Subscribe Us

হে পথিক ভবিষ্যৎ বলে কিছু নাই ,আসোল ভবিষ্যৎ হলো পরোকাল

প্রশ্ন : আসসালামুআলাইকুম শাইখ,শুক্রবার কি সূরা কাহাফ পুরাটা পড়তে হবে নাকি প্রথম ১০ আয়াত পড়লেই হবে ?

প্রশ্ন : আসসালামুআলাইকুম শাইখ,শুক্রবার কি সূরা কাহাফ পুরাটা পড়তে হবে নাকি প্রথম ১০ আয়াত পড়লেই হবে ?
-----------------
উত্তর: ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
শুক্রবারে সূরা কাহাফ পড়ার যে ফযীলত সহীহ হাদীসে বর্ণিত হয়েছে তা পেতে হলে পুরোটা পড়তে হবে। অন্যথায় সে ফযীলত পাওয়া যাবে না।

এক বসাতে পড়তে না পারলেও সমস্যা নাই। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত থেকে শুরু করে জুমার পূরো দিনের মধ্যে তা পড়তে পারলেও উক্ত ফযীলত পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ। 
🔘 আবু সাঈদ খুদরী (রা.) বলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন সূরা কাহাফ পড়বে তার জন্য এক জুমা থেকে আরেক জুমা পর্যন্ত আলো বিচ্ছুরিত হবে। 
( মুসতাদারেক হাকিম: ২/৩৯৯, বায়হাকী: ৩/২৪৯, ফয়জুল ক্বাদীর: ৬/১৯৮)

🔘 ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি শুক্রবার দিন সূরা কাহফ পাঠ করবে তার পা থেকে আকাশের উচ্চতা পর্যন্ত নূর হয়ে যাবে, যা কেয়ামতের দিন আলো দিবে এবং বিগত জুমা থেকে এ জুমা পর্যন্ত তার সব গুনাহ মাফ হয়ে যাবে। (আত তারগীব ওয়া তারহীব: ১/২৯৮)

*তবে দশ আয়াত পড়ার বা মুখস্ত করার আলাদা ফযীলত রয়েছে।* যেমন,
আবূ দারদা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি সূরা কাহফের প্রথম দিক থেকে দশটি আয়াত মুখস্ত করবে,সে দাজ্জালের(ফিৎনা) থেকে পরিএাণ পাবে।’’ 
অন্য বর্ণনায় ‘কাহফ সূরার শেষ দিক থেকে’ উল্লেখ হয়েছে। (মুসলিম ৮০৯)

উত্তর দিয়েছেন Shaikh Abdullahil Hadi

Post a Comment

0 Comments