লাইসেন্স বিহীন অনলাইন ব্যবসা এবং ভেজাল পণ্য বিক্রয়ের বিধান
▬▬▬🔸🔷🔸▬▬▬
➰ ব্যবসা-বাণিজ্য (অনলাইন হোক বা অফ লাইন হোক) সহ সকল ক্ষেত্রেই প্রতিটি নাগরিকের রাষ্ট্রের আইন-কানুন মেনে চলা জরুরি-যদি তা আল্লাহর নাফরমানী মূলক না হয়।
সুতরাং সরকারী আইন লঙ্ঘন করে অনলাইন ব্যবসা করা যেমন বৈধ নয় তেমনি সেখানে চাকুরী করাও বৈধ নয়। এতে যে চাকুরী দিবে আর জেনেবুঝে যে চাকুরী করবে উভয়েই গুনাহগার হবে। তবে উক্ত ব্যবসা থেকে উপার্জিত অর্থকে হারাম বলা যাবে না যদি ক্রয়-বিক্রয় সঠিকভাবে করা হয় এবং পণ্যটি হালাল হয়।
অর্থাৎ সরকারী আইন লঙ্ঘন করার জন্য গুনাহ হবে। এ জন্য আল্লাহর নিকট তওবা করত: যথাসম্ভব দ্রুত লাইসেন্স নিতে হবে। কিন্তু এ অবস্থায় সঠিক পদ্ধতিতে হালাল পণ্য বিক্রয় থেকে উপার্জিত অর্থ হালাল হবে ইনশাআল্লাহ।
অনুরূপভাবে উক্ত ব্যবসার সাথে নিযুক্ত কর্মচারীদের বেতন গ্রহণ করাও হালাল হবে ইনশাআল্লাহ।
অবশ্য ফেসবুক, হোয়াটসআ্যাপ গ্রুপ ইত্যাদির মাধ্যমে ছোটখাটো ব্যবসার জন্য দেশের আইনে লাইসেন্স প্রয়োজন না কি না তা নিশ্চিত হতে হবে। যদি লাইসেন্স প্রয়োজন না হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবে এ সব ছোটখাটো ব্যবসা করতে কোনো আপত্তি নেই।
➰ ভেজাল পণ্য বিক্রয় করা হারাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
« مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا »
‘যে আমাদেরকে ধোঁকা দেয় সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।’[মুসলিম: ১০১।]
যারা খাদ্য, পানীয়, ঔষধ বা অন্য কিছুতে ভেজাল দেয় বা মানুষের সাথে প্রতারণা করে তারা একদিকে যেমন ইসলামি দৃষ্টিতে হারামের সাথে যুক্ত অন্য দিকে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবেও অপরাধী। এরা দেশ ও জনগণের শত্রু। এটি চারিত্রিক স্খলন ও নৈতিকতা হীন কর্ম। কোন মুসলিমের জন্য এমনটি করা শোভনীয় নয়।
যারা ভেজাল পণ্য বিক্রয় করে তাদের উপার্জিত অর্থ হারাম এবং তাদের অধীনে চাকুরী করা যেমন হারাম তেমনি তাদের বেতনও হারাম। কারণ তারা সরাসরি প্রতারণার সাথে জড়িত। যারা জেনে শুনে এমন ভেজাল পণ্য বিক্রয় কারীদের অধীনে চাকুরী করবে তারা মানুষের সাথে প্রতারণা এবং অন্যায় কাজে সহযোগী হিসেবে গুনাহগার হবে।
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সব ধরণের নীতি-নৈতিকতা হীন ও আইন বহির্ভূত কার্যক্রম থেকে হেফাজত করুন। আমীন।
▬▬▬🔸🔷🔸▬▬▬
উত্তর প্রদানে:
শাইখ আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
fb/AbdullaahilHadi
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ সেন্টার, সৌদি আরব
▬▬▬🔸🔷🔸▬▬▬
➰ ব্যবসা-বাণিজ্য (অনলাইন হোক বা অফ লাইন হোক) সহ সকল ক্ষেত্রেই প্রতিটি নাগরিকের রাষ্ট্রের আইন-কানুন মেনে চলা জরুরি-যদি তা আল্লাহর নাফরমানী মূলক না হয়।
সুতরাং সরকারী আইন লঙ্ঘন করে অনলাইন ব্যবসা করা যেমন বৈধ নয় তেমনি সেখানে চাকুরী করাও বৈধ নয়। এতে যে চাকুরী দিবে আর জেনেবুঝে যে চাকুরী করবে উভয়েই গুনাহগার হবে। তবে উক্ত ব্যবসা থেকে উপার্জিত অর্থকে হারাম বলা যাবে না যদি ক্রয়-বিক্রয় সঠিকভাবে করা হয় এবং পণ্যটি হালাল হয়।
অর্থাৎ সরকারী আইন লঙ্ঘন করার জন্য গুনাহ হবে। এ জন্য আল্লাহর নিকট তওবা করত: যথাসম্ভব দ্রুত লাইসেন্স নিতে হবে। কিন্তু এ অবস্থায় সঠিক পদ্ধতিতে হালাল পণ্য বিক্রয় থেকে উপার্জিত অর্থ হালাল হবে ইনশাআল্লাহ।
অনুরূপভাবে উক্ত ব্যবসার সাথে নিযুক্ত কর্মচারীদের বেতন গ্রহণ করাও হালাল হবে ইনশাআল্লাহ।
অবশ্য ফেসবুক, হোয়াটসআ্যাপ গ্রুপ ইত্যাদির মাধ্যমে ছোটখাটো ব্যবসার জন্য দেশের আইনে লাইসেন্স প্রয়োজন না কি না তা নিশ্চিত হতে হবে। যদি লাইসেন্স প্রয়োজন না হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবে এ সব ছোটখাটো ব্যবসা করতে কোনো আপত্তি নেই।
➰ ভেজাল পণ্য বিক্রয় করা হারাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
« مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا »
‘যে আমাদেরকে ধোঁকা দেয় সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।’[মুসলিম: ১০১।]
যারা খাদ্য, পানীয়, ঔষধ বা অন্য কিছুতে ভেজাল দেয় বা মানুষের সাথে প্রতারণা করে তারা একদিকে যেমন ইসলামি দৃষ্টিতে হারামের সাথে যুক্ত অন্য দিকে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবেও অপরাধী। এরা দেশ ও জনগণের শত্রু। এটি চারিত্রিক স্খলন ও নৈতিকতা হীন কর্ম। কোন মুসলিমের জন্য এমনটি করা শোভনীয় নয়।
যারা ভেজাল পণ্য বিক্রয় করে তাদের উপার্জিত অর্থ হারাম এবং তাদের অধীনে চাকুরী করা যেমন হারাম তেমনি তাদের বেতনও হারাম। কারণ তারা সরাসরি প্রতারণার সাথে জড়িত। যারা জেনে শুনে এমন ভেজাল পণ্য বিক্রয় কারীদের অধীনে চাকুরী করবে তারা মানুষের সাথে প্রতারণা এবং অন্যায় কাজে সহযোগী হিসেবে গুনাহগার হবে।
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সব ধরণের নীতি-নৈতিকতা হীন ও আইন বহির্ভূত কার্যক্রম থেকে হেফাজত করুন। আমীন।
▬▬▬🔸🔷🔸▬▬▬
উত্তর প্রদানে:
শাইখ আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
fb/AbdullaahilHadi
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ সেন্টার, সৌদি আরব
0 Comments