প্রশ্ন: দু বোন, ভাই নাই। বাবা জীবিত আছে। এই অবস্থায় বাবা যদি মেয়েদের সব সম্পত্তি লিখে দেয় তাহলে কি ওয়ারিশ ফাঁকি দেয়ার পাপ হবে?
যেহেতু কুরআনে মরার পর চাচা বা আত্মীয়রা ওয়ারিশ হবে বলা আছে।
উল্লেখ্য যে, দাদা জীবিত থেকে মারা যাওয়ার ৮-১০ বছর পর্যন্ত বাবাকে ফাঁকি দিয়েছে। সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত রেখেছে চাচা ফুফুরা।
উত্তর:
১মত: উত্তরাধিকার সম্পদ বণ্টনের বিষয়টি মানুষের মৃত্যুর সাথে সম্পৃক্ত। সুতরাং জীবিত অবস্থায় উত্তরাধিকারী সম্পদ বণ্টন করা বৈধ নয়। কারণ যে ব্যক্তির সম্পদ বণ্টন করা হবে তার আগে তার উত্তরাধিকারী কেউ মারা যেতে পারে। তখন বণ্টন প্রক্রিয়া নিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে।
২য়ত: জীবিত অবস্থায় হেবা বা দান করতে পারে। এর সর্বোচ্চ পরিমাণ হল, এক তৃতীয়াংশ। যদিও এর চেয়ে কম করাই উত্তম। সুতরাং বাবা ইচ্ছা করলে তার মেয়েদেরকে সর্বোচ্চ এক তৃতীয়াংশ সম্পদ উভয়কে সমানভাবে হেবা (দান) করতে পারে।
যাহোক, কোনো ব্যক্তির জন্য তার সম্পদ থেকে কোনো ওয়ারিশ বা উত্তরাধিকারীকে বঞ্চিত করার উদ্দেশ্যে তার পুরো সম্পদ অন্য কারো নামে লিখে দেয়া অবশ্যই জায়েয নাই।
কারণ আল্লাহ তায়ালা যার যেটা প্রাপ্য তা নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। এর ব্যতিক্রম করা কবিরা গুনাহ এবং মানুষের হক নষ্ট করার শামিল।
আপনার দাদা জীবিত থাকা অবস্থায় যদি আপনার চাচা-ফুফুরা আপনার বাবার প্রতি অবিচার করে থাকে ইনশাআল্লাহ তিনি আখিরাতে এর উপযুক্ত প্রতিদান পাবেন। কিন্তু তার জন্য আল্লাহর অবধারিত বিধান লঙ্ঘন করে তার ভাই-বোন (আপনার চাচা-ফুফু)দেরকে মিরাস বা উত্তরাধিকার সম্পদ থেকে বঞ্চিত করা বৈধ নয়।
----------
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল মাদান
যেহেতু কুরআনে মরার পর চাচা বা আত্মীয়রা ওয়ারিশ হবে বলা আছে।
উল্লেখ্য যে, দাদা জীবিত থেকে মারা যাওয়ার ৮-১০ বছর পর্যন্ত বাবাকে ফাঁকি দিয়েছে। সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত রেখেছে চাচা ফুফুরা।
উত্তর:
১মত: উত্তরাধিকার সম্পদ বণ্টনের বিষয়টি মানুষের মৃত্যুর সাথে সম্পৃক্ত। সুতরাং জীবিত অবস্থায় উত্তরাধিকারী সম্পদ বণ্টন করা বৈধ নয়। কারণ যে ব্যক্তির সম্পদ বণ্টন করা হবে তার আগে তার উত্তরাধিকারী কেউ মারা যেতে পারে। তখন বণ্টন প্রক্রিয়া নিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে।
২য়ত: জীবিত অবস্থায় হেবা বা দান করতে পারে। এর সর্বোচ্চ পরিমাণ হল, এক তৃতীয়াংশ। যদিও এর চেয়ে কম করাই উত্তম। সুতরাং বাবা ইচ্ছা করলে তার মেয়েদেরকে সর্বোচ্চ এক তৃতীয়াংশ সম্পদ উভয়কে সমানভাবে হেবা (দান) করতে পারে।
যাহোক, কোনো ব্যক্তির জন্য তার সম্পদ থেকে কোনো ওয়ারিশ বা উত্তরাধিকারীকে বঞ্চিত করার উদ্দেশ্যে তার পুরো সম্পদ অন্য কারো নামে লিখে দেয়া অবশ্যই জায়েয নাই।
কারণ আল্লাহ তায়ালা যার যেটা প্রাপ্য তা নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। এর ব্যতিক্রম করা কবিরা গুনাহ এবং মানুষের হক নষ্ট করার শামিল।
আপনার দাদা জীবিত থাকা অবস্থায় যদি আপনার চাচা-ফুফুরা আপনার বাবার প্রতি অবিচার করে থাকে ইনশাআল্লাহ তিনি আখিরাতে এর উপযুক্ত প্রতিদান পাবেন। কিন্তু তার জন্য আল্লাহর অবধারিত বিধান লঙ্ঘন করে তার ভাই-বোন (আপনার চাচা-ফুফু)দেরকে মিরাস বা উত্তরাধিকার সম্পদ থেকে বঞ্চিত করা বৈধ নয়।
----------
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল মাদান
0 Comments