ানী, খারেজীরা এত আন্দোলন করে, এত বিদ্রোহ করে। কই তারা কেন কিছু করতে পারে না? তারা কেন জুলুম বন্ধ করতে পারছে না। আসলে তারা নিজেরা অপারগ, তাই আহলে হাদীসদের উপর এখন দোষ চাপাতে ব্যাস্ত।
আহলে হাদীসরা সংখ্যায় কম কিন্তু একজন আহলে হাদীসের কথায় জালেম শাসকের ভিত নড়ে যাবে, কোন আন্দোলন কিংবা বোমাবাজির আহলে হাদীসদের প্রযোজন নেই। আহলে হাদীসরা হলো মধ্যমপন্থি। মুরজিয়াদের মত সৈথিল্যবাদী নয় আর খারেজীদের মত চরমপন্থী নয়।
লেখকঃ জাহিদ বিন বেলায়েত Jahid Bin Belayet
0 Comments