Subscribe Us

হে পথিক ভবিষ্যৎ বলে কিছু নাই ,আসোল ভবিষ্যৎ হলো পরোকাল

▌সোশ্যাল মিডিয়ায় শাসকদের নিয়ে ঠাট্টাবিদ্রুপ করার বিধান


▌সোশ্যাল মিডিয়ায় শাসকদের নিয়ে ঠাট্টাবিদ্রুপ করার বিধান  নিচে ভিডিও শুনুন।।
·
সৌদি ফাতাওয়া বোর্ড এবং সৌদি আরবের সর্বোচ্চ ‘উলামা পরিষদের প্রবীণ সদস্য, যুগশ্রেষ্ঠ ফাক্বীহ, সালাফদের অবশিষ্টাংশ, আশ-শাইখ, আল-‘আল্লামাহ, ইমাম সালিহ বিন ফাওযান আল-ফাওযান (হাফিযাহুল্লাহ) [জন্ম: ১৩৫৪ হি./১৯৩৫ খ্রি.] প্রদত্ত ফাতওয়া—
প্রশ্ন: “সম্মানিত শাইখ (আল্লাহ তাঁকে হেফাজত করুন), বিভিন্ন মজলিস, খুতবা ও সোশ্যাল মিডিয়ায় শাসক, কিংবা শাসক কর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসক ও ‘উলামাদের [১] ভুলত্রুটি প্রচার করা এবং তাঁদেরকে নিয়ে ঠাট্টাবিদ্রুপ করার বিধান কী? প্রশ্নটি করেছেন হায়ার জুডিশিয়াল ইন্সটিটিউটের শাইখ ‘আব্দুল মুহসিন বিন সা‘ঈদ আল-ক্বাহত্বানী।”
উত্তর: “এটি পূর্বেই গত ও স্থির হয়েছে যে, এটা হলো খারিজীদের মতাদর্শ। খারিজীরা মুসলিম শাসকদের মর্যাদাহানি করে, তাঁদের ছিদ্রান্বেষণ করে এবং তাঁদের ভুলত্রুটি ফলাও করে প্রচার করে। কিন্তু ওরা হলো বধকৃত, ওদের কৃতকর্মের আপদ ওদের নিজেদের ওপরই বর্তাবে। প্রকৃতপক্ষে তারা কখনোই মুসলিমদের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। বস্তুত মুসলিম শাসকদের সম্মান করা ওয়াজিব। তাঁদের জন্য দু‘আ করা জরুরি। মুসলিম শাসকদের জন্য দু‘আ করা অবশ্য পালনীয় কর্তব্য। ইমাম আহমাদ—যিনি হলেন আহলুস সুন্নাহ’র ইমাম—বলেছেন, “আমি যদি জানতাম, আমার কোনো কবুলযোগ্য দু‘আ আছে, তাহলে অবশ্যই আমি সে দু‘আ শাসকের জন্য করতাম।” [২]
কারণ শাসক যদি ভালো হয়, তাহলে পুরো জাতি ভালো হয়ে যায়, আর (আল্লাহ’র) দ্বীন বিজয়ী হয়। তাঁর জন্য যে দু‘আ করা হবে, তা শুধু তাঁর জন্যই নয়, বরং সে দু‘আ হবে তাঁর জন্য, দ্বীনে ইসলামের জন্য এবং মুসলিম জনসাধারণের জন্য। আর জুমু‘আহর খুতবায় এবং প্রত্যেক (গুরুত্বপূর্ণ) উপলক্ষের সময় শাসকদের জন্য দু‘আ করা হলো—আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আতের একটি অন্যতম মূলনীতি। তাঁদের জন্য সাহায্য ও শিক্ষা লাভের দু‘আ করতে হবে। কারণ আল্লাহ যখন শাসকদের সাহায্য করেন এবং তাঁদেরকে শক্তিশালী করেন, তখন তা মুসলিম জনসাধারণ ও দ্বীনে ইসলামের জন্য কল্যাণকর হয়ে থাকে। না‘আম।”
·পাদটীকা:
▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂
[১]. ‘উলামাদের ব্যক্তিগত ভুলত্রুটি প্রচার করা অন্যায়। তবে আল্লাহ’র দ্বীনের দা‘ওয়াতের ক্ষেত্রে তাঁদের পদস্খলন ঘটলে, যোগ্য ব্যক্তিরা মুসলিমদের কল্যাণের জন্য প্রকাশ্যে তাঁদের ভুলের খণ্ডন করতে পারবেন। আর এই আমল সালাফদের যুগ থেকে চলে আসছে। এমনকি ইমাম ফাওযান নিজে ‘উলামা ও দা‘ঈদের ভুলের খণ্ডন করে লেখালেখি করেছেন এবং বক্তব্য দিয়েছেন।
[২]. ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ (রাহিমাহুল্লাহ), মাজমূ‘উ ফাতাওয়া; খণ্ড: ২৮; পৃষ্ঠা: ৩৯১; বাদশাহ ফাহাদ প্রিন্টিং প্রেস, মাদীনাহ ছাপা; সন: ১৪২৫ হি./২০০৪ খ্রি.।
·উৎস: বক্তব্যের ভিডিয়ো ক্লিপটি জনৈক আরব সালাফী ভাইয়ের ফেসবুক পোস্ট থেকে নেওয়া হয়েছে।
·অনুবাদক: মুহাম্মাদ ‘আব্দুল্লাহ মৃধা
www.facebook.com/SunniSalafiAthari

Post a Comment

0 Comments