কাশ্মীরে দখলদার ভারত সরকার সৃষ্ট পরিস্থিতির কারণে চরম আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
.
সেখানে ছয় লক্ষের বেশী সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য্য মোতায়েন ছিল। সম্প্রতি অতিরিক্ত দশ হাজার সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছে। আরো সত্তর হাজার মোতায়েন করতে যাচ্ছে বলে খবর এসেছে। এই মাত্রার সেনা মোতায়েন একেবারেই অস্বাভাবিক। হিমালয়ের গুহায় পূণ্য যাত্রার ৪৫ দিন ব্যাপী বাৎসরিক উৎসব "অমরনাথ যাত্রা" এবছর বাতিল করা হয়েছে। এসবকে কাশ্মীরে ব্যাপক গণহত্যা ও নিপীড়ন চালানোর জন্যে দখলদার দিল্লী সরকারের প্রস্তুতি হিসেবে বিবেচনা করে বিশ্বব্যাপী শান্তি ও স্বাধীনতার পক্ষের মানুষেরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
.
দখলকৃত হওয়ায় কাশ্মীরে এতোদিন বিশেষ স্ট্যাটাস জারি ছিল, অন্য রাজ্য থেকে গিয়ে সেখানে ভারতের নাগরিকদের জমি কেনার অনুমোদন ছিল না। ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা পুঁজি করে রাজনীতিতে সক্রিয় বিজেপি তাদের বিভিন্ন ইশতেহারে কাশ্মীরের ঐ বিশেষ স্ট্যাটাস বাতিল করার প্রতিশ্রুতি বিভিন্ন সময় দিয়েছে। দখলদার ভারতে দিল্লী সরকার এখন সেই বিজেপি দলের। সাম্প্রতিক পদক্ষেপগুলো সেই বিশেষ স্ট্যাটাস বাতিল ও তার প্রেক্ষিতে লড়াকু সিংহ কাশ্মীরি জনগনের প্রতিবাদ-প্রতিরোধ দমনে গণহত্যার প্রস্তুতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
.
কাশ্মীরের মূখ্যমন্ত্রী রাজনৈতিক নেতাদের উপর দমন-পীড়নের আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। আতঙ্কজনক পরিস্থিতে মুসলিম কাশ্মীরে ঈদে কোরবানি উৎসব পালন করা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
.
দুঃখজনক বিষয়, সেইসব আশঙ্কা সত্যি হতে শুরু করেছে। গতকাল দখলদার ভারত সরকার কাশ্মীরে ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে, এবং কাশ্মীরের প্রধান রাজনীতিবিদদেরকে গৃহবন্দি করেছে।
.
ভারতের সংস্কৃতিতে বোম্বাই সিনেমার বিশেষ প্রভাব আছে; এর "তারকা"রা রাজনীতিতেও সেই প্রভাব কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন অবস্থান নিয়ে থাকেন। এর আগে বোম্বাই সিনেমার সর্বকালের সর্বাধিক জনপ্রিয় তারকাদের একজন অমিতাভ বচ্চন, সেদেশের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী হত্যার প্রেক্ষিতে প্রকাশ্যে রাজপথে "খুন কা বদলা খুন সে লেয়েঙ্গে" শ্লোগান দিয়ে শিখদেরকে খুন করার দাঙ্গা উস্কে দিয়েছিল। এবার কাশ্মীরিদের রক্ত পানে উন্মুখ সাম্প্রদায়িকদেরকে উদ্দেশ্য করে আরেক বোম্বাই সিনেমার "তারকা" অনুপম খের ট্যুইট করেছে "Kashmir Solution Has Begun"! সে এক আজব সমাজ, প্রকাশ্যে খুনের উস্কানি দেয়া সঙ্কোচের বিষয় নয়; বরং, খুনিদেরকে তারা মাথায় তুলে রাখে!
.
ইতিহাসে জঘন্যতম দখলদারদের অন্যতম ভারতের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রমে সুস্থ্ বিশ্বের শুধু উদ্বেগ প্রকাশ যথেষ্ট নয়, কাশ্মীরের নির্যাতিত মানুষদের জন্যে কিছু করার চেষ্টা চালানো কর্তব্য।
.
প্রথম উদ্যোগটি এসেছে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্থানের তরফ থেকে। পাকিস্থান এই ইস্যুতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বৈঠকের আহবান জানিয়েছে। পাকিস্থানের প্রধানমন্ত্রী দখলদার দিল্লী সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হোক - এই কামনা করেছেন। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট দুতিয়ালি করার কথা উঠেছিল, উনি সেটাকেও সামনে এনে বলেছেন, যদি করতেই হয়, এখনই তার সময়। কাশ্মীরে দিল্লীর সন্ত্রাসী কার্যক্রমের কারণে পাকিস্থানকে সামরিক হস্তক্ষেপ করতে হতে পারে, এই হুমকিও পাকিস্থানের প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন।
.
শুধু পাকিস্থান নয়, বিশ্বের অন্যান্য বোধসম্পন্ন রাষ্ট্রে সরকার ও জনগন এগিয়ে আসবেন, নিশ্চেষ্ট থাকবেন না - এই প্রার্থনা উদ্বিগ্ন সুস্থ্ বিশ্বের।
.
সেখানে ছয় লক্ষের বেশী সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য্য মোতায়েন ছিল। সম্প্রতি অতিরিক্ত দশ হাজার সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছে। আরো সত্তর হাজার মোতায়েন করতে যাচ্ছে বলে খবর এসেছে। এই মাত্রার সেনা মোতায়েন একেবারেই অস্বাভাবিক। হিমালয়ের গুহায় পূণ্য যাত্রার ৪৫ দিন ব্যাপী বাৎসরিক উৎসব "অমরনাথ যাত্রা" এবছর বাতিল করা হয়েছে। এসবকে কাশ্মীরে ব্যাপক গণহত্যা ও নিপীড়ন চালানোর জন্যে দখলদার দিল্লী সরকারের প্রস্তুতি হিসেবে বিবেচনা করে বিশ্বব্যাপী শান্তি ও স্বাধীনতার পক্ষের মানুষেরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
.
দখলকৃত হওয়ায় কাশ্মীরে এতোদিন বিশেষ স্ট্যাটাস জারি ছিল, অন্য রাজ্য থেকে গিয়ে সেখানে ভারতের নাগরিকদের জমি কেনার অনুমোদন ছিল না। ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা পুঁজি করে রাজনীতিতে সক্রিয় বিজেপি তাদের বিভিন্ন ইশতেহারে কাশ্মীরের ঐ বিশেষ স্ট্যাটাস বাতিল করার প্রতিশ্রুতি বিভিন্ন সময় দিয়েছে। দখলদার ভারতে দিল্লী সরকার এখন সেই বিজেপি দলের। সাম্প্রতিক পদক্ষেপগুলো সেই বিশেষ স্ট্যাটাস বাতিল ও তার প্রেক্ষিতে লড়াকু সিংহ কাশ্মীরি জনগনের প্রতিবাদ-প্রতিরোধ দমনে গণহত্যার প্রস্তুতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
.
কাশ্মীরের মূখ্যমন্ত্রী রাজনৈতিক নেতাদের উপর দমন-পীড়নের আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। আতঙ্কজনক পরিস্থিতে মুসলিম কাশ্মীরে ঈদে কোরবানি উৎসব পালন করা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
.
দুঃখজনক বিষয়, সেইসব আশঙ্কা সত্যি হতে শুরু করেছে। গতকাল দখলদার ভারত সরকার কাশ্মীরে ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে, এবং কাশ্মীরের প্রধান রাজনীতিবিদদেরকে গৃহবন্দি করেছে।
.
ভারতের সংস্কৃতিতে বোম্বাই সিনেমার বিশেষ প্রভাব আছে; এর "তারকা"রা রাজনীতিতেও সেই প্রভাব কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন অবস্থান নিয়ে থাকেন। এর আগে বোম্বাই সিনেমার সর্বকালের সর্বাধিক জনপ্রিয় তারকাদের একজন অমিতাভ বচ্চন, সেদেশের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী হত্যার প্রেক্ষিতে প্রকাশ্যে রাজপথে "খুন কা বদলা খুন সে লেয়েঙ্গে" শ্লোগান দিয়ে শিখদেরকে খুন করার দাঙ্গা উস্কে দিয়েছিল। এবার কাশ্মীরিদের রক্ত পানে উন্মুখ সাম্প্রদায়িকদেরকে উদ্দেশ্য করে আরেক বোম্বাই সিনেমার "তারকা" অনুপম খের ট্যুইট করেছে "Kashmir Solution Has Begun"! সে এক আজব সমাজ, প্রকাশ্যে খুনের উস্কানি দেয়া সঙ্কোচের বিষয় নয়; বরং, খুনিদেরকে তারা মাথায় তুলে রাখে!
.
ইতিহাসে জঘন্যতম দখলদারদের অন্যতম ভারতের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রমে সুস্থ্ বিশ্বের শুধু উদ্বেগ প্রকাশ যথেষ্ট নয়, কাশ্মীরের নির্যাতিত মানুষদের জন্যে কিছু করার চেষ্টা চালানো কর্তব্য।
.
প্রথম উদ্যোগটি এসেছে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্থানের তরফ থেকে। পাকিস্থান এই ইস্যুতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বৈঠকের আহবান জানিয়েছে। পাকিস্থানের প্রধানমন্ত্রী দখলদার দিল্লী সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হোক - এই কামনা করেছেন। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট দুতিয়ালি করার কথা উঠেছিল, উনি সেটাকেও সামনে এনে বলেছেন, যদি করতেই হয়, এখনই তার সময়। কাশ্মীরে দিল্লীর সন্ত্রাসী কার্যক্রমের কারণে পাকিস্থানকে সামরিক হস্তক্ষেপ করতে হতে পারে, এই হুমকিও পাকিস্থানের প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন।
.
শুধু পাকিস্থান নয়, বিশ্বের অন্যান্য বোধসম্পন্ন রাষ্ট্রে সরকার ও জনগন এগিয়ে আসবেন, নিশ্চেষ্ট থাকবেন না - এই প্রার্থনা উদ্বিগ্ন সুস্থ্ বিশ্বের।
0 Comments