শহীদ কত প্রকার ও কী কী?
🔹🔹🔹🔹🔹🔹🔹
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যে মুসলিম-
🔶 (১) তার দ্বীনের জন্য নিহত হল সে শহীদ
🔶 (২) যে তার জীবন রক্ষার্থে নিহত হয় সে শহীদ
🔶 (৩) যে ব্যক্তি তার সম্পদ রক্ষার্থে নিহত হয় সে শহীদ
🔶 (৪) যে ব্যক্তি তার পরিবার রক্ষার্থে নিহত হয় সে শহীদ।[1]
তিনি আরও বলেন,
🔶 (৫) যে ব্যক্তি মহামারীতে মারা যায় সে শহীদ
🔶 (৬) যে ব্যক্তি পেটের পীড়ায় (কলেরা, ডায়রিয়া ইত্যাদি) মারা যায় সে শহীদ
🔶 (৭) যে ব্যক্তি পানিতে ডুবে মারা যায় সে শহীদ। [2]
তিনি আরও বলেন,
🔶 (৮) যে ব্যক্তি মযলূম অবস্থায় নিহত হয়, সে শহীদ।[3]
🔶 (৯) যে ব্যক্তি তার ন্যায্য অধিকার রক্ষায় নিহত হয় সে শহীদ।[4]
*রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অন্যত্র বলেন, আল্লাহর রাস্তায় নিহত ব্যক্তি ছাড়াও আরও সাত জন শহীদ রয়েছে। তারা হল:*
🔷 (১) মহামারীতে মৃত (মুমিন) ব্যক্তি
🔷 (২) পানিতে ডুবে মৃত ব্যক্তি
🔷 (৩) ‘যাতুল জাম্ব’ নামক কঠিন রোগে মৃত ব্যক্তি [5]
🔷 (৪) (কলেরা বা অনুরূপ) পেটের পীড়ায় মৃত ব্যক্তি
🔷 (৫) আগুনে পুড়ে মৃত ব্যক্তি
🔷 (৬) ধ্বসে চাপা পড়ে মৃত ব্যক্তি ও
🔷 (৭) গর্ভাবস্থায় মৃত মহিলা।[6]
উল্লেখ্য যে, ঐ সকল মুমিন ব্যক্তি আখেরাতে শহীদের নেকী পাবেন। যদিও দুনিয়াতে তাদের গোসল ও জানাযা করা হবে। পক্ষান্তরে আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধে নিহত শহীদের গোসল নেই। তিনি ঐ অবস্থায় ক্বিয়ামতের দিন উঠবেন।[7]
*শহীদগণ তিন শ্রেণীর:*
🔘 (১) যারা দুনিয়া ও আখেরাতে শহীদ। তারা হলেন, কাফিরদের সঙ্গে যুদ্ধে নিহত মুমিন ব্যক্তি
🔘 (২) আখেরাতে শহীদ। তারা হলেন উপরে বর্ণিত অন্যান্য শহীদগণ
🔘(৩) দুনিয়াতে শহীদ; আখেরাতে নয়। তারা হ’ল, যুদ্ধের ময়দানে গণীমতের মাল আত্মসাৎকারী অথবা জিহাদ থেকে পলাতক অবস্থায় নিহত ব্যক্তি।[8] অর্থাৎ লোক দেখানো কপট শহীদ।
-------------------------- -----
টিকা:
[1]. তিরমিযী হা/১৪২১, আবুদাঊদ, নাসাঈ, মিশকাত হা/৩৫২৯ ‘ক্বিছাছ’ অধ্যায়।
[2]. মুসলিম, মিশকাত হা/৩৮১১; ছহীহুল জামে‘ হা/৬৪৪৯।
[3]. আহমাদ হা/২৭৮০, ছহীহুল জামে‘ হা/৬৪৪৭।
[4]. মুসনাদে আবু ইয়া‘লা হা/৬৭৭৫; সনদ হাসান।
[5]. এটি সে যুগে একটি কঠিন মরণব্যাধি হিসাবে প্রসিদ্ধ ছিল। নামটি স্ত্রীলিঙ্গ হওয়ায় রোগটি মেয়েদের মধ্যেই অধিকহারে হ’ত বলে ধারণা করা হয়। যেসব গর্ভবর্তী মেয়েদের পেটে বাচ্চা মারা যায় এবং সেকারণে মাও মারা যায়, ঐ মেয়েকে যাতুল জাম্ব-এর রোগিনী বলা হয়। ইবনু হাজার বলেন, এটিই প্রসিদ্ধ (ফাৎহুল বারী হা/২৮২৯-এর ব্যাখ্যা, ৬/৫১ পৃঃ)। (বর্তমান যুগে এই রোগকে বলা হচ্ছে: Pleurisy একটি নির্দিষ্ট ধরণের বুকের ব্যথা।-আব্দুল্লাহিল হাদী )
[6]. আবুদাঊদ, নাসাঈ, মিশকাত হা/১৫৬১, সনদ ছহীহ।
[7]. বুখারী হা/৪০৭৯; মিশকাত হা/১৬৬৫; মির‘আত হা/১৬৭৯, ৫/৪০০ পৃঃ।
[8]. ফিক্বহুস সুন্নাহ ৩/৯১।
http:// www.ahlehadeethbd.org/ online_books/jihad_o_qital/ 4.html
______
*আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল*
লিসান্স, মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, সউদী আরব
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সউদী আরব।
🔹🔹🔹🔹🔹🔹🔹
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যে মুসলিম-
🔶 (১) তার দ্বীনের জন্য নিহত হল সে শহীদ
🔶 (২) যে তার জীবন রক্ষার্থে নিহত হয় সে শহীদ
🔶 (৩) যে ব্যক্তি তার সম্পদ রক্ষার্থে নিহত হয় সে শহীদ
🔶 (৪) যে ব্যক্তি তার পরিবার রক্ষার্থে নিহত হয় সে শহীদ।[1]
তিনি আরও বলেন,
🔶 (৫) যে ব্যক্তি মহামারীতে মারা যায় সে শহীদ
🔶 (৬) যে ব্যক্তি পেটের পীড়ায় (কলেরা, ডায়রিয়া ইত্যাদি) মারা যায় সে শহীদ
🔶 (৭) যে ব্যক্তি পানিতে ডুবে মারা যায় সে শহীদ। [2]
তিনি আরও বলেন,
🔶 (৮) যে ব্যক্তি মযলূম অবস্থায় নিহত হয়, সে শহীদ।[3]
🔶 (৯) যে ব্যক্তি তার ন্যায্য অধিকার রক্ষায় নিহত হয় সে শহীদ।[4]
*রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অন্যত্র বলেন, আল্লাহর রাস্তায় নিহত ব্যক্তি ছাড়াও আরও সাত জন শহীদ রয়েছে। তারা হল:*
🔷 (১) মহামারীতে মৃত (মুমিন) ব্যক্তি
🔷 (২) পানিতে ডুবে মৃত ব্যক্তি
🔷 (৩) ‘যাতুল জাম্ব’ নামক কঠিন রোগে মৃত ব্যক্তি [5]
🔷 (৪) (কলেরা বা অনুরূপ) পেটের পীড়ায় মৃত ব্যক্তি
🔷 (৫) আগুনে পুড়ে মৃত ব্যক্তি
🔷 (৬) ধ্বসে চাপা পড়ে মৃত ব্যক্তি ও
🔷 (৭) গর্ভাবস্থায় মৃত মহিলা।[6]
উল্লেখ্য যে, ঐ সকল মুমিন ব্যক্তি আখেরাতে শহীদের নেকী পাবেন। যদিও দুনিয়াতে তাদের গোসল ও জানাযা করা হবে। পক্ষান্তরে আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধে নিহত শহীদের গোসল নেই। তিনি ঐ অবস্থায় ক্বিয়ামতের দিন উঠবেন।[7]
*শহীদগণ তিন শ্রেণীর:*
🔘 (১) যারা দুনিয়া ও আখেরাতে শহীদ। তারা হলেন, কাফিরদের সঙ্গে যুদ্ধে নিহত মুমিন ব্যক্তি
🔘 (২) আখেরাতে শহীদ। তারা হলেন উপরে বর্ণিত অন্যান্য শহীদগণ
🔘(৩) দুনিয়াতে শহীদ; আখেরাতে নয়। তারা হ’ল, যুদ্ধের ময়দানে গণীমতের মাল আত্মসাৎকারী অথবা জিহাদ থেকে পলাতক অবস্থায় নিহত ব্যক্তি।[8] অর্থাৎ লোক দেখানো কপট শহীদ।
--------------------------
টিকা:
[1]. তিরমিযী হা/১৪২১, আবুদাঊদ, নাসাঈ, মিশকাত হা/৩৫২৯ ‘ক্বিছাছ’ অধ্যায়।
[2]. মুসলিম, মিশকাত হা/৩৮১১; ছহীহুল জামে‘ হা/৬৪৪৯।
[3]. আহমাদ হা/২৭৮০, ছহীহুল জামে‘ হা/৬৪৪৭।
[4]. মুসনাদে আবু ইয়া‘লা হা/৬৭৭৫; সনদ হাসান।
[5]. এটি সে যুগে একটি কঠিন মরণব্যাধি হিসাবে প্রসিদ্ধ ছিল। নামটি স্ত্রীলিঙ্গ হওয়ায় রোগটি মেয়েদের মধ্যেই অধিকহারে হ’ত বলে ধারণা করা হয়। যেসব গর্ভবর্তী মেয়েদের পেটে বাচ্চা মারা যায় এবং সেকারণে মাও মারা যায়, ঐ মেয়েকে যাতুল জাম্ব-এর রোগিনী বলা হয়। ইবনু হাজার বলেন, এটিই প্রসিদ্ধ (ফাৎহুল বারী হা/২৮২৯-এর ব্যাখ্যা, ৬/৫১ পৃঃ)। (বর্তমান যুগে এই রোগকে বলা হচ্ছে: Pleurisy একটি নির্দিষ্ট ধরণের বুকের ব্যথা।-আব্দুল্লাহিল হাদী )
[6]. আবুদাঊদ, নাসাঈ, মিশকাত হা/১৫৬১, সনদ ছহীহ।
[7]. বুখারী হা/৪০৭৯; মিশকাত হা/১৬৬৫; মির‘আত হা/১৬৭৯, ৫/৪০০ পৃঃ।
[8]. ফিক্বহুস সুন্নাহ ৩/৯১।
http://
______
*আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল*
লিসান্স, মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, সউদী আরব
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সউদী আরব।
0 Comments