*দ্বীনের ব্যাপারে অতিরিক্ত কঠোরতা করা, তর্কে লিপ্ত হওয়া, বাড়াবাড়ি করা এবং বিদ্‘আত অপছন্দনীয়।*
بَاب مَا يُكْرَهُ مِنْ التَّعَمُّقِ وَالتَّنَازُعِ فِي الْعِلْمِ وَالْغُلُوِّ فِي الدِّينِ وَالْبِدَعِ عُمَرُ بْنُ حَفْصِ بْنِ غِيَاثٍ حَدَّثَنَا أَبِي حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ التَّيْمِيُّ حَدَّثَنِي أَبِي قَالَ خَطَبَنَا عَلِيٌّ عَلَى مِنْبَرٍ مِنْ آجُرٍّ وَعَلَيْهِ سَيْفٌ فِيهِ صَحِيفَةٌ مُعَلَّقَةٌ فَقَالَ وَاللهِ مَا عِنْدَنَا مِنْ كِتَابٍ يُقْرَأُ إِلاَّ كِتَابُ اللهِ وَمَا فِي هَذِهِ الصَّحِيفَةِ فَنَشَرَهَا فَإِذَا فِيهَا أَسْنَانُ الإِبِلِ وَإِذَا فِيهَا الْمَدِينَةُ حَرَمٌ مِنْ عَيْرٍ إِلَى كَذَا فَمَنْ أَحْدَثَ فِيهَا حَدَثًا فَعَلَيْهِ لَعْنَةُ اللهِ وَالْمَلاَئِكَةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ لاَ يَقْبَلُ اللهُ مِنْهُ صَرْفًا وَلاَ عَدْلاً وَإِذَا فِيهِ ذِمَّةُ الْمُسْلِمِينَ وَاحِدَةٌ يَسْعَى بِهَا أَدْنَاهُمْ فَمَنْ أَخْفَرَ مُسْلِمًا فَعَلَيْهِ لَعْنَةُ اللهِ وَالْمَلاَئِكَةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ لاَ يَقْبَلُ اللهُ مِنْهُ صَرْفًا وَلاَ عَدْلاً وَإِذَا فِيهَا مَنْ وَالَى قَوْمًا بِغَيْرِ إِذْنِ مَوَالِيهِ فَعَلَيْهِ لَعْنَةُ اللهِ وَالْمَلاَئِكَةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ لاَ يَقْبَلُ اللهُ مِنْهُ صَرْفًا وَلاَ عَدْلاً.
৭৩০০. ইবরাহীম তায়মী (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার পিতা বর্ণনা করেছেন যে, একবার ‘আলী (রাঃ) পাকা ইটের তৈরী একটি মিম্বরে উঠে আমাদের উদ্দেশে খুত্বা দিলেন। তাঁর সাথে একটা তলোয়ার ছিল, যার মাঝে একটি সহীফা ঝুলছিল। তিনি বললেন, আল্লাহর কসম! আমাদের কাছে আল্লাহর কিতাব এবং যা এই সহীফাতে লেখা আছে এ ব্যতীত অন্য এমন কোন কিতাব নেই যা পাঠ করা যেতে পারে। তারপর তিনি তা খুললেন। তাতে উটের বয়স সম্পর্কে লেখা ছিল এবং লেখা ছিল যে, ‘আয়র’ পর্বত থেকে অমুক স্থান পর্যন্ত মাদ্বীনাহ হারাম (পবিত্র এলাকা) বলে গণ্য হবে। *যে কেউ এখানে কোন অন্যায় করবে তার উপর আল্লাহ্, ফেরেশ্তামন্ডলী ও সকল মানুষের অভিসম্পাত। আর আল্লাহ্ তার ফরজ ও নফল কোন ‘ইবাদাতই কবূল করবেন না এবং তাতে আরও ছিল যে, এখানকার সকল মুসলিমের নিরাপত্তা একই স্তরের। একজন নিম্ন স্তরের লোকও (অন্যকে) নিরাপত্তা দিতে পারবে। যদি কেউ অন্য মুসলিমের প্রদত্ত নিরাপত্তাকে লঙ্ঘন করে, তাহলে তার উপর আল্লাহর, ফেরেশ্তামন্ডলীর ও সকল মানুষের লা‘নাত। আল্লাহ্ তার ফরজ ও নফল কোন ‘ইবাদাতই গ্রহণ করবেন না। তাতে আরও ছিল, যদি কেউ তার (মুক্তি দাতা) মনিবের অনুমতি ছাড়া অন্যকে নিজের (গোলামী কালীন সময়ের) মনিব বলে উল্লেখ করে, তাহলে তার উপর আল্লাহর, ফেরেশ্তামন্ডলীর ও সকল মানুষের অভিসম্পাত। আর আল্লাহ্ তা‘আলা তার ফার্য (ফরয), নফল কোন ‘ইবাদাতই কবূল করবেন না।* [১১১; মুসলিম ১৫/৮৫, হাঃ ১৩৭০, আহমাদ ১৩৭, ৬১৫] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৭৯০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮০২) হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
৭৩০০. ইবরাহীম তায়মী (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার পিতা বর্ণনা করেছেন যে, একবার ‘আলী (রাঃ) পাকা ইটের তৈরী একটি মিম্বরে উঠে আমাদের উদ্দেশে খুত্বা দিলেন। তাঁর সাথে একটা তলোয়ার ছিল, যার মাঝে একটি সহীফা ঝুলছিল। তিনি বললেন, আল্লাহর কসম! আমাদের কাছে আল্লাহর কিতাব এবং যা এই সহীফাতে লেখা আছে এ ব্যতীত অন্য এমন কোন কিতাব নেই যা পাঠ করা যেতে পারে। তারপর তিনি তা খুললেন। তাতে উটের বয়স সম্পর্কে লেখা ছিল এবং লেখা ছিল যে, ‘আয়র’ পর্বত থেকে অমুক স্থান পর্যন্ত মাদ্বীনাহ হারাম (পবিত্র এলাকা) বলে গণ্য হবে। *যে কেউ এখানে কোন অন্যায় করবে তার উপর আল্লাহ্, ফেরেশ্তামন্ডলী ও সকল মানুষের অভিসম্পাত। আর আল্লাহ্ তার ফরজ ও নফল কোন ‘ইবাদাতই কবূল করবেন না এবং তাতে আরও ছিল যে, এখানকার সকল মুসলিমের নিরাপত্তা একই স্তরের। একজন নিম্ন স্তরের লোকও (অন্যকে) নিরাপত্তা দিতে পারবে। যদি কেউ অন্য মুসলিমের প্রদত্ত নিরাপত্তাকে লঙ্ঘন করে, তাহলে তার উপর আল্লাহর, ফেরেশ্তামন্ডলীর ও সকল মানুষের লা‘নাত। আল্লাহ্ তার ফরজ ও নফল কোন ‘ইবাদাতই গ্রহণ করবেন না। তাতে আরও ছিল, যদি কেউ তার (মুক্তি দাতা) মনিবের অনুমতি ছাড়া অন্যকে নিজের (গোলামী কালীন সময়ের) মনিব বলে উল্লেখ করে, তাহলে তার উপর আল্লাহর, ফেরেশ্তামন্ডলীর ও সকল মানুষের অভিসম্পাত। আর আল্লাহ্ তা‘আলা তার ফার্য (ফরয), নফল কোন ‘ইবাদাতই কবূল করবেন না।* [১১১; মুসলিম ১৫/৮৫, হাঃ ১৩৭০, আহমাদ ১৩৭, ৬১৫] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৭৯০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮০২) হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
সহীহ বুখারী (তাওহীদ)হাদিস নম্বরঃ ৭৩০০
-------------------------------
*বিদআতীকে আশ্রয়দানকারীর পাপ।*
بَاب إِثْمِ مَنْ آوَى مُحْدِثًا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ حَدَّثَنَا عَاصِمٌ قَالَ قُلْتُ لِأَنَسٍ أَحَرَّمَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمَدِينَةَ قَالَ نَعَمْ مَا بَيْنَ كَذَا إِلَى كَذَا لاَ يُقْطَعُ شَجَرُهَا مَنْ أَحْدَثَ فِيهَا حَدَثًا فَعَلَيْهِ لَعْنَةُ اللهِ وَالْمَلاَئِكَةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ قَالَ عَاصِمٌ فَأَخْبَرَنِي مُوسَى بْنُ أَنَسٍ أَنَّهُ قَالَ أَوْ آوَى مُحْدِثًا
*৭৩০৬. ‘আসিম (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আনাস (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি মাদ্বীনাহ্কে হারাম (পবিত্র এলাকা) হিসাবে ঘোষণা করেছিলেন। উত্তরে তিনি বললেন, হ্যাঁ, অমুক জায়গা থেকে অমুক জায়গা পর্যন্ত। এখানকার কোন গাছ কাটা যাবে না, আর যে ব্যক্তি এখানে বিদ্আত করবে তার উপর আল্লাহ্, ফেরেশ্তা ও সকল মানুষের অভিশাপ। আসিম বলেন, আমাকে মূসা ইবনু আনাস বলেছেন, বর্ণনাকারী أَوْ آوَى مُحْدِثًا কিংবা বিদ্আতীকে আশ্রয় দেয় বলেছেন।* [১৮৬৭] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৭৯৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮০৮)হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
সহীহ বুখারী (তাওহীদ)হাদিস নম্বরঃ ৭৩০৬
--------------------------------------
**আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক**
শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা"[তিরমিযীঃ২৬৭৪]
0 Comments