কুরআন তেলাওয়াত শেষে ‘ছাদাক্বাল্লাহুল আযীম’ বলার কোন দলীল পাওয়া যায় না। রাসূল (ছাঃ), ছাহাবায়ে কেরাম এমনকি তাবেঈগণের আমল থেকেও এর বর্ণনা পাওয়া যায় না। সেজন্য অনেক বিদ্বান একে বিদ‘আত বলেছেন (বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৭/৩৩০-৩১; উছায়মীন, ইযালাতুস সাত্তার আনিল জাওয়াবিল মুখতার ৭৯-৮০ পৃ.)। বরং এর পরিবর্তে কুরআন তেলাওয়াত শেষে এ দোআটি পড়া যেতে পারে-سُبْحَانَكَ اَللّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ أشْهَدُ أنْ لاَ اِلَهَ إلاَّ اَنْتَ أسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوْبُ إِلَيْكَ উচ্চারণ : ‘সুবহা-নাকাল্লা-হুম্মা ওয়া বিহামদিকা, আশহাদু আল লা ইলা-হা ইল্লা আনতা, আস্তাগফিরুকা ওয়া আতূবু ইলাইকা’।
অনুবাদ : ‘মহা পবিত্র তুমি হে আল্লাহ! তোমার প্রশংসার সাথে আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তুমি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। আমি তোমার নিকটে ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তোমার দিকেই ফিরে যাচ্ছি (বা তওবা করছি)। (আবুদাউদ হা/৪৮৫৭; মিশকাত হা/২৪৫০; ছহীহাহ হা/৩১৬৪; ইমাম নাসাঈ, আমালুল ইয়াওমি ওয়াল লায়লি হা/৩০৮)।
or
কুরআন তেলাওয়াতের আদব কী? তেলাওয়াত শেষে কুরআন মাজীদকে চুমু খাওয়া ও ‘ছাদাক্বাল্লাহুল আযীম’ বলা যাবে কি?
কুরআন তেলাওয়াতের শুরুতে ‘আঊযুবিল্লাহ’ বলে শুরু করা (নাহল ৮)। সূরা তওবা ব্যতীত অন্য সূরার শুরু থেকে তেলাওয়াত করলে ‘বিসমিল্লাহ’ বলে শুরু করা। সূরার শুরুতে এটি পড়া সুন্নাত (আবুদাঊদ, ইরওয়া হা/৩৪৩, মিশকাত হা/২১৯৬)। সুন্দর আওয়াযে তেলাওয়াত করতে হবে (আহমাদ, আবুদাঊদ, ইবনু মাজাহ, দারেমী, মিশকাত হা/২১৯৯, ২২০৮)। গানের সুরে পড়া যাবে না (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/২১৯২)। কোনরূপ ‘তাকাল্লুফ’ বা ভান করা যাবে না। বরং স্বাভাবিক সুন্দর কণ্ঠে তেলাওয়াত করতে হবে (আহমাদ, আবুদাঊদ, নায়ল ৩/৪৯-৫০; তিরমিযী, মিশকাত হা/২২০৫)। কুরআন তেলাওয়াত শেষে চুমু খাওয়া ও ‘ছাদাকাল্লাহুল আযীম’ বলার কোন দলীল পাওয়া যায় না। বরং কুরআন তেলাওয়াত শেষে বলতে হবে سُبْحَانَكَ اَللّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ أشْهَدُ أنْ لاَ اِلَهَ إلاَّ اَنْتَ أسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوْبُ إِلَيْكَ (ইমাম নাসাঈ, আমালুল ইয়াওমি ওয়াল লায়লি হা/৩০৮)।
0 Comments