▌‘ইলমুল কালাম শিক্ষা করা কি জায়েজ?
·
মাদীনাহ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদীস বিভাগের সাবেক প্রধান, বর্তমান যুগের শ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস, আল-‘আল্লামাহ, আল-ফাক্বীহ, ইমাম রাবী‘ বিন হাদী বিন ‘উমাইর আল-মাদখালী (হাফিযাহুল্লাহ) [জন্ম: ১৩৫১ হি./১৯৩২ খ্রি.] প্রদত্ত ফাতওয়া—
প্রশ্ন: “আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন। এটাও উপস্থিত ভাইদের মধ্য থেকে একটি প্রশ্ন, যেখানে বলা হয়েছে: আস-সালামু ‘আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ। ফাদ্বীলাতুশ শাইখ, ‘ইলমুল কালাম [১] শিক্ষা করা কি আমার জন্য জায়েজ? আমাকে (বিষয়টি জানিয়ে) উপকৃত করুন, আর আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন।”
উত্তর: “ইলমুল কালাম হলো এক ধরনের মন্দ ‘ইলম, যেটা চর্চা করা সালাফগণ ঐক্যমতের ভিত্তিতে হারাম ঘোষণা করেছেন, এর মধ্যে থাকা ভ্রষ্টতা ও খারাপ পরিণতির কারণে। শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়্যাহ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেছেন, “বুদ্ধিহীন ব্যক্তি এর মাধ্যমে উপকৃত হয় না, বুদ্ধিমান ব্যক্তির এর প্রয়োজন নেই।” বুদ্ধিমান ব্যক্তির এর প্রয়োজন নেই; কারণ সে সত্তাগত, ফিতরতি ও বুদ্ধিমত্তার দিক থেকে বিচক্ষণ। আর একজন বুদ্ধিহীন ব্যক্তি এর থেকে উপকৃত হয় না। সে যদি ইলমুল কালামের সব কিতাবও পড়ে, তবুও এর থেকে উপকৃত হবে না।
শাইখ আলবানী (রাহিমাহুল্লাহ) কালামপন্থি ‘উলামাদের সাথে মুনাযারা করতেন এবং তাঁর উপস্থিতিতে তাদের অবস্থা হতো শিশুর মতো। যদিও তিনি কখনো ‘ইলমুল কালাম চর্চা করেননি। বরং আল্লাহ তাঁকে (বিশুদ্ধ) ভাষা ও ‘ইলম দান করেছিলেন। আর কিতাব ও সুন্নাহ’র চেয়ে শক্তিশালী কোনো দলিল নেই।
আহলুল কালামরা সর্বদাই পরাজিত। আল্লাহ’র কসম, যতই তারা কালামপন্থি ভাষা ব্যবহার করুক না কেন, আর ‘ইলমুল কালামে তারা যতই শক্তিশালী হোক না কেন, তারা সালাফুস সালিহ’র মানহাজের উপস্থিতিতে পরাজিত হয়; (যেই মানহাজ) কিতাব ও সুন্নাহ’র ওপর ভিত্তিশীল।” [২]
·পাদটীকা:
▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂
[১]. আল্লাহ’র অস্তিত্ব প্রমাণ করার জন্য গ্রিক কাফির-মুশরিক দার্শনিকদের থেকে ধার করা যুক্তিবিদ্যা।
[২]. ইমাম রাবী‘ বিরচিত “মারহাবান ইয়া ত্বালিবাল ‘ইলম”, পৃষ্ঠা: ৩৪৭।
·
উৎস:
https://salaficentre.com/ 2019/07/ is-it-permissible-to-study- or-learn-the-knowledge-of- philosophical-logic-shaikh -rabee-responds।
·
অনুবাদক: রিফাত রাহমান সিয়াম
সালাফী: ‘আক্বীদাহ্ ও মানহাজে
·
মাদীনাহ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদীস বিভাগের সাবেক প্রধান, বর্তমান যুগের শ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস, আল-‘আল্লামাহ, আল-ফাক্বীহ, ইমাম রাবী‘ বিন হাদী বিন ‘উমাইর আল-মাদখালী (হাফিযাহুল্লাহ) [জন্ম: ১৩৫১ হি./১৯৩২ খ্রি.] প্রদত্ত ফাতওয়া—
প্রশ্ন: “আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন। এটাও উপস্থিত ভাইদের মধ্য থেকে একটি প্রশ্ন, যেখানে বলা হয়েছে: আস-সালামু ‘আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ। ফাদ্বীলাতুশ শাইখ, ‘ইলমুল কালাম [১] শিক্ষা করা কি আমার জন্য জায়েজ? আমাকে (বিষয়টি জানিয়ে) উপকৃত করুন, আর আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন।”
উত্তর: “ইলমুল কালাম হলো এক ধরনের মন্দ ‘ইলম, যেটা চর্চা করা সালাফগণ ঐক্যমতের ভিত্তিতে হারাম ঘোষণা করেছেন, এর মধ্যে থাকা ভ্রষ্টতা ও খারাপ পরিণতির কারণে। শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়্যাহ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেছেন, “বুদ্ধিহীন ব্যক্তি এর মাধ্যমে উপকৃত হয় না, বুদ্ধিমান ব্যক্তির এর প্রয়োজন নেই।” বুদ্ধিমান ব্যক্তির এর প্রয়োজন নেই; কারণ সে সত্তাগত, ফিতরতি ও বুদ্ধিমত্তার দিক থেকে বিচক্ষণ। আর একজন বুদ্ধিহীন ব্যক্তি এর থেকে উপকৃত হয় না। সে যদি ইলমুল কালামের সব কিতাবও পড়ে, তবুও এর থেকে উপকৃত হবে না।
শাইখ আলবানী (রাহিমাহুল্লাহ) কালামপন্থি ‘উলামাদের সাথে মুনাযারা করতেন এবং তাঁর উপস্থিতিতে তাদের অবস্থা হতো শিশুর মতো। যদিও তিনি কখনো ‘ইলমুল কালাম চর্চা করেননি। বরং আল্লাহ তাঁকে (বিশুদ্ধ) ভাষা ও ‘ইলম দান করেছিলেন। আর কিতাব ও সুন্নাহ’র চেয়ে শক্তিশালী কোনো দলিল নেই।
আহলুল কালামরা সর্বদাই পরাজিত। আল্লাহ’র কসম, যতই তারা কালামপন্থি ভাষা ব্যবহার করুক না কেন, আর ‘ইলমুল কালামে তারা যতই শক্তিশালী হোক না কেন, তারা সালাফুস সালিহ’র মানহাজের উপস্থিতিতে পরাজিত হয়; (যেই মানহাজ) কিতাব ও সুন্নাহ’র ওপর ভিত্তিশীল।” [২]
·পাদটীকা:
▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂
[১]. আল্লাহ’র অস্তিত্ব প্রমাণ করার জন্য গ্রিক কাফির-মুশরিক দার্শনিকদের থেকে ধার করা যুক্তিবিদ্যা।
[২]. ইমাম রাবী‘ বিরচিত “মারহাবান ইয়া ত্বালিবাল ‘ইলম”, পৃষ্ঠা: ৩৪৭।
·
উৎস:
https://salaficentre.com/
·
অনুবাদক: রিফাত রাহমান সিয়াম
সালাফী: ‘আক্বীদাহ্ ও মানহাজে
0 Comments