প্রশ্ন:-দুগ্ধপোষ্য ছেলে সন্তানের পেশাব থেকে কিভাবে পবিত্রতা হাসিল হবে?

প্রশ্ন:-দুগ্ধপোষ্য ছেলে সন্তানের পেশাব থেকে কিভাবে পবিত্রতা হাসিল হবে?

উত্তর :-দুগ্ধপোষ্য ছেলে সন্তানের পেশাব পানি ছিটা দিলেই পবিত্র হয়ে যায়; ধৌত করা আবশ্যক নয়।

দুগ্ধপোষ্য ছেলে সন্তান (যে কেবল দুধ খায়; অতিরিক্ত খাবার খায় না) যদি পেশাব করে তাহলে তাতে হালকা নাপাক হয়। যেস্থানে পেশাব লাগবে সে স্থানে পানি ছিটিয়ে দিলেই তা পবিত্র হয়ে যাবে। উক্ত স্থান ধৌত করা আবশ্যক নয়। 

কেননা এ মর্মে হাদীস এসেছে:
عن أم قيس بنت محصن: أنها أتت بابن لها صغير لم يأكل الطعام إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم فبال على ثوبه، فدعا بماء فنضحه عليه ولم يغسله
কুতায়বা (রহঃ) উম্মে কায়স বিনতে মিহসান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। খাদ্যগ্রহণ করেনি, তার এমন একটি ছেলেকে নিয়ে তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হলেন। সে রাসুল সা. এর কাপড়ে প্রস্রাব করে দিল। 
তিনি কিছু পানি আনতে বললেন। পানি আনা হলে তিনি তা কাপড়ের উপর ছিটিয়ে দিলেন। তা ধুলেন না। {সহিহ, ইবনু মাজাহ হাঃ ৫২৪, বুখারি হাঃ ২২৩, মুসলিম (ইসলামিক সেন্টার) হাঃ ৫৭২, ৫৭৪}

এ মর্মে আরও হাদীস রয়েছে।
তবে শিশুটি যদি মেয়ে সন্তান হয় অথবা বাড়তি খাবার গ্রহণকারী ছেলে সন্তান হয় তাহলে তার পেশাব যেখানে লাগবে সেখানটা পানি দ্বারা ভালো করে ধৌত করতে হবে। অন্যথায় তা পবিত্র হবে না।

সুতরাং শিশু সন্তান যদি বিছানায় পেশাব করে তাহলে উপরোক্ত বিধান অনুসারে কাজ করবেন এবং তাতে নামায আদায় করবেন। আল্লাহ তাওফিক দান করুন। আমীন।
------------------------------
*প্রশ্ন:* দুগ্ধপোষ্য ছেলে সন্তান পেশাব করলে তো পানি ছিটা দেয়াই যথেষ্ট। কিন্তু যখন পেশাব কাপড় অতিক্রম করে শরীরেও লাগে সেক্ষেত্রে করণীয় কি?
আর দুধের পাশাপাশি অন্য খাবার খাওয়া বাচ্চাদের বেলায় কি করণীয়?
*উত্তর:*
দুগ্ধপোষ্য ছেলে শিশুর পেশাব কাপড় অতিক্রম করে শরীরে লাগলেও কাপড়ের উপর পানি ছিটাই যথেষ্ট। কেননা, নবী সা. এর কোলে এক ছেলে শিশু পেশাব করলে তিনি কেবল কাপড়ের উপর পানি ছিটিয়ে ছিলেন।
আর ছেলে সন্তান যত দিন পর্যন্ত দুধ ব্যতিরেকে সতন্ত্রভাবে অন্য খাবার না খাবে ততদিন পর্যন্ত এই বিধান প্রযোজ্য হবে। অর্থাৎ দুধ খাওয়ার পাশাপাশি যদি অন্য খাবারও সামান্য কিছু খায় তাতে সমস্যা নেই। (সহীহ বুখারীর ব্যাখ্যা গ্রন্থে ইবনে হাজার আসকালানী রহ. এ মতই ব্যক্ত করেছেন) আল্লাহু আলাম।

উত্তর প্রদানে: আব্দুল্লাহিল হাদি বিন আব্দুল জলীল।
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সউদী আরব

Post a Comment

0 Comments