কুলুখ নিয়ে হাঁটাহাঁটি করা
কুলুখ নিয়ে হাঁটাহাঁটি করা, কাশি
দেওয়া, নাচানাচি করা, দীর্ঘ সময়
দাঁড়িয়ে থাকা, টয়লেটে কুলুখের আবর্জনার স্তূপ তৈরি করা
সবই নব্য মূর্খতা। ইসলামে এরূপ বেহায়াপনার কোন স্থান নেই। মিথ্যা ফযীলতের ধোঁকা
মানুষকে এত নীচে নামিয়েছে। এই অভ্যাস ইসলামের বিশ্বজনীন মর্যাদাকে চরমভাবে ক্ষুণ্ণ
করেছে। ইসলাম সৌন্দর্যমন্ডিত জীবন বিধান। যাবতীয় নোংরামী এতে নিষিদ্ধ। শরী‘আতে
পেশাব থেকে সাবধানতা অবলম্বনের কথা বলা হয়েছে তাই বলে এর নামে নতুন আরেকটি বিদ‘আত
তৈরি করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। পেশাবের ছিটা কাপড়ে লেগে যাওয়ার আশংকায় ইসলাম তার
জন্য সুন্দর বিধান দিয়েছে।
আর তা হ’ল,
ওযূ করার পর হাতে পানি নিয়ে লজ্জাস্থান বরাবর ছিটিয়ে দেওয়া। যেমন-
‘রাসূলুল্লাহ (ﷺ)
যখন পেশাব করতেন তখন ওযূ করতেন এবং পানি ছিটিয়ে দিতেন’।(ছহীহ আবুদাঊদ হা/১৬৬ ও ৬৭, ১/২২
পৃঃ; মুসনাদে আহমাদ হা/১৭৫১৫; সিলসিলা
ছহীহাহ হা/৮৪১; মিশকাত হা/৩৬৬; বঙ্গানুবাদ
মিশকাত হা/৩৩৮, ২/৬৮ পৃঃ; ছহীহ
নাসাঈ হা/১৬৮; মিশকাত হা/৩৬১; বঙ্গনুবাদ
মিশকাত হা/৩৩৪, ২/৬৭ পৃঃ।)
অন্য
হাদীছে এসেছে, কাপড়ে তরল মযী লাগলেও তিনি পানি ছিটিয়ে দিতে
বলতেন। (ছহীহ আবুদাঊদ হা/২০৭, ১/২৭ পৃঃ।) অতএব প্রচলিত
বেহায়াপনার আশ্রয় নেওয়ার কোন প্রয়োজন নেই।
(৮) ওযূর অবশিষ্ট পানি দ্বারা ইস্তিঞ্জা
করা যাবে না এবং ইস্তিঞ্জা করার পর অবশিষ্ট পানি দ্বারা ওযূ করা যাবে না বলে ধারণা
করা:
উক্ত বিশ্বাস সঠিক নয়। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও ছাহাবায়ে কেরামের পক্ষ থেকে এ ধরনে কোন নির্দেশনা পাওয়া যায় না। অথচ তাঁরা পাত্রে ওযূ করতেন এবং পাত্রের পানি দ্বারা ইস্তিঞ্জা সম্পন্ন করতেন। (ছহীহ বুখারী হা/১৫০-১৫২; ছহীহ মুসলিম হা/৬৪৩; মিশকাত হা/৩৪২; ছহীহ মুসলিম হা/৫৭৮; ১/১২৩ পৃঃ; মিশকাত হা/৩৯৪, ৪১১; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৩৬২, ২য় খন্ড, পৃঃ ৭৭।)
উক্ত বিশ্বাস সঠিক নয়। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও ছাহাবায়ে কেরামের পক্ষ থেকে এ ধরনে কোন নির্দেশনা পাওয়া যায় না। অথচ তাঁরা পাত্রে ওযূ করতেন এবং পাত্রের পানি দ্বারা ইস্তিঞ্জা সম্পন্ন করতেন। (ছহীহ বুখারী হা/১৫০-১৫২; ছহীহ মুসলিম হা/৬৪৩; মিশকাত হা/৩৪২; ছহীহ মুসলিম হা/৫৭৮; ১/১২৩ পৃঃ; মিশকাত হা/৩৯৪, ৪১১; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৩৬২, ২য় খন্ড, পৃঃ ৭৭।)
উল্লেখ্য
যে, আবূদাঊদ ও নাসাঈতে হাসান সনদে বর্ণিত হয়েছে, একদা
রাসূল (ﷺ) যে পাত্রের পানিতে
ইস্তিঞ্জা করেন তার বিপরীত পাত্রে ওযূ করেন। (আবূদাঊদ হা/৪৫; নাসাঈ
হা/৯৪; মিশকাত হা/৩৬০; বঙ্গানুবাদ
মিশকাত হা/৩৩৩, ২/৬৬ পৃঃ, ‘পেশাব-পায়খানার
শিষ্টাচার’ অনুচ্ছেদ।)
মূলতঃ
পাত্রের পানি শেষ হয়ে গিয়েছিল বলেই অন্য পাত্র তাঁকে দেওয়া হয়েছিল। মুহাদ্দিছগণ
এমনটিই বলেছেন। (আল্লামা মুহাম্মাদ শামসুল হক আযীমাবাদী,
আওনুল মা‘বূদ শরহে সুনানে আবী দাঊদ (বৈরুত: দারুল কুতুব
আল-ইলমিইয়াহ, ১৪১৫ হিঃ), ১ম খন্ড,
পৃঃ ৪৫।) কুলুখ নিয়ে হাঁটাহাঁটি
(৯) পেশাব-পায়খানা থেকে বের হওয়ার পর
‘আল-হামদুলিল্লা-হিল্লাযি আযহাবা আন্নিল আযা ওয়া ‘আফানী’ দু‘আ পাঠ করা:
টয়লেট সারার পর বলবে, ‘গুফরা-নাকা’। যা ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত। (ছহীহ আবূদাঊদ হা/৩০, ১/৫; তিরমিযী হা/৭, ১/৭।) ‘আল-হামদুলিল্লা-হিল্লাযি.. মর্মে বর্ণিত হাদীছ যঈফ।
আনাস (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ﷺ) যখন পায়খানা থেকে বের হ’তেন তখন তিনি বলতেন, ঐ আল্লাহর যাবতীয় প্রশংসা যিনি আমার কষ্ট দূর করেছেন ও আমাকে সুস্থ করেছেন। (ইবনু মাজাহ হা/৩০১, পৃঃ ২৬; মিশকাত হা/৩৭৪; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৩৪৫, ২/৭০ পৃঃ; বঙ্গানুবাদ সুনানু ইবনে মাজাহ (ঢাকা: ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, দ্বিতীয় সংস্করণ: ডিসেম্বর ২০০৫), হা/৩০১, ১ম খন্ড, পৃঃ ১৪৯-১৫০।)
টয়লেট সারার পর বলবে, ‘গুফরা-নাকা’। যা ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত। (ছহীহ আবূদাঊদ হা/৩০, ১/৫; তিরমিযী হা/৭, ১/৭।) ‘আল-হামদুলিল্লা-হিল্লাযি.. মর্মে বর্ণিত হাদীছ যঈফ।
আনাস (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ﷺ) যখন পায়খানা থেকে বের হ’তেন তখন তিনি বলতেন, ঐ আল্লাহর যাবতীয় প্রশংসা যিনি আমার কষ্ট দূর করেছেন ও আমাকে সুস্থ করেছেন। (ইবনু মাজাহ হা/৩০১, পৃঃ ২৬; মিশকাত হা/৩৭৪; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৩৪৫, ২/৭০ পৃঃ; বঙ্গানুবাদ সুনানু ইবনে মাজাহ (ঢাকা: ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, দ্বিতীয় সংস্করণ: ডিসেম্বর ২০০৫), হা/৩০১, ১ম খন্ড, পৃঃ ১৪৯-১৫০।)
তাহক্বীক্ব: উক্ত বর্ণনার সনদে ইসমাঈল ইবনু মুসলিম নামে
একজন রাবী আছে সে মুহাদ্দিছগণের ঐকমত্যে যঈফ। (যঈফ ইবনু মাজাহ হা/৩০১।)
0 Comments