ড.আবু বক্কর মুহাম্মদ যাকারিয়া ও কাশ্মীর প্রসঙ্গ!
-------------------------------------------------------------------
.১.
-------------------------------------------------------------------
.১.
কাশ্মীর বিষয়ে ডঃ আবু বকর যাকারিয়া (হাফিজাহুল্লাহ)র বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে শুনলাম।
শোনার পর বুঝতে পারলাম, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই তার এই বক্তব্যকে out of context উপস্থাপন করে উনার বিরুদ্ধে
১) হয় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে,
অথবা ২) অজ্ঞানতাবশত,
অথবা ২) অজ্ঞানতাবশত,
বিষোদগার করে যাচ্ছেন।
অথচ উন্মুক্ত হৃদয়ে, অন্তরের সমস্ত বক্রতা দূর করে, মনোযোগ সহকারে তার বক্তব্য শুনলেই বুঝতে পারবেন যে, তিনি তার সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরে, কাশ্মীর প্রসঙ্গে, অত্যন্ত সুনির্দিষ্টভাবে আমাদের করনীয় বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন।
উনার বিচক্ষন এবং সুচিন্তিত মতামতের সারমর্ম আপনাদের অন্তরে কতখানি পৌছেছে জানি না। আমি যতটুকু অনুধাবন করতে সক্ষম হয়েছি, তার খানিকটা নীচে তুলে ধরছি।
তিনি বলেছেন,
১) কাশ্মীরের মানুষদের জন্য আমাদের দু'আ করা উচিত।
২) যাদের কাছে বললে কাজ হবে, (অর্থাৎ রাজনৈতিক ক্ষমতা সম্পন্ন) সেই মুসলিম শাসকগনের কাছে এ বিষয়ে কথা বলা উচিত।
৩) মুসলিম শাসকদের উচিত এ বিষয়ে আরো সচেতন হওয়া এবং সময়োপযোগী সুদ্রঢ় পদক্ষেপ নেওয়া। এটা তাদের জন্য ফরজ। তা না করলে তারা গুনাহগার হবে।
৪) আমাদের উচিত কাশ্মীরের মানুষের পক্ষে কথা বলার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া।
তো উনি ভুল কোনটা বলেছেন?
আপনি সাংবাদিক? সত্য লিখুন!
আপনি ব্লগার, লেখক? কলম তুলে নিন!
আপনি শিক্ষক? মানুষকে সঠিক ইতিহাস শিক্ষা দিন!
আপনি সমাজ সেবক? মানুষকে সচেতন করুন।
আপনি মানবাধিকার কর্মী? কাশ্মীরের মানুষের অধিকার নিয়ে কথা বলুন।
আপনি ব্লগার, লেখক? কলম তুলে নিন!
আপনি শিক্ষক? মানুষকে সঠিক ইতিহাস শিক্ষা দিন!
আপনি সমাজ সেবক? মানুষকে সচেতন করুন।
আপনি মানবাধিকার কর্মী? কাশ্মীরের মানুষের অধিকার নিয়ে কথা বলুন।
কোন কিছু না করে চুপ করে বসে থাকার কথাতো বলা হয়নি। সাধ্যমত সবাইকে এ বিষয়ে সচেতন পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
কি কি করতে তিনি নিষেধ করেছেন?
নিজ দেশে অযথা মিছিল, মারামারি, হানাহানি করতে তিনি নিষেধ করেছেন। কেননা তাতে করে ইসলাম এবং মুসলিম উম্মাহ'র উপকারের চেয়ে অপকারই বেশী হবে।
বাকী রইলো সম্মুখ সমরে অংশগ্রহণ করার কথা। এ বিষয়েও তিনি সুচিন্তিত মতামত দিয়েছেন। তিনি বলেছেন এটি নিষিদ্ধ কাজ। এ বিষয়ে তিনি খানিকটা ব্যাখ্যাও দিয়েছেন।
অন্যদেশে যুদ্ধ করতে যাবেন, এটা একজন মুসলিমের জন্য নিষিদ্ধ কাজ। অন্যদেশে যুদ্ধ করতে যাবার পূর্বশর্ত হচ্ছে মুসলিম শাসকের নেতৃত্ব। শুধুমাত্র তেমন কোন মুসলিম রাস্ট্রনায়ক আহ্বান করলেই অন্য দেশে যুদ্ধ করতে যাওয়া সঠিক হবে।
তা না হলে শত্রুরা শুধু শুধু কাশ্মীরীদের উপর আন্তর্জাতিক জঙ্গীবাদের আরোপ লাগানোর সুবিধা নিবে। মযলুম মুসলিম জনতার উপকারের চেয়ে অপকারই বেশী হবে। তাদের উপর সন্ত্রাসবাদের আরোপ জোরদার হবে।
এখানে কিন্তু দায়ভারটা মুসলিম শাসকদের উপরই পড়ছে। কেননা তারা সঠিক কাজটি করছেন না।
তিনি বলেছেন, আমাদের উচিত মুসলিম শাসক এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সাথে এ বিষয়ে কথা বলে যাওয়া, তাদেরকে বুঝানো, যাতে করে তারা কাশ্মীরের মযলুম জনগোষ্ঠীর পক্ষে অবস্থান নেন এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করেন।
অন্যদিকে তিনি একথাও বলেছেন, ভারতের পক্ষাবলম্বন করে কাশ্মীরের মযলুম জনতার বিপক্ষে যুদ্ধ করাও সাধারন মুসলিম জনতার জন্য সঠিক কাজ হবে না।
তাহলে ডঃ আবু বকর যাকারিয়া সাহেবের বক্তব্যের কোন অংশটকু আপনাদের কাছে অর্থহীন বলে মনে হয়েছে?
২.
আলহামদুলিল্লাহ! সবসময় চেষ্টা করি, আল্লাহ রাব্বুল আ'লামীন যৎসামান্য যা মেধা দিয়েছেন, তা ব্যবহার করে সত্যটা উপস্থাপন করতে। যুলুমের বিরুদ্ধে, যালীমের বিরুদ্ধে, অসত্যের বিরুদ্ধে কথা বলতে।
সত্য উপস্থাপনের বিড়ম্বনা আছে। সত্য কথন কারো পক্ষে যায়, তো কারো বিপক্ষে। যাদের পক্ষে যায়, তারা আমোদিত আহ্লাদিত হন। অন্যদিকে যাদের বিপক্ষে যায়, তারা বিষোদগার করেন। মানুষের এই আমোদ আহ্লাদ অথবা বিষোদগারে আমি বিচলিত হই না। আমি ভাবি অন্য কথা।
আমি চিন্তা করি, আজ যদি রাসুল (সাঃ) বেঁচে থাকতেন, তাহলে তিনি আমাকে কি করতে বলতেন? তিনি আমাকে কি পরামর্শ দিতেন? সেই মীযানে নিজ কর্মের ভাল মন্দ ওজন করার চেষ্টা করি, নিজেকে শোধরানোর চেষ্টা করি, নিজ-দায়বদ্ধতার ক্ষেত্রটা পরিমাপ করার চেষ্টা করি।
একজন শিক্ষকের নামে মিথ্যাচার করা হচ্ছে, আর আমরা নীরব থাকছি, এমনটা আমার কাছে অন্যায় বলে অনুভুত হয়েছে। সুতরাং দায়বদ্ধতার জায়গা থেকেই লেখা।
আমরা সবাই আমাদের কৃত কর্মের জন্য জিজ্ঞাসিত হবো। কারো উপর অন্যায় অপবাদ চাপিয়ে দেবার দায় আখেরাতে কেউই এড়াতে পারবেন না। Out of Context সমালোচনা করে একজন মানুষের জীবন কতটা দূর্বিষহ করে তোলা যায়, তার প্রমান ডঃ জাকির নায়েক। সুতরাং গুনী মানুষগুলো হারিয়ে যাবার আগে তাদের কদর করতে শিখুন।
পক্ষে-বিপক্ষে যাই বলুন না কেনো, কাটছাঁট করে, Out of Context বক্তব্য প্রচার করে, কারো বিরুদ্ধে বিভ্রান্তি আর বিষোদগার করবেন না, এটাই আমার ফেইসবুকের বন্ধুদের কাছে বিনীত অনুরোধ।
৩.
গালাগাল করিয়া আখেরাতে যারা জাহান্নামের রাস্তা সুগম করিতে চান, তাহাদের জন্য ইহা এক মোক্ষম সময়! জ্ঞানীদের জন্য ইশারাই যথেষ্ট!
.
.
লেখক: সোহেল সারওয়ার!
প্রচারেঃ-সৌদি আরব-The land of tawheed🇸🇦❤
আপনি চাইলে -Whatapps-Facebook-Twitter-ব্লগ- আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking-ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন-মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। "কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা" [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]-:-admin by rasikul islam নিয়মিত আপডেট পেতে ভিজিটকরুন -এই ওয়েবসাইটে -https://sarolpoth.blogspot.com/(জানা অজানা ইসলামিক জ্ঞান পেতে runing update)<> -https://rasikulindia.blogspot.com (ইসলামিক বিশুদ্ধ শুধু বই পেতে, পড়তে ও ডাউনলোড করতে পারবেন). Main Websaite- https://rasikulindia.blogspot.comesoislamerpothecholi.in , comming soon my best world websaite
0 Comments