Subscribe Us

হে পথিক ভবিষ্যৎ বলে কিছু নাই ,আসোল ভবিষ্যৎ হলো পরোকাল

দাঁড়িয়ে পান করা (মুখতাসার যাদুল মা‘আদ গ্রন্থে-

 মুখতাসার যাদুল মা‘আদ  অনুচ্ছেদ সমুহের সূচী ও বিবরন  ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রহঃ)

দাঁড়িয়ে পান করা

সহীহ সূত্রে বর্ণিত হয়েছে যেতিনি দাঁড়িয়ে পান করতে নিষেধ করেছেন। সহীহ সূত্রে আরও বর্ণিত হয়েছে যেদাঁড়িয়ে পানকারী একজন লোককে বমি করার হুকুম দিয়েছেন। তবে সহীহ সূত্রে এও বর্ণিত হয়েছে যেতিনি দাড়িয়ে পান করেছেন। এ জন্যই কোন কোন আলেম বলেন- দাঁড়িয়ে পান করার নিষিদ্ধতা রহিত হয়ে গেছে। আরও বলা হয় যেনিষিদ্ধতা দ্বারা দাঁড়িয়ে পান করা হারাম বুঝা যায়নি (বরং তা ভদ্রতার খেলাফ)। আরও বলা হয়েছে যেতিনি প্রয়োজন বশতঃ দাঁড়িয়ে পান করেছিলেন।
পান করার সময় নাবী (সাঃ) তিনবার শ্বাস গ্রহণ করতেন। আর তিনি বলতেন- এই পদ্ধতি হচ্ছে অধিক তৃপ্তিদায়কঅধিক পিপাসা নিবারক এবং অধিক স্বাচ্ছন্দপূর্ণ।
 তিরমিযী শরীফে বর্ণিত হয়েছেনাবী (সাঃ) বলেন- ‘‘তোমরা উটের ন্যায় এক নিঃশ্বাসে পানি পান করোনাবরং তোমরা দুই বা তিন নিঃশ্বাসে পান কর। আর যখন তোমরা পান করবেতখন বিস্মিল্লাহ্ বলে পান করবে এবং পান করা শেষে আলহামদুলিস্নাহ্ বলবে’’। নাবী (সাঃ) পাত্র ঢেকে রাখার আদেশ দিয়েছেন। সহীহ মুসলিমে বর্ণিত হয়েছেতিনি বলেন-

غَطُّوا الإِنَاءَ وَأَوْكُوا السِّقَاءَ فَإِنَّ فِى السَّنَةِ لَيْلَةً يَنْزِلُ فِيهَا وَبَاءٌ لاَ يَمُرُّ بِإِنَاءٍ لَيْسَ عَلَيْهِ غِطَاءٌ أَوْ سِقَاءٍ لَيْسَ عَلَيْهِ وِكَاءٌ إِلاَّ نَزَلَ فِيهِ مِنْ ذَلِكَ الْوَبَاءِ

‘‘তোমরা পাত্র ঢেকে রাখো এবং পান পাত্রের মুখ বন্ধ করে রাখো। কেননা বছরে এমন একটি রাত রয়েছেযাতে বিভিন্ন প্রকার রেসূ ও মহামারি অবতরণ করে। সেই রেসূ বা মহামারি যখনই কোন ঢাকনা বিহীন পাত্রের কাছ দিয়ে অতিক্রম করেতখনই তাতে পতিত হয়।[1]
 এই হাদীছের অন্যতম রাবী লাইছ বিন সা’দ (রহঃ) বলেন- আমাদের সমাজে বসবাসকারী অনারব লোকেরা বছরের একটি রাতে সাবধানতা অবলম্বন করে থাকে। সেটি হচ্ছে ডিসেম্বর মাসের একটি রাত। সহী সূত্রে আরও বর্ণিত হয়েছেনাবী (সাঃ) পাত্রের মুখ ঢেকে রাখার আদেশ করেছেন। এমনকি এক খন্ড কাঠ দিয়ে হলেও।
সহীহ সূত্রে আরও বর্ণিত হয়েছেনাবী (সাঃ) পাত্র ঢাকা বা পাত্রের মুখ বন্ধ করার সময় বিস্মিল্লাহ্ বলার (আল্লাহর নাম উচ্চারণ করার) আদেশ দিয়েছেন। তিনি কলসীতে-ড্রামে (বড় পান পাত্রে) সরসূরি মুখ লাগিয়ে পান করতে নিষেধ করেছেন। পাত্রে শ্বাস ফেলতে এবং তাতে ফুঁ দিতে এবং ভাঙ্গা পান পাত্রে এবং ছিদ্র বিশিষ্ট পাত্রের ছিদ্র হতে পান করতেও তিনি নিষেধ করেছেন।
[1]. সহীহ মুসলিম, অধ্যায়ঃ কিতাবুল আশরিবাহ, মিশকাত হাএ. হা/৪২৯৮

Post a Comment

0 Comments