ফিতরা আদায়ের সময়ের ক্ষেত্রে কোন জিনিসটি ধর্তব্য? সেটা কি ইমামের নামায; নাকি ব্যক্তিগত নামায; নাকি নামাযের ওয়াক্ত হওয়া? জাযাকুমুল্লাহু খাইরা।
উত্তর
আলহামদু লিল্লাহ।
ঈদের নামাযের আগে ফিতরা আদায় করা ওয়াজিব। দলিল হচ্ছে ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন:"রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ফিতরা ফরয করেছেন অনর্থক কথা ও যৌনালাপ থেকে রোযাদারকে পবিত্র করার নিমিত্তে এবং মিসকীনদের জন্য খাদ্যের ব্যবস্থাস্বরূপ। যে ব্যক্তি নামাযের আগে সেটি আদায় করবে সেটা কবুলযোগ্য ফিতরা। আর যে ব্যক্তি নামাযের পরে আদায় করবে সেটি হবে সাধারণ সদকা।"[সুনানে আবু দাউদ (১৬০৯), সুনানে ইবনে মাজাহ (১৮২৭), আলবানী সহিহ সুনানে আবু দাউদ গ্রন্থে ও অন্যান্য গ্রন্থে হাদিসটিকে হাসান বলেছেন]
এ হাদিসটির আপাতঃ ভাব হচ্ছে ঈদের নামাযের মাধ্যমে ফিতরা পরিশোধের সময় নির্ধারণ করা। অতঃপর দায়িত্বপ্রাপ্ত ইমাম যখন নামায শেষ করবেন তখনই ফিতরা পরিশোধের সময় শেষ হয়ে যাবে। ব্যক্তিগত নামাযের কোন ধর্তব্য নেই। যদি আমরা ব্যক্তিগত নামায ধর্তব্য বলি তাহলে তো ফিতরার বিধিবদ্ধ কোন সময় পাওয়া যাবে না। তাই ইমামের নামাযকেই ধর্তব্য ধরা হয়েছে।
তবে, কেউ যদি এমন স্থানে থাকে যেখানে ঈদের নামায হয় না; যেমন মরুপ্রান্তর। এমন স্থানের লোকদের ফিতরা আদায়ের সময় তাদের সবচেয়ে নিকটবর্তী স্থানের সময় অনুযায়ী নির্ধারিত হবে।
আল-বুহুতি (রাঃ) বলেন:
"উত্তম হচ্ছে ঈদের দিন নামাযের আগে ফিতরা আদায় করা। আর যে স্থানে ঈদের নামায হয় না সেখানে সম পরিমাণ সময়। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মানুষ ঈদের নামাযে বের হওয়ার আগে সেটা আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন ইবনে উমর (রাঃ) বর্ণিত হাদিসে। আর অপর একদল আলেম বলেছেন: যখন ঈদগাহের উদ্দেশ্যে বের হবে তখন আদায় করা উত্তম।"[কাশ্শাফুল ক্বিনা (২/২৫২)]
আল্লাহ্ই সর্বজ্ঞ।
সূত্র: ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব
উত্তর
আলহামদু লিল্লাহ।
ঈদের নামাযের আগে ফিতরা আদায় করা ওয়াজিব। দলিল হচ্ছে ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন:"রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ফিতরা ফরয করেছেন অনর্থক কথা ও যৌনালাপ থেকে রোযাদারকে পবিত্র করার নিমিত্তে এবং মিসকীনদের জন্য খাদ্যের ব্যবস্থাস্বরূপ। যে ব্যক্তি নামাযের আগে সেটি আদায় করবে সেটা কবুলযোগ্য ফিতরা। আর যে ব্যক্তি নামাযের পরে আদায় করবে সেটি হবে সাধারণ সদকা।"[সুনানে আবু দাউদ (১৬০৯), সুনানে ইবনে মাজাহ (১৮২৭), আলবানী সহিহ সুনানে আবু দাউদ গ্রন্থে ও অন্যান্য গ্রন্থে হাদিসটিকে হাসান বলেছেন]
এ হাদিসটির আপাতঃ ভাব হচ্ছে ঈদের নামাযের মাধ্যমে ফিতরা পরিশোধের সময় নির্ধারণ করা। অতঃপর দায়িত্বপ্রাপ্ত ইমাম যখন নামায শেষ করবেন তখনই ফিতরা পরিশোধের সময় শেষ হয়ে যাবে। ব্যক্তিগত নামাযের কোন ধর্তব্য নেই। যদি আমরা ব্যক্তিগত নামায ধর্তব্য বলি তাহলে তো ফিতরার বিধিবদ্ধ কোন সময় পাওয়া যাবে না। তাই ইমামের নামাযকেই ধর্তব্য ধরা হয়েছে।
তবে, কেউ যদি এমন স্থানে থাকে যেখানে ঈদের নামায হয় না; যেমন মরুপ্রান্তর। এমন স্থানের লোকদের ফিতরা আদায়ের সময় তাদের সবচেয়ে নিকটবর্তী স্থানের সময় অনুযায়ী নির্ধারিত হবে।
আল-বুহুতি (রাঃ) বলেন:
"উত্তম হচ্ছে ঈদের দিন নামাযের আগে ফিতরা আদায় করা। আর যে স্থানে ঈদের নামায হয় না সেখানে সম পরিমাণ সময়। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মানুষ ঈদের নামাযে বের হওয়ার আগে সেটা আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন ইবনে উমর (রাঃ) বর্ণিত হাদিসে। আর অপর একদল আলেম বলেছেন: যখন ঈদগাহের উদ্দেশ্যে বের হবে তখন আদায় করা উত্তম।"[কাশ্শাফুল ক্বিনা (২/২৫২)]
আল্লাহ্ই সর্বজ্ঞ।
সূত্র: ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব
0 Comments